× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
And no menu should be arranged as a proxy High Court
google_news print-icon

আর কোনো মিনু যেন প্রক্সি সাজায় না পড়ে: হাইকোর্ট

আর-কোনো-মিনু-যেন-প্রক্সি-সাজায়-না-পড়ে-হাইকোর্ট
চট্টগ্রামের মিনু আক্তারকে কৌশলে অপরাধী সাজিয়ে প্রায় তিন বছর জেল খাটায় প্রকৃত আসামি। পরে মুক্তি পেলেও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মিনু। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
বদলি সাজা খাটাসংক্রান্ত এক রুলের শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দেশের সব জেলখানায় কয়েদিদের শনাক্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। আদালত বলেছে, মিনুর মতো আর কাউকে যেন বদলি সাজা না খাটতে হয়।

বদলি সাজা খাটা নিয়ন্ত্রণে দেশের কারাগারগুলোতে আসামি শনাক্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা দরকার বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বদলি জেল খেটে মুক্তির পর গাড়িচাপায় মারা যাওয়া মিনু আক্তারের বিষয়টিও তুলে ধরে আদালত।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার বদলি সাজা খাটাসংক্রান্ত এক রুলের শুনানি হয়। এ সময় মিনুর বিষয়টি তুলে ধরে আদালত বলে, ‘আর কোনো মিনু এভাবে যেন প্রক্সিতে (বদলি) না পড়ে।’

এদিন মিনুর মৃত্যুসংক্রান্ত মামলা এবং তার বদলি সাজা খাটানোসংক্রান্ত মামলার নথিসহ দুই তদন্ত কর্মকর্তা ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির হন।

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয় কুলসুম আক্তার কুলসুমী নামে এক নারীকে। কুলসুমী আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তার নামে মিনুকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নজরে এনে উচ্চ আদালতে আবেদনের পর গত ৭ জুন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে জেল খাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে আদালত রুল জারি করে।

রুলে দেশের সব জেলখানায় কয়েদিদের পরিচয় শনাক্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডাটা পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এর মধ্যে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু। তবে গত ২৮ জুন ভোর পৌনে ৪টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী-ভাটিয়ারী লিংক রোডের মহানগর সানমার গ্রিনপার্কের বিপরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিনু। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ২৯ জুন একটি মামলা হয়।

আর খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত কুলসুমকে ২৯ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রতারণার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় কুলসুমের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। তিনি জবানবন্দিও দেন।

পরবর্তী তারিখে আদালত নথিসহ মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে। সে অনুযায়ী তারা বুধবার ভার্চুয়ালি হাজির হন। এ সময় যুক্ত ছিলেন আইনজীবীরা।

এ সময় তদন্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আদালত বলে, ‘কেন সে (মিনু) রাত ৩টায় বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গেল। তাকে প্রক্সি দিয়ে জেল খাটানোর ঘটনায় আটকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না অথবা শুধুই আটকরাই প্রক্সির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে জড়িত কি না, নাকি অন্য কেউ আছে- এসব বিষয় সিরিয়াসলি তদন্ত করবেন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইনস্ট্রাকশন নেবেন।’

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আরিফুর রহমান।

আরও পড়ুন:
সেই মিনুর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে নথি তলব
বিনা দোষে মিনুকে জেল খাটানো সেই কুলসুমের জবানবন্দি
নির্দোষ মিনুকে জেলে: সেই কুলসুম রিমান্ডে
বিনাদোষে মিনুকে জেলে ঢোকানো সেই কুলসুম গ্রেপ্তার
সড়ক দুর্ঘটনা নাকি হত্যা, প্রশ্ন আইনজীবীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Thakurgaon Buri Bandh fishing festival disappointed hunters

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িবাঁধে মৎস্য উৎসবে হতাশ শিকারিরা!

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িবাঁধে মৎস্য উৎসবে হতাশ শিকারিরা! ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁধে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে শিকারী

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িববাঁধে মৎস্য উৎসবে এসে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মাছ শিকারিরা। জেলা ও জেলার বাহির থেকে মৎস্য উৎসবের দিন মাছ ধরতে আসেন মাছ শিকারিরা। অর্ধবেলা জাল ফেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ না পাওয়ায় হতাশা বাড়ছে তারা। তার উপরে অসাধুদের পাতানো নিষিদ্ধ রিং জালের খুঁটিতে নিজেদের জাল ছিড়ে যাওয়াতে কষ্টেরও কোনো শেষ নেই মাছ শিকারিদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের শুক নদীত তীর বুড়ির বাঁধে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন আশে পাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

গত শুক্রবার বিকেলে ছেড়ে দেয়া হয় বাধের পানি। সেদিন থেকেই শুরু হয়ে জেলেদের আগমন। উৎসবটি চলবে শনিবার দিনব্যাপী। এই উৎসবে যোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট (স্লুইস গেট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতি বছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।

৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

সদর উপজেলার নারগুন থেকে মাছ ধরতে এসেছেন রমজান আলী। বলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে অনেক মানুষ আসেন মাছ ধরতে। আমিও এসেছি। কিন্তু অর্ধবেলা জাল ফেলেও এক কেজি মাছ ধরতে পারিনি। ভেতরে রিং জাল পাতানো আছে। ওই খুঁটিতে জাল ছিড়েছে। এখন দেখছি উৎসবে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

পঞ্চগড় থেকে মাছে শিকারে এসেছেন দুই বন্ধু আতিক ও ফয়সাল। তারা জানান, মাছে নেই। দেশি প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। রিং জাল আর কারেন্ট জালের ব্যবহারের কারনে আমরা প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সেই সাথে দেশী মাছ হারাচ্ছি। আমরা তবুও সময়টাকে উপভোগ করছি।

এই উৎসবে মাছে কিনতে এসেছেন অনেক ক্রেতা। বিক্রেতাও আছে উৎসব জুড়ে।

এ সময় ক্রেতা রহিমুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এখানে তো তেমন মাছ নেই। অনেক বিক্রেতা বাহিরের মাছ এনে এখানে বিক্রি করছে। এখানে যারা মাছ বিক্রি করছে অধিকাংশ জনই বাহির থেকে মাছ আনছে। দামও অনেক বেশি। টাটকা মাছ ভরসা করে কিনতে এসেছি। দেখি পাই কি না?

অপরদিকে শহর থেকে দেশীয় মাছ কিনতে যাওয়া ক্রেতারা অভিযোগ করেন মাছের দাম অনেক বেশি। দেশীয় মাছ তেমন পাওয়া যায় না এখানে। যা পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম অনেক। পুঁটি মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই অনেক ক্রেতাই মাছ কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি রিংজাল ও কারেন্টজাল রোধে। অনেক অভিযানও করা হয়েছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, কারেন্ট জাল ও রিংজালের ব্যবহার নিষিদ্ধ। আমরা ইতিমধ্যে অনেক জাল জব্দ করেছি। জালগুলো ধ্বংস করেছি। আইনের প্রয়োগ হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি মানুষ সচেতন হবে এবং এসব নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার থেকে দূরে থাকবে। আগামীতে মৎস্য উৎসব আরও ভিন্নরকম ভাবে উপভোগ করবে মানুষ এমনটি প্রত্যাশা এই কর্মকর্তার।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া জানান, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম আছে। প্রতি বছর বাঁধটি ছেড়ে দেওয়ার পরে মাছ ধরার জন্য এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। আমরা মনে করছি এটার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Annual General Meeting of Didar Samiti Comilla

কুমিল্লার দিদার সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা

কুমিল্লার দিদার সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা

কুমিল্লায় দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৫৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর দিদার সমিতির সম্মেলন কক্ষে এ সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। দিদার সমিতির চেয়ারম্যান জিএম নোমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সালমান ইকবাল, সদর দক্ষিণ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়া। কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ডের কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ম্যানেজার মোস্তফা কামাল, সমিতির সহ সভাপতি মো. সৈয়দ, মো. রেজাউল করিম, কামাল হোসেন, হারিজ মিয়া, আ. মমিন, জিয়াউর রহমান জিয়া, জাকির হোসেন রনি, জান্নাতুল ফেরদৌস লিজা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সদস্য প্রায় ১২ শতাধিক। বক্তারা বলেন, দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি হলো বাংলাদেশের একটি সমবায় ভিত্তিক জন-কল্যাণমূলক সংগঠন। ওই সমিতির প্রাথমিক সল্প সদস্যদের উদ্যোগে ১৯৬০ সালে এ সমিতির যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে গ্রামের চায়ের দোকানের মালিক মোহাম্মদ ইয়াছিন তার দোকানে আগত ৮ জন রিকশা ও ভ্যান চালক মো. বেনু মিয়া, মো. নুরু মিয়া, মো. আতর আলী, মো. নিলু মিয়া, মো. চরু মিয়া, মো. অহিদ মিয়া, মো. আব্দুল খালেক এবং মো. রফিক মিয়াকে নিয়ে প্রত্যেক সদস্য প্রতিনিদিন ১ আনা করে জমা রাখবে। এই শর্তে ১৯৬০ সালের ৯ অক্টোবর ৯ সদস্যবিশিষ্ট এই সমবায় সমিতিটির গোড়া পত্তন করেন তৎকালীন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আখতার হামিদ খান।

দিদার সমিতি মানব সেবায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে ‘পল্লী উন্নয়নে স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Faridpur 10 poor women got sewing machines

ফরিদপুরে অ-স্বচ্ছল ১০ নারী পেলো সেলাই মেশিন

শিকড়ে স্বাবলম্বীর যাত্রা
ফরিদপুরে অ-স্বচ্ছল ১০ নারী পেলো সেলাই মেশিন

অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শিকড়ের হাত ধরে স্বাবলম্বীর যাত্রায় অংশীজন হচ্ছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া ও হতদরিদ্র পরিবার। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে এসব পরিবারের মাঝে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ১০টি পরিবারের নারী সদস্যদের মাঝে দেয়া হয়েছে সেলাই মেশিন। শনিবার জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সমাজের অ-স্বচ্ছল দশজন নারীকে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১০টি সেলাই মেশিন দেয়া হয়। সংগঠনটি ২০২০ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু করে এবং ২০ তম কর্মসূচি হিসেবে সেলাই মেশিন দেয়া হয় বলে প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক (প্রধান) শফিকুল ইসলাম খোকন জানান।

তিনি বলেন- সমাজের অসহায় অ-স্বচ্ছল মানুষদের স্বাবলম্বি করার প্রচেস্টা থেকে আমাদের এই যাত্রা। বিগত দিনে আমরা ১৯টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি, তার মধ্যে রয়েছে- ছাগল বিতরন, সেলাই মেশিন বিতরন, গ্রামের ছোট টং দোকানদারকে মুলধনী পন্য বিতরন। এছাড়াও ঈদে খাদ্যসামগ্রী ও পূজায় শাড়ি বিতরন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন, স্কুল পোষাকসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে সেলাই মেশিনগুলো তুলে দেন শিকড়ের পরিচালনা পর্ষদ (নীতি-নির্ধারনী ফোরাম) এর প্রধান ও কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধাব শিক্ষক শাহ মো. শাহজাহান মোল্যা, প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম খোকন, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মো. আশরাফুল আলম কাজল, মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মো. কামাল হোসেন মিয়া, প্রদীপ সাহা, মো. হাবিবুর রহমান সাইফুল, মো. সেলিম মিয়া, মো. মুজিবুর রহমান মিয়া, মুহাম্মদ জাকারিয়া আসিফ, মো. ফজলুর রহমান সুমন, মো. সবুজ মোল্যা প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The humanitarian message of Lalons song is equally relevant today Fisheries and Livestock Advisor

লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, লালনের গান শুধুই সুর নয়-তা অত্যন্ত উচ্চমাত্রার সংগীত, যার মধ্যে রয়েছে গভীর দার্শনিক, রাজনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক মূল্য। তার গানে যে মানবতার কথা বলা হয়েছে, তা আজকের পৃথিবীতেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

উপদেষ্টা শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঐতিহাসিক ছেঁউড়িয়ায় অবস্থিত লালন একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পর্যায়ে লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস দলীয় প্রভাবমুক্ত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, সরকার মনে করে, লালনের দর্শন এবং অবদান শুধু জাতীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখার নয়। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, লালনের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ থাকবে না — কারণ লালন কোনো দলীয় আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করেন না, তিনি মানবতার প্রতীক।

ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, লালন সাঁই আমাদের দেশের অন্যতম বড় দার্শনিক ও ভাবুক। তার জীবনদর্শন ও আদর্শ আমাদের আত্মস্থ করা প্রয়োজন। এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে লালন তিরোধান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান উদযাপিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মফিদুর রহমান। আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান লেখক ও গবেষক লালন বক্তৃতার মুখ্য আলোচক প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, বিশিষ্ট কবি, লেখক ও চিন্তক এবং লালন বিশেষজ্ঞ ফরহাদ মজহার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন। এসময় স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।

তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালায় দেশব্যাপী লালন অনুসারী, সাধক, গবেষক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন। লালন সাঁইয়ের জীবন দর্শন, মানবতা ও সাম্যের বাণীকে জাতীয়ভাবে স্মরণ ও উদযাপনের উদ্দেশে প্রতিবছরের মতো এবারও এ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no obstacle to elections after signing the July Charter Shamsuzzaman Dudu

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার পর দেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।

শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে দুদু বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারণা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে।

বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।

নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Jabbar hotel is no more at the Jabbar intersection in Bakribi

বাকৃবির জব্বারের মোড়ে আর নেই সেই জব্বার হোটেল

বাকৃবির জব্বারের মোড়ে আর নেই সেই জব্বার হোটেল

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ইতিহাসে একসময়কার প্রাণকেন্দ্র ‘জব্বার মোড়’ এখন বিলীন হওয়ার পথে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট (কেবি কলেজ মোড়) থেকে ফসিল মোড় পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ কাজের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে। এই প্রকল্পের আওতায় জব্বার মোড় হয়ে যাওয়া সড়কের দুই পাশের দোকানগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, মোড়ের পূর্ব পাশের দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের সামনে স্থানান্তর করা হচ্ছে, আর পশ্চিম পাশের দোকানগুলোকে সামান্য পেছনের দিকে সরিয়ে রাখা হবে। উন্নয়ন কার্যক্রমের এই ধাপটি মূলত যান চলাচলের সুবিধা ও নগর অবকাঠামোর আধুনিকায়নের লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।

এই মোড়ের অন্যতম পুরনো ও জনপ্রিয় খাবারের স্থান ছিল ‘জব্বার হোটেল’। হোটেলটির বর্তমান মালিক মাহবুব আলম, যিনি শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত ‘হাবিব’ নামে, বলেন, ‘আমি গত চার বছর ধরে জব্বার হোটেল চালাচ্ছি। চার বছর আগে দোকানটি নতুন করে গড়ে এখানে ব্যবসা শুরু করি। কিছুদিন আগে রাস্তার কাজের জন্য দোকান ভাঙতে হয়, এরপর এই নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছি। এখানে এসেছি মাত্র দুই মাস হলো। শুরুতে তিন মাস সময় লেগেছিল সবকিছু গুছাতে, তখন আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হই। আমার ১৭ জন স্টাফেরও তখন অনেক কষ্ট হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ব্যবসা এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি, পরিচিতি তৈরি হতে সময় লাগছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার হোটেলে খেতে পছন্দ করে। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। আমি চেষ্টা করি যেন তারা ভালো খাবার পায়, কারণ অনেকেই বাড়ি থেকে দূরে থাকে। যখন দেখি আমার হোটেলের খাবার খেয়ে অনেক শিক্ষার্থী জীবনে ভালো করছে, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা আরও ভালো হবে, আর জব্বার হোটেল আবারও শিক্ষার্থীদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, ‘আমরা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে যখন বাকৃবিতে আসি, তখনই সবাই বলত-‘চলো, জব্বারের দিকে যাই’। এখন নতুন জায়গায় গেলে হয়তো সেই আগের আবহটা থাকবে না। তবু আশা করি, নতুন জায়গাতেও সেই আন্তরিকতা থাকবে।’

সময়ের সঙ্গে জীবনের নানা দিক বদলে গেলেও—রাস্তা, ভবন ও মানুষের জীবনযাত্রার মতো—কিছু স্থান থেকে যায় চিরস্মরণীয় হয়ে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জব্বার মোড় এমনই এক জায়গা, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মের শিক্ষার্থীর হাসি, বন্ধুত্ব ও আবেগের সাক্ষী। বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চললেও, জব্বার মোড়ের আড্ডা, গল্প আর সম্পর্কের উষ্ণতা আজও বাকৃবির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে। সময়ের দাবিতে এই স্থানের পরিবর্তন অনিবার্য হলেও, প্রজন্মের স্মৃতি ও অনুভূতিতে ভরা জব্বার মোড় আগামী দিনগুলোতেও শিক্ষার্থীদের মনে অমলিন হয়ে থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The road construction work is blocked due to electric poles

বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে আটকে আছে সড়কের নির্মাণ কাজ

ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কে বাড়ছে দুর্ভোগ
বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে আটকে আছে সড়কের নির্মাণ কাজ

ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ নবগ্রাম থেকে মাঝিনা নদীরপাড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ধীরগতিতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। পরশি-মুড়াপাড়া জিসি ভায়া রূপগঞ্জ সড়ক ১৪ দশমিক ২৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও লিংক রোড হিসেবে ফজুরবাড়ি থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৪ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটারসহ ১৮ দশমিক ৬২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। সড়ক নির্মাণে ধীরগতি থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এলজিইডির এ প্রকল্পের বাঘবের থেকে ফজুরবাড়ি ও ফজুরবাড়ি থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত নির্মাণকাজ এগিয়েছে। কিন্তু মুশুরী ফজুরবাড়ি থেকে রূপগঞ্জ খেয়াঘাট ও হাবিবনগর এলাকায় সৃষ্ট গর্তে হাঁটু সমান পানি জমে সড়কে চলাচল একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়কের ৬টি কালভার্ট নির্মাণকাজও চলছে ধীরগতিতে। এলাকাবাসীর আবেদন-নিবেদনেও কোন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সড়কের দক্ষিন নবগ্রাম, ভিংরাবো, হাবিবনগর, ইছাখালী, ফজুরবাড়ি এলাকার বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি এখন চরমে। তবে সড়ক নির্মাণে জমির জটিলতা, সড়কের মাঝখানে ৩০-৩২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায়, বাঘবের এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের জমির ক্ষতিপূরণ বিল না দেওয়া ও অতিবর্ষণে কাজের বিলম্ব হচ্ছে বলে নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে। এ প্রকল্পে ১৮ দশমিক ৬২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য, ২৪ ফুট প্রস্থ ও উভয় পাশে তিন ফুট করে ছয় ফুট ফুটপাত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।

এছাড়া চারটি ইউড্রেন নির্মাণ, ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার বক্স ড্রেইন নির্মাণ, দুইটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ ও ১২ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এসব কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা।

এ সড়ক নির্মাণে ২০২৩ সালের ৭ জুন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। তারা একই বছর ২৯ মে নির্মাণকাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের ২৮ মে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। পরে জমির জটিলতা ও অতি বর্ষণসহ নানা প্রতিক‚লতায় নির্মাণকাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। এরপরেও নানা জটিলতায় নির্মাণ কাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়। সে অনুযায়ী গত ৩০জুন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলায় চলাচলে মানুষের এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রূপগঞ্জ থানা ভবনের দক্ষিণ পাশ থেকে মুশুরি কবরস্থান পর্যন্ত এ সড়কে চলাচল একবারেই অনুপযোগী।

রাতের আঁধারে মালবাহী ভারী যান চলাচল করায় সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে। কোথাও হাঁটু সমান পানি আর কাদা মাটিতে পরিণত হয়। তখন যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ সময় চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।

রূপগঞ্জের দক্ষিণ নবগ্রাম, মাইফরাসপাড়া, ইছাখালী, পাড়াগাঁও, বড়ালু, ডাক্তারখালী এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট গর্তে কোথাও হাঁটু সমান পানি। প্রতিদিনই হালকা পরিবহন উলটে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না। পাকা রাস্তার মাঝখানে কাঁদার ছড়াছড়ি। তাতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। পাথরবাহী লরি ও মালবাহী ট্রাক অবাধে চলাচল করার কারণে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এতে লোকজনের ভোগান্তিও চরমে পৌঁছেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়ক সংস্কার কাজ ঠিকাদারির গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরহীনতায় ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। প্রতিনিয়তই এ সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ব্যাহত হচ্ছে এ সড়কে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীদের পাঠদান। দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি করেন এলাকাবাসী।

ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন বলেন, নান প্রতিকোলতায় সড়ক নির্মাণ কাজ ব্যাহত হলেও শিগগিরই দ্রুত গতিতে কাজ চলবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয বলেন, সড়ক নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পূর্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে