আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে গ্রাহকদের সব পণ্য ডেলিভারি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। এছাড়া শনিবার ফেসবুক লাইভে এসে গত এক মাসে প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম সম্পর্কে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে রাসেল লিখেছেন, ‘আগামী শনিবার লাইভে এসে বিগত এক মাসের অগ্রগতি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলব। আমার শুরু থেকেই একটি বিশ্বাস যেহেতু ইভ্যালির একটি শক্তিশালী ইকমার্স প্রতিষ্ঠান, সময় পেলে সকল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা বেশ কিছু ক্ষেত্রেই আমাদের পরিকল্পনা মতোই এগিয়েছি। আশা করি সময়ের মধ্যেই সব সফল করতে পারব। আমরা আগামী পাঁচ মাসের মাঝেই সকল অর্ডার ডেলিভারি করব ইনশাল্লাহ। লাইভ: শনিবার রাত ১১টা।’
চলতি বছরের জুনে শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির লেনদেন ও অফার নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর আলোচনায় আসে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তিনটি ব্যাংক গ্রাহকরা তাদের কার্ড দিয়ে ১০টি ই-কমার্স সাইটে টাকা পরিশোধ করতে পারবে না এমন নির্দেশনা জারি করে। আরও দুটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করে।
এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের ই-কমার্স সাইট নিয়ে কাজ শুরু করলে আগে টাকা পরে পণ্য বিষয়টি সামনে আসে। ওই সময় ইভ্যালিও এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়।
২৭ জুলাই খবর আসে ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা বলা হয়। এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ করা হবে এক হাজার কোটি টাকা।
এমন ঘোষণা আসার পর ইভ্যালিতে যারা বিনিয়োগ করে দীর্ঘ সময় ধরে পণ্য পাচ্ছেন না তারা আশান্বিত হলেও এর দুই মাস পর ২৭ আগস্ট যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
আয়কর রেফারেন্স মামলা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করা মামলা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।
শুক্রবার সকালে ফেসবুক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, ড. ইউনূসের টাকা নিয়ে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে যে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের উপার্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কর বিভাগ অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।
টাকার উৎস
ড. ইউনূসের অর্থ উপার্জনের উৎসের বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূসের আয়ের প্রধান উৎস তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি ও পুরস্কারের টাকা। আয়ের প্রায় সম্পূর্ণ অর্থই বিদেশে অর্জিত ও বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা।
ট্রাস্ট গঠন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি বলে জানায় সেন্টার। পোস্টে সংস্থাটি বলে, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, সেটি ভাবছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী।
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, ড. ইউনূস মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ (বাড়ি, গাড়ি, জমি, শেয়ার ইত্যাদি) নেই। সে কারণেই তিনি নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট’ ও ‘ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট’ নামে দুটি ট্রাস্ট গঠন করেন।
সংস্থাটি জানায়, উত্তরসূরিদের কল্যাণে মোট টাকার ৬ শতাংশ দিয়ে ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট গঠন করেন ড. ইউনূস। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তী প্রজন্ম ছাড়া ফ্যামিলি ট্রাস্টের সম্পদ পরিবারের আর কোনো সদস্য বা পরবর্তী প্রজন্মগুলো ভোগ করতে পারবে না বলেও বিধান রাখেন তিনি। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে তিনি বিধান রাখেন, তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে অর্থাৎ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টে ফিরে যাবে।
ট্রাস্টের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার অবর্তমানে টাকাগুলো যাতে ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে, সে কারণেই এমন বিধান বলে জানায় সংস্থাটি।
দানকর প্রসঙ্গে
ওই পোস্টে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে ড. ইউনূসকে তুলনামূলক কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম।
এতে আরও বলা হয়, দানকরের প্রসঙ্গটি প্রথম তোলেন তার আইনজীবী। তিনি বলেন, ট্রাস্ট গঠন করলে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন, এ ক্ষেত্রে (ড. ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শেই টাকা ট্রাস্টে স্থানান্তর করার সময় ড. ইউনূস কোনো কর দেননি, কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে জানান, এ ক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন।
টাকার অঙ্কটা তিনি ‘রিটার্নস’-এ উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেন।
আদালতের শরণাপন্ন
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শের সঙ্গে কর বিভাগের কর্মকর্তার কথার মিল না থাকায় ড. ইউনূস এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলে আদালত কর দেয়ার পক্ষে মত দেয়। এখানে তার কর ফাঁকি দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তিনিই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চান। আদালতে সরকার পক্ষ নয়, অধ্যাপক ইউনূস গিয়েছেন।
ইউনূস সেন্টার জানায়, কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে, প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর এখন অধ্যাপক ইউনূস বিবেচনা করবেন, তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন।
করের আইন যদি এ ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, তাহলে দাবিকৃত ওই টাকা তিনি জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়, জনকল্যাণে টাকাটা খরচ করাই তার মূল উদ্দেশ্য বলে জানায় ইউনূস সেন্টার।
বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে
ড. ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন বলে যে অভিযোগে উঠেছে, তা মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছে ইউনূস সেন্টার।
সংস্থাটি জানায়, তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতিবার ভ্রমণের সময় সফরসঙ্গী হিসেবে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার খরচও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে।
ইউনূস সেন্টার জানায়, নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের বিদেশ ভ্রমণ-সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। এমনকি মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট বিমানও পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আয়কর রেফারেন্স মামলা
আয়কর রেফারেন্স নিয়ে করা তিনটি মামলার শুনানি শেষে ৩১ মে এনবিআরের নোটিশের বৈধতা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে এনবিআরের দাবি করা ১৫ কোটি টাকা দানকর পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।
এই মামলার শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে খারিজ করে রায় দেয় কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর হাইকোর্টে আলাদা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ড. ইউনূস।
হাইকোর্ট তার মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দেয় উচ্চ আদালত।
নিয়ম অনুযায়ী করের ১০ শতাংশ হারে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ১২ কোটি টাকা ড. ইউনূসকে পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থীরা সব ধরনের ফি মোবাইলে আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উপায়’-এর মাধ্যমে দিতে পারবেন।
উপায়-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার জিয়াউর রহমান এবং এমআইএসটির জিএসও-১ (আইসিটি) লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাঈদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন।
চুক্তির মাধ্যমে এমআইএসটির প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী মাসিক টিউশন ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ফি দিতে পারবেন। উপায় অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৬৮# ডায়াল করে ফি পরিশোধ করা যাবে।
এমআইএসটির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. অহিদুল ইসলাম, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি এবং উপায়-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটির পরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) ব্রিগেডিয়ার মো. তৌহিদুল ইসলাম, পরিচালক (আইসিটি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদ হোসেন, কর্নেল স্টাফ কর্নেল মুহাম্মাদ রোমিও নওরীণ খান, পিএসসি এবং উপায়-এর পক্ষে হেড অব গভার্নমেন্ট সেল্স হাসান মো. জাহিদ ও সহকারী ব্যবস্থাপক মো. হান্নান খান।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’।
বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা প্রদান করছে ইউএসএসডি এবং মোবাইল অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে।
উপায় এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরনের আর্থিক লেনদেন ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, মোবাইল রিচার্জ ছাড়াও সেতুর টোল প্রদান, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:বগুড়ার কালিতলায় বেঙ্গল এক্সক্লুসিভ শপের ১১৫তম শো-রুম উদ্বোধন করা হয়েছে।
বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আমির দাউদ, ডিজিএম (মার্কেটিং) জোহেব আহমেদ, ডিজিএম (ফার্নিচার) হারুন অর রশিদ, ডিজিএম (হাউসওয়্যার্) ফজলে রাব্বী শপটির উদ্বোধন করেন।
প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল প্লাস্টিকসে্র উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিক গৃহসামগ্রী ও প্লাস্টিক ফার্নিচার দেশের সব স্তরের মানুষের দোরগোড়ায় সুলভ মূল্যে পৌঁছে দিতে শো-রুমটি চালু করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন মার্কেটিং বিভাগের খায়রুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, স্থানীয় পরিবেশক রাশেদুল ইসলাম ও বগুড়া শহরের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সভা হয়।
ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ, সদস্যসচিব ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি ও চার্জ আদায়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে বুধবার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং সঞ্চিয়া বিনতে আলী, সুভাষ চন্দ্র দাস, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পারসুমা আলম, জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. নুরূন নবী, মো. সাফায়েত হোসেন পাটওয়ারী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহা. রবিউল আলম, মো. আতিকুর রহমান, সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মালেকা চৌধুরী, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. সালাহ্উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক এম এম মোস্তফা জামাল চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. গালিব হোসেন এবং প্রভাষক শেখ নাজিয়া জাহানসহ সোনালী ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে যাবতীয় ফি, বেতন ও চার্জ পরিশোধ করতে পারবেন।
এ ছাড়া Sonali e-Sheba মোবাইল App-এর মাধ্যমে ঘরে বসে দুই মিনিটে ব্যাংক হিসাব খোলা ও Sonali e-Wallet এর মাধ্যমে দিন রাত যে কোনো সময় ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন।
Sonali e-Wallet এর মাধ্যমে চেক ছাড়াই কিউআর কোড স্ক্যান করে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
ফলে অনলাইনের মাধমে যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌছাঁনো সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মানোন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে গ্রাহকদের মতামত জানতে বুধবার পদ্মা ব্যাংকের কাকরাইল শাখার আয়োজনে গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গ্রাহকরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আসার অনুরোধ করেন পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান গ্রাহকদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাদেরকে ধন্যবাদ দেন।
গ্রাহকদের ইসলামিক ব্যাংকিং চালু করার সুখবর দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদেরকে পাঁচটি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালুর অনুমতি দিয়েছে, আমরা আমাদের ৬০টি শাখা এবং ১২টি উপশাখার মাধ্যমে দেশজুড়ে আমাদের গ্রাহকদের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে যাচ্ছি অতিদ্রুত। সম্পূর্ণ শরীয়াহভিত্তিক ইসলামিক কোর ব্যাংকিং সেবা ইনসাফের মাধ্যমে গ্রাহকদের লেনদেন নিশ্চিত করা হবে।’
তাই ইসলামিক ব্যাংকিং করতে আগ্রহী গ্রাহকদের পদ্মা ব্যাংকের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল জব্বার, আমিন বাগ কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক এবং সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ। তারা ব্যাংকের আগামী পথচলার জন্য শুভকামনা জানান।
গ্রাহক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ড. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন।
তিনি পদ্মা ব্যাংকের সকল শাখা থেকে রেমিটেন্স সেবা প্রদান করা হয় বলে গ্রাহকদের জানান। এ ছাড়া এই চালানের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি, ব্যক্তি ও কোম্পানি আয়কর, আবগারি শুল্ক, কাস্টমস শুল্ক, ভূমি উন্নয়ন করসহ সরকারি আরও অনেক ফি জমা দেয়া যায়। শুধু তাই নয় দিনের মুনাফা দিনে বুঝে নেয়ার জন্য রয়েছে পদ্মা প্রতিদিন একাউন্ট। এ ছাড়াও স্টুডেন্ট ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি হোম লোন, অটো লোন, এসএমই লোনসহ বিভিন্ন সেবা সর্ম্পকে গ্রাহকদের জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের হেড অফ কান্ট্রি সেলস বাচ্চু শেখ, কাকরাইল শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবির মূল মালিকানায় পরিচালিত চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড দেশজুড়ে ৬০টি শাখা, উপশাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে।
বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদকের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন উন্মোচন করলো জায়ান্টটেক সিরিজের এআইওটি বেজড স্মার্ট নতুন তিন মডেলের রেফ্রিজারেটর। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম উৎপাদনকৃত ফোর-ডোর রেফ্রিজারেটর ও বিশ্বের প্রথম ৮ ইন ১ কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড ডোর ফ্রিজ।
ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের এসব ফ্রিজের মধ্য দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এতে সৃষ্টি হয়েছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতার অনন্য নজির।
ওয়ালটনের জায়ান্টটেক সিরিজের মধ্যে রয়েছে ৬৬০ লিটারের জিটি প্রো ম্যাক্স, ৬৪৬ লিটারের জিটি প্রো এবং ৬১৯ লিটারের জিটি মডেলের রেফ্রিজারেটর।
গ্রাহকেরা স্মার্টফোনে ওয়ালটন স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্সের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে এসব ফ্রিজ পরিচালনা করার পাশাপাশি অনলাইন শপিং ও ইউটিউবে কুকিং রেসিপি ব্রাউজ করতে পারবেন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বাধিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য।
নতুন এসব মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কমপার্টমেন্টের জন্য রয়েছে টারবো ও ইকো ফিচারসমৃদ্ধ ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এসব ফ্রিজের এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুড-সমৃদ্ধ ওয়ালটনের জায়ান্টটেক রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেস খাবার।
ওয়ালটনের ফোর-ডোর জিটি প্রো ম্যাক্স ও সাইড বাই সাইড ডোর জিটি প্রো মডেলের বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে ওয়াটার ডিসপেন্সার। এছাড়া জিটি প্রো ম্যাক্স মডেলে ২১.৫ ইঞ্চি ও জিটি মডেলে ১৫.৬ ইঞ্চির মাল্টিমিডিয়া এলসিডি ডিসপ্লে। এতে ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, কাউন্টডাউন ক্লক, অনলাইন রেসিপি, ক্লক, ক্যালেন্ডার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি ফিচার রয়েছে।
এছাড়া সাইড বাই সাইড জিটি প্রো মডেলে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে। জিটি সিরিজের তিনটি মডেলেই স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ জন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বুধবার রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে জায়ান্টটেক সিরিজের নতুন মডেলের ফ্রিজের উদ্বোধন উপলক্ষে জমকালো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ালটন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বের সর্বাধুনিক ফ্রিজের উন্মোচন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও গোলাম মুর্শেদ ও ওয়ালটনের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন প্লাজা’র চিফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, মো. হুমায়ুন কবীর ও মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, আমিন খান, দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), তোফায়েল আহমেদ (ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার), মো. ফিরোজ আলম, আজমল ফেরদৌস (হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার), আনিসুর রহমান মল্লিক, মো. শাহজাদা সেলিম (ইনচার্জ পিআর, মিডিয়া অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) প্রমুখ।
দ্য গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটন জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটগুলোর বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে আয়োনাইজার, ওজোনাইজার ও ইউভি ফিচারসমৃদ্ধ ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর (আইজিটি), ইলোকট্রনিক কন্ট্রোল ফিচার, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, চাইল্ড লক, থ্রি লেয়ার ওডোর গার্ড, হিউম্যান ডিটেক্টর, ফিঙ্গার প্রিন্ট রেসিস্ট্যান্ট মেটাল ডোর, ইন্টার্নাল অটোমেটিক আইস মেকার, সিরামিক কোডেট প্রিমিয়াম গ্লাস এবং এলিগ্যান্ট কার্ভড ডিজাইন মেটাল ডোর ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘জায়ান্টটেক সিরিজের ফ্রিজের মডেল ডেভলমেন্টের জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বহুদেশের ফ্রিজ এক্সপার্টসদের নিয়ে কাজ করেছি। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরএন্ডআই) সেন্টার ও প্রকৌশলী টিম গঠনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন।
‘ওয়ালটনের শক্তিশালী আরঅ্যান্ডআই এর দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীগণসহ প্রোডাকশন, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টসহ সব বিভাগের সদস্যরা গত পাঁচ বছর ধরে জায়ান্টটেক সিরিজ ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এরই প্রতিফলন হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ফোর-ডোর ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করলো বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ৮রহ১ কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বাজারজাতকারী দেশে বাংলাদেশের আবির্ভাব হলো।’
এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশে বাংলাদেশের রপান্তর ঘটলো। ওয়ালটনের এ ধরনের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জায়ান্টটেক সিরিজের রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। বিশ্বের সকল আধুনিক দেশগুলোর বেঞ্চমার্ক উপযোগী করে রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি করা হয়েছে। এসব ফ্রিজে গ্রাহকরা স্মার্ট সব প্রযুক্তি ও ফিচার পাবেন।’
ওয়ালটনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ইয়ুন মগ ইয়াং জানান, জায়ান্টটেক সিরিজের ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়েছে থ্রি ডি এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বেজড এই প্রযুক্তি এনভায়রনমেন্ট টেম্পেরেচারের থ্রিডি ডাটা সংগ্রহের পাশাপাশি দরজা খোলা অবস্থায় ও ফ্রিজ কম্পার্টমেন্টের সঠিক টেম্পেরেচার অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রিজের তাপমাত্রা সেট করে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ খরচে সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে।
এছাড়া, বিশ্বের সর্বোচ্চ কনভার্টিবল মুডসমৃদ্ধ ওয়ালটনের জায়ান্টটেক রেফ্রিজারেটরের ফ্রিজ ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইতসুরো সুজুকি জানান, নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলোকরশ্মির মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজীব রাখে। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণ্ণ থাকে। এসব ফ্রিজের ইউভি-সি টেকনোলজি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ফ্রিজে রাখা খাবারকে সুরক্ষিত রাখে।
ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর টেকনোলজি বায়ুবাহিত জীবাণু ধ্বংস করে। থ্রি-লেয়ার ওডোর সেফ গার্ড অনাকাক্ষিত গন্ধ দূর করে খাবারের স্বাদ রাখে অটুট। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পড়ে না।
চলতি মাসেই বাজারে আসবে ৬১৯ লিটার থেকে ৬৬০ লিটার ধারণক্ষমতার ওয়ালটনের জিটি সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো। এই মডেলগুলোর দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে।
ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।
এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৯টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য