× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why is there no interest in hearing the case of Khaleda Zia
google_news print-icon

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

খালেদা-জিয়ার-মামলার-শুনানিতে-আগ্রহ-নেই-কেন
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন সরকার সেগুলো প্রত্যাহার করবে। আমরা শুনানির উদ্যোগ কেন নেব?...সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়েছে, রাজনৈতিকভাবেই মামলা প্রত্যাহার করা হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা দুই ধাপ এগিয়ে আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আর আরেকটি মামলা এক ধাপ এগিয়ে হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায়। বাকি ৩৫টি মামলা দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।

দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সরকারের শর্ত সাপেক্ষে কারামুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া এখন বাসায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে একটি মামলা আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে, আরেকটি হাইকোর্টে।

এসব মামলার শুনানির উদ্যোগের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাহারের দাবি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের। যে কারণে শুনানির কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি গত দেড় বছরেও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন সরকার সেগুলো প্রত্যাহার করবে। আমরা শুনানির উদ্যোগ কেন নেব? সবগুলোই মিথ্যা মামলা, সরকার তা জানে। আমাদের দাবি হলো, এখন সরকার এগুলো প্রত্যাহার করে নিক।

‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করবে সরকার। অন্যথায় আন্দোলন করে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়েছে, রাজনৈতিকভাবেই মামলা প্রত্যাহার করা হবে।’

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। সব মামলাতেই তিনি জামিনে আছেন। শুধু দুটি মামলায় ওনার কনভিকশন (সাজা) হয়েছে। মামলা দুটি হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা।

‘এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করেছি। সেই আপিল যথারীতি শুনানি হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ তার সাজা বৃদ্ধি করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আপিল করেছি।’

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আপিল বিভাগে এবং হাইকোর্ট বিভাগে আপিল মামলাগুলাে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুনানি হয়। বছরেরটা বছর এভাবে ধরে শুনানি করা হয়। যখন এই মামলার শুনানির জন্য তালিকায় আসবে, তখন আমরা শুনানি করব।

‘আমরা তো আপিল ফাইল করে রেখেছি। স্বাভাবিকভাবে যখন শুনানির জন্য আসবে তখন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিব।’

আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭ মামলার মধ্যে পাঁচটি দুর্নীতি মামলা, চারটি মানহানি মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একটি আর বাকিগুলো হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে। এর মধ্যে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত আছে ১৬টি মামলার কার্যক্রম।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

ট্রাস্টের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। এরপর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তারপর থেকে আজ অবধি এ মামলার শুনানি শুরু হয়নি।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াসহ অন্য তিন আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্ট। এরপর থেকে মামলাটি সে অবস্থায় আছে।

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

রাজধানীর দারুসসালাম থানায় ১১ মামলা

রাজধানীর গাবতলী, বালুর মাঠ ও মিরপুর মাজার রোডসংলগ্ন এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দানসহ নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় ১১টি মামলা হয়। ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালতে মামলাগুলো বিচারের জন্য উঠলেও হাইকোর্টের আদেশের ফলে এর কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় চার মামলা

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে পেট্রোল বোমা দিয়ে চারজনের গায়ে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও হতাহতের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা করা হয়। এ মামলাগুলোও হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হয়ে আছে।

কুমিল্লায় ৩ মামলা

২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হায়দারপুলের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এর একটিতে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন, যা পরে আপিলে বহাল থাকে। আরেকটি মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি অবস্থায় রয়েছে।

একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় সাত যাত্রী মারা যান এবং আরও ২৫-২৬ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পরদিন (৩ ফেব্রুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও বিচারকার্য এখনও শুরু হয়নি।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এক মামলা

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালতে চলমান এ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে স্থগিত রয়েছে।

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

নাইকো দুর্নীতি মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ ওঠে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ বিচারাধীন।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা

ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়। বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ মামলা করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য রয়েছে।

গুলশানে বোমা হামলার অভিযোগে মামলা

২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য গুলশানে সমবেত হয়। পরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও করার জন্য রওনা হলে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে ওই ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুবুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা ইসমাইল হোসেন। ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের অপেক্ষায় রয়েছে।

খুলনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

খুলনার ফুলতলা উপজেলায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। ২০১৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফুলতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর খায়রুল বাশার বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ মোট ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। বর্তমানে মামলাটি খুলনার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর্যায়ে রয়েছে।

মানহানির দুই মামলা

শ্রমিক দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ‘মিথ্যা’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার বিচারিক আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মানহানির মামলা করেন, যা বর্তমানে পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ ছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি ডলার রয়েছে বলে ‘মিথ্যা’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ মে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’-এর মুরাদনগর উপজেলা কমিটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষমাণ।

৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা

২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মারা যাওয়া ৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে এনে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ দলটির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

পঞ্চগড়ে এক মামলা

২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৫ সালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এরপর থেকে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবীর রিজভীকে হুকুমের আসামি করে পঞ্চগড়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ মামলাটি করা হয়। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ মামলাটি করেন। মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে তাদের নির্দেশে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সন্ত্রাসীরা পেট্রল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা ও নানাভাবে জানমালের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। এ মামলাটিও পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ, বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে মামলা

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। পরের দিন খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন জজ কোর্টে মামলা করা হয়।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে দুই মামলা

২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার এক বক্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়।

নড়াইলে মানহানির মামলা

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়; যার পরিপ্রেক্ষিতে নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের জেলা জজ আদালতে তিনি এ মামলা করেন। এ মামলাটিতেও পুলিশের প্রতিবেদন জমা পড়েছে।

মিথ্যা জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা

১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনকে ভুয়া অভিযোগ করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে পুলিশের প্রতিবেদন আমলে নিয়েছেন আদালত। তবে নিম্ন আদালত থেকে এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে আছেন।

খালেদা জিয়ার মামলার শুনানিতে আগ্রহ নেই কেন

বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগের মামলা

বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মানহানির আরেক মামলা

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’ অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আরও বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে কোনো উন্নতি হয়নি। সারা দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে।’

এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির অভিযোগে মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন:
‘বিদেশ যেতে চাইলে খালেদাকে ফের জেলে যেতে হবে’
খালেদার দুই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর
খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ২০ অক্টোবর
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ফের পেছাল
খালেদা জিয়া অসুস্থ, পেছাল কয়লা খনি মামলার শুনানি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
1891 nomination papers were submitted in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১৮৯১ মনোনয়নপত্র দাখিল
ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে এক হাজার ৮৯১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, ‘এবার সম্পূর্ণ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল।

আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল এবং আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল ও প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ য়া হয়েছে। যেসব উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের ভোটার খুঁজে পেতে হয়রানির অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ: তাজুল
উপজেলা নির্বাচনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২০ এপ্রিলের পর
কুমিল্লা, ময়মনসিংহের মেয়র হিসেবে সূচনা ও টিটুর শপথ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Natore upazila election candidate and brother kidnapped

নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ অপহরণের পর আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে (ইনসেটে) তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দুর্বত্তরা। কোলাজ: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।

সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

লুৎফুল হাবিব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন লুৎফুল হাবিব রুবেল। রোববার পর্যন্ত তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

সোমবার সকালে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল ও ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন দেলোয়ার হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সি।

এ সময় জরুরি প্রয়োজনে তারা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে চড়ে কয়েকজন যুবক আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে বের হেলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাড়ির ভেতর মারধর অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যদের।

তারা আরও জানান, এক পর্যায়ে তারা দেলোয়ারকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

দেলোয়ার হোসেনকে ছেড়ে দিলেও তার ভাই আলাউদ্দিন মুন্সিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবিবের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার থেকে পুলিশ দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্তে কাজ শুরু করেছে। আলাউদ্দিন মুন্সিকে উদ্ধারে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব খাটালে তাদেরই মান ক্ষুণ্ণ হবে: ইসি হাবিব

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrest warrant against Noor in Chittagong

নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের সমাবেশে নুরুল হক নুর ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুণ্ডা লীগ বলে আখ্যায়িত করেন। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের মামলায় গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর সোমবার শুনানি শেষে এই পরোয়ানা জারি করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার তানিম ২০২২ সালের ১৪ জুন নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সোমবার মামলার ধার্য তারিখে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।’

সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের সমাবেশে আসামি ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুণ্ডা লীগ বলে আখ্যায়িত করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়।

আদালত মামলাটির শুনানি শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম গত ৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও পড়ুন:
বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না, নুরকে বলল হাইকোর্ট
নুরকে হাইকোর্টে তলব
পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে নুরের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাবিতে ছাত্র অধিকারের মিছিলে হামলা, নুরসহ আহত অনেকে
মামলার আসামি লুকিয়ে রেখেছিলেন নুর: হারুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fakhrul must apologize for lying about the list of prisoners who

বন্দিদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার, ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: কাদের

বন্দিদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার, ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছিল ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

জেলে থাকা নেতা-কর্মীর সংখ্যা ও কতজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে; তা নিয়ে বিএনপি যে তথ্য দিয়েছে, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছিল ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে এক শোকসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেয়া হয়েছে। ৭০০-৮০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দেয়া হয়েছে। অক্টোবরে আন্দোলনের পরে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই প্রসঙ্গে সোমবার কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয় সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ৭১ এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলেন অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যক্রম চালু থাকবে কি না- এমন এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে। ততদিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is an opponent of Bengali culture and liberation war Quader

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ: কাদের

বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে চেতনায় ধারণ করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। এই শত্রুকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধনপূর্ব আলোচনা সভায় রোববার এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না। এদের হৃদয়ে পাকিস্তান।

তিনি বলেন, এটা এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য কারা বৈশাখের চেতনা বিরোধী। যারা ১৪০০ বঙ্গাব্দে আওয়ামী লীগের মঙ্গলশোভাযাত্রা পণ্ড করে দিয়েছিল সেই অপশক্তি আজও বাংলার মাটিতে। এরা এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা।

আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে চেতনায় ধারণ করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক সেই বিএনপি হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ শত্রু। আসুন, এই শত্রুকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বাঙালির ঐতিহাসিক চেতনায় এই অপশক্তিকে প্রতিহত করি, পরাজিত করি এবং বিজয়ের লক্ষ্য অভিমুখে এগিয়ে যাই।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য নেতারা।

পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সহ মহানগর আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রাটি রাজধানীর সদরঘাটে বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এসে শেষ হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP fabricated information on missing torture Who?

বিএনপির গুম নির্যাতনের তথ্য বানোয়াট: কাদের

বিএনপির গুম নির্যাতনের তথ্য বানোয়াট: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
কাদের বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা এবং দায়ের করা মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট।’

বিএনপি গুম ও নির্যাতনের বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংবাদমাধ্যমে শনিবার পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

কাদের বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা এবং দায়ের করা মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট।

‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে।’

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে তথাকথিত নিপীড়ন, নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ বিএনপি নেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।

‘ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা একজন স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদকসেবী এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে, কিন্তু মির্জা ফখরুল একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে বিরোধীদলের ওপর সরকারের নির্যাতনের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।’

আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।’

আরও পড়ুন:
ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশি মদদ নেই: কাদের
জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙেছে বিএনপির লোকজন: শামীম ওসমান
পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর: কাদের
তারেক বিএনপির অভিশাপ: কাদের
অপরাধে অভিযুক্তরা জেলে থাকলে বিএনপির মায়াকান্না কেন: কাদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A youth was killed in a clash between the A League parties in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত সংঘর্ষের পর ওই গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। কোলাজ: নিউজবাংলা
ঘটনার পর পুলিশের অভিযানে একটি পাইপ গান, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, একটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও ৭টি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদরের ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশি অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ গ্রামটিতে অভিযান চালায়।

এর আগে এদিন ভোরে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. ফয়সালের বিপ্লবের অনুসারী আহম্মেদ আলী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারী মো. মামুনের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে।

এতে পারভেজ খান নামের ২০ বছর বয়সী এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান জানান, পুলিশের অভিযানে একটি পাইপ গান, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, একটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও ৭টি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিত্যক্ত অবস্থায় ওইসব আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে