× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Testimony in Sabrina Ariful case postponed on September 27
google_news print-icon

সাবরিনা-আরিফুলের মামলায় সাক্ষ্য পিছিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর

সাবরিনা-আরিফুলের-মামলায়-সাক্ষ্য-পিছিয়ে-২৬-সেপ্টেম্বর
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তেজগাঁও থানায় করা এই মামলার সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করা ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় ও নারী আসামিদের আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য নেয়ার নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে মনগড়া বা ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নেয়ার জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখ ঠিক করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তেজগাঁও থানায় করা এই মামলার সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করা ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় ও নারী আসামিদের আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য নেয়ার নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সিএমএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।

৩১ মার্চ ওই মামলায় সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন প্রকৌশলী উজ্জ্বল সরকার। এ নিয়ে মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়। পরে সাক্ষ্য নেয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল তারিখ থাকলেও করোনার ছুটির কারণে আর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি৷

সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট এদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

পরে একই বছর ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়।

২৭ আগস্ট বাদী কামাল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য নেয়া শুরু হয়।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছিল, জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন সাবরিনা।

২০২০ সালের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়।

ওইদিন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী। এসময় পুলিশ সদস্যদেরও মারধর করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।

আরও পড়ুন:
সাবরিনাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ৬ সেপ্টেম্বর
করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি: সাবরিনার বিরুদ্ধে আরও একজনে সাক্ষ্য
ভুয়া করোনা রিপোর্ট: সাবরিনার জামিন নাকচ
সাবরিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা ৫ এপ্রিল
দ্বৈত ভোটার: সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন পেছাল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
No significant change in human rights situation in Bangladesh US

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই: যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।

বাংলাদেশে বিগত ২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: ইউএনবি

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট প্রকাশিত ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ দলিল। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট (এইচআরআর) সদ্য গত ২০২৩ সালে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলকে নিয়ে কাজ করেছে। মানবাধিকার প্রতিবেদনে পৃথকভাবে মানবাধিকার অবমাননা ও লঙ্ঘনের ওপর বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বিস্তৃত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এটা সরকার, মানবাধিকারের সমর্থনে কাজ করা ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং নির্দিষ্ট দেশ ও অঞ্চলগুলোতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারযোগ্য একটি হাতিয়ার সরবরাহ করে।

মানবাধিকার প্রতিবেদনটি ওয়াশিংটন ও বিভিন্ন দেশের মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটে তাদের সহকর্মীদের বেশ কিছু মাসের কাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হলে কংগ্রেস, এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ ও অভিবাসন আদালতকে সহায়তা করে।

মানবাধিকার প্রতিবেদন সুশীল সমাজের কাজ সম্পর্কেও জানায়, যার মাঝে অন্তর্ভুক্ত আছে মানবাধিকার রক্ষাকারীসহ বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, স্কলার, অভিবাসন বিচারক, আশ্রয় কর্মকর্তা, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সরকার।

অন্যান্য দেশের প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি state.gov এ পাওয়া যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thanchi Rowanchari and Ruma upazila polls suspended

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত

থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার ভোট স্থগিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করব।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি। পর দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ সব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছেন।

নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Qatar signed 10 agreements and memorandum of understanding

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: সংগৃহীত
সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে রয়েছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে মঙ্গলবার সকালে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Life is burning in flames it will burn more

দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও

দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও তীব্র গরমে পুড়ছে জীবন। রাজধানীর একটি এলাকা থেকে সোমবার তোলা ছবি। নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ যেভাবে বয়ে যাচ্ছে, আরও কটা দিন এভাবেই তা চলবে। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এতে গরম তেমন একটা কমবে না।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে জনজীবন। গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ, তবে রাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে। এই অবস্থা থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ যেভাবে বয়ে যাচ্ছে, আরও কটা দিন এভাবেই তা চলবে। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এতে গরম তেমন একটা কমবে না।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এতে বলা হয়, সিলেট বিভাগে দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংম পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

এর আগে সোমবার চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে ৭২ ঘণ্টার জন্য দেশজুড়ের রেড অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তার আগেও গত ১৯ এপ্রিল তিন দিনের হিট অ্যালার্ট দেয়া হয়। অ্যালার্ট থাকবে ২৫ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত।

টানা কদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বরিশালেও প্রচণ্ড গরম। সোমবার খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
16 thousand 233 megawatt electricity production record

১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড

১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ফাইল ছবি
মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে সোমবার।

এদিন রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে পোস্টে এ কথা জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে সোমবার রাত ৯টায়। এ সময় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল রোববার ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Loadshedding of 1000 megawatts of electricity in the most affected villages

এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, গ্রামাঞ্চল বিদ্যুৎবঞ্চিত

এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, গ্রামাঞ্চল বিদ্যুৎবঞ্চিত আলো ঝলমলে নগরী (বাঁয়ে); বিদ্যুৎবঞ্চিত গ্রামে জনভোগান্তি। কোলাজ: নিউজবাংলা
রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎহীনতায় গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। সেচ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতির কারণে দেশে বিদ্যুতের প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। সূত্র: ইউএনবি

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৩টায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২২০ মেগাওয়াট। সে সময় দেশ জুড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং ছিল ৯৯৬ মেগাওয়াট।

এদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে।

তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎহীনতায় গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শেষ মুহূর্তের সেচ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার তথ্যে দেখা যায়, দৈনিক তিন হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে দেশে এই সময়কালে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে তিন হাজার ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

এ অবস্থায় বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে থাকে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দু’হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে এক হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The train fare hike will be effective from May 4

ট্রেনে ভ্রমণের ভাড়া বাড়ছে, কার্যকর ৪ মে থেকে

ট্রেনে ভ্রমণের ভাড়া বাড়ছে, কার্যকর ৪ মে থেকে
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে ২৫ শতাংশ ও ৪০০ কিলো‌মিটারের বে‌শি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত ছিল। দূরত্ব‌ভি‌ত্তিক এই রেয়াত সুবিধা তুলে নেয়ায় ভাড়া বাড়ছে।

ট্রেনে ভ্রমণের ভাড়া বাড়ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে রেয়াত সুবিধা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে ৪ মে থেকে। ২৪ এপ্রিল থেকে ব‌র্ধিত ভাড়ায় আগাম টি‌কিট বি‌ক্রি করা হবে। তবে পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়ছে না।

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। আর ৪০০ কিলো‌মিটারের বে‌শি ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত পান। রেলওয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তিতে জা‌নিয়েছে, দূরত্ব‌ভি‌ত্তিক এই রেয়াত সুবিধা আর থাকছে না।

রেল ভ্রমণে রেয়াত প্রত্যাহারের প্রস্তাব গত মাসে অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। সে সময় ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে- এমন খবর প্রচার হয়। অবশ্য সে সময়ে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হা‌কিম ভাড়া বৃ‌দ্ধির সেই খবরকে গুজব বলে‌ দাবি করেন।

রেল সূত্র জানিয়েছে, ঈ‌দযাত্রার কারণে এত‌দিন ভাড়া বৃ‌দ্ধি করা হয়‌নি। ২৪ এপ্রিল থেকে ব‌র্ধিত ভাড়ায় টি‌কিট বি‌ক্রি করা হবে। আর ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে ৪ মে থেকে।

যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়াও বাড়বে। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (স্নিগ্ধা) ও অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ যোগ করা হবে ভাড়ার সঙ্গে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটারের পর ২০ শতাংশ এবং ২৫০ কিলোমিটারের পর ২৫ শতাংশ ছাড় পান যাত্রীরা। এই রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা। কিন্তু রেয়াত সুবিধাবিহীন এবং বিরতিহীন পর্যটক এক্সপ্রেসে ভাড়া ৪৫০ টাকা। রেয়াত সুবিধা উঠে গেলে সাধারণ ট্রেনেও শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪০৫ টাকা।

লোকসান কমাতে এমন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৯৯২ সালে ট্রেনের ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা দেয়া শুরু করে। এবার লোকসান কমাতে সেই রেয়াত সুবিধা বাতিল করছে রেলওয়ে। আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত এই পরিবহন সংস্থার উন্নয়নে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। বিপরীতে রেল আয় করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ১ টাকা আয় করতে ২ টাকা ৭৮ পয়সা খরচ করছে রেলওয়ে। আয়-ব্যয়ের এই ব্যবধান কমিয়ে আনতেই ভাড়া বাড়াতে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

সবশেষ ২০১২ ও ২০১৬ সালে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল। ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। নতুন নির্মিত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে পন্টেজ চার্জ যোগ করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রেল সেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। এতে বাণিজ্যিক দূরত্ব বেড়েছে। রেয়াত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্যিক দূরত্বের কারণে ভাড়া বাড়বে।

পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়ছে না

যাত্রী ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা বাতিল হলেও পণ্য পরিবহনে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ পরিবহন করার মতো পণ্যের সংকট রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহনে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে