সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা দুই ধাপ এগিয়ে আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আর আরেকটি মামলা এক ধাপ এগিয়ে হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায়। বাকি ৩৫টি মামলা দেশের বিভিন্ন জেলার নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সরকারের শর্ত সাপেক্ষে কারামুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া এখন বাসায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে একটি মামলা আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে, আরেকটি হাইকোর্টে।
এসব মামলার শুনানির উদ্যোগের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাহারের দাবি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের। যে কারণে শুনানির কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি গত দেড় বছরেও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এখন সরকার সেগুলো প্রত্যাহার করবে। আমরা শুনানির উদ্যোগ কেন নেব? সবগুলোই মিথ্যা মামলা, সরকার তা জানে। আমাদের দাবি হলো, এখন সরকার এগুলো প্রত্যাহার করে নিক।
‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করবে সরকার। অন্যথায় আন্দোলন করে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হবে। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়েছে, রাজনৈতিকভাবেই মামলা প্রত্যাহার করা হবে।’
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। সব মামলাতেই তিনি জামিনে আছেন। শুধু দুটি মামলায় ওনার কনভিকশন (সাজা) হয়েছে। মামলা দুটি হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা।
‘এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করেছি। সেই আপিল যথারীতি শুনানি হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ তার সাজা বৃদ্ধি করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আপিল করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আপিল বিভাগে এবং হাইকোর্ট বিভাগে আপিল মামলাগুলাে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুনানি হয়। বছরেরটা বছর এভাবে ধরে শুনানি করা হয়। যখন এই মামলার শুনানির জন্য তালিকায় আসবে, তখন আমরা শুনানি করব।
‘আমরা তো আপিল ফাইল করে রেখেছি। স্বাভাবিকভাবে যখন শুনানির জন্য আসবে তখন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিব।’
আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭ মামলার মধ্যে পাঁচটি দুর্নীতি মামলা, চারটি মানহানি মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একটি আর বাকিগুলো হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে। এর মধ্যে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত আছে ১৬টি মামলার কার্যক্রম।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
ট্রাস্টের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। এরপর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তারপর থেকে আজ অবধি এ মামলার শুনানি শুরু হয়নি।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াসহ অন্য তিন আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্ট। এরপর থেকে মামলাটি সে অবস্থায় আছে।
রাজধানীর দারুসসালাম থানায় ১১ মামলা
রাজধানীর গাবতলী, বালুর মাঠ ও মিরপুর মাজার রোডসংলগ্ন এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দানসহ নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় ১১টি মামলা হয়। ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালতে মামলাগুলো বিচারের জন্য উঠলেও হাইকোর্টের আদেশের ফলে এর কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় চার মামলা
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে পেট্রোল বোমা দিয়ে চারজনের গায়ে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও হতাহতের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা করা হয়। এ মামলাগুলোও হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হয়ে আছে।
কুমিল্লায় ৩ মামলা
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হায়দারপুলের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এর একটিতে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন, যা পরে আপিলে বহাল থাকে। আরেকটি মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি অবস্থায় রয়েছে।
একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় সাত যাত্রী মারা যান এবং আরও ২৫-২৬ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পরদিন (৩ ফেব্রুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও বিচারকার্য এখনও শুরু হয়নি।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এক মামলা
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। ঢাকার বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালতে চলমান এ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে স্থগিত রয়েছে।
নাইকো দুর্নীতি মামলা
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ ওঠে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ বিচারাধীন।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা
ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়। বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এ মামলা করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২-এ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য রয়েছে।
গুলশানে বোমা হামলার অভিযোগে মামলা
২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য গুলশানে সমবেত হয়। পরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাও করার জন্য রওনা হলে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে ওই ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুবুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা ইসমাইল হোসেন। ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের অপেক্ষায় রয়েছে।
খুলনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা
খুলনার ফুলতলা উপজেলায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। ২০১৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফুলতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর খায়রুল বাশার বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ মোট ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। বর্তমানে মামলাটি খুলনার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর্যায়ে রয়েছে।
মানহানির দুই মামলা
শ্রমিক দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ‘মিথ্যা’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার বিচারিক আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মানহানির মামলা করেন, যা বর্তমানে পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি ডলার রয়েছে বলে ‘মিথ্যা’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ মে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’-এর মুরাদনগর উপজেলা কমিটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষমাণ।
৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা
২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মারা যাওয়া ৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে এনে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ দলটির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
পঞ্চগড়ে এক মামলা
২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৫ সালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এরপর থেকে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবীর রিজভীকে হুকুমের আসামি করে পঞ্চগড়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ মামলাটি করা হয়। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহাগ মামলাটি করেন। মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে তাদের নির্দেশে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সন্ত্রাসীরা পেট্রল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা ও নানাভাবে জানমালের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। এ মামলাটিও পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ, বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে মামলা
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। পরের দিন খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন জজ কোর্টে মামলা করা হয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে দুই মামলা
২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার এক বক্তব্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়।
নড়াইলে মানহানির মামলা
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’
তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়; যার পরিপ্রেক্ষিতে নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের জেলা জজ আদালতে তিনি এ মামলা করেন। এ মামলাটিতেও পুলিশের প্রতিবেদন জমা পড়েছে।
‘মিথ্যা’ জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনকে ভুয়া অভিযোগ করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটিতে পুলিশের প্রতিবেদন আমলে নিয়েছেন আদালত। তবে নিম্ন আদালত থেকে এ মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে আছেন।
বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগের মামলা
বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মানহানির আরেক মামলা
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’ অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আরও বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে কোনো উন্নতি হয়নি। সারা দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে।’
এ বক্তব্যকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির অভিযোগে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ উন্নয়নের আলোয় আলোকিত, তাই এখন কোনো অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাদের আয়োজনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত যুবসমাবেশ ও আনন্দর্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো কিছুর সংকট নেই। আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। তাই নিজেদের স্বার্থে এই সরকারের সঙ্গেই থাকতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। দেশে এখন কোনো কিছুর অভাব নেই। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের এই অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে মানুষ খুশি। আগে সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না, এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিদ্যুতের আলোয় সারা বাংলাদেশ হাসছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমার কোনো চাহিদা নেই। আপনাদের সেবা করাই আমার কাজ। আমি শেখ হাসিনার সাথে কাজ করে বলছি, তিনি হাওরাঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসেন। তিনি চান হাওরাঞ্চলের উন্নয়ন হোক৷ তাই হাওরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
যুব সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতুর সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রীর পুত্র সাদাত মান্নান অভি, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ৷
এরআগে যুব সমাবেশ উপলক্ষে একটি আনন্দ র্যালি শান্তিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু হয়ে স্লোগানে স্লোগানে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়৷
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা সদরে দলটির গুম-খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবন্ধন করবে বিএনপি।
শুক্রবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে।’
রিজভী বলেন, ‘ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, ওইদিন সকাল ১১টায়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সেইসঙ্গে ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলাসমূহে মানববন্ধনে সফল করার জন্যও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সেদিন গুম ও খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সমন্বয়ে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছিল। দশম দফায় তারা অবরোধ ডাকার পর আগামী সপ্তাহে প্রথম ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। রোববার হরতাল-অবরোধ না দিয়ে শুধু মানববন্ধন করবে তারা।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমন করে রাখার চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে।’
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিবৃতিদাতাদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নাই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। যে সমস্ত বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ দশ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, কিন্তু এটি নিয়ে বড় বড় সংগঠনগুলোর কোনো কথা ও বিবৃতি নেই। অথচ তারা বরিশালে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল এবং কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল- সেজন্য বিবৃতি দিল। আমি কথাগুলো বলছি কারণ আগামী পরশু দিন ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ইন্ডেমিনিটি অধ্যাদেশ এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। সে বার নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা। একজনের নামের সঙ্গে আরেকজনের মিল আছে, সেজন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এমনকি ফাঁসি কার্যকর হবার পর রায় হয়েছে- এমন ঘটনাও আছে। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা; ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে চলেছে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেয়াই তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, ইদানিং অবশ্য তাদের দেখা যাচ্ছে না। দেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ এখন তাদের বিবৃতি দেখতে পাচ্ছি না। এই বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও তাদের খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হলো কি না- তা নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ শ’ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতালকে অকেজো করে দেয়ার পর সেখানে আইসিইউ’তে থাকা সবগুলো মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালো মতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে।
‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মানবাধিকার লঙ্ঘন, এতে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি এবং থাকব। আমাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীও আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে এটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আরব রাষ্ট্রগুলোর সমস্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ হরতাল-অবরোধের ডাক দিতে পারে, সরকার পতনের ডাক দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক সমাজের রীতি। কিন্তু ঘরে বসে সেই ডাক দিয়ে গাড়ির মধ্যে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, সেটি তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এগুলো একদিকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপরদিকে মানুষের অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। আমি আশা করব, সাংবাদিকরা এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন, কলম ধরবেন।’
শ্রমিক অধিকারের নামে বছরে ১২ বার বিদেশ সফরকারী দুয়েকজন শ্রমিক নেতা কারও এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না- প্রশ্ন রেখে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘দেখা গেল, আলপনা আক্তার, কল্পনা আক্তার, জল্পনা আক্তাররা বছরে ১২ বার বিদেশ গেছেন, ১৮-২০ লাখ টাকা বিমান ভাড়া দিয়েছেন। এদের কারও কারও আবার গাড়ি আছে, ঢাকা শহরে বড় বড় ফ্ল্যাট আছে। শ্রমিক সমাবেশে যাবার সময় কিছু দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে কিংবা রিকশায় যান, যদি শ্রমিকরা গাড়ি দেখে ফেলে। এরা কীভাবে এবং কারও এজেন্ট হিসেবে কাজ করে সেটি আজকে স্পষ্ট। এ সমস্ত এজেন্টের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাবো তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।’
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন:কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সংবিধান মেনেই আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্বেগ নেই।
ওবায়দুল কাদের শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় তাহলে বিএনপি ও তার দোসররাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নিষেধাজ্ঞা আসলে বিএনপির বিরুদ্ধে আসবে। বিএনপিই নির্বাচনের পথে প্রধান অন্তরায়। তাদের বিরুদ্ধে এখনও কেন নিষেধাজ্ঞা আসছে না?
ওবায়দুল কাদের বলেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পাঁয়তারা আছে। দেশেও আছে, বিদেশেও আছে। পোশাক খাতের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পরবর্তীতেও এ সরকার ক্ষমতায় আসলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা নেবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে করছেন।
জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিনি বলেন, যা হবার ১৭ তারিখের আগে হবে। এরপর আর এ সমস্যা থাকবে না।
নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে এমন আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো বাধা বিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারবে না। নির্বাচনমুখী ভোটাররাই যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে তাদের প্রতিহত করবে। আজকে বিএনপি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপরও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা, জাগরণের কমতি নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের শেষ দিনে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে শুক্রবারে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন তিনি।
বক্তব্যে তিনি পুরোনা স্মৃতি রোমন্থনের পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন, বিএনপির আন্দোলন, নিজের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই তো স্লোগান তুলেছিলাম আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছি। আর সেই আন্দোলন সফল করতে সরকারে এসে একটানা সরকারে থেকে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে থেকে উন্নত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখিছি। এই কোটালীপাড়াতেও বিশাল বিশাল বোম মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিলো। মিটিং এ আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এগুলোতো প্রতিনিয়ত হয়েছে। সরাসরি গুলি করা অবস্থার মধ্য দিয়েও আল্লাহ বারবার আমাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার তারা আউটসোসিং আন্দোলন করে। সমাজের কিছু অবাধ্য লোকজনের হাতে টাকা দিয়ে আগুন দেয়ায়। যুবদলের নেতা নিজে সরাসরি আগুন দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জনগন কিন্তু সচেতন। তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিয়ে দিচ্ছে।’
কোটালীপাড়ার ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে সারা দেশ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, ভাবতে হয়। আমার নির্বাচনী কাজ আপনারাই করে দেন। যে কারণে আমি সারা দেশের মানুষের কথা ভাবতে পারি, কাজ করতে পারি। যার সুফল সারা দেশের মানষ পায়।’
কোটালীপাড়ায় মতবিনিময় শেষে তিনি সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া যান। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন এবং বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শহীদ উল্লাহ খন্দোকার, আয়নাল হোসেন শেখসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ইসিতে আপিল করেছেন ১৫৫ জন প্রার্থী। এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট আপিলের সংখ্যা ৩৩৮ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব ও মুখপাত্র মো. জাহাংগীর আলম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাতিল হওয়া ৭৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম দিন আপিল করেছিলেন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন করেন ১৪১ জন আর তৃতীয় দিনে করেছেন ১৫৫ জন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আপিল করেছেন ৩৩৮ জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩৩৮ জন থানার ওসি বদলিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। একইসঙ্গে ইউওনদের বদলির ক্ষেত্রে তিন ধাপে প্রস্তাব এসেছিল; প্রথম ধাপে ৪৭ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১১০ জন এবং তৃতীয় ধাপে ৪৮ জন। মোট ২০৫ জনের বদলির প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন সম্মতি দিয়েছে।’
এছাড়া ৪০তম বিসিএস থেকে উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসার হিসেবে নন ক্যাডার ৮৩ জনকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রদান করেছে। তারা ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে যোগদান করবেন বলে জানান তিনি।
দেশের সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি। কারণ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করেছিলেন। তারপর তিনি সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন।’
হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলে সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে, সেই আওয়াজটা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আসা প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য-বিবৃতি নেই। এটি খুবই দুঃখজনক।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি, নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে যারা পরিচিত তারা সময়ে সময়ে বিবৃতি দেন আর এখন নিশ্চুপ, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন- এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও করতে দেয় না?’
তিনি বলেন, ‘এক সময় রিজভী সাহেবরা দেখবেন যে ওনারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কারণ বিএনপির এই অপরাজনীতির সঙ্গে দলটির নেতারাই একমত নন। রিজভী সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছেন- ইয়েস স্যার, হ্যাঁ স্যার, জি স্যার। তারাই তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এই অগ্নিসন্ত্রাসের আহ্বান জানাচ্ছেন। এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি দল নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না এমন তো সংবিধানে লেখা নেই। পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নেই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি। যেমন ১৯৭০ এর নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার নেতৃত্বাধীন দল অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো এবং সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’
‘এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি আসনে প্রায় ৭ জন করে প্রার্থী আছেন। গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং দেখতে পাবেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য