× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
I want to serve with transparency
google_news print-icon

স্বচ্ছতার সঙ্গে সেবা দিতে চায় এসএফআইএল

স্বচ্ছতার-সঙ্গে-সেবা-দিতে-চায়-এসএফআইএল
স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতেজা আহমেদ খান। ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যাত্রা শুরু করে এক বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। ভালো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে থেকে অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আস্থা অর্জন করেছে। এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নিউজবাংলা কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতেজা আহমেদ খানের সঙ্গে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে স্থবির হয়েছে উৎপাদন; থমকে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এতে স্বাভাবিকভাবেই সংকুচিত হয়েছে কর্মসংস্থান। তবে দম বন্ধ করা সময়কে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে দুই-একটি প্রতিষ্ঠান। অর্থায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কেউ কেউ। তাদের মধ্যে অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড (এসএফআইএল)।

করোনার মধ্যে যাত্রা শুরু করে দিন দিন বাড়ছে এটির পরিসর। ভালো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে থেকে অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করায় তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা। অল্প কিছুদিনেই আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে; নিশ্চিত হয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা।

এসএফআইএলের এ অগ্রযাত্রার বিষয়ে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতেজা আহমেদ খানের সঙ্গে।

নিউজবাংলা: করোনাকালে কার্যক্রম শুরু করেছে স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। মহামারির মধ্যে এক বছরের কাজ কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

ইরতেজা আহমেদ খান: করোনাকালীন এক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে যাত্রা শুরু করলেও আমাদের পরিচালনা পর্ষদ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। আপৎকালীন সময়ে সুন্দর একটা কোম্পানি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিল। পর্ষদের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ আমরা কাজ শুরু করি। নিয়মতান্ত্রিক সব মেনে পথচলা শুরু। এরপর দীর্ঘ লকডাউনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়।

‘স্বচ্ছতার বন্ধন’ স্লোগান সামনে রেখে করোনার মধ্যে শুরু করে এক বছরের এই পথচলায় বেশ সাফল্য অর্জন করেছি। প্রথম চার মাসেই সব নিয়ম মেনে প্রফিট করেছে প্রতিষ্ঠান। এটা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য বিষয়। খুব সীমিত আকারে আমানত সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন বাধার মধ্যে এ সফলতা অনুপ্রেরণামূলক।

ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমিত আকারে গ্রাহক ভালোভাবে যাচাই করেছি। করোনার কারণে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্প, ভৌত অবকাঠামো, হোম লোন, গাড়ি লোনসহ বিভিন্ন কাজে অর্থায়ন করেছি।

১০০ কোটি টাকার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্টে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। পাওয়ার না থাকলে ইন্ডাস্ট্রি সেক্টর উন্নতি করতে পারবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। এর পেছনে পাওয়ার সেক্টরের বড় অবদান রয়েছে।

এক বছরে আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমাদের নিট লাভ ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বিনিয়োগ ১০৬ কোটি টাকা। উৎপাদন, রপ্তানিমুখীসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ দেয়া হয়েছে ৬৭ কোটি টাকা। আমানতের পরিমাণ ৪১৯ কোটি টাকা। এর বাইরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি প্রায় ৪০ জনের ওপরে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) আওতায় একটি বিদেশি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবারে পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে একত্রিত হয়ে কাজ করছি।

স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার ক্ষমতা, আর্থিক সচ্ছলতা, ব্যবস্থাপনা দক্ষতার কারণে ক্রেডিট রেটিংয়ে ভালো অবস্থানে আছি। এটা নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সফলতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিটা নিয়মকানুন মেনে আমরা কাজ করেছি। প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতার ব্যাপারটায় আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। ‘স্বচ্ছতার বন্ধন’ স্লোগান মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

আমরা ইতোমধ্যে স্ট্রাটেজিক ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড নামে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খোলার অনুমতি পেয়েছি। খুব শিগগিরই পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউস হিসেবে সেবা দিতে পারব।

নিউজবাংলা: নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহে কোনো চ্যালেঞ্জ বা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কি না?

ইরতেজা আহমেদ খান: আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে মনে হয়েছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের পরিচিতি আরও বাড়ানো দরকার। পরিচিত বাড়ালে গ্রাহক পর্যায়ে আমানত সংগ্রহের যে পরিকল্পনা, সেটা বেগবান করা যাবে। বিশেষ কয়েকটি কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে অনেকের নেতিবাচক ধারণা আছে।

একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে হলে যে বিষয়গুলো দেখা উচিত, আমরা সেটা আগে তুলে ধরি। কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড কি প্রাতিষ্ঠানিক নাকি ব্যক্তিপর্যায়ে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেয়। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিপর্যায়ের বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সে ক্ষেত্রে সুশাসনে অনেক সমস্যা হয়।

আমাদের ৯৮ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার প্রাতিষ্ঠানিক। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ কানাডা ও আমেরিকার সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) রয়েছে। আর বাকি ২ শতাংশ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। ফলে সুশাসন ও ব্যবস্থাপনা পরিধি নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়। এটা আমাদের শক্তি। আমানতকারীদের আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা একটা ভালো উদাহরণ হতে পারে।

নিউজবাংলা: ইদানীং বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। এ জন্য ঋণ বিতরণে আপনাদের পলিসি বিষয়ে কিছু বলুন।

ইরতেজা আহমেদ খান: ঋণ বিতরণে আমরা অনেক সতর্ক। আমানত ৪১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করলেও বিনিয়োগ ও অর্থায়ন করেছি ২০০ কোটি টাকা। এখনও হাতে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আছে। আর্থিক ভিত মজবুত রাখার জন্য এ টাকা হাতে রাখা। বিনিয়োগ বা অর্থায়ন সেখানেই করব যেখানে আমার টাকা আটকাবে না।

ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমিত আকারে গ্রাহক ভালোভাবে যাচাই করে ঋণ দিয়েছি। করোনার কারণে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্প, ভৌত অবকাঠামো, হোম লোন, গাড়ি লোনসহ বিভিন্ন কাজে অর্থায়ন করেছি।

আমাদের নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) শূন্য। আমরা দেখেশুনে ফাইন্যান্স করছি। একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছি। আমানতকারীরা টাকা ফেরত চাইলে যেন সঙ্গে সঙ্গে সেটা দিতে পারি, এটাই আমাদের পরিকল্পনা। আমানত সুরক্ষা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

নিউজবাংলা: নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামনে আপনাদের কী ধরনের কর্মপরিকল্পনা আছে?

ইরতেজা আহমেদ খান: সুন্দরভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলতে হলে মূলধন লাগবে। আমাদের মূলধন হলো আমানত, যেটা গ্রাহকের কাছ থেকে আসে। গ্রাহক ছাড়াও আমানতে বিভিন্ন উৎসের মধ্যে অন্যতম ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ভালো করতে হলে কস্ট অফ ফান্ড কমাতে হবে।

সামনে কস্ট অফ ফান্ড আরও কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ আমানত সংগ্রহে বেশি খরচ হলে ঋণ বিতরণ করা যাবে না।

ব্যবসা বহুমুখী করার চিন্তা রয়েছে। শুধু আমানত সংগ্রহ করে সেটা নয়, স্বল্প সুদে বিদেশি ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা আছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা থাকবে। এতে কস্ট অব ফান্ড কমবে। বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

কস্ট অব ফান্ড বা পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য এসব পদক্ষেপ নেয়া হবে। এককেন্দ্রিক না হয়ে অর্থায়নের উৎসগুলো বহুবিধ করা।

স্বল্প সুদে বিভিন্ন প্রগতিশীল, উন্নয়নমুখী ও রপ্তানিমুখী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা সম্প্রসারণে অর্থায়ন করতে পারব। আমরা এটা অর্জন করতে চাই।

টেকসই টেকনোলজি সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই। আমাদের প্রক্রিয়াগুলো অটোমেটেড করতে চাই। গ্রাহক পর্যায়ে ব্রাঞ্চ নয়, মোবাইলের মাধ্যমে পৌঁছাতে চাই। প্রযুক্তিগত সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হবে।

মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে এ কাজ করার পরিকল্পনা আছে।

নিউজবাংলা: শাখা খোলার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

ইরতেজা আহমেদ খান: শাখার খোলার আগে আমরা বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খুলব। ঢাকা শহরকে চারটি জোনে ভাগ করে এটা করা হবে। ঢাকা শহরে দুটি বিজনেস সেন্টার খোলা হবে। সেখানে সেলস স্টাফরা বসবে। সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানোর চেষ্টা থাকবে। তারপর গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার পর শাখা খুলব।

আগামী বছর দুটি শাখা খোলার পরিকল্পনা আছে। তার আগে দুটি সেলস সেন্টার খোলা হবে।

নিউজবাংলা: আপনার গ্রাহকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

ইরতেজা আহমেদ খান: আমরা একটি প্রগতিশীল ও ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। আমরা সেবা নিয়ে গ্রাহকদের স্বচ্ছতার সাথে সেবা দিতে চাই। প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন রাখতে চাই। প্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো বিনিয়োগে, আমানত সুরক্ষার বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ ও সেবা করতে চাই।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Trump is going to implement 5 percent of the tariff on Canada products on August 7

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই কথা জানান।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের এমন ধরনের ২০টিরও বেশি চিঠি গেছে বিশ্বের নানা দেশের নেতার কাছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ এই হুমকিতে আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একইসঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকো উভয়ই ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছে, যাতে উত্তর আমেরিকার তিন দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) আবার সঠিক পথে ফিরে আসে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পুরোনো (নাফটা) বাতিল করে ইউএসএমসিএ চালু করা হয়। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে এর পরবর্তী পর্যালোচনা হওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প নানা দেশে শুল্ক আরোপ করে পর্যালোচনার প্রক্রিয়াই অস্থির করে তুলেছেন।

শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ শুল্ক বসায় কানাডা ও মেক্সিকোর বহু পণ্যের ওপর। কানাডার জ্বালানির ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

বাণিজ্যের পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে যথেষ্ট উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশী এ দুই দেশকে একাধিকবার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

তবে পরবর্তীতে ইউএসএমসিএ চুক্তির আওতায় থাকা পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি ছাড় দেন, যার ফলে বড় পরিসরের পণ্য শুল্কমুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবারের চিঠিটি এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প ও কার্নির মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হচ্ছিল। এমনকি এর আগে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানো নিয়েও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

গত ৬ মে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরের মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনেও আবার দেখা হয় দুই নেতার। সম্মেলনে ট্রাম্পকে বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিশ্বনেতারা।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর কানাডা যে কর আরোপ করেছিল, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ট্রাম্প আলোচনার টেবিল ত্যাগ করলেও পরে আবার আলোচনা শুরুর পথ খুলে যায়।

অন্যদিকে, এনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, যেসব দেশকে এখনো এ ধরনের চিঠি পাঠানো হয়নি, তাদের ওপরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় আছে। সেটিও কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

তিনি জানান, ব্রাজিলের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, যদি এর আগেই কোনো সমঝোতা না হয়।

এনবিসি’কে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হবে ‘আজ বা আগামীকাল (শুক্রবার)’।

এদিকে, ট্রাম্পের হুমকির পর বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে দেশটি পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিতে ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর প্রতি আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jute shrimp export revenue in Khulna is around Tk 1000 crore

খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছর
খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

খুলনা অঞ্চলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাট, পাটজাত পণ্য, চিংড়ি, সবজি ও ফলমূল রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিদেশে নতুন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ায় খুলনা থেকে পাট, পাটজাত পণ্য এবং চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে।

ইপিবি আরও জানায়, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতির কারণেও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি আয় ছিল ৫ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে একই সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১৩ হাজার ১৯ দশমিক ৮০ টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এছাড়া কুচিয়া, কাঁকড়া, সবজি, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।

মাসভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হিসাবে দেখা যায়, খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জুলাইয়ে ৫১৭ কোটি ৬৮ লাখ, আগস্টে ৪৪৭ কোটি ৫৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬০১ কোটি ৯৮ লাখ, অক্টোবরে ৫৬৬ কোটি ৯৬ লাখ, নভেম্বরে ৫২৩ কোটি ১৩ লাখ, ডিসেম্বরে ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ, জানুয়ারিতে ৪২৩ কোটি ৬৫ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪০২ কোটি ৫২ লাখ, মার্চে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ, এপ্রিলে ৫৫০ কোটি ৮৭ লাখ, মে মাসে ৬১১ কোটি ৬৯ লাখ এবং ২০২৫ সালের জুনে ৪২৯ কোটি ১১ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছেন।

খুলনা ইপিবির পরিচালক জিনাত আরা জানান, বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতি, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরে আসায় রপ্তানি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সরকারি পাটকল ও চিংড়ি কারখানা বন্ধসহ নানা কারণে খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি কমে গিয়েছিল।’

পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সম্প্রতি খুলনা সফর করেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, খুলনা অঞ্চল পাট, চিংড়ি ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে তার আগের গৌরব ফিরে পাবে। সরকার বন্ধ থাকা পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে সেগুলো পুনরায় চালু করা যায়।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. আবদুল বাকী বাসসকে বলেন, ‘খুলনার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন দেশে অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে চিংড়ি, পাট, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, খুলনায় মোট ৬৩টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন ও বৈদেশিক চাহিদা কমে যাওয়ায় ৩৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে পাট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ পাট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও পাট ব্যবসায়ী শরীফ ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। খুলনায় এর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেছেন, পতিত সরকার দেশের পাট খাত ধ্বংস করে দিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The adviser to ensure transparency in the preparation of financial reports to increase investment

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরীক্ষক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যখন একটি দেশের ব্যবসা পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পান, তখন তারা সেই অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন।’

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শাসনে এফআরসি’র ভূমিকা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর, ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌলেমানে কুলিবালি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যারা এসব কাজে জড়িত তাদের স্বচ্ছতা ও সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, দেশীয় ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছভাবে এবং যথাযথ তথ্যসহ উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, একটি সুদৃঢ়, সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব ব্যাংকে রিস্ক-বেসড সুপারভিশন (আরবিএস) চালু করা হবে।

মূল প্রবন্ধে এফআরসি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান ও সুশাসন কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল একটি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছে যা আর্থিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা, মূল্যায়ন এবং সঠিক মানদণ্ডে সততা, শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।’

তিনি আরও বলেন, এফআরসি চায় সব পক্ষ যেন পূর্ণ প্রকাশসহ সত্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে, যাতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকৃত ও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব—আয়কর ও ভ্যাট—সংগ্রহ করতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ভুয়া বা মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদনই কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর প্রধান হাতিয়ার।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
World Trade has increased in the first half of 2021 the United Nations

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে: জাতিসংঘ

২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে: জাতিসংঘ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্ব বাণিজ্য প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন (আঙ্কটাড) অর্থনীতিবিদ আলেসান্দ্রো নিকিতা এএফপিকে জানিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে শুরু হওয়া বাণিজ্য যুদ্ধ সত্ত্বেও ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রায় ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে ‘নীতিগত অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ইঙ্গিত, এইসব বিষয় ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাণিজ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে আঙ্কটাড।

নিকিতা বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো ৫ এপ্রিল শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে পণ্যের মজুত করে ফেলায় আমদানির বড় এই বৃদ্ধিটি ঘটেছে।

আঙ্কটাডর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা বাণিজ্যই ছিল প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি।

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রায় ১.৫ শতাংশ বেড়েছে এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ২ শতাংশে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে উন্নত অর্থনীতি উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভালো করেছে। যা সাম্প্রতিক সময়ে গ্লোবাল সাউথের পক্ষে থাকা প্রবণতাকে উল্টে দিয়েছে।’

এই পরিবর্তনের পেছনে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রপ্তানিতে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে।’ তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আমদানি দুই শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার ব্যাপক শুল্ক আরোপের কারণ হিসাবে যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা উল্লেখ করেছেন, তা ‘গত চার প্রান্তিকে আরও গভীর হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৃহত্তর ঘাটতি রয়েছে এবং চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রমবর্ধমান উদ্বৃত্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক বাণিজ্য বিভাজনের ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে আঙ্কটাড জানিয়েছে এখনও স্থিতিস্থাপকতার লক্ষণ রয়ে গেছে। যদিও তা ‘নীতিগত স্পষ্টতা, ভূ-অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সরবরাহ লাইনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new announcement of Trumps tariffs collapsed on the US stock market

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

হঠাৎ করে নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একগুচ্ছ ‘শুল্ক চিঠি’ প্রকাশ করে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (০৭ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুরে প্রকাশিত এসব চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন আমদানি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে।

চিঠি প্রকাশের পরপরই এর প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে দেখা দেয় বড় ধস। ডাও জোন্স সূচক পড়ে যায় ৪২২ পয়েন্ট, আর নাসডাক ও এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক যথাক্রমে ০.৯ শতাংশ ও ০.৮ শতাংশ কমে যায়।

বিশ্ববাজারেও এর প্রভাব পড়ে। টয়োটা, নিসান, হোন্ডা, এলজি ও এসকে টেলিকম-এর মতো কোম্পানির শেয়ারের দাম তাৎক্ষণিকভাবে কমে যায়। কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার ৭ শতাংশ পর্যন্ত দরপতনের মুখে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ কৌশলবিদ রস মেফিল্ড সিএনএনকে বলেন, প্রস্তাবিত শুল্কের হার বাজারের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন।

শুল্ক ঘোষণার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডের বাজারেও চাপ পড়ে। ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ৩০ বছর মেয়াদি বন্ডের হার বেড়ে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়ায়।

ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ব্রিকস জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা দেশগুলোর ওপরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তার দাবি, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি অনুসরণ করছে এবং তার শুল্কনীতির অযৌক্তিক সমালোচনা করছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইউএস ডলার ইনডেক্স বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এর ফলে জাপানি ইয়েন, দক্ষিণ কোরীয় ওয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান র‌্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি প্রধান মুদ্রা ডলারের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে এশিয়ার কিছু শেয়ারবাজারে সাময়িক চাঙাভাব দেখা গেছে, এবং সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও কিছুটা উত্থান দেখা দিতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি শুধু বাণিজ্য সম্পর্কেই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির ভারসাম্যেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Formation of a special committee in customs to remove the goods left at Chittagong port

চট্টগ্রাম বন্দরে ফেলে রাখা পণ্য সরাতে কাস্টমসে বিশেষ কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম বন্দরে ফেলে রাখা পণ্য সরাতে কাস্টমসে বিশেষ কমিটি গঠন

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিষ্পত্তিহীন পণ্য দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ বা ধ্বংসের মাধ্যমে সরানোর জন্য একটি ‘নিলাম কমিটি’ গঠন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ আদেশে গঠিত এ কমিটি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যানবাহন ব্যতীত ফেলে রাখা সব পণ্য নিষ্পত্তির মাধ্যমে সরিয়ে ইয়ার্ড খালি করবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ শফিউদ্দিন এক অফিস আদেশে জানান, নিলাম কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁঞা। সদস্য হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মো. রুহুল আমিনসহ কাস্টম হাউসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন নিলাম শাখার উপ বা সহকারী কমিশনার।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন মেনে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা অখালাসকৃত, বাজেয়াপ্ত অথবা অনিষ্পন্ন পণ্য দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়রোধই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এই কমিটি দ্রুত নিলাম ও ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কন্টেইনার জট নিরসন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পণ্যের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Airline Bangladesh Airlines Monitor Airline of the Year 2021 earns 5 medals

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’– এ ৫টি পদক অর্জন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘মনিটর এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার ২০২৪’– এ ৫টি পদক অর্জন

শেয়ারট্রিপ ও মনিটরের যৌথ উদ্যোগে এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০২৪ শীর্ষক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গোল্ড পদকসহ মোট ৫ টি পদক লাভ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দীর্ঘ দূরত্বের আন্তর্জাতিক পথে ফ্লাইট পরিচালনা, ইকোনমি ক্লাসে শ্রেষ্ঠ ইনফ্লাইট খাবার, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স ব্র্যান্ডস ক্যাটাগরিতে গোল্ড পদক পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়াও বেস্ট ইম্প্রুভড এয়ারলাইন্স ও অভ্যন্তরীণ পথে ফ্লাইট পরিচালনায় যথাক্রমে সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

মন্তব্য

p
উপরে