× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
By election in Sylhet Boat plow fight at midnight
google_news print-icon

সিলেটে উপনির্বাচন: রাত পোহালে নৌকা লাঙ্গলের লড়াই

সিলেটে-উপনির্বাচন-রাত-পোহালে-নৌকা-লাঙ্গলের-লড়াই
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (বাঁয়ে); জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। ছবি: সংগৃহীত
‘সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ভোটারদের মধ্যেও উসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথাও কোনো ভয়ভীতির পরিবেশ নেই।’

দল ক্ষমতায়, দলের আছে বিশাল কর্মী-বাহিনী, কেন্দ্রীয় নেতারাও এসে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফলে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রচারে-আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবই এগিয়ে।

আবার এই সুবিধাও হাবিবের দুশ্চিন্তার কারণ। সরকারবিরোধী যে মনোভাব সবসময় জনগণের একটি বড় অংশের মধ্যে থাকে, সেটি বিপক্ষে যেতে পারে তার।

সিলেটে সাংগঠনিকভাবে জাতীয় পার্টি অগোছালো, তৃণমূলে তেমন কর্মী বাহিনীও নেই তাদের। এতে প্রচারে কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন দলটির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। তবে সিলেট-৩ আসনে একটি ভোট ব্যাংক আছে সংসদের এই প্রধান বিরোধী দলটির। এই ভোট ব্যাংক আর সরকারবিরোধী মনোভাব কাজে লাগাতে পারলে এগিয়ে যেতে পারেন জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।

এমনিতে ভোটররা এখনও নীরব। দলীয় কর্মী সমর্থকরা ছাড়া সাধারণ ভোটাররা তেমন কোনো কথাই বলছেন না। এদের মধ্যে কী পরিমাণ ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসবেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে সব প্রার্থীই একমত এই নীরব ভোটাররাই ব্যবধান গড়ে দেবেন।

হাবিব-আতিক ছাড়াও এ উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী। উপ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। প্রার্থী হওয়ায় শফি আহমদকে বহিষ্কারও করেছে দলটি। স্বতন্ত্র প্রার্থী শফির প্রতীক মোটরগাড়ি।

শফির পাশে প্রচারে দলীয় কর্মীদেরও দেখা যায়নি। ফলে ব্যক্তি ইমেজের উপর ভর করেই নির্বাচন করতে হচ্ছে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে। সেই ইমেজ কাজে লগিয়ে তিনি কতটুকু সুবিধা করতে পারবেন এনিয়ে প্রশ্ন আছে।

এই তিনজন ছাড়াও ডাব প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া। তবে শুরু থেকেই তিনি প্রচারে অনুপস্থিত। ফলে আলোচনায়ও নেই। শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের হাবিবুর রহমান ও লাঙ্গল প্রতীকের আতিকুর রহমানের মধ্যেই লড়াই হতে পারে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সিলেটের বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সবগুলো কেন্দ্রেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে।

দুজনের দুশ্চিন্তায়ই দল:

সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন চেয়েছিলেন অন্তত দুই ডজন আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এহেতেশামুল হক দুলাল ও প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের স্ত্রী ফরাজানা সামাদও রয়েছেন। তবে তাদের বাদ দিয়ে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা হাবিবুর রহমানকে।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তরুণ হাবিবের মনোনোয়নে নাখোশ হন দলটির প্রবীণ ও মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা। তাদের অনেককেই হাবিবের পক্ষে প্রচারে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন:সিলেটে উপনির্বাচন: ভোটের আগে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুর কারণে তার প্রতি একটি আবেক রয়েছে এলাকাবাসীর। বিশেষত কয়েসের নিজের উপজেলা ফেঞ্চুগঞ্জে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা প্রার্থী হিসেবে কয়েসের স্ত্রী ফারজানাকেই চেয়েছিলেন। ফারাজানাও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালান।

হাবিব মনোনয়ন পাওয়ার পর নীরব হয়ে যান ফরাজানা সামাদ। হাবিবের পক্ষে প্রচারে দেখা যায়নি তাকে। প্রচারে ছিলেন না মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও। তাদের অনুসারীরা হাবিবের পক্ষে থাকবেন কি না এ ব্যাপারে দলের ভেতরেই আলোচনা রয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ দেখালেও তরুণ হাবিবের বিরুদ্ধে দলের ভেতরেই বড় একটি অংশ ক্রিয়াশীল রয়েছে। ভোটের দিন তারা সক্রিয় হয়ে উঠলে বিপদে পড়তে হতে পারে হাবিবকে।

তবে সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। প্রার্থী কে তা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে আমরা সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

দলের ভেতরে বিরোধীদের প্রতি ভোটের ঠিক আগেরদিনই কঠোর বার্তা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় শুক্রবার বহিষ্কার করা হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদককে। এ ছাড়া সিলেটের এক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

আতিকুর রহমান আতিকের দলে তেমন কোনো বিরোধ নেই। জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্যের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবেই কাজ করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে সাধারণ ভোটারদের জাতীয় পার্টির কর্মীরা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কতটুকু সফল হবেন এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের এই সফলতার উপরও নির্ভর করছে আতিকের জয়-পরাজয়।

তবে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক উসমান মিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে আলাদা কমিটি করেছি। তারা ভোটরদের কেন্দ্রে আনতে কাজ করবেন। এ ছাড়া ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসবেন।’

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ৩ প্রার্থীই:

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন হাবিবুর রহমান হাবিব, আতিকুর রহমান আতিক ও শফি আহমদ চৌধুরী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী ভোটরদের নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভোটাররা যদি ভয়ভীতি ছাড়া ভোট দিতে পারে তবে আমি বিজয়ী হবো। কারণ জনগণ আমাকে ভালোবাসে। আমি সাংসদ থাকাকালে অনেক উন্নয়ন করেছি। জনগণ এগুলো মনে রেখেছে। তারা নির্বাচনে এর প্রতিদান দেবে।’

জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিতকুর রহমান আতিক বলেন, ‘পুরো এলাকায় লাঙ্গলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কারচুপি করা না হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। আমি বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘জনগণ উন্নয়নের পক্ষে। নৌকার পক্ষে। আমার দলও ঐক্যবদ্ধ। সবাই আমার সাথে আছেন। শনিবার বিকেলে ভোটের ফলাফলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।’

নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বিকেলেই কেন্দ্রে কেন্দ্র পৌঁছে গেছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ভোটারদের মধ্যেও উসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথাও কোনো ভয়ভীতির পরিবেশ নেই।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মার্চ মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আসনটিতে গত ২৮ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন:
ভোটারদের কেন্দ্রে আনাই কি বড় চ্যালেঞ্জ
কার বাক্সে পড়বে বিএনপির ভোট
সিলেটে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে কৌশলী প্রচারে প্রার্থীরা
পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচন কাজিয়া
জিততে মরিয়া আ. লীগ, অনিয়মের শঙ্কা বিরোধীদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Teknaf border is shaking with the sound of explosion 

বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত 

বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত  টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের একটি এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষের খোঁজখবর রাখছি।’

সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে আবারও সংঘর্ষের ব্যাপকতা বেড়েছে।

রাজ্যটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকা থেমে থেমে কেঁপে উঠছে।

কখন গুলি এসে লাগে, গোলা এসে পড়ে, এমন ভয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন। একই পরিস্থিতি সেন্টমার্টিন ও উখিয়ায়।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে রোববার সকাল ১০টার দিকে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ার জানান, নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। এতে এপারে গুলি-মর্টারের গোলা এসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘ এক মাস পর সীমান্তের রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তের বাসিন্দারা ভয়ভীতির মধ্য আছেন।

‘গত এক মাস পর আমাদের সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে।’

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের মংডুর আশপাশের এলাকায় শনিবার রাত আটটা থেকে রোববার সকাল সাতটা পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়ার কথা জানান সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রেজাউল করিম।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রাতে সীমান্তের ওপার থেকে কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে বিকট শব্দ পাওয়া যায়। অনেক সময় যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। বিকট শব্দে বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে। গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙে গেছে।

এ বিষয়ে সাবরাং সীমান্তের আচারবনিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. নূর বলেন, ‘ওপারে মিয়ানমারে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। সংঘর্ষে ব্যবহার হচ্ছে মর্টার শেল ও ভারী গোলা। হামলা হচ্ছে আকাশপথে যুদ্ধ বিমান থেকেও, যার কারণে সীমান্তে বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন।

‘এর আগে আমাদের এলাকায় গোলার বিকট শব্দে অনেকের ঘরবাড়ি ফাটল ধরেছে।’

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে রাতভর গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। আমরা সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষের খোঁজখবর রাখছি।’

আরও পড়ুন:
বেড়িবাঁধ রক্ষার দাবি ৪০ হাজার মানুষের
তাহিরপুর সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশি বারকি শ্রমিক খুন
দুর্যোগের খবরেই আতঙ্কিত দুই দ্বীপের মানুষ
মিয়ানমার সীমান্তে রাতভর গোলার শব্দে এপারে আতঙ্ক
চাচার ষড়যন্ত্রে ভাতিজাকে অপহরণ, অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
6 traders fined in Tangail for using banned polythene

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় টাঙ্গাইলে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় টাঙ্গাইলে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও মোহাইমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মনোরঞ্জন ও মো. আলমগীরকে পাঁচ হাজার টাকা করে, মো. আলিম, দীপক ও মো. রানাকে দুই হাজার টাকা করে এবং দীপককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তাঅধিকার ও পরিবেশ আইনে তাদের এ জরিমানা করা হয়। 

টাঙ্গাইলের সন্তোষ বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করায় ছয় ব্যবসায়িকে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ৪৪ কেজি পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ও মোহাইমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রোববার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ওই সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও খাদ্য পরিদর্শক সাহেদা বেগমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মনোরঞ্জন ও মো. আলমগীরকে পাঁচ হাজার টাকা করে, মো. আলিম, দীপক ও মো. রানাকে দুই হাজার টাকা করে এবং দীপককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তাঅধিকার ও পরিবেশ আইনে তাদের এ জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, অন্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের পলিথিন বেচাকেনা না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পলিথিন ব্যাগ বন্ধে ৩ নভেম্বর থেকে কঠোর অভিযান 
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধে কঠোর মনিটরিং
পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘের্ষ নিহত চার, আহত ১০
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shahadats oath as mayor of Chittagong

চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে শপথ শাহাদাতের

চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে শপথ শাহাদাতের রাজধানীর স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শপথবাক্য পাঠ করান চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেনকে। ছবি: পিআইডি
নতুন মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করব। যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প হাতে নেয়ার চেষ্টা করব।’ 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন।

চসিকে কাউন্সিলর না থাকায় কাজ চালানোর জন্য ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শপথবাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার শুধুই কেয়ারটেকার সরকার না, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নিহত-আহতদের আমানত। এই সরকার রুটিন কেয়ারটেকার সরকার নয়, আন্দোলনের পর বিশেষ প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছে এই সরকার। তাই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে, যারা মেয়রের নেতৃত্বে কাজ করবেন। সিটি করপোরেশনগুলোতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। বর্তমান চট্টগ্রামের মেয়রের মেয়াদ আইন অনুযায়ী যেটা হবে, ততদিন তিনি দায়িত্বে থাকবেন।’

নতুন মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করব। যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প হাতে নেয়ার চেষ্টা করব।

‘ইশতেহার পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং হেলদি সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা হবে।’

আরও পড়ুন:
ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার
বিএনপির শাহাদাতকে চসিকের মেয়র ঘোষণা আদালতের
ঢাকার দুটিসহ ১২ সিটির মেয়র অপসারণ, প্রশাসক নিয়োগ
সিলেটের মেয়রকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
যাত্রীবাহী গাড়ি পুরোদমে চালু চান চট্টগ্রামের মেয়র

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jatiya Party office vandalized and set ablaze in Khulna

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ খুলনা নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে শনিবার সন্ধ্যায় মিছিল করে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে এসে ডাকবাংলা মোড় পার হয়ে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। পরে তারা কার্যালয়ের ভেতর থেকে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং মালামাল বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে।

খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নগরের ডাকবাংলা মোড়ে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে ডাকবাংলা মোড়ে আসে। তারা ডাকবাংলা মোড় পার হয়ে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মালামাল বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকার চেয়ার-টেবিল বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয় মিছিলকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা

এ বিষয়ে খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা জাতীয় দালাল ও ফ্যাসিস্টের প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর করে এবং সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায় বলে আমরা খবর পেয়েছি। এগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'

খুলনা জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের সময় পার্টি অফিসে কেউ ছিল না। তখন ৫০-৬০ জনের একদল ছাত্র-যুবক তাদের কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর তারা পার্টি কার্যালয়ে ঢুকে সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, ফ্যান ও টিভি ভাঙচুর করে। তারা কয়েকটি ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়া তারা কয়েকটি চেয়ার, ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা করে। তারা অফিসকে কেন্দ্র করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে প্লাস্টিকের দুটি চেয়ার বাইরে বের করে তাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Aricha Kazirhat ferry service stopped due to shipping crisis

নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ

নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার রাত থেকে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি। ছবি: নিউজবাংলা
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, নাব্য সংকটের কারণে সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন যমুনার ডুবোচরে ফেরি ধাক্কা খেয়েছে। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার রাত থেকে এই নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নাব্য সংকট কাটিয়ে দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

নৌপথে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথ। কিন্তু যমুনা নদীতে এই নৌপথে নাব্য সংকটের কারণে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় আরিচা ফেরি ঘাট এলাকায় বাড়ছে পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা। ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয় জানায়, মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে বড় পাঁচটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। সম্প্রতি যুমনা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে মাঝেমধ্যেই নদীর ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছিল। পরে ফেরি চলাচলের চ্যানেলে ড্রেজিং শুরু করা হয়।

ঝুঁকি নিয়ে কিছুদিন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদীতে পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট প্রকট হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জান-মালের নিরাপত্তায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

পণ্যবাহী ট্রাকচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নাটোর থেকে পণ্য নিয়ে শুক্রবার সকালে আরিচা ফেরি ঘাটে পৌঁছাই। ঘাটে এসে শুনি শুক্রবার রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে ফেরি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পাটুরিয়া ফেরি পারাপারের জন্য ট্রাক ঘাট এলাকা থেকে বের করি।’

আরিচা দিয়ে ফেরি পারাপার হলে যাতায়াতে খরচ কম হয় বলে জানান তিনি।

আরেক ট্রাকচালক হাসেম আলী বলেন, ‘আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তি বেশি হয়। তার মধ্যে ঘাটে এসে যখন শুনি ফেরি বন্ধ তখন মেজাজ খারাপ বেশি হয়। কারণ আবার যানজট ঠেলে পাটুরিয়ায় যেতে হবে।

‘বেশ কয়েকদিন ধরেই নদীতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল দ্রুত ড্রেজিং করা। তা-না হলে আরিচার প্রবেশ মুখে কাউকে দিয়ে বলে দেয়া যে আরিচা ফেরি বন্ধ।’

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা ফেরি ঘাটের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ জানান, যমুনা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ফেরি চলাচলের চ্যানেলসহ আশপাশে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, নাব্য সংকটের কারণে সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন যমুনার ডুবোচরে ফেরি ধাক্কা খেয়েছে। তারপর নদীতে পানি কমে যাওয়ায় বর্তমানে নাব্য সংকট বেশি দেখা দিয়েছে। পরে শুক্রবার রাত থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নাব্য সংকট কাটিয়ে দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

আরও পড়ুন:
নৌকায় উঠে কলেরা থেকে বাঁচার চেষ্টা, মোজাম্বিকে ডুবে ৯০ জনের মৃত্যু
অবশেষে পদ্মায় ভাসল ডুবে যাওয়া ‘রজনীগন্ধা’
৬ দিন পর নিখোঁজ ফেরি মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার
আবারও ভাসবে ‘রজনীগন্ধা’, তবে হুমায়ন কোথায়
পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি: যানবাহন উদ্ধারে প্রত্যয় হামজা রুস্তম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two children died after drowning in Chakaria pond

চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু প্রতীকী ছবি।
শিশু দুটি শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে মসজিদের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে লোকজন মসজিদের পুকুরে পানির গভীর থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অলির বাপের পাড়া বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদের পুকুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া শিশু দুটি হলো- ওই এলাকার স্বপন মিয়ার ছেলে ও সিকদারপাড়া জয়নাল আবেদীন দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহাদাত হোসেন সামির এবং মো. শাহাব উদ্দিনের ছেলে ও সাহারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আল ফয়েজ মিশকাত।

এলাকাবাসী ও নিহত পরিবার সূত্র জানায়, শিশু দুটি শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে মসজিদের পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পরও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ওদের খুঁজতে বের হন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে লোকজন মসজিদের পুকুরে নেমে সন্ধান চালান। এক পর্যায়ে সেখান থেকে ডুবন্ত অবস্থায় শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ওদের মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন:
ধলেশ্বরীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ
পাবনায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বৃষ্টির পানিতে ডুবে রাজধানীতে শিশু নিহত
ধলাই নদীতে পড়ে নারী নিখোঁজ
তাড়াশে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Production stopped at Matarbari power plant due to coal shortage

কয়লা সংকটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ

কয়লা সংকটে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়ে থাকে। গত আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। কায়লা সংকটের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট কমিশনিংয়ের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়ে থাকে। গত আগস্ট মাসে জাপানি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

প্রকল্পের একটি ইউনিট ২০২৩ সালের জুলাই ও অপর ইউনিট ডিসেম্বরে চালু হয়। সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয়েছে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সাবেক প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ একটি প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি সুবিধা দিতে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় ১০ মাস দেরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

‘ওই অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাইয়ে। সেই আদেশটি পরে উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে নভেম্বরের শেষ দিকে কয়লা আমদানির চেষ্টা চলছে। কয়লা এলেই উৎপাদন শুরু হবে।’

আরও পড়ুন:
মাতারবাড়ী ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন স্বপ্ন
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক ধর্মঘট

মন্তব্য

p
উপরে