সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে প্রশাসনিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ৪৯৭ জন দালাল।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলার পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও সরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে রোববার তাদের আটক করেছে র্যাব ও ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটকের পর ২৪৮ জনকে অর্থদণ্ড ও ২৪৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রোববার দুপুরে জানান, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বাইরে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা লাগিয়ে দালালরা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মনিটর করছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে সারা দেশে অভিযান শুরু হয়। র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযানে নামে।
‘পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ কার্যালয় ও সরকারি হাসপাতালসহ যেখানেই দালালদের দৌরাত্ম্য, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। অভিযানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।’
ঢাকা
দালালির অভিযোগে ঢাকা থেকে ৯৬ জন্য দালালকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
তাদের মধ্যে ১৫ জনকে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস এলাকা থেকে ও ১৫ জনকে কেরানীগঞ্জের পাসপোর্ট অফিস এলাকা থেকে আটক করে র্যাব-২ ও ১০।
কেরানীগঞ্জের বিআরটিএ অফিস থেকে র্যাব-১০ আটক করেছে ৩৬ জনকে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে দালাল সন্দেহে ৩০ জনকে আটক করেছে র্যাব-৩-এর একটি দল।
র্যাবের কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে আটকের বিষয়টি জানায়।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর বালুচরা এলাকার বিআরটিএ অফিসে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিআরটিএর এই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দালাল ও প্রতারক চক্রের ৩০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
‘তাদের কাছে লাইসেন্স সম্পর্কিত কিছু কাগজপত্র ও টাকা পাওয়া গেছে। তাদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বরিশাল
বরিশাল নগরীর বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে দালালকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তগীরের নেতৃত্বে রোববার সকাল থেকে অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৮-এর উপপরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, দালাল প্রতিরোধে অভিযান চালিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচজনকে আটক করে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল থেকে আটক পাঁচজনের মধ্যে একজনকে একমাসের কারাদণ্ড, একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বাকিরা ছাত্র হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট অফিস থেকে যে সাতজনকে আটক করা হয়েছে তাদের একজনের নামে মামলা হয়েছে। বাকিদের একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তগীর বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় দালাল নির্মূলে নাগরিক কমিটির নেতারা দাবি তোলেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নগরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি।’
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে দালালির অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছে র্যাব।
রোববার বেলা ১১টার দিকে এক ঘণ্টার অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-১৪-এর ময়মনসিংহ কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আখের মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সনদ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে গাড়িচালক ও মালিকদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। এ সম্পর্কে আমরা তথ্য পাওয়ার পর তাদের আটক করতে অভিযান চালাই।’
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোরঞ্জন বর্মনের নেতৃত্বে চালানো অভিযানে আটক ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনকে ১১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকিরা মোটর মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ময়মনসিংহ বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শকের দাবি, ‘আমাদের কার্যালয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের দালালের সম্পৃক্ততা নেই। এরা সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিআরটিএ কার্যালয়ের বাইরে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। আমরা কারো কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেই না।’
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস ও বিআরটিএ অফিস থেকে ২৭ জনকে আটক করেছে র্যাব-১২।
র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে জানান, রোববার দুপুর থেকে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১২ জনকে, পাসপোর্ট অফিস থেকে আটজনকে ও বিআরটিএ অফিস থেকে সাতজনকে দালালির অভিযোগে আটক করা হয়।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার গোলাম মাসুম তাদের সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কুমিল্লা
কুমিল্লায় পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে ১২ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোস্তফার ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন।
র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার সাকিব হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, বিআরটিএ অফিস, রেসকোর্স ও নোয়াপাড়া থেকে চারজন পাসপোর্ট দালাল ও আটজন বিআরটিএ দালালকে আটক করা হয়।
তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা থেকে আদায় করা হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে দালালির অভিযোগে নয়জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোহাম্মদ যোবায়ের রোববার সকালে তাদের আটক করেন।
র্যাব-৪-এর মানিকগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উনু মং নিউজবাংলাকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হাসপাতাল চত্বর থেকে চারজন পুরুষ ও পাঁচজন নারীকে আটক করা হয়।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই চার পুরুষকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও পাঁচ নারীকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই নারীদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
নোয়াখালী
নোয়াখালীতে পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে আটজনকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব জানিয়েছে, তারা সেখানে দালালি করেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলার গাবুয়ায় রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত র্যাবের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে সে সময় পাসপোর্টের বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। তারা দালালির কথা স্বীকারও করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন থেকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে দালালির অভিযোগে র্যাব ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে আটক করা হয়েছে ছয়জনকে।
শহরের ২ নম্বর পুল এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামছুদ্দিন মো. রেজা নিউজবাংলাকে জানান, আটক ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
নীলফামারী
র্যাবের অভিযানে নীলফামারীর বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রমিজ আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রোববার দুপুরে তাদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ ছিল। সে কারণে আজ সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আটক পাঁচজন বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন যানবাহন মালিক ও চালকদের কাজ দ্রুত করে দেয়া ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রলুব্ধ করে অর্থ আদায় করত। সবাই জরিমানা পরিশোধ করে মুচলেকা দিয়েছে।’
ভোলা
ভোলা সদর হাসপাতালে দালালির অভিযোগে চারজনকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতেমা চৌধুরীর আদালত রোববার দুপুরে তাদের কারাদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল হাদি নিউজবাংলাকে জানান, দালালরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নানা রকম হয়রানি করছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ও পুলিশকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।
জয়পুরহাট
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে র্যাব-৫ জয়পুরহাটের বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তিনজনকে আটক করেছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌকির নিউজবাংলাকে জানান, আটক দালালরা গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট করে দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন। অনেক সময় টাকা নিয়ে প্রতারণাও করতেন।
সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানো ও সরকারি আদেশ অমান্য করায় তাদের আটক করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।
টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।
তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।
দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।
সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।
মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।
এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।
হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র্যাবের গোয়েন্দা দল।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য