দেশের পুঁজিবাজারে একটি প্রবণতা আছে, যে কারণে নগদ লভ্যাংশে বিনিয়োগকারীদের আসলে লাভ হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উল্টো ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
এনএলআই মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের বিনিয়োগকারীরা এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ পেয়েছেন ১ টাকা ৭৫ পয়সা। কিন্তু লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর প্রথম দিন দাম কমে ১ টাকা ৭০ পয়সা, এরপরদিন আরও ৭০ পয়সা। তৃতীয় দিনে এসে ১০ পয়সা বাড়ার পর মোট কমেছে ২ টাকা ৩০ পয়সা।
অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিয়েছেন, তারা এখন পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি ৫৫ পয়সা লোকসানে আছেন।
অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি যে আয়, তা গত ৩০ জুনের আর্থিক হিসাব। রেকর্ড ডেটের আগে ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য বা মৌলভিত্তি ছিল, সেটি লভ্যাংশ দেয়ার পর কোনো হেরফের হয়নি।
৩০ জুনের পর পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৭৬২ পয়েন্ট। ফলে এই সময়ে এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয় বেড়েছে, এটা ধরাই যায়। আর এই সময়ে সম্পদমূল্য বেড়েছে মোট ৬২ পয়সা।
পুঁজিবাজারের লভ্যাংশ দুই প্রকার। বোনাস ও নগদে বিতরণ করা হয়। মিউচ্যুয়াল ফান্ড কয়েক বছর আগে রিইনভেস্টমেন্ট ইউনিট দিতে পারলেও ২০১৯ সাল থেকে কেবল নগদে বিতরণের নির্দেশ আসে।
শেয়ারের ক্ষেত্রে বোনাস যতটুকু বিতরণ করা হয়, দামের সঙ্গে ততটুকু সমন্বয় হয়। কিন্তু নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় হয় না।
যেমন মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এবার শেয়ার প্রতি ১ টাকা নগদ আর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে ব্যাংকটি। রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের সঙ্গে সমন্বয় করে পুনর্নির্ধারণ করা দাম দাঁড়ায় ১২ টাকা ৭০ পয়সা।
কিন্তু রেকর্ড ডেটের পর ১ টাকা নগদ লভ্যাংশও কার্যত সমন্বয় হয়ে যায় এ কারণে যে, শেয়ার মূল্য কমে ১১ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লভ্যাংশ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত হলেও অন্য কোম্পানির শেয়ার মূল্যের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর কেটে নেয়া হয়। আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর টিআইএন থাকলে কর কাটে ১০ শতাংশ, না কাটলে কাটে ১৫ শতাংশ।
প্রায়ই দেখা যায়, নগদ লভ্যাংশের পুরোটাই বা এর চেয়ে বেশি সমন্বয় হয়ে গেছে। করের হিসাব ধরলে প্রকৃত লোকসান হয় আরও বেশি।।
গ্রিনডেল্টা ও ডিবিএইচ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে দাম কমেনি অতটা। দুটি ফান্ডই ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। রেকর্ড ডেটের পর দাম কমে গেছে ৯০ পয়সা। ফলে ইউনিটধারীদের মুনাফা হয়েছে কার্যত ৩০ পয়সা।
এর আগে এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ দিয়েছে সাড়ে ৭২ পয়সা। রেকর্ড ডেটের দিন দাম ছিল ৯ টাকা। যারা লভ্যাংশ নিয়েছেন, রেকর্ড ডেটের পর দিন দাম কমে যায় ১ টাকা ৩০ পয়সা। পরে ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৬ টাকা ১০ পয়সা। পরে দাম বাড়লেও লভ্যাংশ নেয়ার পর লোকসান হয়েছে ব্যাপক।
রেকর্ড ডেট শেষে আগামী রোববার আরও তিনটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন শুরু হবে। এগুলো হলো: এসএমইএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড, এসএমইএল আইবিবিএল শরিয়া ফান্ড, এবং এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এর মধ্যে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড ইউনিটধারীদেরকে দেড় টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আর এসএমইএল আইবিবিএল শরিয়া ফান্ড দেবে ১ টাকা।
এর মধ্যে গ্রোথ ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা আর শরিয়া ফান্ডের দর ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা।
আগের তিনটি ফান্ডের নগদ লভ্যাংশ কার্যত সমন্বয় হয়ে যাওয়ায় এই তিনটি ফান্ডের ইউনিটধারীরা রেকর্ড ডেটের পর দাম কমে যায় কি না, এ নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
নগদ লভ্যাংশে কেন দাম কমবে
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা নগদ লভ্যাংশও কার্যত সমন্বয় হয়ে যাওয়াকে পুঁজিবাজারের কাঠামোগত দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন।
তারা বলছেন, নগদ লভ্যাংশের মাধ্যমে কোম্পানি মূলত বিগত বছরের যে আয় তা থেকে বিরতণ করে থাকে। ফলে এখানে বিদ্যমান সময়ে আয়ের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ফলে নগদ লভ্যাংশ সমন্বয়ের কোনো যুক্তি নেই।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরই সব পুঁজিবাজারে ভালো ভালো কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ারধারীদের নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। কিন্ত সেগুলোর দাম কি এখন বাড়ছে? বরং পুঁজিবাজারে দুর্বল প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানগুলোর দরই এখন সকলের নজরে। এর একটি কারণ হতে পারে নগদ লভ্যাংশের পরও দাম কমে যাওয়া। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা বোনাস লভ্যাংশে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বেশি।’
পুঁজিবাজারের আরেক বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে সেগুলো অবশ্যই বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানির তুলনায় ভালো। মূলত কোম্পানি এক বছরে কী ব্যবসা করেছে তার প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায় নগদ লভ্যাংশের মাধ্যমে।’
তাহলে নগদ লভ্যাংশের পর দাম পড়ে যাচ্ছে কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো ডিএসই বা সিএসই সমন্বয় করে না। শেয়ার দর কমে মূলত সেই কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের কারণে। বিনিয়োগকারীদের ডে ট্রেডিং থেকে বের করে আনা গেলেই হয়তো এ ধরনের অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য