পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহ দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন কার্যত এই বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে।
এই তহবিল থেকে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়েছে, সে তথ্য প্রতি তিন মাসের বদলে এখন থেকে প্রতি মাসে পাঠাতে বলা হয়েছে।
অর্থ ও পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিদিন জানানোর আদেশ দেয়ার পর নতুন এই আদেশ এল আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
২০২০ সালের শুরুতে পুঁজিবাজারের টানা দরপতন সামাল দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারে। ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব উৎস থেকেও এমন তহবিল গঠন করতে পারে।
এই তহবিল আবার ব্যাংকের যে সাধারণ বিনিয়োগ আছে, তার বাইরে। ব্যাংকগুলো তার মোট ইক্যুইটির ২৫ শতাংশ এমনিতেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।
সে সময় এই তহবিল গঠনের সুযোগ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যত ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়।
তবে এখন বাজার যখন চাঙা, নিয়মিত দুই থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে, সে সময় এখন আবার পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০১০ সালের মহাধসের আগে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলো তাদের সীমার বাইরে বিনিয়োগ করেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হঠাৎ করে সব বাড়তি বিনিয়োগ তুলে নেয়ার আদেশ দেয়ার পরেই মূলত বাজারে ধস নামে।
তবে এবার ব্যাংকের বিনিয়োগ তার সীমার বাইরে-এমন কোনো তথ্য মেলেনি। এই বিশেষ তহবিলের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
ব্যাংকগুলো যত টাকার তহবিল করতে পারত, হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশের মতো।
৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক মিলে ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। একেকটি ব্যাংক গড়ে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি দিয়েছে।
এর পুরোটা এখনও বিনিয়োগ করা হয়নি। এর মধ্যে শেয়ার কেনা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার। হাতে আছে এখনও ১ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা।
অর্থাৎ ব্যাংকগুলোতে যে পরিমাণের তহবিল গঠন হয়েছে, তার ৪৭ শতাংশ বিনিয়োগে এসেছে।
অর্থাৎ বিশেষ তহবিল থেকে যত টাকা বিনিয়োগ হতে পারত, তার ১৪ শতাংশ মাত্র বিনিয়োগ হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ সাইট সুপাভিশন বিভাগ থেকে বিশেষ তহবিল বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালাসংক্রান্ত্র তথ্য প্রতি মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংযুক্ত ছক অনুসারে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাব বা হিসাবগুলোর বিবরণীসহ, তথ্যাদি অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগে দাখিল করতে হবে।
‘এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী ব্যাংক ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে তা সমন্বিত আকারে ছকে সংযোজন ও বিবরণীর সফট কপি দাখিল করতে হবে।’
ছকটির সফট কপি প্রয়োজন অনুসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন হতে সংগ্রহ করার কথা সার্কুলারে বলা হয়েছে।
এর আগে বিশেষ তহবিলে বিনিয়োগের তথ্য ৩ মাস পরপর পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এটা পাঠাতে হতো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের আদেশে বিএসইসির অসন্তোষ
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের তথ্য চেয়ে গত ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেকটি আদেশ আসে। সেই আদেশে খুশি হতে পারেনি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সেই আদেশে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, মুদ্রাবাজারে দৈনিক লেনদেনের তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে হবে। যেখানে নতুন বিনিয়োগ, মোট বিক্রয়মূল্য ও নিট এক্সপোজারের তথ্য দিতে হবে।
দৈনিক মার্জিন ঋণের পরিমাণ, স্থিতি ও সমন্বয়ের পরিমাণ জানাতে হবে। এছাড়া নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির দৈনিক ঋণসীমা, তহবিল ছাড় ও সমন্বয় এবং নিট এক্সপোজারের তথ্য দিতে হবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে এ তথ্য জমা দিতে হয়।
এই নির্দেশনা দেয়ার পর বিএসইসির পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য আসেনি। তবে পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করেন, এমন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নয় বছর আগের একটি নির্দেশনা পাঠিয়ে দেয়া হয় গত ১৫ আগস্ট।
নির্দেশনাটি ছিল পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করা সংক্রান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি করেনি, যদিও তাদের নির্দেশনাটি পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করতে পারত।
পুরনো নির্দেশনা পাঠানোর বিষয়ে সেদিন বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলা বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞজনরা মতামত দিয়ে থাকেন। অনেক সময় কমিশন যে উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করে তার ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
‘এমন অবস্থায় পুঁজিবাজার অভিজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি কমিশনের মতামত নেয়া হলে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে এবং এবং এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও আছে, যেখানে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়টি বলা আছে।’
যে নির্দেশনা ছিল প্রতিষ্ঠান বিভাগের
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১২ সালে জারি করা ‘পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয়’ শীর্ষক আদেশে পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন আটটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত/বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা/সমন্বয়/ পরামর্শ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল-
>> সরকারি কোম্পানি বা কোনো কোম্পানির সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে আসা, না আসা সংক্রান্ত বিষয়।
>> জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোনো কর প্রস্তাব, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ।
>> জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> পুঁজিবাজার বা তৎসংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> পুঁজিবাজারের বিভিণ্ন স্টেক হোল্ডার, যেমন- স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, ডিপোজিটরি, অংশগ্রহণকারী, ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে- কোনো সংস্থা/কর্তৃপক্ষ/সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা বা না করা সংক্রান্ত যে কোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি।
>> তথ্যভিত্তিক নয়, শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে মিডিয়াতে সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কোনরূপ মন্তব্য।
এবং
>> কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে কোন উদ্যোগ নেয়া সম্বপর্কিত তথ্য-যা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য