× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Recommendations of 126 second class non cadres were rejected
google_news print-icon
৩৮তম বিসিএস

দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডারে ১২৮ জনের সুপারিশ বাতিল

দ্বিতীয়-শ্রেণির-নন-ক্যাডারে-১২৮-জনের-সুপারিশ-বাতিল
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদের অনলাইন আবেদনপত্র জমা না দেয়ায় অনেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

৩৮তম বিসিএসে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে ১২৮ জনের সুপারিশ বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) নিয়োগবিধির শর্ত অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদের অনলাইন আবেদনপত্র জমা না দেয়ায় তাদের সুপারিশ বাতিল করা হয়।

বিপিএসসি থেকে বুধবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পদস্বল্পতায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণিতে (দশম গ্রেড) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ৪৩ ক্যাটাগরির বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ১ হাজার ১৩৯ জন প্রার্থীকে বিপিএসসি গত ৩০ জুন সুপারিশ করে।

সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী নন-ক্যাডার পদের অনলাইন আবেদনপত্র জমা না দেয়ায় অনেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

আরও পড়ুন:
৪৩তম বিসিএস: প্রিলিতে শ্রুতলেখকের জন্য আবেদন আহ্বান
৪০ তম বিসিএস: মৌখিক পরীক্ষা আগামী মাসে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The administration is silent on the beating of the Chhatra League leader in the torture cell of Jabi Hall

জাবি হলের ‘টর্চার সেলে’ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, প্রশাসন নীরব

জাবি হলের ‘টর্চার সেলে’ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, প্রশাসন নীরব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর হলের কক্ষ দখল করে প্রতাপ চালিয়ে যাচ্ছেন আরমান খান যুব। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনের ওপর এই নির্যাতন চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন ছোট ভাই আরমান খান যুব ও তার সহযোগীরা। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও হলের কক্ষ দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন এই যুব। একইসঙ্গে চালাচ্ছেন মাদকের কারবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে এবার নির্যাতন চালানো হয়েছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে। প্রহারের পর ভুক্তভোগীর শরীরে মদ ঢেলে তাকে মাদকাসক্ত সাজানোরও চেষ্টা করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন ছোট ভাই আরমান খান যুব ও তার সহযোগীরা এই নির্যাতন চালিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও হলের কক্ষ দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন এই যুব। চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের কারবার।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান ইমনকে ক্যাম্পাসে মওলানা ভাসানী হলে নিজের ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে দফায় দফায় মারধরের পাশাপাশি ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে গালাগালি করেছেন’ মর্মে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। একইসঙ্গে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে শরীরে পিস্তল ঠেকিয়ে ঘটনা প্রকাশ না করার হুমকি দেয়া হয়।

বুধবার ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা আঁচ করতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে ফল হয়েছে উল্টো। অভিযুক্তদের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে গেছেন প্রক্টর।’

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে প্রক্টরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে ফোন ধরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর থেকে তিনি আর সাড়া দেননি।

ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।

জাবি হলের ‘টর্চার সেলে’ ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, প্রশাসন নীরব
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান ইমন। ছবি: নিউজবাংলা

বুধবার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অমানুষিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী (২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ) আরমান খান যুব ছাড়াও রয়েছেন ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের আরাফাত, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তুষণ ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি।

এদের মধ্যে আরমান খান যুব বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ক্যাম্পাসে ‘র‌্যাগের রাজা’ নামে তার পরিচিতি রয়েছে। কয়েক বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হলেও তিনি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের একটি কক্ষ দখল করে রেখেছেন।

আরমান খান যুব’র বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সিন্ডিকেট ও মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ‘টর্চার সেল’ পরিচালনার অভিযোগ বেশ পুরনো। মাদক কারবারি ও বহিরাগতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করার ঘটনাও অনেকের মুখে মুখে।

জাহিদ হাসান ইমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘১৩ আগস্ট সাভারের রেডিও কলোনির বউবাজার এলাকার ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার মনোমালিন্য হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আমাকে ফোন দিয়ে আরমান খান যুবর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন বাড়ির মালিকের পূর্বপরিচিত আরাফাত।

‘আমি যুবর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে আমাকে মওলানা ভাসানী হলের সামনে যেতে বলা হয়। রাত ১২টার দিকে সেখানে গেলে আমাকে মোটরসাইকেল হলের ভেতরে রেখে ১২৬ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন যুব।’

ইমন বলেন, ‘আমি কক্ষে ঢুকতেই ঘুষি মেরে আমার নাক ফাটিয়ে দেন যুব। আমি যাতে চিৎকার করতে না পারি সেজন্য কাপড় দিয়ে আমার মুখ বেঁধে ফেলেন আরাফাত। পরে যুব ও আরাফাতসহ সেখানে উপস্থিত অন্যরা আমাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন।

‘আমাকে এক দফা মারধরের পর ইয়াবা সেবন করেন যুব। পরে সবাই মিলে আবারও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। এছাড়া আমার শরীরে মদ ঢেলে উল্লাস করতে থাকেন ওরা।’

ইমন জানান, দফায় নির্যাতনের পর রাত ৩টার দিকে তাকে হলের দ্বিতীয় তলার ২২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে তাকে পরিষ্কার-পরিছন্ন হয়ে আসতে বলেন তুষণ। এরপর ‘ইমন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে গালাগালি করেছেন’ বলে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেন। এমনকি মোবাইল ফোনে তার ভিডিও ধারণ করে রাখেন তুষণ। পরে তাকে ফের ১২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মারধরের ঘটনা কাউকে না জানাতে ইমনের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন অভিযুক্তরা। কিছুক্ষণ পর আকতারুজ্জামান সোহেল ওই কক্ষে গিয়ে ইমনকে বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেও ইমনকে আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগী ইমন বলেন, ‘ঘটনার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে বিষয়টির ব্যাপারে আগে থেকে অবহিত করেছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিতে মারধরের ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পরদিন সকালে প্রক্টরের বাসায় যাই। তবে সেখানে গিয়ে দেখি যে আকতারুজ্জামান সোহেল প্রক্টরের বাসায় অবস্থান করছেন।

‘আমাকে ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে (গেস্টরুম) গিয়ে বসতে বলেন তিনি। এ অবস্থায় প্রক্টরের ওপর ভরসা না পেয়ে আমি চলে আসি। এরপর মারধরের বিষয়টি আল নাহিয়ান খান জয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানিয়েছি।’

ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘মারধর-পরবর্তী নানা ঘটনায় প্রক্টরের ওপর আমার ভরসা উঠে গেছে। নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেইনি। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের জানিয়েছি। তবুও ঘটনার বিচার করতে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বিচার না পেয়ে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছি। কারণ ওই রাতের ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আরমান খান যুব ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুসাইন মো. সায়েম বলেন, ‘হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে সাবেক শিক্ষার্থীরা থাকে, বিষয়টি আমি জানি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে মারধরের ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে ফোন করলে তিনি ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন:
জাবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগের বাধা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no electricity for two consecutive days

টানা দুই দিন ১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকবে না জবিতে

টানা দুই দিন ১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকবে না জবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কিট মেরামত এবং ১৩ তলা-বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবনের এমডিবিতে বৈদ্যুতিক কাজের প্রেক্ষিতে বারো ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।

সাব-স্টেশন লাইনের ক্যাবল পরিবর্তনসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য আগামী ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে তার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কিট মেরামত এবং ১৩ তলা-বিশিষ্ট অ্যাকাডেমিক ভবনের এমডিবিতে বৈদ্যুতিক কাজের প্রেক্ষিতে বারো ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।

বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেনারেটরের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন ল্যাব কক্ষ, ইন্টারনেট সার্ভার রুমসহ কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও হলে তা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ওভারহেড লাইনের বৈদ্যুতিক তার পরিবর্তনসহ অন্যান্য কাজের জন্য চলতি বছরের ২১ ও ২৮ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

আরও পড়ুন:
জবিতে বিবাহিত-অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়ার আদেশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
প্রাচীর নির্মাণে ধীরগতিতে অপেক্ষা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের
বিবাহিত-অন্তঃসত্ত্বা জবি ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal Notice Says Discriminatory Provisions Without Halls for Married Pregnant Students

জবিতে বিবাহিত-অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়ার আদেশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

জবিতে বিবাহিত-অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়ার আদেশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটিই জবির একমাত্র ছাত্রী হল। ফাইল ছবি
লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘আমি কারোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে না, সংবাদমাধ্যমে খবরটি দেখার পর আমি নিজে থেকে এই নোটিশ পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালাও যদি এই রকম কিছু থেকে থাকে, তাহলে সেই বিধিমালার সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ২৮ (১) (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাংঘর্ষিক। আর সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন বা বিধিমালা বাতিল হয়ে যায়।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অবস্থানরত বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের দ্রুত হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশটি ‘বৈষম্যমূলক বিধান’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও হল প্রভোস্টের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সোলায়মান তুষার বুধবার এ নোটিশ ডাক ও ইমেইলে করে পাঠিয়েছেন।

লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, বিবাহিত ও গর্ভবতী হওয়ার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীরা আবাসিক সিট পাবে না বলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলী এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা-২০২১ এর ১৭ নং ধারা মোতাবেক বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা আবাসিক সিট পাবে না বিধায় তারা অতি দ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবে। অন্যথায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই মর্মে গত ২৫ সেপ্টেম্বর হলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উক্ত বিধানের ফলে কার্যত বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা হলের আবাসিক সুবিধা গ্রহণ করে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে ছাত্রীদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বৈষম্যমূলক বিধান থাকার বিষয়টি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।’

নোটিশে সোলায়মান তুষার বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং ২৮ (১) (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা অন্য স্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না। রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন। বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীদের জন্য এমন নিয়ম নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথে অন্তরায় এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক বিধানটি বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব।’

এ বিষয়ে আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘আমি কারোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে না, সংবাদমাধ্যমে খবরটি দেখার পর আমি নিজে থেকে এই নোটিশ পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালাও যদি এই রকম কিছু থেকে থাকে তাহলে সেই বিধিমালার সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ২৮ (১) (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাংঘর্ষিক। আর সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন বা বিধিমালা বাতিল হয়ে যায়।’

জানতে চাইলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার বলেন, ‘আমি এখনও হাতে নোটিশ পাইনি। আর হল থেকে যে নোটিশ দেয়া হয়ছে, তা বিধিমালায় রয়েছে। এর বাইরে তো কিছু করিনি।

‌‘আমি বিবাহিত কিংবা গর্ভবতী যারা তাদের তো সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু আইনি নোটিশ কেন দেয়া হবে বুঝলাম না। যারা বিবাহিত আছে তাদেরকে আবারও নোটিশ দিয়ে হল থেকে নামিয়ে দেয়া হবে। আর বিষয়টি (আইনি নোটিশ) আমাদের মধ্য থেকেই কেউ করেছে। আমি খুঁজে বের করব।’

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অবস্থানরত বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের অতি দ্রুত হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। একই সঙ্গে মাস্টার্সের ফল প্রকাশ হওয়া আবাসিক ছাত্রীদেরও হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা ও চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বাসে র‌্যাগিং ঠেকাতে জবি প্রশাসনের অভিনব নির্দেশনা
বিয়ের ২৭ বছর পর আলাদা হওয়ার কথা জানালেন হিউ জ্যাকম্যান
সিনিয়রদের উৎপাতের ভিডিও করায় জাবি শিক্ষার্থীকে মারধর
জবির সেই ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
জবি’র শিক্ষার্থী না হয়েও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Send the teachers ironing board to the student in Dhaka

মাদ্রাসা শিক্ষকের ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, শিক্ষার্থীকে ঢাকায় প্রেরণ

মাদ্রাসা শিক্ষকের ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, শিক্ষার্থীকে ঢাকায় প্রেরণ অভিযুক্ত মুহতামিম মো. সাইফুল ইসলাম হাবিব ও আহত শিক্ষার্থী। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
খেলার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর তার পরণের লুঙ্গি খুলে যায়। এর শাস্তি হিসেবে ওইদিন রাতে মুতামিম তাকে অফিসে নিয়ে শিক্ষক আতিকুল এবং তিন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তার নিতম্ব এবং পায়ের তলায় গরম ইস্ত্রি লাগিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেন।

গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর দুই নিতম্ব এবং পায়ের তলা পুড়িয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার হোমনায় মাদ্রাসার মুহতামিমের (প্রধান) বিরুদ্ধে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার নয়াকান্দি মমতাজিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় মা হাফেজা বেগম মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. সাইফুল ইসলাম হাবিব, সহযোগী শিক্ষক আতিকুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা করেন। মূল অভিযুক্ত মুহতামিম ও আসামি তিন শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২৮ বছর বয়সী ওই মুহতামিম একই উপজেলার নয়াকন্দি গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার শিক্ষক আতিকুল ইসলাম মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার শ্রীকাইল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক বিশেষ সভায় মঙ্গলবার মুহতামিমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছে, ১০-১২ দিন আগেই পুড়েছে। দুই নিতম্বেই পুড়ে গিয়ে গভীর ঘাঁ হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

নির্যাতিত শিশু আবদুল কাইয়ুম জানায়, ওইদিন সে তার অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাচ্ছলে দুষ্টুমি করছিল। এক ফাঁকে তার পরণের লুঙ্গি খুলে যায়। এর শাস্তি হিসেবে ওইদিন (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মুতামিম তাকে অফিসে নিয়ে শিক্ষক আতিকুল এবং তিন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় তার নিতম্ব এবং পায়ের তলায় গরম ইস্ত্রি লাগিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেন।

ভুক্তভোগীর মা হাফেজা বেগম বলেন, ‘খাবার নিয়ে মাদ্রাসায় গেলে সে আমাকে দেখে কাঁদতে থাকে। ছেলের মানসিক অবস্থা বুঝে তাক বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়িতে এসে সে তার জখমের জায়গা দেখিয়ে পুরো ঘটনা বলে। তারা আমার ছেলের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছে।’

এ বিষয়ে ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। ছেলেটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’

হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আবদুল কাইয়ুমকে গরম ইস্ত্রির ছ্যাঁকা দিয়ে পোড়ার ঘটনায় মুহতামিম হাফেজ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক আতিকুল ইসলামহ আরও তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মা হাফেজা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’

আরও পড়ুন:
গভীর রাতে ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিপীড়ন, মুহতামিম গ্রেপ্তার
মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
ধারাবাহিক বলাৎকার, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One Skill Retake Program for IELTS examinees launched in the country

দেশে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের ওয়ান স্কিল রিটেক প্রোগ্রাম চালু

দেশে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের ওয়ান স্কিল রিটেক প্রোগ্রাম চালু ছবি: সংগৃহীত
এখন থেকে শোনা, পড়া, বলা ও লেখা- কোনো একটি বিভাগে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে ব্যর্থ হলে শুধু ওই বিভাগের জন্য পরীক্ষা দিতে আবেদন করা যাবে।

আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়ে যারা দেশের বাইরে অভিভাসন, চাকরি বা পড়ালেখা করতে যেতে চান, তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো ব্রিটিশ কাউন্সিল। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার এই পরীক্ষায় এতদিন কোনো একটি বিষয়ে আশানুরূপ ফল না আসলে আবার সব বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে হতো পরীক্ষার্থীদের। তবে সেই সমস্যার সমাধান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এখন থেকে শোনা, পড়া, বলা ও লেখা- কোনো একটি বিভাগে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে ব্যর্থ হলে শুধু ওই বিভাগের জন্য পরীক্ষা দিতে আবেদন করা যাবে। ওয়ান স্কিল রিটেক নামের এই পরীক্ষা ব্যবস্থা ভারত, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালু থাকলেও এতদিন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীরা। এটি চালুর ফলে একদিকে যেমন কমবে খরচ, অন্যদিকে সব বিভাগে পরীক্ষার প্রস্তুতির ঝামেলা থেকেও মিলবে মুক্তি।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতি সেকশনের ফরম্যাট ও সময় স্বাভাবিক আইইএলটিএস পরীক্ষার মতোই থাকবে। তবে, বাকি তিনটি সেকশনের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা কাটিয়ে অনেকটা সময় বাঁচাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে আইইএলটিএস অ্যাট দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘গ্রাহকদের ফিডব্যাক অনুযায়ী এই ওয়ান স্কিল রিটেক ফিচারটি চালু করা হয়েছে। আমরা জানি, সঠিক প্রস্তুতি এবং সহায়তার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা সেরা স্কোর অর্জন করতে পারবেন। তবুও যদি কেউ মনে করে থাকেন যে প্রথম চেষ্টায় ইংরেজি দক্ষতার সঠিক মূল্যায়ন পাননি, তারা ওয়ান স্কিল রিটেকের মাধ্যমে শুধু একটি স্কিলে পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, এতে করে পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন হবে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ান স্কিল রিটেক গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদনকারীর মানের সঙ্গে আপস না করেও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আরও সহজ করে তুলতে পারবেন। পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নিয়ে আইইএলটিএস অংশীদাররা গর্বিত।’

আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক দেয়া পরীক্ষার্থীরা একটি দ্বিতীয় টেস্ট রিপোর্ট ফর্ম পাবেন, যা অভিবাসন ও পড়ালেখার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। অর্জনকৃত স্কোরের ভিত্তিতে পুরনো অথবা নতুন টেস্ট রিপোর্টের মধ্যে যেকোনোটাই বেছে নিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।

মূল পরীক্ষার ৬০ দিনের মধ্যে আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক বুক করা যাবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, ‘নতুন এ ফিচার যুক্ত করার ফলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস টেস্ট এখন একমাত্র প্রধান হাই-স্টেকস টেস্ট, যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের সেরা স্কোর অর্জনে সহায়তা করব। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহযোগিতা করে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে তুলতে পেরে আমরা গর্বিত।’

আরও পড়ুন:
যুক্তরাজ্যে শিক্ষাজীবনের প্রস্তুতি বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ব্রিফিং বুধবার
আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়াম নিয়ে এলো ব্রিটিশ কাউন্সিল
ব্রিটিশ কাউন্সিল আইইএলটিএস প্রাইজের আবেদন শুরু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The one year project of Jabis new campus boundary wall has not been completed in two years
কেরানীগঞ্জে জবি’র নতুন ক্যাম্পাস

প্রাচীর নির্মাণে ধীরগতিতে অপেক্ষা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

প্রাচীর নির্মাণে ধীরগতিতে অপেক্ষা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের
প্রকল্পের মেয়াদের দ্বিগুণ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও জবির নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রাচীরের কাজ সম্পন্ন হয়নি। ছবি: নিউজবাংলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার চিঠি দিয়ে আসছি। আমরা ঠিকাদারকে ডেকে পাঠাব। তারা যাতে দ্রুত কাজ শেষ করে সেজন্য আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।’

‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জের তেঘোরিয়া ইউনিয়নে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় ২০১৮ সালে। এর তিন বছর পর প্রায় ৫ হাজার মিটার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চুক্তির কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ। প্রকল্পের মেয়াদ মাত্র এক বছর হলেও তা পেরিয়ে গেছে দুই বছর। প্রকল্পের মেয়াদের দ্বিগুণ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নানা জটিলতায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় আটকে আছে অন্যান্য প্রকল্পের কাজও। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নতুন ক্যাম্পাস পেতে অপেক্ষা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কেরাণীগঞ্জের তেঘোরিয়া ইউনিয়নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রচীর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশে মুজাহিদনগরের প্রবেশ মুখে জমি অধিগ্রহণ এবং সরকারি গাছ কাটা সংক্রান্ত জটিলতায় এখনও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের প্রাথমিক কাজও শুরু করতে পারেনি। একই অবস্থা ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশেও।

পদ্মা সেতু রেললাইনের পাশের এই জায়গায় অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ও বড় বড় পুকুর থাকায় সিসি স্ট্রাকচারের কাজও শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উত্তর পাশে মুজাহিদ নগরে প্রবেশের শুরুতেও এখনও শেষ হয়নি প্রাথমিক কাজ। পশ্চিম পাশে অধিকাংশ জায়গায় কাজ শেষ হলেও রাস্তার জন্য অনেক জায়গায় সীমানাপ্রচীর নির্মাণের কাজ বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেক জায়গায় সিসি স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হলেও এখনও ইট গাঁথুনির কাজ শেষ হয়নি।

প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, পৌনে পাঁচ হাজার মিটার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য ৩০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল এক বছর। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে চুক্তি হওয়ায় এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্প দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এই সময়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় আটকে আছে নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের অন্যান্য কাজও।

সীমানাপ্রাচীরের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় মাটি ভরাট, প্রকৌশল ভবন নির্মাণসহ অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণের কাজও শুরু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বার বার চিঠি দিলেও কাজে কোনো গতি আসছে না। এতে নতুন ক্যাম্পাস পেতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের দীর্ঘ দুই বছরে মাত্র ৬৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি এর পরিমাণ ৮০ শতাংশেরও বেশি। কাজে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ জটিলতার অজুহাত দিলেও তা মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অধিগ্রহণ জটিলতায় ছিল মাত্র ১১ একর জমি। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই বছরে বাকি জায়গার কাজও শেষ করতে পারেনি।

এদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্ল্যানিং ভবন নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার না পাওয়ায় ক্ষোভে ধীরগতিতে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের টেন্ডার পেতে চুক্তির কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করলেও টেন্ডার না পাওয়ায় পরে কাজের গতি কমিয়ে দেয় ঠিকাদার। এতে এক বছরের প্রকল্পে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও অগ্রগতি নেই।

প্রাচীর নির্মাণে ধীরগতিতে অপেক্ষা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের
জবির নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রাচীরের কাজ চলছে। ছবি:নিউজবাংলা

প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি সময় লাগায় এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর আবেদন করার কথা ভাবছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, তবে চুক্তির নিয়মানুযায়ী এক বছর মেয়াদি প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের ঠিকাদার আনোয়ার ব্যাপারী বলেন, ‘সীমানাপ্রাচীরের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ। মুজাহিদ নগরের পাশে কিছু এবং রেললাইনের পাশে এক হাজার ফিটসহ আর মাত্র সাড়ে চার হাজার ফিট বাকি আছে। জমি অধিগ্রহণের কিছু সমস্যা থাকায় আমাদের কাজে দেরি হচ্ছে।

‘অধিগ্রহণ শেষ হলেই মোটামুটি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কাজে দেরি হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ব্যয় বাড়ানোর জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটা প্রস্তাব দেব ভাবছি।’ তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের টেন্ডার না পাওয়ায় কাজে ধীরগতি কি না-এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ঠিকাদার আনোয়ার ব্যাপারী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১১ একর জায়গা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা ছিল সে কারণে সেসব জায়গায় এখনও কাজ শুরু হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি থাকায় অন্যান্য জায়গায়ও তারা কাজ করেনি। এজন্য আরও বেশি দেরি হয়েছে। অধিগ্রহণের ঝামেলা শেষের পথে, আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সীমানা প্রাচীরের কাজ শেষ করতে পারব।’

প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী এই প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির কোনো সুযোগই নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কোনোভাবেই ব্যয় বাড়াবে না।’

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ আলী আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার চিঠি দিয়ে আসছি। আমরা ঠিকাদারকে ডেকে পাঠাব। তারা যাতে দ্রুত কাজ শেষ করে সেজন্য আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।’

আরও পড়ুন:
র‌্যাগিং নিয়ে জবি’র সতর্কতা, প্রমাণিত হলেই স্থায়ী বহিষ্কার
জবিস্থ ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে স্বর্ণা-ফাইয়াজ
ছাত্রী-শিক্ষক শারীরিক সম্পর্ক: তদন্তে চার সদস্যের কমিটি
জবি ছাত্রলীগের ২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ
ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে জবি শিক্ষককে বিভাগীয় সাজা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
CHUBBY JOURNALIST BEHIND INQUIRY COMMITTEE

চবিতে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা তদন্তে কমিটি

চবিতে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা তদন্তে কমিটি মারধরে আহত মোশাররফ শাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। ফাইল ছবি
শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ ও শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রকিবা নবীকে সদস্য করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহর ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার রাতে গঠিত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ জানান, মোশাররফ শাহ-এর ওপর বর্বরোচিত হামলা, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান তুষারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাদিকুর রহমান সাগরকে আহত করার পৃথক তিনটি ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ ও শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রকিবা নবীকে সদস্য রাখা হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দ্বিতীয় কলা অনুষদের সামনে হামলার শিকার হন মোশাররফ শাহ।

মোশাররফের ভাষ্যমতে, মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী।

তিনি বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম বক্তব্য নেয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আমাকে আটকায়। আমাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখান থেকে রব হলে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফা মারধর করে।’

তিনি আরও বলেন, “মারধরের সময় নেতা–কর্মীরা পরবর্তীতে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, 'আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।”

এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শুনেছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি৷ যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র গিয়েছি। তাকে চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাংবাদিকের ওপর চবি ছাত্রলীগের হামলা এ প্রথম নয়। গত ১৯ জুন রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চবিসাস সদস্য ও ঢাকা স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করেন চবি শাখা ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, উপদপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুন অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বহিষ্কার হওয়ার পরও ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যাম্পাসে কর্মরত দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্থা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনা কেন্দ্র থেকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মারুফ ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন:
কানের পর্দা ফেটে গেছে সাংবাদিক মোশাররফের
অছাত্রদের চবির হল ত্যাগের নির্দেশ
সজ্জন ও সচ্চরিত্রবানদের দিয়ে হবে চবি ছাত্রলীগের কমিটি : ইনান
চবির আরও দুই হলে তল্লাশি, বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
জাবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগের বাধা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

মন্তব্য

p
উপরে