× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BGMEA has strong objections to the new accord
google_news print-icon

নতুন অ্যাকর্ডে তীব্র আপত্তি বিজিএমইএর

নতুন-অ্যাকর্ডে-তীব্র-আপত্তি-বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশের তদারকিতে বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড গঠনের পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
‘আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড এর জারি করা ২৫ আগস্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি অনেকের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যা এই শিল্পের অংশীজনদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। এই বিজ্ঞপ্তিটিকে একটি স্বাধীন সংস্থাকে অবমাননা করার প্রয়াস হিসেবে দেখা যেতে পারে; যে সংস্থাটিকে কিনা উপরোক্ত চুক্তিবদ্ধ পার্টিগুলো (আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশন) নিয়ন্ত্রণ অথবা তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা রাখে না।’

বাংলাদেশে পোশাক খাতের নিরাপত্তা ইস্যুতে আবারও কাজ শুরু করতে অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি বাংলাদেশের (অ্যাকর্ড) ঘোষণাকে বিভ্রান্তিকর মনে করছে বিজিএমইএ।

সরকারের অনুমোদন নিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) সঙ্গে নতুন অ্যাকর্ডের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আগের অ্যাকার্ডের ধারাবাহিকতায় রিটেইল কোম্পানি এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মধ্যে যে নতুন চুক্তি হয়েছে, তা নিয়ে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

সংগঠনটি পরিস্কারভাবে বলেছে, আরএসসি ছাড়া অন্য কারো বাংলাদেশে কাজ করার কোনো অধিকার নেই। আরএসসির সঙ্গে নতুন চুক্তির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই তারা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে কাজ করতে পারবে না।

আরসিসি ছাড়া কারও কোনো কথা পোশাক শিল্পমালিকরা শুনবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

রোববার নতুন অ্যাকর্ড ইস্যুতে বিজিএমইএ এক বিবৃতিতে তাদের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অ্যাকোর্ড এর জারি করা ২৫ আগস্টের প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি অনেকের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যা এই শিল্পের অংশীজনদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।

‘এই বিজ্ঞপ্তিটিকে একটি স্বাধীন সংস্থাকে অবমাননা করার প্রয়াস হিসেবে দেখা যেতে পারে; যে সংস্থাটিকে কিনা উপরোক্ত চুক্তিবদ্ধ পার্টিগুলো (আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশন) নিয়ন্ত্রণ অথবা তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা রাখে না।

‘বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড চুক্তিটি স্বাধীন জাতীয় ত্রি-পক্ষীয় আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিল (আরএসসি) দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে-এ ঘোষণাটি বিভ্রান্তিকর।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তত্ত্বাবধান ও অনুমোদনক্রমে সরকারের অনুমতি নিয়ে একটি স্বাধীন, অলাভজনক সংস্থা হিসেবে অ্যাকর্ড এর কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করার জন্য আরএসসি গঠিত হয়েছিল।

২০২০ সালের ৩১ মে অ্যাকর্ড এর কার্যক্রম শেষ হয়। পরে আরএসসি ১ জুন থেকে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তা সামগ্রিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে।

আরএসসি এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, একটি অভিন্ন ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ প্রণয়নের মাধ্যমে সাধারণ নিরাপত্তা প্লাটফর্ম হিসেবে পোশাক কারখানাগুলোর জন্য একটি টেকসই পরিবেশ সৃষ্টি করা, শিল্পের অর্জনগুলো ধরে রাখা এবং সেইসঙ্গে নিরাপত্তা কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখার জন্য কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন নিশ্চিত করা।

নতুন অ্যাকর্ডে তীব্র আপত্তি বিজিএমইএর
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

নিরাপত্তা বিষয়গুলোতে কারখানার কোনো প্রকার শিথিলতা অথবা এ বিষয়ে কারখানাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘যদিও সার্টিফিকেশন প্রদানের বিষয়ে আরএসসি আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জনে পিছিয়ে আছে, তবে এ পরিস্থিতি উত্তরণে আরএসসি সর্বাত্মকভাবে সচেষ্ট রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সকল স্টেকহোল্ডারদের সমান প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আরএসসি গঠিত হয়, যা একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম। পূর্বের অ্যাকর্ড ২০১৩ এর প্রটোকলগুলো আরএসসিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এ সকল পদক্ষেপের মাধ্যমে আরএসসি তার যোগ্যতা ও কার্যকারিতার প্রমাণ রেখেছে।‘

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আরএসসি বোর্ড শুধুমাত্র তার স্টেকহোল্ডারদের কাছেই জবাবদিহি করতে বাধ্য। এটি একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান, যা বোর্ডের সকলের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে, যেখানে একটি বা দুটি গ্রুপ কোনোভাবেই এর কার্যক্রম প্রভাবিত করতে পারে না। আরএসসি তার সার্বিক কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য। কারণ, সরকার আমাদেরকে তৈরি পোশাক খাতে কারখানার নিরাপত্তা কমপ্লায়েন্স এবং অভিযোগ পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে।’

বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী আইএলও ও ইইউ আরএসসি গঠনের শুরু থেকেই তাদের অনুমোদন দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

‘পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের পোশাক খাতে আরএসসি ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কাজ করার অনুমোদন নেই। পূর্বের স্টিচিং বাংলাদেশ অ্যাকোর্ড ফাউন্ডেশন এবং প্রস্তাবিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকর্ড ফর হেলথ অ্যান্ড সেফটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ফাউন্ডেশন, এ দুটি সংস্থার সঙ্গে আরএসসির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংস্থা দুটি বাংলাদেশ সরকাররের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে কোনো কাজ করতে পারবে না।

‘অধিকন্তু, দেশের বাইরে স্বাক্ষরিত যে কোন চুক্তিতে যদি এমন কোন ধারা বা উপধারা থাকে, যা কি না দেশীয় আইনের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়, তবে বাংলাদেশে সেগুলোর কার্যকারিতা ও বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ থাকবে না এবং আরএসসি তার অর্পিত দায়িত্বের বাইরে কোনো কাজ করবে না।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘যে কোনো প্রকার প্রভাবমুক্ত থেকে আমরা এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই যৌথ উদ্যোগে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রত্যয় নিয়ে আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের অর্জনে গর্বিত এবং টেকসই ও নিরাপদ শিল্প নিশ্চিত করতে সকল সহযোগীদের নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছি, তা আমরা অব্যাহত রাখব।’

অ্যাকর্ড কখন গঠন হয়

২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন এবং ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিয়ে ক্রেতা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। বিদেশি অনেক সংগঠন বাংলাদেশি পোশাক বর্জনের ডাক দেয়।

নতুন অ্যাকর্ডে তীব্র আপত্তি বিজিএমইএর
রানা প্লাজা ধসের পর গঠিত হয় ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড

সেই প্রেক্ষাপটে কারখানা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ, যা সংক্ষেপে অ্যাকর্ড নামে পরিচিতি পায়। আর একই লক্ষ্যে গঠিত আমেরিকার ক্রেতাদের জোট পরিচিতি পায় অ্যালায়েন্স নামে।

পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় রিমেডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল (আরসিসি) গঠন করে সরকার।

এরপর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার কাজ শুরু হয়। দেড় হাজারের বেশি কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন, আগুন থেকে সৃষ্ট দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা, শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে বাস্তবায়ন করা হয় বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা, যেখানে প্রায় ৪০ লাখের মত কর্মী কাজ করে।

বাংলাদেশে আগের সেই অ্যাকর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ অগাস্ট। তার পরদিন থেকেই নতুন চুক্তি কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন:
পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ তদারকিতে নতুন ‘অ্যাকর্ড’
অবশেষে খুলছে স্টাইল ক্রাফট
বিশ্ব বাজারে টিকতে গার্মেন্টসের টেকসই উন্নয়ন দরকার
রোববার থেকে খোলা রপ্তানিমুখী শিল্প
অস্বাস্থ্যকর খাবারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পোশাকশ্রমিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Team Phoenix initiative to establish Cyber ​​Security Center of Excellence and Community SOC CSIRT for the first time in Bangladesh

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স ও কমিউনিটি এসওসি/সিএসআইআরটি প্রতিষ্ঠায় টিম ফিনিক্সের উদ্যোগ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স ও কমিউনিটি এসওসি/সিএসআইআরটি প্রতিষ্ঠায় টিম ফিনিক্সের উদ্যোগ

এপনিক ফাউন্ডেশনের আইএসআইএফ এশিয়া প্রোগ্রামের মর্যাদাপূর্ণ অনুদান অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা খাতে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে টিম ফিনিক্স গ্রুপ। এই অনুদানের সহায়তায় সংস্থাটি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা খাতকে রূপান্তরিত করার এক অগ্রণী উদ্যোগ ‘সিকিউরনেট বিডি’ (SecureNet BD) চালু করতে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো গড়ে উঠবে সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স (CCoE) এবং কমিউনিটি-নির্ভর সিকিউরিটি অপারেশনস সেন্টার (SOC) / কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (CSIRT), যা হবে দেশের ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার হামলা এবং অনলাইন নিরাপত্তা হুমকির সংখ্যা ও জটিলতা অভূতপূর্ব হারে বাড়ছে। বিশেষত বড় শহরের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং কমিউনিটিগুলোতে নিরাপত্তা অবকাঠামো বা প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত। এই প্রেক্ষাপটে সিকিউরনেট বিডি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহযোগিতামূলক এবং কমিউনিটি-চালিত সাইবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশব্যাপী ১,০০০ এরও বেশি ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যার মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ কমপক্ষে ৩০% নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া তৈরি হবে আধুনিক সাইবার রেঞ্জ (Cyber Range), যা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, স্থানীয় গবেষণা এবং বাস্তব সাইবার প্রতিরক্ষা অনুশীলনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে চালু হবে ফেলোশিপ ও মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম, যা ভবিষ্যতের সাইবার নিরাপত্তা নেতৃত্ব গড়ে তুলবে। পাশাপাশি কমিউনিটি এসওসি/সিএসআইআরটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক সংস্থা এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে সাইবার হুমকি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
টিম ফিনিক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অব রিসার্চ এ. এস. এম. শামীম রেজা বলেন, “এই প্রকল্প শুধু প্রযুক্তি নিয়ে নয়, বরং মানুষের ক্ষমতায়নের গল্প। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ও কমিউনিটি-চালিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সিকিউরনেট বিডি সাইবার নিরাপত্তাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে। আমাদের লক্ষ্য, ভবিষ্যৎমুখী কর্মশক্তি তৈরি করা এবং বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সাইবার উদ্ভাবনের কেন্দ্রে রূপান্তর করা।”
সিকিউরনেট বিডি–এর এই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রগতিশীল উদ্যোগ বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশটিকে দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিটি-চালিত সাইবার নিরাপত্তার নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nepal wants relaxation of government obligations on export of raw jute

কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকারি বাধ্যবাধকতা শিথিল চায় নেপাল

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকারি বাধ্যবাধকতা শিথিল চায় নেপাল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সচিবালয়ে তার দপ্তরে গতকাল বৈঠক করে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী। ছবি: পিআইডি

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।

বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার দপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপালে ১১টি জুট মিল রয়েছে। নেপালের জুট মিলগুলো তাদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট আমদানির ওপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করায় মিলগুলো কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানির অনুমতি শিথিল করার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশের পাটপণ্য ও কাঁচাপাটের চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি না করে বাংলাদেশ সেমি-ফিনিশড (আধা-প্রক্রিয়াজাত) পাটপণ্য রপ্তানি করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উচ্চমানের ও পরিবেশবান্ধব সেমি-ফিনিশড পাটপণ্য উৎপাদন করছে। নেপাল এই পণ্যগুলো আমদানি করলে দুই দেশের বাণিজ্য ভলিউম বাড়বে এবং উভয় দেশই লাভবান হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chinese company to set up high end garment factory in Bepza Economic Zone

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে উচ্চমানের পোশাক কারখানা স্থাপন করবে চীনা কোম্পানি

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে উচ্চমানের পোশাক কারখানা স্থাপন করবে চীনা কোম্পানি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের মধ্যে গতকাল রাজধানীর বেপজা কমপ্লেক্সে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

চীনা কোম্পানি অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেড চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে উচ্চ মানসম্পন্ন গার্মেন্ট উৎপাদনকারী একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে ১৯.৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

এ লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল আহসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বেপজার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ৩০ লাখ পিস স্কি, স্নো স্পোর্টস, হান্টিং ও মোটর রাইডার গিয়ার, ইনসুলেটেড শীতকালীন কোট, ডাউন জ্যাকেট ও প্যান্ট, রেইন গিয়ার, ওয়ার্কওয়্যার, রানিংওয়্যার, ইয়োগাওয়্যার, এবং ওয়াটার স্পোর্টসওয়্যার তৈরি করবে।

প্রতিষ্ঠানটিতে ২ হাজার ৭৮৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ জানান এবং সুষ্ঠু ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডসহ এ পর্যন্ত মোট ৪৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাদের মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রায় ১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে। ক্রমাগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কারণে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজ এবং অক্টোবর ৪১২৮ (বিডি) লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Despite the recession foreign investment increased by 615 percent

মন্দার মধ্যেও বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬১.৫ শতাংশ

বিডার প্রতিবেদন
মন্দার মধ্যেও বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৬১.৫ শতাংশ

বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত ও বিনিয়োগে ধীরগতির প্রবণতার মধ্যেও বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থাটির মতে, এই প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে বিদেশি কোম্পানিগুলোর আস্থা বাংলাদেশের বাজারে বাড়ছে এবং তারা ব্যবসা সম্প্রসারণে আরও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কার্যরত লাভজনক বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফার একটি বড় অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করছে। পুনঃবিনিয়োগের পরিমাণও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মুনাফা স্থানান্তর করছে না, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখেই নতুন বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে।

বিশ্বব্যাপী নতুন মূলধনের (গ্রিনফিল্ড এফডিআই) প্রবাহ কমলেও বাংলাদেশে এ খাতে রেকর্ড হয়েছে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। পাশাপাশি বিদেশি মূল কোম্পানিগুলোর স্থানীয় ইউনিটগুলোতে অর্থায়ন বা ইন্টার-কোম্পানি ঋণের হার এক বছরে বেড়েছে ২২৯ শতাংশ।

শুধু ছয় মাস নয়, পুরো অর্থবছরের চিত্রও আশাব্যঞ্জক। জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ অর্থবছরে নিট এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৯ শতাংশেরও বেশি।

এদিকে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেশের পাঁচটি বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা- বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) ও বিসিকের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোম্পানির মোট ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রস্তাবিত বিনিয়োগ। এর মধ্যে ৬৫ কোটি ডলারেরও বেশি এসেছে সরাসরি বিদেশি কোম্পানির পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। আর ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই এ বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ পরিবেশের প্রতি বিদেশিদের আস্থার প্রতিফলন। তাদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে আরও বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Indias exports to the US fell by 40 percent

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি কমেছে ৪০ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি কমেছে ৪০ শতাংশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি কমেছে ২০ শতাংশ। আর গত চার মাসে এই পতনের হার প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া নতুন শুল্ক কাঠামোর পুরোপুরি প্রভাব পড়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। এই শুল্কের মধ্যে রয়েছে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে ভারতের অস্বীকৃতির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা।

দিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির পর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারে পরিণত হয়েছে।

জিটিআরআইয়ের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শ্রমনির্ভর খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, প্রকৌশলজাত পণ্য এবং রাসায়নিক খাত সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। এসব খাতে রফতানি আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ছিল ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বর নাগাদ তা নেমে আসে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পায়। পর পর চার মাস ধরে রপ্তানি কমতে থাকায় ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দীর্ঘ বিরতির পর গত মাসে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা আবার শুরু হয়। চলমান আলোচনার লক্ষ্য আগামী মাসের মধ্যে একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে।

বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। ওয়াশিংটন মনে করছে, এর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো সম্ভব হবে।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে আলোচনা চলছে। বর্তমান মার্কিন প্রশাসন এই সহযোগিতা গভীর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

অবশ্য কৃষি ও দুগ্ধ খাতের বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে এখনও বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে। বহু বছর ধরে ওয়াশিংটন ভারতের কৃষি খাতকে সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে দেখছে। কিন্তু নয়াদিল্লি খাদ্যনিরাপত্তা, কৃষকের জীবিকা ও অভ্যন্তরীণ বাজার রক্ষার কারণ দেখিয়ে এই খাতকে রক্ষা করে আসছে।

কিছু দিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রই ছিল ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২৪ সালে দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য দাঁড়িয়েছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলারে। ট্রাম্প ও মোদি দুজনই এই অঙ্ক ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক শুল্কযুদ্ধ সেই লক্ষ্যকে এখন গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Union Bank has attractive special deposit schemes

ইউনিয়ন ব্যাংকে রয়েছে আকর্ষণীয় বিশেষ আমানত প্রকল্প

ইউনিয়ন ব্যাংকে রয়েছে আকর্ষণীয় বিশেষ আমানত প্রকল্প

সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’র রয়েছে বিভিন্ন মেয়াদি আকর্ষণীয় বিশেষ আমানত প্রকল্প। পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন ব্যাংকের যে কোন একটি আমানত প্রকল্প বেছে নেওয়ার জন্য ১৭৪ টি শাখা ও উপশাখায় আপনাকে স্বাগতম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Workshop on “Integrity and Ethics Practices in Banking” held at Premier Bank

প্রিমিয়ার ব্যাংকে “ইন্টিগ্রিটি ও এথিকস প্র্যাকটিস ইন ব্যাংকিং” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রিমিয়ার ব্যাংকে “ইন্টিগ্রিটি ও এথিকস প্র্যাকটিস ইন ব্যাংকিং” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি ‘ইন্টিগ্রিটি ও এথিকস প্র্যাকটিস ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লার্নিং অ্যান্ড ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে (LTDC) এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আবু জাফর, এবং অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ডাঃ আরিফুর রহমান। তিনি টেকসই ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সততা ও নৈতিকতার গুরুত্বের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রতিটি স্তরে নৈতিক মান, স্বচ্ছতা এবং উত্তম শাসননীতি প্রচার ও বাস্তবায়ন করা। প্রধান কার্যালয় এবং বিভিন্ন শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রমে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখার বাস্তবসম্মত দিকগুলো আলোচিত হয়।

প্রযুক্তিগত অধিবেশনগুলো পরিচালনা করেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি স্বতন্ত্র পরিচালক এম. নুরুল আলম, এফসিএস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর যুগ্ম পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান খান, যুগ্ন পরিচালক, এবং বাংলালিংকের কমপ্লায়েন্স ডিরেক্টর মোহাম্মদ আদিল হোসেন, সিসিইপি। তাঁরা ব্যাংকিং খাতে নৈতিক সংস্কৃতি শক্তিশালীকরণ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধি মেনে চলা এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ বিষয়ে মূল্যবান মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

মন্তব্য

p
উপরে