প্রেমের সম্পর্কের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার কসবা গ্রামের আবু তাহের বিয়ের করেন পোশাককর্মী রোজিনাকে। তিন বছর পর তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যাশিশু। কিন্তু মেয়ের জন্মের সপ্তাহখানেক পর শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে রোজিনার সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। শিশুকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে টঙ্গীতে বোনের বাসায় চলে আসেন তিনি।
পারিবারিক কলহের কারণে ৪০ দিনের শিশুকে দত্তক দেন রোজিনা। তাকে পেয়ে যেন সব কষ্ট ভুলে যান কুলসুম আক্তার। পরম মাতৃস্নেহে তাকে বড় করতে থাকেন তিনি। আদর করে শিশুটির নাম রাখেন তাহিদা।
এর পর কেটে গেছে প্রায় ৮ মাস। এত দিনে শিশুটি কুলসুমকে মা ভাবতে শুরু করেছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে দত্তক দেয়া শিশুটিকে ফেরত চেয়ে বসেন শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা। কিন্তু কুলসুম তাকে ফেরত দিতে নারাজ।
পরে নিজের সন্তানকে আটকে রাখা হয়েছে বলে রোববার দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযোগ করেন শিশুটির মা রোজিনা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ টঙ্গীর মরকুন এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পালিত মা কুলসুমের কোল খালি করে রোজিনার কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয় শিশু তাহিদাকে। এ সময় থানায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সন্তান হারানোর শোকে কুলসুম থানায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই দৃশ্য দেখে চোখ ভিজে ওঠে অনেকের।
কুলসুম আক্তার জানান, দাম্পত্য কলহের কারণে অনেক আগেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। সে সংসারে তাদের কোনো সন্তান নেই। আট মাস আগে স্থানীয় লোকজন একটি কন্যাসন্তানের খবর দেয়। সে সময় ৪০ দিন বয়সের শিশুটিকে লিখিত চুক্তি করে দত্তক নেন তিনি।
তিনি বলেন, ভেবেছিলাম এই সন্তানকে বুকে আঁকড়ে ধরে জীবনের বাকি সময়টা পার করে দিব। এই সন্তান পাওয়ার পর থেকে বেশ সুখে-শান্তিতে ছিলাম। এখন আবার সন্তান হারা হলাম। প্রয়োজনে তিনি সন্তানের নামে অনেক সম্পত্তি লিখে দেবেন। তবুও শিশুটিকে যেন ফিরিয়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে শিশুটির প্রকৃত বাবা আবু তাহেরের নিকটাত্মীয় কামাল নিউজবাংলাকে জানান, সংসারে টানাপোড়েনে রোজিনা তার স্বামীকে না জানিয়ে ৪০ দিন বয়সের শিশুটিকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন কুলসুমের কাছে। এর কিছুদিন পর আবু তাহের সন্তানের খোঁজ চাইলে রোজিনা বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুটি মারা গেছে। তবে মাসখানেক আগে রোজিনা ও তাহেরের সম্পর্কের উন্নতি হয়। স্বামীকে সন্তান দত্তকের বিষয়টি খুলে বলেন রোজিনা।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে আনা হয়। আদালতের রায় ছাড়া দত্তক নেয়ার কোনো আইনি বৈধতা নেই। তাই আলোচনা করে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে শিশু তাহিদাকে তার প্রকৃত মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা যে কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) করেছি, সে কর্মপরিকল্পনাটা আপনাদের জানাবো। আমি ঢাকার বাইরে থাকায় একটু পিছিয়ে পড়েছি। এটা আমার টেবিলে এখন আছে। আগামীকাল পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করেন।’
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব আজ এক বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে কমিশন।
এখন যেকোনো সময় নির্বাচনের এই রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।’
উল্লেখ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা জারি, প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড নিবন্ধন ও পোষ্টাল ব্যালট পদ্ধতি ও নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে রোডম্যাপে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ বালুদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চোরেরা বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষের তালা কেটে আটটি সিলিং ফ্যান ও শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার জন্য রাখা ফুটবলও নিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের আলমারির তালা ভেঙে কাগজপত্রও তছনছ করেছে। আজ বুধবার সকালে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। এদিকে সেলিং ফ্যান চুরি হওয়ায় আজ বুধবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে ভোগান্তির শিকার হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরি নেই। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যালয়ে এসে দেখি, অফিস কক্ষ ও পাশের শ্রেণিকক্ষের দরজার হ্যাজবল কাটা রয়েছে। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি, দুই ঘরের আটটি ফ্যান খুলে নিয়ে গেছে। অফিস কক্ষের ভেতরে রাখা স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা করার চারটি ফুটবলসহ অন্যান্য জিনিত্রপত্রও চুরি হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিদ্যালয়ে ফ্যান না থাকায় সবার অনেক কষ্ট হচ্ছে।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুন আক্তার বলে, আমাদের শ্রেণিকক্ষের চারটি ফ্যান চুরি হয়েছে। গরমের মধ্য ক্লাসে বসে থাকতে গা ঘেঁমে যাচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মজনু বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিদ্যালয়ের চুরির ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। দুটি কক্ষের মোট ৮ টি ফ্যান ও কিছু খেলাধুলার সামগ্রি চুরি হয়েছে। বিদ্যালয়টি নতুন জাতীয়করণ হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ে কোন নৈশপ্রহরি নেই।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের সংকটে একের পর এক রোগীর মৃত্যু ঘটছে। দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় মূল ভূখণ্ডে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নৌ-অ্যাম্বুলেন্সই একমাত্র ভরসা। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রাইভার না থাকায় জরুরি সময়ে রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। ঘাটেই পড়ে আছে দুটি নৌ এম্বুলেন্স।
সম্প্রতি প্রসব জটিলতায় ভোগা এক নারী এবং হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত এক বৃদ্ধ নৌ-অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বহুবার লিখিত ও মৌখিকভাবে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স সচল করার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন।
একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন, “প্রতিবার মৃত্যু ঘটলেই আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান আসে না। দ্বীপে থাকা মানে যেন মৃত্যুকে বরণ করার জন্য অপেক্ষা করা।”
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রায় ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল। এখানে রয়েছে মাত্র ৫০ শয্যার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স, নেই কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে প্রতিমাসে ৬০ থেকে ৭০ জন গুরুতর রোগীকে নিতে হয় জেলা সদর হাসপাতালে। আরও শতাধিক মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজের উদ্যোগে সদর হাসপাতালে যান। কিন্তু এই দীর্ঘ যাত্রা হয়ে ওঠে জীবন-মরণ ঝুঁকির আরেক নাম। বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া রয়েছে দুটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স। তবে দুটি অ্যাম্বুলেন্সই বিকল হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর।
জানা গেছে, রোগীদের জন্য ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আনা হয়েছিল একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু অল্পদিন চলার পরই সেটি বিকল হয়ে পড়ে আছে নদীর পাড়ে। পরে ২০২২ সালে জাইকার সহায়তায় আসে আরেকটি আধুনিক নৌ অ্যাম্বুলেন্স। প্রথম বছর সেটি মানুষের মনে আশার আলো জাগালেও চালক, জ্বালানি আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটিও এখন দুই বছর ধরে অচল অবস্থায় বাঁধা আছে নদীর তীরে। কোটি টাকার এই দুই নৌ অ্যাম্বুলেন্সে আজ মরিচা ধরছে, অথচ হাতিয়ার অসহায় মানুষগুলো প্রতিদিন কাঠের নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন।
দ্বীপের বাসিন্দা আয়াত খান জুয়েল বলেন, আমাদের পেশা হচ্ছে মাছধরা ও কৃষি। ট্রলারে করে নদী পার হয়ে যেতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে মাইজদী নেয়া যায় না। অন্যদিকে সময়মতো ট্রলারও পাওয়া যায় না। আমাদের দুর্দশার শেষ নেই। আমরা গরিব মানুষ তাই বাধ্য হয়েই ট্রলারে যাই। সরকারি নৌ অ্যাম্বুলেন্স আমাদের কাজে আসেনি।
নলচিরা ঘাটের বাসিন্দা আবু সালেহ বলেন, নোয়াখালীর দ্বীপ এলাকার মানুষের জন্য নৌ-অ্যাম্বুলেন্স শুধু একটি যান নয়, বরং জীবন বাঁচানোর শেষ ভরসা হতে পারত। কিন্তু সেই ভরসা ভেঙে পড়েছে। অনেক মা ঘাটেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন, অনেকে নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে জীবন হারিয়েছেন। যদি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স সচল থাকত, তাহলে হয়তো আজ অনেক প্রাণ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকত।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের শুধু নাম আছে, সেবা নেই। অথচ রাতে যখন কোনো রোগী আসে, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাঠের নৌকায় উঠতে হয়। নদীর ঢেউ আর আঁধারের ভেতর সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছানো যায় না। আর সেই দেরির কারণেই হারিয়ে যায় অসংখ্য জীবন।
তিন বছর নৌ অ্যাম্বুলেন্স চালানো স্পিডবোট চালক জাকের হোসেন কালু বলেন, আমি দিনে পাঁচ-সাতজন রোগী পার করেছি। কত মা আমার বোটেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন, কত মানুষের কান্না দেখেছি আমি। কিন্তু কোনো বেতন-ভাতা না থাকায় সেই কাজটিই ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখনো বুক ভরে আফসোস করি, যদি থাকতে পারতাম? হয়তো অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মানসী রানী সরকার বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক যে একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স অনেক আগেই বিকল হয়ে গেছে, আরেকটি চালকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পড়ে আছে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হলে আবারও এই জীবন বাঁচানোর সেবা চালু করা সম্ভব হবে। যা দ্বীপের হাজারো অসহায় মানুষের জন্য আশার আলো হয়ে উঠতে পারে।
নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি দৈনিক বাংলাকে বলেন, হাতিয়ার নৌ এম্বুলেন্স ড্রাইভার না থাকায় বন্ধ থাকে। মাঝমাঝে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলে। আইএসও প্রজেক্ট চালু হলে এটার সুরাহা হবে। তবে কবে নাগাদ এ সেবা সচল হবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা তিনি দিতে পারেননি।
রাজধানীর জোয়ার সাহারা মৌজায় দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ প্রদান করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রেলভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উক্ত মসজিদ ও মন্দিরের পরিচালনা কমিটির নিকট বরাদ্দপত্র তুলে দেন ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো: মহিউদ্দিন আরিফ।
বরাদ্দপ্রাপ্ত মসজিদ ও মন্দিরের মধ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন জোয়ার সাহারা মৌজায় খিলক্ষেত রেলওয়ে জামে মসজিদের জন্য ০.২০১১ একর (৮৭৬০ বর্গফুট), একই মৌজায় আন-নূর-জামে মসজিদের জন্য ০.০৫৫২ একর (২৪০৫ বর্গফুট) এবং খিলক্ষেত থানাধীন একই মৌজায় খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের জন্য ০.০৫৬২ একর (২৪৫০ বর্গফুট) জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত প্রতীকী মূল্যের বিনিময়ে এসব জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বরাদ্দপত্র হস্তান্তরের জন্য আয়োজিত এ অনু্ষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ড. শেখ মইনউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, মসজিদ ও মন্দির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, খিলক্ষেত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কেউ এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে তাকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলওয়ের জমি মসজিদ ও মন্দিরকে বরাদ্দ দেওয়াকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের রোল মডেল। তারপরও বিভিন্ন সময়ে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা উপাসনালয়গুলোকে যারা অপবিত্র করতে চায় তাদের ধর্মীয় কোন পরিচয় নেই, তারা দুষ্কৃতকারী, ক্রিমিনাল। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের বেহাত হয়ে যাওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি যেগুলো নিয়ে আদালতে কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই এরূপ সম্পত্তি উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বাংলাদেশ রেলওয়ের এই উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন। বরাদ্দপত্র হস্তান্তর শেষে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিং শেষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
যে কোনো সময় এই নির্বাচনের রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারে ইসি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ নিয়ে বৈঠকও করেছেন।
বৈঠকে কর্মপরিকল্পনার (রোডম্যাপ) অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এখন, যে কোনো সময় নির্বাচনের এই রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।’
এদিকে সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার বিষয়ে ইসি’র শুনানি আজ বিকেলে শেষ হচ্ছে।
শুনানি শেষে বিকেলে সার্বিক বিষয় নিয়ে ইসি’র সিনিয়র সচিব আকতার আহমেদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা ব্রিফিংয়ে আসব। তখন সীমানার শুনানির বিষয়টির পাশাপাশি এ বিষয়টিও (রোডম্যাপ) দেখা যাবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তা বৈঠক করেন।
ওই দিন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে ইসি সচিব ব্রিফ করবেন।
গত ১৮ আগস্ট ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়ে ছিলেন, ‘একটা কর্মপরিকল্পনার (নির্বাচনী রোডম্যাপ) বিষয়ে বলেছিলাম, আমরা এই সপ্তাহে এটা করবো। কর্মপরিকল্পনার তো আমাদের আন্তঃঅনুবিভাগ সম্পর্কিত এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে। কর্মপরিকল্পনার ড্রাফ্ট করা হয়েছে। ড্রাফ্টটি এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অ্যাপ্রুভ করবো।’
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব নেপাল কান্তি দেব, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নরসিংদী -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -নরসিংদী, জোবিঅ -নরসিংদী আওতাধীন হাজীপুর বউ বাজার ও হাজীপুর পশ্চিমপাড়া, দত্তপাড়া (পূর্ব ও পশ্চিম), নরসিংদী এলাকার ৫টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩টি বেকারীর সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ৩/৪" জি আই পাইপ ৬০ ফুট, ৩/৪'' এম এস পাইপ ৫০ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এ সময়, সর্বমোট ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা অর্থ দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ লাইন সম্পূর্ণ উচ্ছেদ / অপসারণকরতঃ বিতরণ লাইনের উৎস পয়েন্ট হতে কিল করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ, জোবিঅ -মুন্সীগঞ্জ আওতাধীন মুক্তারপুর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মেসার্স তন্মম ফিশিং নেট ইন্ডা. লি.(গ্রাহক সংকেত: ৩৭০-০০৫১) ঠিকানা: মুক্তারপুর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ, আলমদিনা বোর্ড মিলস লি., (গ্রাহক সংকেত: ৩৭০-০০৩৭) মেসার্স বিসমিল্লাহ বোর্ড মিলস লি.(গ্রাহক সংকেত: ৩৭০-০০৫১) ঠিকানা: মিরেশ্বর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ, মেঘনা ফেব্রিক্স লি.(গ্রাহক সংকেত ৩৮০/৮৭০-০০৩৫) ঠিকানা: সরকারপাড়া, মুন্সীগঞ্জ -এর সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ০১ টি আবাসিক রেগুলেটর, প্লাস্টিক হোজ পাইপ ২৫০ ফুট এবং ৩/৪" এমএস পাইপ ৩ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ৪,৪০,০০০/- টাকার গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ লাইন সম্পূর্ণ উচ্ছেদ / অপসারণকরতঃ বিতরণ লাইনের উৎস পয়েন্ট হতে কিল করা হয়েছে। এছাড়া, স্থায়ী বিচ্ছিন্নকৃত শিল্প গ্রাহক মেসার্স তন্ময় ফিশিং নেট ইন্ডা. লি.; এর গ্রাহক আঙিনা পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবাসিক রাইজার হতে হোজ পাইপের মাধ্যমে ০১ টি বয়লারে গ্যাস ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়। ততপ্রেক্ষিতে, প্রায় ২৫০ ফুট হোজ পাইপ জব্দ করা হয়েছে এবং আবাসিক রাইজারটি কিলিং/ক্যাপিং করা হয়েছে। গ্রাহকের পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত ভাল্পপিট এর চাবিতে ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে ট্যাগিং করে স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ -এর বিশেষ অভিযানে, জোবিঅ-ভৈরব ও জোবিঅ -নরসিংদী আওতাধীন এলাকার ৮টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, বেলাবো ফিলিং স্টেশন, এমডি জব্বার জুট মিলস গ্রাহকের হাউজ লাইন ভূমির নিচে পরিলক্ষিত হয় যা দৃশ্যমান করার জন্য গ্রাহককে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়। রাজা ফুড প্রোডাক্টস, রাজা সোপ, বাবুল কেমিক্যাল ওয়ার্কস, খাজা বেকারি, ফাইন মুড়ি ফ্যাক্টরি, মেসার্স বাবুল কেমিক্যালস, শিল্পী টেক্সটাইল, সোবহান টেক্সটাইল এন্ড প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শনকালে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি।
রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মন্তব্য