পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে উৎপাদন চালুর তথ্য গোপন করে এর পরিচালকদের কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কোম্পানিটি বস্ত্র খাতের তাল্লু স্পিনিং। ২০২০ সালের ৩১ মে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়া নোটিশে তারা জানায়, ওই বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধ। আর করোনার পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেটি আবার চালু হবে।
এরপর কোম্পানির তিনজন পরিচালক গত এক বছরে মোট ৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার কিনেছেন বাজার থেকে।
১৫ মাস পরে এসে রোববার এই কোম্পানিটি আবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়, ২০২০ সালের ৬ মে থেকে কারখানা চালু আছে। অথচ এর ২৫ দিন পর কারখানা বন্ধের সেই নোটিশটি এসেছিল।
আবার কারখানা গত বছরের ৬ মে থেকে যে চালু, সেটি গত ১৫ জুলাইও কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া জবাবে জানানো হয়নি।
কারখানার উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে গিয়েছিল। আর সম্প্রতি হঠাৎ করেই টানা বাড়তে বাড়তে তা প্রায় ১৩ টাকা হয়ে যায়।
বন্ধ একটি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে এত হুলুস্থুল হয়ে হওয়ার কী কারণ, এ নিয়ে দুবার তাল্লুকে নোটিশ করে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। তার জবাবেও কোম্পানির উৎপাদন চালুর বিষয়ে তথ্য না জানিয়ে বলা হয়, তাদের পক্ষে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
রোববারের নোটিশে যে প্রশ্ন
২০২০ সালের ৩১ মে তাল্লু কর্তৃপক্ষ ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে নোটিশ দেয়। জানানো হয়, ৭ এপ্রিল কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।
এই সিদ্ধান্ত জানানোর সময় পুঁজিবাজারে লেনদেন স্থগিত ছিল। জুলাইয়ে লেনদেন আবার চালু হলে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ টাকা ৭০ পয়সায় নেমে আসে।
প্রায় এক বছরে সেখান থেকে শেয়ারমূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়। গত ৫ মে দাম ছিল ৪ টাকা। সেখান থেকে হঠাৎ করেই দামে উল্লম্ফন হয়।
বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর তড়তড় করে কেন বাড়ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ তাল্লুকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় গত ১৪ জুলাই।
এই নোটিশের জবাবে পরদিন তাল্লু জানায়, তাদের কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এই নোটিশ দেয়ার আগে ৯ কর্মদিবসের মধ্যে ৭ কর্মদিবসই বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দর। একটি বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর এভাবে বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না, সে প্রশ্ন বড় হয়ে ওঠে।
গত ২৭ জুন দাম বৃদ্ধি শুরুর দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। আর নোটিশ দেয়ার দিন মূল্য ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
তৃতীয় দফায় মূল্য উল্লম্ফন শুরু হয় ৩ আগস্ট থেকে। ৬ কর্মদিবসে ৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৬০ পয়সা হয়ে যায়, দাম বাড়ে ৫৯ শতাংশ।
এই কোম্পানির হঠাৎ কী হলো, এমন প্রশ্নে ২২ আগস্ট আবার তাল্লুকে নোটিশ দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
এই নোটিশের জবাব আসে এক সপ্তাহ পর।
রোববার লেনদেন শুরু হওয়ার আগে আগে স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের জন্য তাল্লুর জবাবটি পোস্ট করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ৬ মে থেকে তাল্লুর কারখানা চালু আছে, যেটি লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
তাল্লুর যে যুক্তি
পুঁজিবাজারে কোম্পানির যেকোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করতে কোম্পানি বাধ্য। অথচ কোম্পানি বন্ধ করার তথ্য দিলেও কোম্পানি চালু করার বিষয়টি গোপন রাখা, ১৫ মাস পর সেটি জানানোর বিষয়ে প্রশ্নে তাল্লুর কোম্পানি সচিব মমিনুর রহমান দেন আরেক ধরনের ব্যাখ্যা।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোম্পানি পুরোদমে কখনও বন্ধ ছিল না। করোনার কারণে কোম্পানির উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল। যেহেতু সেটি বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তাই সেটি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা পরবর্তী সময়ে আবার চালু করা হয়েছে ৬ মে ২০২০।’
কোম্পানির উৎপাদন চালু করে গোপন রাখা হলো কি না- এমন প্রশ্নে বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ রেখেছিলাম এবং সে সময়ই নোটিশে বলে দেয়া হয়েছিল, সরকারের লকডাউনের সময়সীমা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। ফলে সরকার যখন লকডাউন তুলে নিল, তখন আমরা উৎপাদন চালু করেছি। ফলে এটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের মধ্যে পড়বে না।’
তাহলে এখন কেন জানালেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম নোটিশে সবকিছু স্পষ্ট করে বলে দেয়া হলেও বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ, সেটিকেই গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা প্রায়ই আমাদের কাছে ফোন করে জানতে চান, কোম্পানি চালু হয়েছে কি না। কিন্ত আমাদের কোম্পানি তো বর্তমানে চালু আছে।
‘বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের বিষয়টি বিএসইসি ও ডিএসইকে জানানোর পর আমাদের একটি নোটিশ করে দিতে বলেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটিশ করা হয়েছে।'
তিনি আবারও বলেন, 'এটি কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নয়।’
কোম্পানি সচিব এ কথা বললেও গত ১৪ জুলাই ডিএসইর আগের নোটিশের পর কেন জানানো হয়নি- এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তার কাছে পাওয়া যায়নি।
‘এই জবাব গ্রহণযোগ্য নয়’
তাল্লুর কোম্পানি সচিবের এই ব্যাখ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ রাখা যেতে পারে। কারণ সে সময় সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমন্বয় করেই সবকিছু পরিচালিত হয়ে আসছিল। শুধু তাল্লু নয়, সব কোম্পানির উৎপাদন সে সময় ব্যাহত হয়েছিল। যেহেতু কোম্পানিটি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল, সেহেতু চালু করার মাত্রই তাদের উচিত ছিল আগের নোটিশের ধারাবাহিকতায় আরও একটি নোটিশ করার।’
তিনি বলেন, ‘এতে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। বিষয়টি তথ্য গোপনের পর্যায়েও পড়ে।’
টানা চার বছর লোকসান দেয়া কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারধারীদের। এ ছাড়া ২০১২ সালে রাইট ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পনিটি মূলধন সংগ্রহ করেছিল।
তাল্লু সবশেষ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে। ওই বছর বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারে একটি পেয়েছিলেন লভ্যাংশ হিসেবে।
ডিএসই-বিএসইসি কী বলছে
তাল্লুর এই কাজের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তবে অফিসে যাওয়ার পর বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে।’
ডিএসইর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘এটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের মধ্যেই পড়ে। তবে কোম্পানি কেন বিষয়টিকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বলছে না, সেটি দেখতে হবে।’
বন্ধ থাকার সংবাদ আসার পর পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়
কোম্পানির উৎপাদন চালু- এই বিষয়টি যখন জানা ছিল না, সে সময় তাল্লুর পরিচালক আতিকুল হক গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে এই শেয়ার কেনা হবে বলে জানানো হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জানানো হয় আতিকুল তার শেয়ার কেনা শেষ করেছেন।
শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়ার দিন দাম ছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা আর কেনা শেষ করার কথা জানানোর দিন দাম ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। এই সময়টায় দাম সর্বোচ্চ ছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
আরেক পরিচালক রাবেয়া খাতুনের ১০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা আসে ১০ ডিসেম্বর। তিনি এই শেয়ার কিনে শেষ করেছেন বলে ঘোষণা আসে ৮ ফেব্রুয়ারি।
তৃতীয় যে পরিচালক শেয়ার কিনেছেন, তিনি হলেন রফিকুল হক। তিনি গত ১০ ডিসেম্বর ২ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন। তিনিও গত ৮ ফেব্রুয়ারি শেয়ার কেনা শেষ করার তথ্য জানান।
সেদিন থেকে শেয়ারের দর বেড়েছে ৭ টাকা বা ১৭০ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য