টানা তিন দিন পতন শেষে উত্থানে ফেরা পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বিমা খাতে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত।
দিনটিতে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত। এইমস বাংলাদেশের দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড গ্রামীণ টু ও রিলায়েন্স ওয়ানে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ না আসায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৪৫ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার বেশি বৃদ্ধি পাওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল স্বস্তির।
আগের তিন কর্মদিবসে ৫৯ পয়েন্ট সূচক কমায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। কারণ, টানা বাড়তে থাকা পুঁজিবাজার সংশোধনে যায় কি না, এই আলোচনার মধ্যে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে এসেছিল। তবে এসব বিতর্কের মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস বিনিয়োগকারীদেরকে যে স্বস্তি দেবে, এটা স্পষ্ট।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিমা, এরপর বস্ত্রখাত
তিন দিন টানা পতন শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পেয়েছেন এই দুই খাতের শেয়ারধারীরা। এর মধ্যে বিমা খাতে দুটি ছাড়া বেড়েছে সব কোম্পানির শেয়ারদর আর বস্ত্র খাতে বেড়েছে প্রায় ৫০টির শেয়ার দর।
লেনদেনে সেরা ছিল বিমা খাত আর দ্বিতীয় অবস্থানে বস্ত্র খাত।
বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫৭ কেটি টাকা। দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে মাত্র দুটির। আগের দিন বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছিল ২৩৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৬১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭ টাকা ১০ পয়সা।
তারপরেই আছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের, যার দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাশং। শেয়ারের দাম ১২৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪১ টাকা ৫০ পয়সা।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৮.৮২ শতাংশ, ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬২ টাকা ৯০ পয়সা।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.৪৮ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৫.২৩ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৫ শতাংশ, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের ৪.৫১ শতাংশ, পপুলার লাইফের দর বেড়েছে ৪.৫১ শতাংশ।
শেয়ারদরের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে বস্ত্র খাতে। এই খাতে হাতবদল হয়েছে ২৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ২৪৯ কোটি ৯ লাখ টাকা।
দিনের সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া দুটি কোম্পানিই এই খাতের। এর মধ্যে লোকসানি ও বন্ধ দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
লোকসানি ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের দর ২৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা আর বন্ধ মিথুন স্পিনিংয়ের দর ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা। দুটো কোম্পানির দরই বেড়েছে ১০ শতাংশ যা এক দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা।
সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৫টি আর ২০টি কোম্পানির ৯টি ছিল বস্ত্র খাতের।
ওটিসি মার্কেট থেকে মূল বাজারে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে ৯.৯৪ শতাংশ বেড়ে।
২০২০ সালের ৬ মে থেকে উৎপাদন চালুর তথ্য ১৫ মাস গোপন করা তাল্লু স্পিনিংয়ের দরও বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। ১১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা।
সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়েছে ২০১৭ সাল থেকে আর্থিক হিসাব না দেয়া তুংহাই টেক্সচাইলের দরও। ৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা।
বন্ধ থাকা সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা।
বোর্ড পুনর্গঠন করে উৎপাদনে নিয়ে আসা রিংসাইন টেক্সটাইলের দর ৭.২৪ শতাংশ, লোকসানি জেনারেশন নেক্সটের দর ৬.৪৮ শতাংশ, আরেক লোকসানি আরএন স্পিনিংয়ের দর ৬.৩২ শতাংশ বেড়েছে।
আগ্রহের নতুন খাত খাদ্য
এই খাতের ২০টি কোম্পানিতে লেনদেন শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়া দিনের উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রায় দ্বিগুণ হয়ে আজ হাতবদল হয়েছে ১৩১ কোটি ৫ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৭টির। বাকি তিনটির দর পাল্টায়নি।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এএফসি অ্যাগ্রোর শেয়ারদর। ৫.৫২ শতাংশ বেড়ে ৩০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে দর হয়েছে ৩২ টাকা ৫০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেড়েছে চার বছর পর উৎপাদন চালুর অপেক্ষায় থাকা এমারেল্ড অয়েলের দর। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিটিকে আবার জাগাতে বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে বিএসইসি।
১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরুর ঘোষণা ছিল। কিন্তু আগের মালিকদের ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা ইস্যুতে তা পিছিয়ে গেছে। নতুন ব্যবস্থাপনায় আসা জাপান প্রবাসী বাংলাদেশির কোম্পানি মিনোরি বাংলাদেশ চাইছে, এই শেয়ার থাকবে তাদের অধীনে। কিন্তু বেসিক ব্যাংক চাইছে ঋণের বিনিময়ে শেয়ার নিতে।
ব্যাংকে লেনদেন বাড়লেও উচ্ছ্বাস নেই, আর্থিক খাত ফিরেছে উত্থানে
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির। দর কমেছে ১০টির। বাকি ১০টি ব্যাংকের শেয়ার দর পাল্টায়নি।
আগের কার্যদিবসে ব্যাংক খাতের লেনদেন হয়েছিল ১২১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ফলে একদিনের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের লেনদেন ৩৫.৩২ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল এনআরবিসি ব্যাংক, যার দর বেড়েছে ৪.০২ শতাংশ। ২৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সা।
এরপরই ছিল এবি ব্যাংক, যার দর বেড়েছে ৩.২৮ শতাংশ। ১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা।
নতুন তালিকাভুক্ত সাউথবাংলার দর ২২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২.৬৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৩ টাকা।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৩৮ শতাংশ। শেয়ার দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা।
ব্যাংকের তুলনায় আর্থিক খাতের ২২ টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে আরও বেশি। মোট ১৮৮ কেটি ৩২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এই খাতে। বেড়েছে ১৫টির দর, কমেছে ৭টির।
এই খাতে মোট কোম্পানি ২৩টি। একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত।
তবে দাম বৃদ্ধি বা কমার হার খুব একটা বেশি নয়। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া বে লিজিংয়ে যোগ হয়েছে ৩.৫৯ শতাংশ। দর ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এইসের ঘোষণায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডে পতন
এই খাতটির ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে জুনে অর্থবছর শেষ করা ২৯টির সব কটি এবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বেশিরভাগ ফান্ডই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তার পরেও দর পতনের বৃত্তে ছিল ফান্ডগুলো।
এর মধ্যে এইমস বাংলাদেশের দুটি ফান্ডের ঘোষণা তৈরি করেছে বিস্ময়। ফান্ডগুলো তৃতীয় প্রান্তিক শেষে আয় ব্যয়ের যে হিসাব দিয়েছিল, তাতে এবার ব্যাপক লভ্যাংশের প্রত্যাশায় ছিলেন ইউনিটধারীরা। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
ফান্ড দুটির মধ্যে গ্রামীণ টু ইউনিটপ্রতি ৬ টাকা ৮ পয়সা আয় করার কথা জানালেও এর মধ্যে রিয়েলাইজড, অর্থাৎ শেয়ার কেনাবেচা করে মুনাফা করেছে ১ টাকা ২১ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
অন্য ফান্ড রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৪ টাকা ৬ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।
লভ্যাংশ ঘোষণার পর রিয়েলাইজড ও আনরিয়েলাইডজ গেনের বিষয়টি সামনে এসেছে। এতদিন ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে প্রান্তিকের হিসাবে বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। আর প্রত্যাশিক লভ্যাংশ না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
গ্রামীণ টু এক দিনেই ইউনিটপ্রতি দাম হারিয়েছে ১৪.২৮ শতাংশ। ২১ টাকা থেকে দাম হয়েছে ১৮ টাকা।
১৩ টাকা থেকে কমে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা।
এনএলআই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। তবে এটি তাদের লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরে। ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।
যারা এই লভ্যাংশ নিয়েছেন, তাদের লাভ হয়নি। কারণ, ইউনিটমূল্যও কমেছে সম পরিমাণ।
লভ্যাংশ বোনাস শেয়ার হলে দাম সমন্বয় হয়। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নগদ লভ্যাংশ সমন্বয়েরও প্রবণতা আছে। এটি বাজারের একটি অযৌক্তিক আচরণ হিসেবেই ধরা হয়।
এইমসের লভ্যাংশ ঘোষণার প্রভাবে গোটা খাতেই দরপতন হয়েছে ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে বেড়েছে কেবল দুটির দর। কমেছে ২৫টির, অপরিবর্তিত ছির বাকি ৯টির দর।
লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৫৮ কোটি ১২ লাখ টাকা।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৮টির। বেড়েছে ৩১টির। লেনদেন হয়েছে ১৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪টির, কমেছে ১৬টি। লেনদেন হয়েছে ১৭৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৫টির, বেড়েছে আটটির। হাতবদল হয়েছে ১৬৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর পতন হয়েছে ১১টির, বেড়েছে ১৯টির। হাতবদল হয়েছে ২০৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫টির। হাতবদল হয়েছে ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদনে হয়েছিল ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৬৯ দশমিক ২৪ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪০৩ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৫৩ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৯৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য