গত মার্চ থেকে জুন প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়লেও ২৮টি ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে ১৮টি। আর ১০টি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। এর মধ্যে তিনটি করে আছে সরকারি ও বিশেষায়িত আর চারটি বেসরকারি।
পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ তালিকাভুক্ত হয়নি, এমন ব্যাংকের তুলনায় এক তৃতীয়াংশের মতো। এর মধ্যে ১৯টি ব্যাংকের এই সাফল্য তা আরও কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর ভিড়ে এনবিএলের ঋণ তিন মাসেই দুই হাজার কোটি টাকার বেশি বৃদ্ধি না পেলে পরিস্থিতি আরেকটু ভালো দেখাতে পারত।
পুঁজিবাজারে যত খেলাপি ঋণ তার অর্ধেক আবার তিনটি ব্যাংকে। এগুলো হলো এবি, রূপালী ও এনবিএল।
আর পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শতকরা হারের দিকে সবচেয়ে বেশি খেলাপি আইসিবি ইসলামিকে। এরপর এবি আর তৃতীয় অবস্থানে রূপালী ব্যাংক। এর মধ্যে আইসিবি ও রূপালী অবস্থার উন্নতি করতে পেরেছে। কিন্তু অবনতি হয়েছে এবির।
আর খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে এনবিএলের। তাদের খেলাপি ঋণ এক লাফে ব্যাংকটির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৫ শতাংশ থকে বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
মোট ঋণ ও খেলাপি কত
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১২ লাখ ১৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি মোট ৫২ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এসব ব্যাংকে খেলাপির হার ১৫.৫৬ শতাংশ।
অন্যদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩২ ব্যাংক বিতরণ করেছে ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮ কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ৪৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। শতকরা হার ৫.৩৩ শতাংশ।
অর্থাৎ পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ তালিকাভুক্ত নয়, এমন ব্যাংকের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ।
খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে পুঁজিবাজারের যেসব ব্যাংক
আইসিবি ইসলামী
শতকরা হারের দিকে এই ব্যাংকটি খেলাপি ঋণ কমানোর দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে। জুন শেষে ব্যাংকটির মোট বিতরণ ৮৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৬৪ কোটি। শতকরা হারে খেলাপি ৭২.৬৬ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল একই পরিমাণ, খেলাপি ছিল ৬৬৯ কোটি টাকা। সে সময় ঋণের ৭৮.১৮ শতাংশই ছিল খেলাপি।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ৫.৫২ শতাংশ।
শাহজালাল
জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণ ১৯ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৭৫৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
মার্চে ১৯ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ৮৯৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৮৫ শতাংশ।
ব্র্যাক
জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি মোট বিতরণ করেছে ২৮ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
মার্চ শেষে ব্যাংকটি ২৭ হাজার ৩০১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৭৯ শতাংশ।
ট্রাস্ট
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ২৩ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
মার্চে ঋণ ছিল মোট ২১ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
তিন মাসে শতকরা হিসেবে খেলাপি কমেছে ০.৫৮ শতাংশ।
প্রিমিয়ার
জুন শেষে মোট বিতরণ ২২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৫৫২ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ বিতরণ ছিল ২১ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬০৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৪১ শতাংশ।
পূবালী
মোট ঋণ ৩২ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
মার্চ শেষে ৩১ হাজার ৮২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যা ছিল ঋণের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৪০ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল
জুন পর্যন্ত এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ২৫ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে এক হাজার ১৮১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪.৫৬ শতাংশ।
মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ছিল ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল এক হাজার ১৭৮ কোটি টাকা যা বিতরণ করা ঋণের ৪.৯০ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৩৪ শতাংশ।
সাউথ বাংলা
পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত নতুন ব্যাংকটি জুন শেষে মোট ৫ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ৩৩৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৫ হাজার ৭১৭ কোটি। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৩৪৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৬ দশমিক ১১ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৩০ শতাংশ।
ইসলামী
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ১ লাখ ৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৯৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.২৭ শতাংশ।
আল আরাফাহ
ব্যাংকটি জুন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ২৭৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.২৩ শতাংশ।
রূপালী
পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত একমাত্র রাষ্ট্রীয় ব্যাংকটির জুন পর্যন্ত মোট ঋণ বিতরণ করেছে ৩৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
এর মধ্যে খেলাপির ৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা, যা ঋণের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
মার্চ শেষে ৩২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, যা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ডিসেম্বরে খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। তখন ঋণের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল খেলাপি।
অর্থাৎ ছয় মাসে খেলাপি কমেছে ১ শতাংশ। আর সবশেষ তিন মাসে কমেছে ০.২৯ শতাংশ।
এক্সিম
জুন পর্যন্ত মোট ঋণ ৪১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, যা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
মার্চে ৪০ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি কমেছে ০.২০ শতাংশ।
এনআরবিসি
জুন শেষে মোট ঋণ ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ২২৬ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মার্চে খেলাপি ছিল ২২২ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.১৪ শতাংশ।
ডাচ্-বাংলা
জুন শেষে মোট বিতরণ ২৯ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৫৭ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ২২ শতাংশ।
মার্চ শেষে খেলাপি ছিল ৬৫৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.১৪ শতাংশ।
এসআইবিএল
ব্যাংকটির জুন পর্যন্ত ঋণ ৩০ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মার্চ পর্যন্ত ৩০ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৬৩২ কোটি, যা ঋণের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
এনসিসি
জুন পর্যন্ত মোট ঋণ ১৮ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। খেলাপির পরিমাণ ৯৮১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ১৭ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৯৭৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
আইএফআইসি
জুন শেষে মোট ঋণ ২৮ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
মার্চ শেষে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা ছিল ঋণের ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
প্রাইম
জুন শেষে মোট ঋণ ২৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ২২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০২ শতাংশ।
পুঁজিবাজারের বাইরের যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমেছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন তিনটি সরকারি, তিনটি বিশেষায়িত এবং ৪টি বেসরকারি ব্যাংকও খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে।
এর মধ্যে শতকরা হারে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
জুন শেষে মোট ৬ হাজার ২৮২ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ২১১ কোটি টাকা, যা ঋণের ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।
মার্চে ঋণ ছিল ৬ হাজার ১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা, যা ঋণের ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ৫.৯ শতাংশ।
বিডিবিএল
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬২৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটি ঋণ ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৬৫৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ২.২৮ শতাংশ।
পদ্মা
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৬১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এই ঋণের প্রায় সবই ফারমার্স ব্যাংক থাকার সময়কার। ব্যাংকটি পুনর্গঠন করে পদ্মা নামে যাত্রা শুরু করার পর থেকে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৫ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৩ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১.৭২ শতাংশ।
বেসিক
জুন শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ১৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১.৩৮ শতাংশ।
কৃষি
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ২৫ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মার্চে ঋণ ছিল ২৪ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ২ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তিন মাসে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৯৪ শতাংশ।
সোনালী
জুন শেষে ব্যাংকটি ৫৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ১০ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৫৩ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৮৭ শতাংশ।
প্রবাসী কল্যাণ
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ছিল ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মার্চ শেষে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৩৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৫৫ শতাংশ।
মেঘনা
জুন শেষে ব্যাংকটি মোট ৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ২২৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৪ হাজার ২১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ২৫১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৩০ শতাংশ।
জনতা
জুন শেষে ব্যাংকটি ৫৮ হাজার ২২০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ১৩ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৫৭ হাজার ৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১৩ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.২৫ শতাংশ।
ইউনিয়ন
জুন শেষে ব্যাংকটি ১৭ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ৪২৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ১৭ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৪২৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
সীমান্ত
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ৮৫৫ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। ঋণের ০.৩৬ শতাংশ খেলাপি।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৮৫৮ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৩ কোটি ২ লাখ টাকা, যা ঋণের ০.৩৭ শতাংশ ছিল।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০১ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য