ক্রমে বাড়তে থাকা পুঁজিবাজার ২৫ আগস্ট হঠাৎ যে অবস্থান হোঁচট খায়, ফিরে আসেছে কাছাকাছি অবস্থানে। টানা তিন দিন পতনের পর মঙ্গলবার সূচকের উত্থানে যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল, তা আরও জোরাল হয়েছে পরদিন। আগের দিন ৪৫ পয়েন্টের পর বুধবার সূচকে যোগ হলো ৪৭ পয়েন্ট। বেড়েছে লেনদেনও।
এই দিনে বেশিরভাগ খাতের শেয়ারেই দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ভিড়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিমা খাতের শেয়ার। গত এপ্রিল থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দল বেঁধে এই খাতের শেয়ারের দর বৃদ্ধির যে স্মৃতি, সেটি খানিটকা ফিরে এসেছে টানা তৃতীয় দিনের লেনদেনে।
গত রোববার বাজারে পতনের দিনও বিমা খাতে ছিল সুবাতাস। সোমবার জন্মাষ্ঠমীর বিরতি শেষে তা বাড়ে আরও বেশি। সেটি অব্যাহত থাকে পর দিনও। ছয়টি ছাড়া বেড়েছে বাকি ৪৫টি কোম্পানির দর। সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির দুটি আর ২০টি কোম্পানির ৫টি ছিল এই খাতের।
লেনদেনেও দিনের সেরা বিমা খাত। জুলাইয়ের পর প্রথমবারের মতো এক দিনের লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়েছে।
আগের দিন ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ৪৯টির। লেনদেনেও এই খাত ছিল সেরা। সেদিন লেনদেন ছিল ৩৫৭ কোটি টাকা।
টানা বাড়তে থাকা পুঁজিবাজার গত ২৫ আগস্ট ৬ হাজার ৯২১ পয়েন্টে উঠার পর শেষ সোয়া ঘণ্টায় হঠাৎ করেই ৪১ পয়েন্ট হারিয়ে বসে। এরপর দুই দিন ২৭ পয়েন্ট করে পতন হলে পুঁজিবাজারে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। গত ৪ এপ্রিলের পর এই প্রথম পরপর তিন দিন এভাবে পতন হয়।
এমন কোনো বড় পতন নয়, তার পরেও বিষয়টি উৎকণ্ঠা তৈরি করে অন্য একটি কারণে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে ছয়টি ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এমনিতেই সংশোধন হতে পারে, এমন আলোচনার মধ্যে এই বিষয়টি তৈরি করে উদ্বেগ।
এর আগে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিদিন জানানোর বিষয়ে আদেশ এসেছিল এবং এই বিষয়টি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ভালোভাবে নেয়নি।
তবে মঙ্গলবারের লেনদেন সব উৎকণ্ঠা উড়িয়ে দিয়ে স্বস্তির বার্তা আনে পুঁজিবাজারে। সূচক বাড়ে ৪৫ পয়েন্ট। ১৬ কর্মদিবস পর রোববার লেনদেন প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে এলেও পরের কর্মদিবসেই তা ছাড়িয়ে যায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বুধবার লেনদেনের শুরুতেই সূচক বেড়ে গিয়ে এক পর্যায়ে ছাড়িয়ে যায় সেই ৬ হাজার ৯২১ পয়েন্ট। ৬ হাজার ৯৩৯ পয়েন্ট উঠে যায় আধা ঘণ্টার মধ্যে। এরপর কিছুটা কমে লেনদেন শেষ হয় ৬ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার আরও একটি আদেশ আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। গত বছর পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে যে বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছিল, সেটির লেনদেনের তথ্য দিতে হতো তিন মাস অন্তর। এখন থেকে প্রতি মাসেই তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই তহবিল থেকে খুব বেশি বিনিয়োগ হয়েছে এমন নয়। তহবিল হতে পারত ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মতো। বিনিয়োগ হয়েছে তারও অর্ধেক।
তারপরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিষয়টি নিয়ে কেন হঠাৎ ভাবছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বাজারে।
শেয়ারদরের পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে বিমায়
গত এপ্রিল থেকে অস্বাভাবিক উত্থান শুরু হয় এই খাতে। ৫১টি কোম্পানির একটি অংশ জুনের প্রথম সপ্তাহে এবং একটি অংশ দ্বিতীয় সপ্তাহে সংশোধনে যায়। কোনো কোনো কোম্পানি এই সময়ে কোনো কোম্পানি দর হারায় ২০ শতাংশ, কোনোটি ৩০ শতাংশ, কোনোটি তার চেয়ে বেশি।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগত দরপতন শেষে আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস আসতে থাকে। সেই আভাস আরও জোরাল হল চলতি সপ্তাহে।
গত মে মাসে কোনো কোনো দিন ৫০০ কোটি, কোনোদিন ৬০০ কোটি, কোনোদিন ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে এই একটি খাতে। আগস্টের শুরুতে লেনদেন ১৫০ কোটি বা তার চেয়ে নিচে নেমে আসে।
চলতি সপ্তাহে সেখান থেকে শুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেখা যায়। রোববার বিমা খাতের লেনদেন হয়েছিল ২৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। সোমবার জন্মাষ্ঠমীর ছুটি শেষে মঙ্গলবার হাতবদল হয় ৩৫৭ কোটি টাকার বেশি।। সেখান থেকে একদিনের ব্যবধানে ৩৩.৭৩ শতাংশ বেড়ে বুধবার লেনদেন হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
এদিন বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানির ৯.৯৫ শতাংশ। শেয়ার মূল্য ১৪১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা ৬০ পয়সা।
তারপরেই আছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে, যার দর ৯৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮.৩১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.২৪ শতাংশ। দাম ৮০ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা ১০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৭৪ শতাংশ। গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৫.৪৯ শতাংশ।
দর বাড়লেও লেনদেন কমেছে ব্যাংকে
ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়লেও তার হার ছিল একেবারেই নগণ্য। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন।
মঙ্গলবার এই খাতে লেনদেন ছিল ১৬৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বুধবার তা কমে হয়েছে ১৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০টির। তার দর কমেছে ৫টির।
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৭.৫৭ শতাংশ। শেয়ার প্রতি মূল্য ৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
তারপরে আছে রূপালী ব্যাংক। ২.৬৯ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.১৭ শতাংশ; ২৩ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।
ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর ৪৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১.৯১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৮ টাকা।
আগ্রহের নতুন মোড় খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাত
মঙ্গলবার হঠাৎ করে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের লেনদেন শত কোটি টাকা অতিক্রম করে। পাশপাশি এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়তে দেখা গেছে।
একদিনের ব্যবধানে সেই ধারাবাহিকতায় বুধবারও লেনদেন শত কোটি টাকার বেশি হলেও আগের দিনের তুলনায় কমেছে ১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর এদিন লেনদেনে দর বেড়েছে ১৪টি কোম্পানির আর দর কমেছে ৬টির।
মঙ্গলবার খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের মোট লেনদেন হয়েছিল ১৩১ কোটি ৫ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এই খাতের সবচেয়ে বেশি ৮.৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর। শেয়ার মূল্য ২৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭ টাকা ৮০ পয়সা।
তারপরই আছে গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো, যার দর ৭.৬১ শতাংশ বেড়ে ২১ টাকা থেকে হয়েছে ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৮টির। বেড়েছে ১১টির। লেনদেন হয়েছে ২৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া বস্ত্র খাতে দরপতন হয়েছে। ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৩৬টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬টির দর। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর পতন হয়েছে ১১টির, বেড়েছে ১৭টির। হাতবদল হয়েছে ১৮৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৯টি। লেনদেন হয়েছে ১৪৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৫টির, বেড়েছে সাতটির। হাতবদল হয়েছে ১৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত আবার দর হারিয়েছে। গ্রামীণ টু ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ইস্যুতে হতাশ হওয়া বিনিয়োগকারীরা কম দামে হলেও ইউনিট ছেড়ে দিতে চাইছেন, এটা স্পষ্ট।
এই খাতের ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল ৮টির, কমেছে ১৭টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১১টির। লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৬টির। হাতবদল হয়েছে ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯১৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯৫ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২০ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১১৭ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৫৯ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য