করোনাভাইরাস মহামারিতে স্থবির হয়েছে উৎপাদন; থমকে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এতে স্বাভাবিকভাবেই সংকুচিত হয়েছে কর্মসংস্থান। তবে দম বন্ধ করা সময়কে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে দুই-একটি প্রতিষ্ঠান। অর্থায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কেউ কেউ। তাদের মধ্যে অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড (এসএফআইএল)।
করোনার মধ্যে যাত্রা শুরু করে দিন দিন বাড়ছে এটির পরিসর। ভালো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে থেকে অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করায় তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা। অল্প কিছুদিনেই আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে; নিশ্চিত হয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা।
এসএফআইএলের এ অগ্রযাত্রার বিষয়ে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতেজা আহমেদ খানের সঙ্গে।
নিউজবাংলা: করোনাকালে কার্যক্রম শুরু করেছে স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। মহামারির মধ্যে এক বছরের কাজ কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ইরতেজা আহমেদ খান: করোনাকালীন এক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে যাত্রা শুরু করলেও আমাদের পরিচালনা পর্ষদ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। আপৎকালীন সময়ে সুন্দর একটা কোম্পানি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিল। পর্ষদের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ আমরা কাজ শুরু করি। নিয়মতান্ত্রিক সব মেনে পথচলা শুরু। এরপর দীর্ঘ লকডাউনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়।
‘স্বচ্ছতার বন্ধন’ স্লোগান সামনে রেখে করোনার মধ্যে শুরু করে এক বছরের এই পথচলায় বেশ সাফল্য অর্জন করেছি। প্রথম চার মাসেই সব নিয়ম মেনে প্রফিট করেছে প্রতিষ্ঠান। এটা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য বিষয়। খুব সীমিত আকারে আমানত সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন বাধার মধ্যে এ সফলতা অনুপ্রেরণামূলক।
ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমিত আকারে গ্রাহক ভালোভাবে যাচাই করেছি। করোনার কারণে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্প, ভৌত অবকাঠামো, হোম লোন, গাড়ি লোনসহ বিভিন্ন কাজে অর্থায়ন করেছি।
১০০ কোটি টাকার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্টে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। পাওয়ার না থাকলে ইন্ডাস্ট্রি সেক্টর উন্নতি করতে পারবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। এর পেছনে পাওয়ার সেক্টরের বড় অবদান রয়েছে।
এক বছরে আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমাদের নিট লাভ ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বিনিয়োগ ১০৬ কোটি টাকা। উৎপাদন, রপ্তানিমুখীসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ দেয়া হয়েছে ৬৭ কোটি টাকা। আমানতের পরিমাণ ৪১৯ কোটি টাকা। এর বাইরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি প্রায় ৪০ জনের ওপরে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) আওতায় একটি বিদেশি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবারে পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে একত্রিত হয়ে কাজ করছি।
স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার ক্ষমতা, আর্থিক সচ্ছলতা, ব্যবস্থাপনা দক্ষতার কারণে ক্রেডিট রেটিংয়ে ভালো অবস্থানে আছি। এটা নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সফলতা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিটা নিয়মকানুন মেনে আমরা কাজ করেছি। প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতার ব্যাপারটায় আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। ‘স্বচ্ছতার বন্ধন’ স্লোগান মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
আমরা ইতোমধ্যে স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড নামে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খোলার অনুমতি পেয়েছি। খুব শিগগিরই পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউস হিসেবে সেবা দিতে পারব।
নিউজবাংলা: নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহে কোনো চ্যালেঞ্জ বা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কি না?
ইরতেজা আহমেদ খান: আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে মনে হয়েছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের পরিচিতি আরও বাড়ানো দরকার। পরিচিত বাড়ালে গ্রাহক পর্যায়ে আমানত সংগ্রহের যে পরিকল্পনা, সেটা বেগবান করা যাবে। বিশেষ কয়েকটি কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অনেকের নেতিবাচক ধারণা আছে।
একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে হলে যে বিষয়গুলো দেখা উচিত, আমরা সেটা আগে তুলে ধরি। কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড কি প্রাতিষ্ঠানিক নাকি ব্যক্তিপর্যায়ে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেয়। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিপর্যায়ের বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সে ক্ষেত্রে সুশাসনে অনেক সমস্যা হয়।
আমাদের ৯৮ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার প্রাতিষ্ঠানিক। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কানাডা ও আমেরিকার সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) রয়েছে। আর বাকি ২ শতাংশ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। ফলে সুশাসন ও ব্যবস্থাপনা পরিধি নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়। এটা আমাদের শক্তি। আমানতকারীদের আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা একটা ভালো উদাহরণ হতে পারে।
নিউজবাংলা: ইদানীং বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। এ জন্য ঋণ বিতরণে আপনাদের পলিসি বিষয়ে কিছু বলুন।
ইরতেজা আহমেদ খান: ঋণ বিতরণে আমরা অনেক সতর্ক। আমানত ৪১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করলেও বিনিয়োগ ও অর্থায়ন করেছি ২০০ কোটি টাকা। এখনও হাতে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আছে। আর্থিক ভিত মজবুত রাখার জন্য এ টাকা হাতে রাখা। বিনিয়োগ বা অর্থায়ন সেখানেই করব যেখানে আমার টাকা আটকাবে না।
ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমিত আকারে গ্রাহক ভালোভাবে যাচাই করে ঋণ দিয়েছি। করোনার কারণে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্প, ভৌত অবকাঠামো, হোম লোন, গাড়ি লোনসহ বিভিন্ন কাজে অর্থায়ন করেছি।
আমাদের নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) শূন্য। আমরা দেখেশুনে ফাইন্যান্স করছি। একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছি। আমানতকারীরা টাকা ফেরত চাইলে যেন সঙ্গে সঙ্গে সেটা দিতে পারি, এটাই আমাদের পরিকল্পনা। আমানত সুরক্ষা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
নিউজবাংলা: নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামনে আপনাদের কী ধরনের কর্মপরিকল্পনা আছে?
ইরতেজা আহমেদ খান: সুন্দরভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলতে হলে মূলধন লাগবে। আমাদের মূলধন হলো আমানত, যেটা গ্রাহকের কাছ থেকে আসে। গ্রাহক ছাড়াও আমানতে বিভিন্ন উৎসের মধ্যে অন্যতম ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ভালো করতে হলে কস্ট অফ ফান্ড কমাতে হবে।
সামনে কস্ট অফ ফান্ড আরও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ আমানত সংগ্রহে বেশি খরচ হলে ঋণ বিতরণ করা যাবে না।
ব্যবসা বহুমুখী করার চিন্তা রয়েছে। শুধু আমানত সংগ্রহ করে সেটা নয়, স্বল্প সুদে বিদেশি ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা আছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা থাকবে। এতে কস্ট অব ফান্ড কমবে। বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
কস্ট অব ফান্ড বা পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য এসব পদক্ষেপ নেয়া হবে। এককেন্দ্রিক না হয়ে অর্থায়নের উৎসগুলো বহুবিধ করা।
স্বল্প সুদে বিভিন্ন প্রগতিশীল, উন্নয়নমুখী ও রপ্তানিমুখী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা সম্প্রসারণে অর্থায়ন করতে পারব। আমরা এটা অর্জন করতে চাই।
টেকসই টেকনোলজি সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই। আমাদের প্রক্রিয়াগুলো অটোমেটেড করতে চাই। গ্রাহক পর্যায়ে ব্রাঞ্চ নয়, মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছাতে চাই। প্রযুক্তিগত সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হবে।
মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে এ কাজ করার পরিকল্পনা আছে।
নিউজবাংলা: শাখা খোলার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
ইরতেজা আহমেদ খান: শাখার খোলার আগে আমরা বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খুলব। ঢাকা শহরকে চারটি জোনে ভাগ করে এটা করা হবে। ঢাকা শহরে দুটি বিজনেস সেন্টার খোলা হবে। সেখানে সেলস স্টাফরা বসবে। সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা থাকবে। তারপর গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার পর শাখা খুলব।
আগামী বছর দুটি শাখা খোলার পরিকল্পনা আছে। তার আগে দুটি সেলস সেন্টার খোলা হবে।
নিউজবাংলা: আপনার গ্রাহকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
ইরতেজা আহমেদ খান: আমরা একটি প্রগতিশীল ও ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। আমরা সেবা নিয়ে গ্রাহকদের স্বচ্ছতার সাথে সেবা দিতে চাই। প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন রাখতে চাই। প্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো বিনিয়োগে, আমানত সুরক্ষার বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ ও সেবা করতে চাই।
দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।
ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।
এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য