এক বছরের বেশি সময় ধরে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহের মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে যা ঘটেছে, তা পুঁজিবাজারে সচরাচর দেখা যায় না।
এক দিনে এই একটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে আড়াইশ কোটি টাকার বেশি, যা গোটা লেনদেনের ৮.৮০ শতাংশ।
গত এক বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিডেট। তবে এক দিনে দুইশ কোটি টাকার বেশি শেয়ার বিক্রির বিষয়টি সহসা হয়নি।
সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি হয়েছে মোট ২ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭১১টি। দিনভর দাম উঠানামা করেছে ১১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকৈ ১২০ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে। দিন শেষে এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
গত এক বছরে এক দিনে আজই সবচেয়ে বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, এমন নয়। গত ৪ জানুয়ারি ৪ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। তবে সেদিন শেয়ারদর ছিল ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ২৬০ কোটি টাকার বেশি।
গত এক বছরে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন শেয়ারদর ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা ৬০ পয়সা।
২০১০ সালের মহাধসে ক্রমাগত দর হারাতে থাকা কোম্পানিটির মুনাফা ২০১২ সাল থেকে ক্রমেই নিম্নমুখী ছিল। তবে করোনার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই পাঠাতে শিল্পপার্ক করার পর থেকে ঘুরে দাঁড়ায়।
২০১৫-১৬ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৬ পয়সা, পরের বছর ১ টাকা ২৩ পয়সা, ২০১৮ সাল আবার ১ টাকা ৫৫ পয়সা, পরের বছর ১ টাকা ৬৩ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫১ পয়সা।
২০১০ সালে তিন থেকে চারশ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ার দর এক পর্যায়ে নেমে আসে ১১ টাকা ৮০ পয়সায়।
করোনার মধ্যে গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে শেয়ারদর ক্রমেই বাড়তে থাকে। এর পেছনে ব্যবসা সম্প্রসারণে কোম্পানির বেশ কিছু উদ্যোগ কাজ করেছে।
সরকারি তিনটি প্রকল্পে ৩৫৭ কোটি টাকার কাজ পেয়েছে কোম্পানিটি। তবে সবচেয়ে বড় চুক্তিটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।
যুক্তরাষ্ট্রে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পিপিই ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী রপ্তানির লক্ষ্যে শিল্পপার্ক করা হয়েছে। এই রপ্তানির পরেই তাদের আয় ক্রমাগত বাড়ছে।
গত তিন বছর মিলিয়েও কোম্পানিটি যত আয় করতে পারেনি, তার চেয়ে বেশি আয় করে ফেলেছে গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে। এই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৩০ পয়সা আয় হয়েছে। অথচ ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির সম্মিলিত আয় ছিল ৩ টাকা ৫৯ পয়সা।
এই ৪ টাকা ৩০ পয়সা আয়ের মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ এর পরের দুই প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৪ টাকা ১৬ পয়সা। ফলে অর্থবছর শেষে শেয়ার প্রতি আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফনের আশা করা হচ্ছে।
পিপিই পার্ক ছাড়াও কোম্পানিটি দুটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে যাচ্ছে। ইসলামী সুকুক বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে তিন হাজার কোটি টাকা তুলে তারা দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড, যার ৩৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছে বেক্সিমকো লিমিটেড।
এসব উদ্যোগ কোম্পানির আয় ক্রমেই বাড়াবে-এমন আশায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলছেন বিনিয়োগকারীরা। কেবল ব্যক্তিশ্রেণির নয়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। গত জুলাই মাসে চার কোটির বেশি শেয়ার কিনেছেন তারা।
অবশ্য এই সুকুক বন্ডে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা খুব একটা আগ্রহ দেখিয়েছেন, এমন নয়। বন্ডে বিনিয়োগের জন্য বেক্সিমকোর শেয়ারধারীদেরকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল কোম্পানি। গত ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ৭৫০ কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্য নেয়া হলেও ৭১ জন বিনিয়োগকারী ৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার আবেদন করে। পরে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়।
কেবল এই কোম্পানি নয়, বিনিয়োগকারীদের তুমুল আগ্রহ বেক্সিমকো গ্রুপের সব কটি কোম্পানির ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য।
গ্রুপের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারদর দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে এই সময়ে। সেই সঙ্গে ওষুধ ও রসায়ন খাতের অন্য যে কোনো কোম্পানির তুলনায় বেশি শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের আড়াইশ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের দিন বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার।
এই খাতের ৩০টি কোম্পানিতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার ৪৪ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার টাকার।
গত এক বছরে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারে সর্বনিম্ন দর ছিল ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ২১৬ টাকা ৯০ পয়সা।
ব্যাংক খাতে অনাগ্রহের মধ্যেও বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানা থানা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার।
এই খাতের ৩২টি কোম্পানিতে এদিন লেনদেন হয়েছে মোট ১৬৪ কোট ৪৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত সাউথবাংলায় ১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
গত এক বছরে আইএফআইসি ব্যাংকের সর্বনিম্ন দর ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা, সর্বোচ্চ দর ছিল ১৭ টাাক ৯০ পয়সা।
বেক্সিমকো গ্রুপের অপর কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকে লেনদেন অবশ্য এই খাতের সবচেয়ে বেশি ছিল না। লেনদেন হয়েছে মোট ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফুওয়াং সিরামিকে ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
গত এক বছরে শাইনপুকুরের সর্বনিম্ন দর ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ছিল ৪১ টাকা ১০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য