× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Compulsory retirement of the caretaker of the case of the bride
google_news print-icon

পরীমনির মামলার তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্যতামূলক অবসর

পরীমনির-মামলার-তত্ত্বাবধায়ককে-বাধ্যতামূলক-অবসর
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সিআইডির উপ–পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক।
পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশের পরদিনই এই আদেশ এলো, যদিও এর সঙ্গে তাকে অবসরে পাঠানোর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এই বিষয়টি নিয়ে কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না।

চিত্রনায়িকা পরীমনি, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বিরুদ্ধে করা মামলার তত্ত্বাবধানে থাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

তিনি সিআইডির ঢাকা মহানগর উত্তরের দায়িত্বে ছিলেন।

পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশের পরদিনই এই আদেশ এলো, যদিও এর সঙ্গে তাকে অবসরে পাঠানোর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এই বিষয়টি নিয়ে কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না।

একই আদেশে অবসরে পাঠানো হয়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ষষ্ঠ এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক আবদুর রহিমকেও। তিনি পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় চাকরি করতেন।

বৃহস্পতিবার উপসচিব ধনঞ্জয় দাসের সই করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ হিসেবে ‘জনস্বার্থের’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘চাকরি ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।’

কর্মকর্তারা বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সব সুবিধা পাবেন। জারির তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে, অর্থাৎ এই আদেশ এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে। তারা আর চাকরিতে নেই।

পরীমনির মামলার তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্যতামূলক অবসর
পরীমনিকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে মোট তিনবার। আর এতে রিমান্ডের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করে হাইকোর্ট

সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ হয়ে গেলে যে কাউকে অবসরে পাঠানো যায়।

আলোচিত তিনটি মামলার তত্ত্বাবধানে থাকা শেখ ওমর ফারুককে কেন অবসরে পাঠানো হলো, সে বিষয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই আদেশ নিয়ে ওমর ফারুকের প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায়।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের কাছে জানতে চাইলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে ছিলাম। একটু আগে জানতে পেরেছি। যেহেতু আমি বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি জানি না, সেহেতু এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইছি না।’

গত ১ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন মডেল পিয়াসা ও মৌ। ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তিনজনের বিরুদ্ধেই মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। প্রথমে মামলার তদন্ত দায়িত্বে গোয়েন্দা পুলিশ থাকলেও পরে তা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

এই মামলায় পরীমনিকে মোট তিন দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় গোয়েন্দা পুলিশ ও পরের দুই দফায় রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি।

১ সেপ্টেম্বর পরীমনি জামিনে মুক্ত হলে হাইকোর্ট বারবার রিমান্ডে নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ ক্ষেত্রে রিমান্ডের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আদালত।

বিচারপতি বলেন, ‘ওই রিমান্ডের বিষয়ে আমরা নথি তলব করতে চাচ্ছি। তাদের (নিম্ন আদালত) কাছে কী তথ্য-উপাত্ত ছিল যে তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হলো। আমরা তদন্ত কর্মকর্তা ও কেস ডকেট (মামলার নথিপত্র) তলব করব। এ ছাড়া, ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে কী তথ্য-উপাত্ত ছিল তাও চাইব।’

আরও পড়ুন:
পরীমনির জামিন নিয়ে জাফরুল্লাহর প্রশ্ন
পরীমনিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিল্পী সমিতি
পরীমনির রিমান্ড: বিচারকের ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট
কারামুক্ত পরীমনির আরেক ধাক্কা
শত্রু-মিত্র চিনেছি: পরীমনি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Fire Service provided training on risk and causing septic tank

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আজ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ গুলশান-২ এ শান্তা হোল্ডিংস কর্তৃক ১৬ তলা নির্মাণাধীন একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ৭৫ জন নির্মাণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন, বিএফএম (এস), সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান, পিএফএম; নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন উপস্থিত হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিস, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। শান্তা হোল্ডিংসের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। এর পর তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় তত্ত্বীয় আলোচনা শেষে স্মোক ইজেক্টর ও এয়ার ভেন্টিলেটর ব্যবহার করে কিভাবে সেপটিক ট্যাংকে বাতাস দেয়া যায় বা কিভাবে সেপটিক ট্যাংক হতে ভেতরে থাকা দূষিত বাতাস বা গ্যাস অপসারণ করা যায় তা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে কিভাবে আগুন নেভানো যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন কিভাবে নেভানো যায় তার কৌশল প্রদর্শন ও চর্চা করানো হয়। দুপুর ১৩:০০ ঘটিকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়।

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাব অনুযায়ী গত ৫ বছরে সেপটিক ট্যাংক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Journalists death while live in Daksu elections

ডাকসু নির্বাচনে লাইভ করার সময় সাংবাদিকের মৃত্যু

ডাকসু নির্বাচনে লাইভ করার সময় সাংবাদিকের মৃত্যু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরিকুল শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় লাইভে ছিলেন তরিকুল শিবলী। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তরিকুল শিবলীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায়। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 thousand 3 cases in the DMP for violating traffic laws

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে ২ হাজার ৫৫০ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে ২ হাজার ৫৫০ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৫৫০টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অভিযানকালে ৪৩৯ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১১টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। সোমবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা দায়ের করে ।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daksu elections will be considered as a model of national elections Home Advisor

ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু নির্বাচন) এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। ডাকসু, জাকসুসহ যেসব নির্বাচন হচ্ছে এগুলো জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এর আগে তার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা অবনতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমেও অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ প্রচার হয়নি। এটা আনন্দের খবর।

উপদেষ্টা বলেন, ডাকসু, জাকসুসহ যেসব নির্বাচন হচ্ছে এগুলো জাতীয় নির্বাচনের মডেল। ডাকসুর পর জাকসুসহ যে কয়েকটা নির্বাচন হবে সেগুলোও ভালো পরিবেশে হবে বলে আশা করছি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Distribution of Assistant Devices to Child Student with Special Demand in Kapasia 

কাপাসিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ 

কাপাসিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ 

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল এডুকেশন নিডস্ অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ড) এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুল ইসলাম সহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
While the import of rice from India continues to continue in the market prices are unchanged 

ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে দাম অপরিবর্তিত 

ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে দাম অপরিবর্তিত 

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আসছে ভারতীয় চাল। গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭১ টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে ও বাজারে দামের কোন প্রভাব নেই। আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, চাল আমদানিতে সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে তারা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। যার কারণে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমানে চাল দেশে ঢুকছে। তবে দামের কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত ধানের আবাদ হলেও দেশের বাজারে হঠাৎ করেই দাম বাড়তে থাকে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অবস্থায় গত ১২ আগস্ট আমদানিকারকদের নামে বরাদ্দ ইস্যু করে চাল আমদানি করার জন্য অনুমতি দেয়। এরপর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।বেনাপোল বন্দর দিয়ে মেসার্স উষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম এন্ড সন্স, মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারকরা সাধারণত ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন।

প্রসিদ্ধ চাল আমদানিকারক গনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানের নামে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। এই ভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবী জানিয়েছেন।

আরেক আমদানিকারক শামীম আহমেদ জানান, বন্দরের মোকামে আমদানি করা চালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, সম্পা কাটারি, রত্নাসহ মিনিকেট জাতের চাল। সম্পা কাটারী জাতের চাল কেজি ৭০-৭১ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল কেজি ৫২-৫৩ টাকা টাকা এবং আঠাশ জাতের চাল কেজি ৫৫-৫৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। চাল আমদানি করে লাভ হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, দেশে চাল আমদানি শুরু হওয়ার আগেই ভারতের ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৩/৪ টাকা করে দাম বাড়িয়েছে। দাম না বাড়ালে দেশে চালের দাম কমে আসতো।

বেনাপোল বাজারের খুচরা বিক্রেতা হাজি স্টোরের হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে চালের দাম নিয়ে কিছুটা হলেও ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। গত ১০/১২ দিন আগে সম্পা কাটারি ৭২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন কেজি ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য চাল কিছুটা কমেছে।

ক্রেতা হারুনুর রশীদ ও আসাদুর রহমান জানান, আগের চেয়ে দাম কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা করে কমেছে। আমরা দিন মজুরী করি। যত কমবে আমাদের জন্য তত ভালো। ভারত থেকে চাল আসার কারণে মনে হচ্ছে কমেছে। আগে দাম বেশি ছিল। হিসাবে আরও কমার কথা। দুই মাস আগে ইরি-বোরা মৌসুম গেল। সেই চাল তো বাজারে থাকার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মজুদ করার কারণে সরকারকে আমদানি করতে হচ্ছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দরে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরটিতে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।আশা করা যাচ্ছে এবার চালের দাম কমে আসবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, গত দূই সপ্তাহে ৭১ ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ টি ট্রাকে ৩১৫ টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ টন, ৩০ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ টন এবং গতকাল সোমবার রাত ১১ টার দিকে ৬ ট্রাকে ২১০ টন চাল আমদানি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Old day biscope now just memories

পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি

পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি

“তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বাইস্কোপ, বাইস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না” প্রেমিকের বাড়িতে বাইস্কোপ দেখার এমন আকুতি কোন প্রিয়া এখন আর করে না। বাইস্কোপও নেই, সেই বাইস্কোপওয়ালাও নেই। বাইস্কোপ দেখার আর কোনো আকুতি মিনতিও নেই। বাইস্কোপওয়ালারা এখন অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করে।
“ওই দেখা যায়, কেমন মজা/তাকদি না দিন জাবেদের ঘোড়া চইল্যা গেলো/ইলিয়াছ কাঞ্চণ আইস্যা গেলো/ চম্পাকে নিয়ে চইল্যা গেলো। আরে আরে কেমন মজা/ দেখেন তবে তক্কা মদিনা/তারপরেতে মধুবালা/এক্কাগাড়ীতে উত্তম কুমার আর সুচিত্রা সেন।” এরকম সুরের ধারা বর্ণনা দিয়ে গ্রাম্য জনপদে বাইস্কোপ দেখাতেন বাইস্কোপওয়ালারা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- রূপগঞ্জে এখন আর এমন মজার বাইস্কোপ দেখা যায় না। ছোট্টবেলায় হাট-বাজারে, মেলায় দেখা যেতো বাইস্কোপ। আধুনিক বিজ্ঞানের মর্ডাণ সময়ে সেলুলয়েডের রঙিন যুগে এখন আর চোখেই পড়ে না এ মজার বাইস্কোপ। এখন শুধুই স্মৃতি। হাটবাজার মেলা ছাড়াও বাইস্কোপওয়ালারা মাথায় করে গ্রামে গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাইস্কোপের বাক্সটা নিয়ে মানুষকে ছবি দেখাত। তার হাতে থাকতো বাজনা বাজানোর জন্যে একটা বিষেশ ধরনের বাদ্যযন্ত্র। যে কারো বাড়িতে পৌছেই সেই বাজনা বাজিয়ে আওয়াজ দিত। বলতে শোনা যেত বাইস্কোপ দেখবেন গো বাইস্কোপ। তখন আশেপাশের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা মা-দের কাছে কাকুতি মিনতি করতো ওই বাইস্কোপ দেখার জন্যে। মায়েরা তখন বিরক্ত হয়ে ধানের গোলা থেকে বা চালের মটকা থেকে এক সের ধান বা চাল দিতেন। আর পাবি না কিন্তু এও বলে দিত। ছেলে মেয়েরাও রাজী হয়ে বলতো হ মা আর নিমুনা, আর দেখুম না। এই বলেই ধান নিয়ে ছুটে যেতো বাইস্কোপওয়ালার কাছে। বাইস্কোপওয়ালা তার ব্যাগের মতো থলেতে ধান ঢেলে রেখে দিত। ধান নিতে দেরি, আর বাইস্কোপের কাছে হাঁটু গেড়ে বসতে দেরি হতো না।

পর্দা ওঠলো বাইস্কোপের, মুখের মাঝে দুই হাত দিয়ে চুপি দিয়ে দেখতে থাকতো বাইস্কোপ। বাইস্কোপওয়ালা এক হাতে বাইস্কোপের রিল ঘুরাতে থাকতো আর বলতে থাকতো কি যাচ্ছে আর সামনে কি আসছে। বলতে শোনা যেতো কি সুন্দর দেখা গেলো আলোমতি আইস্যা গেলো, কি সুন্দর দেখা গেলো প্রেমকুমার আইস্যা গেলো ইত্যাদি। বর্তমান সেলুলয়েডের রঙিন ফিতা, অনলাইন আর ইন্টানেটের যুগে এখন আর সেই মনোরম বাইস্কোপ দেখাই যায় না। ছোট্টবেলার সেই বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি। মাত্র দশ পয়সা দিয়ে অথবা এক হেড় বা এক পট ধান বা চাল দিয়ে দেখা যেতো এই বাইস্কোপ।
খামারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধজন আওয়াল আলী বলেন, কি হবে রে বাবা এসব ঘেঁটেগুঁটে। যা হারাবার তা হারিয়েই যাবে। যা চলে যাবার তা রুখবে সাধ্য কার? ধরে রাখবে কে? প্রযুক্তির যে জোয়ার। না হারিয়ে যাবে কোথায়? উপায় নাইরে বাজান, উপায় নাই। শিলপাটাটা ধারকাটাওয়ালা, ঘোলওয়ালা, কটকটিওয়ালা, কুলুরা, বেদেরা আজ কোথায় হারিয়ে গেলোগো বাবা? সবাই হয়তো আছে। শুধু পেশাটা বদলে ফেলেছে। আবার হয়তো অনেকেই মরে গেছে।

কিছুই করার নাই। মানুষের জীবনাচরন বদলে গেছে। তাই তার অনুষঙ্গ হারিয়ে যাবে এঁটাইতো স্বাভাবিক। ঈদের আনন্দ, হিন্দুদের পূজা পার্বন আর বিভিন্ন মেলায় দেখা যেত বাইস্কোপ। এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। ছোট্ট শিশু থেকে আরম্ভ করে বুড়োরাও দেখতো একটা বক্সের মধ্যে সুন্দর করে পোস্টার সাজানো বাইস্কোপ। গ্রামাঞ্চলে ভ্রাম্যমান সিনেমা হলের ছবি নামে পরিচিত । গাঁয়ের ছেলে-বুড়োরা ছুটত তার পেছন পেছন। আবার কেউ কেউ তাকে ছবিওয়ালাও বলত। হাতে থাকতো তার একটা ডুগডুড়ি।

বাজাতে বাজাতে গ্রাম্য মেঠো পথ ধরে হাঁটতো। দল বেঁধে সবাই একখানে জড়ো হতো গাঁয়ের শিশু-কিশোর ও কুলবধুরা। তারপর শুরু হতো সিনেমা। তার আগে অবশ্যই টিকিট কিনে নিতে হতো। বক্সের চারখানা ফুটোয় আট জোড়া চোখ লাগিয়ে সেই স্বপ্নের সিনেমা দেখতো গাঁও-গেরামের মানুষরা। সে সবই এখন সূদুর অতীত। কারো মনে পড়ে, কারো পড়ে না। এখন আর দেখা যায় না সেই ছবিওয়ালাকে। কালেরগর্ভে কোথায় যে হারিয়ে গেলো তারা তা বর্তমান প্রজন্মের কেউ জানেনা।
চাকরিজীবি ছালাম মুল্লা বলেন, আমি নিজে দেখেছি ওই বাইস্কোপ। দুপুরে বাড়ির উঠানে বক্সটা নিয়ে বসত। বাড়ির সবাই পর্যায়ক্রমে দেখতাম। মজাই লাগতো। সেই ছবিওয়ালা আজ আর নেই। আস্তে আস্তে সব বিলীন হয়ে যাবে আমাদের অতীতের সব ঐতিহ্য। আমরা এখন আকাশ সংস্কৃতির ঘেরাটোপে বন্দী।
রূপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ভুইয়া পরিবারের সন্তান ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান দপিু ভুইয়া বলেন, ৩০ বছর আগেও বাইস্কোপওয়ালাকে আমার গ্রাম রূপসীতে ছবি দেখাতে আসতে দেখেছি। কতই না কান্ড করতাম এ বাইস্কোপ দেখার জন্যে। বাবা-মায়ের অনেক বকুনি খেয়েও বাইস্কোপ দেখতাম। আর কতই না মজা করতাম , আনন্দ পাইতাম এ বাইস্কোপ দেখে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সভ্যতা আমাদের অনেক কিছু উপহার দিয়েছে। কেড়েও নিয়েছে বাইস্কোপের মতো আরো অনেক কিছু।

মন্তব্য

p
উপরে