বিদেশগামীদের দ্রুত টিকা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গ্রেপ্তার করেছে এমন প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে।
রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল এলাকা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় র্যাব-৩ আটক করে মো. নুরুল হক, সাইফুল ইসলাম, ইমরান হোসেন ও দুলাল মিয়া নামে চারজনকে। তারা বিভিন্নজনকে দ্রুত টিকা পেতে সহযোগিতা করার নামে টাকা আদায় করছিলেন।
র্যাব জানায়, সাধারণত বিদেশগামীদের করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে বাধ্যবাধকতা ও তাড়া থাকে। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে থাকে অথবা টিকিট কাটা থাকে। তাদের টিকা গ্রহণে তাড়ার সুযোগে চক্রটি হাতিয়ে নেয় টাকা।
প্রতারকদের নেতা নুরুল অনেক দিন বিদেশে ছিলেন। ইমরান চাকরি করেন একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে। সাইফুল চা বিক্রি করেন রমনা থানা এলাকায়। দুলাল মিয়া একটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক। প্রতারকরা মুগদা, শাহবাগ, রমনা, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, মহাখালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয়।
প্রতারকদের মধ্যে দুইজন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ছিলেন, সে জন্য তাদের কিছু যোগাযোগ তৈরি হয়। এমন সম্পর্ক ব্যবহারে তারা ১০-১৫ জনের এসএমএস দ্রুত পাঠাতে পেরেছে।
প্রতারক চক্রের হোতা নুরুল হককে আটক করা হয়েছে। তার মাধ্যমে জানা গেছে প্রতারণার কৌশল ও দলের সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য। আটক সাইফুল ও ইমরান হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বিদেশগামীদের প্রলোভন দেখান। এরপর তাদের শর্তে রাজি হলে নেয়া হয় নুরুল হকের কাছে। পরে টাকার পরিমাণের ওপর নির্ভর করে দুলাল চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দেন বিদেশগামীদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন প্রতারণার এ ঘটনায় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের টিকাদানে সরকার সাতটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রতারকরা এসব হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করতে থাকে। দ্রুত টিকা পেতে যখন প্রবাসীরা সেসব হাসপাতালে যোগাযোগ করেন, তখন প্রতারকরা তাদের টার্গেট করে। টিকার প্রক্রিয়া দ্রুত করাতে তারা টাকা দাবি করে। স্বাভাবিক নিয়মেই অনেকে টিকার মেসেজ দ্রুত পেয়ে যান, কিন্তু তার কৃতিত্ব নেয় প্রতারকরা। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা তদবির করেছে বলেও তথ্য মিলেছে।
‘যারা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু এসএমএস পাননি, তাদের এক দিনের মধ্যে টিকার ব্যবস্থা করা হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালায় প্রতারক চক্রটি। আবার হাসপাতালের সামনে গিয়েও নানা ধরনের কথা বলে বিদেশগামীদের বিভ্রান্ত করে তারা।’
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘যারা টিকা অথবা এসএমএস পেয়েছেন, তারা করেননি। কিন্তু টাকা দিয়েও যারা এসএমএস পাননি তাদের মধ্যে অনেকে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছেন। প্রতারণার শিকার প্রায় ২০০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতারকরা আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করেছে।’
আরও পড়ুন:কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ মো. আতিকুর রহমান নামের এক হাজতিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
রোববার ভোরে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে আনেন।
হাজতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘৪২ বছর বয়সী আতিকুর রহমান কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি ছিলেন। তার বাবার নাম সামাদ মোল্লা। এর বাইরে আমারা কিছু বলতে পারব না। কারাগার থেকে তার কাগজপত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পৌঁছে যাবে।’
বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা ফের শীর্ষস্থান দখল করেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
একই সময়ে বায়ুর নিম্ন মানের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি ও কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৫ গুণ বেশি। একই সময়ে দিল্লির বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।
একই সময়ে দিল্লির বাতাসের স্কোর ছিল ১৬২। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দিল্লিবাসীকেও।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যু ‘অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা’ বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তবে পরিবার বলছে, তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই ও ছায়া তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধারণা থেকে কথাগুলো বলছে। পুলিশের এই ধারণা ঘিরে অসংখ্য প্রশ্ন সামনে এসেছে, যেগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। এটি হত্যাকাণ্ড।
মামলার তদন্তে অসঙ্গতি ও অমীমাংসিত প্রশ্নের উল্লেখ করে সেগুলো সামনে রেখে একটি বই সংকলন করেছেন দুরন্ত বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব। শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ নামে সংকলনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুরন্ত বিপ্লবের মা রোকেয়া আক্তার খাতুন। তিনি বলেন, ‘বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই, ছোট ভাই সবাই দুরন্তকে চেনেন। আমি মা হিসেবে তাকে যতটা চিনেছি তা বর্ণনাতীত। এটা সত্য, সে পানিতে ডুবে মরে নাই। দুরন্তর সার্কেলের লোকজন, যাদের সঙ্গে সে চলাফেরা করতো, তাদের মধ্যেই কারও স্বার্থে আঘাত লাগায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কৃষি খামারি দুরন্ত বিপ্লব গত বছরের ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন। ওইদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর ৫ দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ পায় পুলিশ। ওইদিন রাতে মরদেহটি বিপ্লবের বলে নিশ্চিত করেন তার স্বজনরা। এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর হত্যা মামলা করা হয়।
মামলাটির তদন্ত শুরু করে ঢাকা জেলা পুলিশ। পরবর্তীতে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে থানা থেকে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা জেলার পিবিআই-এর পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে ডিবি লালবাগ বিভাগ।
দুই সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়নি। তিনি অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর শিকার। ৭ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা পার হওয়ার সময় মর্নিংসান-৫ নামে একটি লঞ্চের ধাক্কায় দুরন্ত বিপ্লবকে বহনকারী নৌকাটি উল্টে যায়। সাঁতারে দক্ষ না হওয়ায় বা সাঁতার না জানায় দুরন্ত বিপ্লব পানিতে তলিয়ে যান।
তবে তদন্তকারীদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ দুরন্ত বিপ্লবের বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। বোন শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘পিবিআই ও ডিবি পুলিশ কথাগুলো বলছে ধারণা থেকে। বলছে- হতে পারে, হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে তো অকাট্যভাবে প্রমাণ হয় না যে দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
‘পুলিশের তদন্ত ও বক্তব্য নিয়ে আমাদের মনে অসংখ্য প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো বলছে, দুরন্ত বিপ্লব দুর্ঘটনা নয়, হত্যার শিকার হয়েছেন। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আবেদন করে মামলাটি পিবিআইকে দেয়ার জন্য আদালতে অনুরোধ করেছিলাম। পিবিআইয়ের তদন্তে আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যেগুলো তাদের তদন্তের সঙ্গে মিলছে না। আমরা এসব প্রশ্নের জবাব চাই।’
‘জাস্টিস ফর দুরন্ত বিপ্লব’ বইটির সম্পাদক শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘বইটিতে দুরন্ত বিপ্লব নিখোঁজ হওয়ার দিন গত বছরের ৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬২ দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সংকলনটি আমাদের দিক থেকে একটি প্রপোজিশন বা প্রস্তাবনা। যেটা এই মামলার তদন্তে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই প্রশ্নগুলো ধরে তদন্ত এগিয়ে নিলে মৃত্যু রহস্যের সুরাহা করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বইয়ে য তথ্য-উপাত্ত আছে, তার বাইরে আরও কিছু তথ্য-উপাত্ত ও সূত্র আমরা পিবিআইকে দিয়েছি। সংগত কারণেই আমরা এই বিষয়গুলো এই বইয়ে আনতে পারিনি। মামলাটি তদন্তানাধীন। সে কারণে সব কিছু প্রকাশ করা যায় না।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার উপ-পরিদর্শক সালেহ ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তদন্তে যা পেয়েছি সেগুলো দুরন্ত বিপ্লবের পরিবারকে জানানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত এখনও চলছে। যদি নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই যাচাই-বাচাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার একদিনেই ৮০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে প্রকোপটা বরাবরের মতোই ঢাকায় বেশি।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২০২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ৫৩টি হাসপাতালে রয়েছে ১৭৬ জন। বাকি ২৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭৩ জন আর ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে সাতজন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট এক হাজার ৭০৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক হাজার ১১৯ জন। আর চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩ জন।
২০০০ সালে দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বছরের প্রথম ৫ মাসে এতো মৃত্যু এবং হাসপাতালে এতোসংখ্যক রোগী আগে দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডেঙ্গুর ধরন বদলেছে। তাতে একদিকে ডেঙ্গু যেমন ভয়ংকর হয়ে উঠছে, তেমনি ‘শহুরে রোগ’ ডেঙ্গু শহর ছাড়িয়ে ঝুঁকি বাড়িয়েছে দেশজুড়ে।
বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ডেঙ্গুর বিপজ্জনক অবস্থার বিষয়ে তারা বলছেন, বর্তমান সময়ে এসে বর্ষাকাল বা বৃষ্টি এসবের সঙ্গে ডেঙ্গুর ততোটা সম্পর্ক নেই। কারণ ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশার লার্ভা এখন জমে থাকছে নির্মাণাধীন ভবন, ওয়াসার মিটার বক্সসহ বিভিন্ন জায়গায়। আর এসব কারণে ডেঙ্গু হয়ে উঠেছে সারা বছরের রোগ। এটা কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, পুরো দেশের ঝুঁকির কারণ।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পসের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের পাশের ডাস্টবিনে মরদেহটি পাওয়া যায়।
নবজাতক ছেলে এবং একদিন বয়সের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক বলেন, ‘নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।’
রাজধানীর বাড্ডার গুপিপাড়ায় গাছে পানি দিতে গিয়ে সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
বাড্ডার গুপিপাড়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ১৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ তাসিন মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বাবুল মিয়ার ছেলে। সে উত্তর বাড্ডা গুপিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।
তাসিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার মামা সাঈদ মিয়া জানান, তাসিন একটি অনলাইন কোম্পানির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতো। শনিবার সকালের দিকে ভবনের সাত তলার ছাদে ফুলের টবে পানি দেয়ার সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায় সে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে শনিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁও কুনিপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু হয়েছে।
তেজগাঁও কুনিপাড়া এলাকায় রিকশার গ্যারেজে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৫০ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলমের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। তিনি তেজগাঁও কুনিপাড়ায় পরিবারের সাথে থাকতেন।
মোহাম্মদ আলমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার ছেলে মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবার শনিবার সকালে নিজের গ্যারেজে রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেয়ার সময় ইলেকট্রিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত বলে জানান।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তেজগাঁও থানাকে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য