× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Will the Rohingyas become permanent?
google_news print-icon

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে

রোহিঙ্গারা-কি-স্থায়ী-হয়ে-যাবে
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীরা। বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর বাস। গত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপও ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে আসছে।

আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশে স্থায়ী হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া ‘মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক’ বা রোহিঙ্গারা। স্থায়ী হচ্ছে রোহিঙ্গাসংকটও।

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ‘সাময়িক আশ্রয় গ্রহণকারী’ হিসেবে উল্লেখ করলেও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা স্পষ্টত দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের হিসাব কষছে।

মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের স্রোত বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরবর্তী বেশ কয়েক দিনে ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা বিভিন্নভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রবেশ করে বলে ইএনএইচসিআরের এক হিসাবে বলা হয়। তবে স্থানীয়দের দাবি, এ দফায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা এর দ্বিগুণ হতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৭ সালেই বাংলাদেশে আসে ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আসা আরও ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়ার বালুখালী ও টেকনাফের উনচিপ্রং ও শাপলাপুর ক্যাম্পে রয়েছে। কিছু রোহিঙ্গাকে সরকার নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে।

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ক্যাম্প। ফাইল ছবি

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করে বাংলাদেশ। কিন্তু গত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। দেশটি টালবাহানা করে প্রত্যাবাসন শুরুতে দেরি করছে।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রত্যাবাসন এখন আরও সুদূরপরাহত বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।

এমন বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ধরনের নাগরিক অধিকার দেয়ার যে প্রস্তাব করেছে বিশ্বব্যাংকসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা, তা এসব আশ্রিতদের স্থায়ী জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনার শামিল বলে মনে করছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্ব মূলত বাংলাদেশেই রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করার স্বপ্ন দেখছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দেয়ার কথা তুলেছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে জমি ক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, ভ্রমণ স্বাধীনতা দেয়ার দাবি করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের ওপর চাপ দেয়ার নৈতিক অধিকার রাখে না। তবুও বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব একটা বড় ধরনের সংকেত।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখনই হতাশ হতে চান না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গার চেয়েও এখন বড় সমস্যা করোনাভাইরাস মহামারি। বর্তমানে মিয়ানমারে এই মহামারি আরও বেড়ে গেছে। মহামারি কমে গেলে…একদিন না একদিন সমাধান হবেই। এর সমাধান না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আসিয়ান ফোরামে তো আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা ফেরাতে যে চুক্তি হয়েছে, সে চুক্তিতেই বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন চায়। যতক্ষণ তা না হয়, ততক্ষণ তো অপেক্ষা করতেই হবে।’

ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘যেহেতু অং সান সু চি এখন ক্ষমতায় নেই, মিয়ানমার সরকারও দুর্বল তার ঘরের ভেতরেই। সু চির দল কিন্তু রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।

‘তারা বলেছে, ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেবে। সময় লাগছে হয়তো, তবে এই ডেভেলপমেন্টগুলো বলে দিচ্ছে, একসময় সমাধান হবে। মহামারি গেলে নজর দেয়া যেতে পারে মিয়ানমারের ওপর।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, কেবল কূটনৈতিক চাপ দিয়ে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা ফেরাতে রাজি করানো যাবে না। অন্য বিকল্পগুলোও বিবেচনা করতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ তো যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের কূটনীতির মূল নীতিও সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রেখে দেয়ার বাস্তবতা নেই। তাদের ফেরত যেতেই হবে। তা ছাড়া মিয়ানমার কিন্তু কখনো বলেনি তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে না, তবে দেশটির বর্তমান অবস্থা রোহিঙ্গা ফেরাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

‘সেখানে সামরিক শাসন চলছে এবং গৃহযুদ্ধের মতো একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে করোনা মহামারিও তাদের জন্য সুবিধা করে দিয়েছে। কারণ এর দোহাই দিয়ে তারা বহির্বিশ্বের চাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে। আমাদের এখন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের বোঝা আজীবন বহন করা সম্ভব নয় বলে গত ৬ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। তারপরও শুধু মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ১ দশমিক ১ মিলিয়ন (১১ লাখ) রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এ জন্য ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বনভূমি নষ্ট করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। এ অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমনের জন্য রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা জরুরি।’

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠক হয় জুনের মাঝামাঝি সময়ে। ছবি: নিউজবাংলা

মিয়ানমার সর্বশেষ যা বলেছিল

রোহিঙ্গা ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর রাজধানী নেপিডোতে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চুক্তির আগে সে সময়ের বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বৈঠক করেন অং সান সু চির সঙ্গে। ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও সু চির কার্যালয়ের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সুয়ে।

চুক্তিতে দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।

গত ৭ আগস্ট আসিয়ান ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান মং লুইন দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমসা সমাধানের কথা বলেন।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সে সময়ের সু চি সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিনকে চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

ওই চিঠির জবাবে ২০ জানুয়ারি কাইয়া টিন চিঠি দেন মোমেনকে। এতে তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

কাইয়া টিন লেখেন, বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পারস্পরিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যেকোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের সমাধান করতে চায়।

মিয়ানমারের মন্ত্রী পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭২ ও ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

১৯ জানুয়ারি চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

রোহিঙ্গা ফেরাতে যত উদ্যোগ

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ফেরাতে নেপিডোতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের পরও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি কেবল মিয়ানমারের অনিচ্ছা ও অসহযোগিতার কারণে। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমারের প্রতিদিন ৩০০ করে প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার কথা ছিল।

প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারার জন্য বাংলাদেশ সরকার বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার যথাযথ দায়িত্ব না নেয়াকে দায়ী করেছেন সেই সময়ের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ফেরাতে আমাদের একটা চুক্তির দরকার ছিল এবং তা হয়েও ছিল। কিন্তু তারপর যেন সবার দায় শেষ হয়ে গেল।

‘বাস্তবায়নের দৃষ্টিকোণ ছিল খুবই লঘু এবং হতাশার। এ ক্ষেত্রে সে সময়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথ রোল প্লে করে নাই। আবার জাতিসংঘ ও তার সব সংস্থা ও সদস্যরা কার্যকর ভূমিকা নেয় নাই। দুই দফায় প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করেও কাউকে প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে নেয়া যায়নি।’

৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছরের ১২ জানুয়ারি সর্বশেষ ২ লাখ ৩৭ হাজার নামের তালিকা হস্তান্তর করেছে ঢাকা।

এর আগে দেয়া হয় ৫ লাখ ৯৩ জনের তালিকা। মিয়ানমার দৃশ্যত এসব তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের নামে কালক্ষেপণের কৌশল নিয়েছে।

তিন বছরে তারা মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার বিষয়ে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৪ হাজারের কোনো তথ্য তাদের জাতীয় তথ্যভান্ডারে নেই বলে দাবি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে
বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর নানামুখী চাপ তৈরি হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

রোহিঙ্গা ফেরাতে চীন-রাশিয়ার উদ্যোগ

রোহিঙ্গা ফেরাতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ছাড়াও একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন। ২০১৭ সালে সেনাচৌকিতে হামলার কথা বলে মিয়ানমারের রাখাইনে যে নজিরবিহীন হামলা করে সে দেশের সেনাবাহিনী, তার বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব সোচ্চার হলেও এ ঘটনাকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও রাশিয়া। তাদের ভেটোতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনা সব প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।

এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাসখন্দে আমার সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ল্যাভরভের বৈঠক হয়েছে। তাদের কাছে আমি এই বিষয়ে কথা বলেছি। আমি তো রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাবও করেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, রোহিঙ্গা ফেরাতে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছে; আরও বলবে।

‘অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, দ্রুত সময়ে তিন দেশের ফিজিক্যাল মিটিংয়ের (সশরীরে উপস্থিত হয়ে বৈঠক) উদ্যোগ নিচ্ছি। সমস্যা হয়েছে ১ ফ্রেব্রুয়ারি সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর থেকে তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে আলোচনার লাইন কেটে গেছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এই অঞ্চলের স্থায়ী শান্তির জন্য জরুরি বলেও স্বীকার করেছে চীন।’

আরও পড়ুন:
বোয়ালখালীতে ৭৪ রোহিঙ্গা আটক
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় আটক ১১
নৌকাডুবিতে মৃত আরও ৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে দাফন
বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি: ৪ দিনে ভাসল ৭ রোহিঙ্গার মরদেহ
বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি: আরও ৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Another 120 people from Libya have been brought back home

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করা আরও ১২৩ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিককে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বাংলাদেশির সবাই বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে (ইউজেড ০২২২) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, প্রত্যাগতদের অধিকাংশই মানবপাচারের শিকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সমন্বিত উদ্যোগে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

দেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম-এর প্রতিনিধিরা তাদের স্বাগত জানান ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিকাংশ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশে অনিবন্ধিতভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। লিবিয়ায় অবস্থানকালে তাদের অনেকেই মানব পাচারকারীদের দ্বারা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

সরকারি কর্মকর্তারা এসব অভিবাসীকে পরামর্শ দেন, যেন তারা অন্যদের এই ধরনের বিপজ্জনক ও অবৈধ পথে বিদেশ গমনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেন এবং ভবিষ্যতে এমন যাত্রা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

পুনর্বাসন সহায়তার অংশ হিসেবে আইওএম প্রত্যেককে নগদ ৬ হাজার টাকা, জরুরি খাদ্য সহায়তা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে লিবিয়ার বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক থাকা অন্যান্য বাংলাদেশির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজ চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

তদন্ত কমিশনের সংবাদ সম্মেলন

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই গুম করা হতো বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি এসব তথ্য জানান। কমিশনে দাখিল করা অভিযোগ বিশ্লেষণে এসব তথ্য দেন তিনি।

তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য যে ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে, তা হলো: ১. গুমের শিকার ব্যক্তিকে হত্যা করা। ২. বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো।৩. তাকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা। ৪. ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, অল্পসংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া।

গুম কমিশনের ২য় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়ার পর আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

গুম কমিশনের সভাপতি বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও বহু অপরাধী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকায় অনেক জোরালো প্রমাণ ও নিদর্শন ধ্বংস, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানারকম ভীতিকর ও আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তবুও বহু ভুক্তভোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সে কাহিনি তুলে ধরেছেন।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সভাপতি আরো বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে গুম একটি সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের ছায়াতলে ইসলামি উগ্রবাদের হুমকিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন ও শাসন দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশে পরিচালিত হয়েছিল। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছিলেন- মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক থেকে সাধারণ জনগণ।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ প্রক্রিয়ায় তারা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করে এবং নির্যাতন ও গোপন আটকের সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করেছিল। এমনকি সাধারণ নাগরিকদের বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছিল।

কমিশন অফ ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ১০ এ(১) ও (২) অনুযায়ী কমিশনে দাখিলকৃত ১৩১টি অভিযোগের বিষয়ে আইন মোতাবেক জিডি রেকর্ডপূর্বক ভিকটিমদের সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব এখন আর অস্বীকার করা যায় না। সকল ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা প্রায় একই ধরনের প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। পদ্ধতিগত নির্যাতন, সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার, একই ধরনের আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের ও একই ধরনের ভাষায় বর্ণনা। বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার এই সামঞ্জস্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ১৯ শতাংশ ফেরত না আসা ১২ জন ভিকটিমের বিষয়ে অগ্রগতি তুলে ধরেছি, যাদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। তাদের গুমের জন্য কারা দায়ী, তা প্রাথমিকভাবে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফিরে না আসা ভিকটিমদের বিষয়ে অপরাধী ও গুমের অপরাধ সংঘটনের স্থানসহ নানাবিধ বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি বা পুরোনো কললিস্ট না পাওয়াসহ নানারকম বিলম্বঘটিত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও কমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে কমিশন সন্ত্রাসবিরোধী যে সব মামলায় অপব্যবহার হয়েছে, তা ন্যায় বিচারের মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার মতো উপযুক্ত কাউন্টার টেরোরিজম মেথড বের করার জন্য দুটি সুপারিশ করা হয়।

এ সময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The accused in the murder case

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছেন হত্যা মামলার এক আসামি।

আসামি শরিফুল ইসলাম (২২) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদের ছেলে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানার জিসান হোসেন (১৪) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার পর সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে মারধর করে ছুটে পালিয়ে যান আসামি শরিফুল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন।

তিনি বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশকে আঘাত করে তিনি পালিয়ে যায় আসামি শহিদুল।

ডিএমপির প্রসিকিশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া ঢিলা করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The 5th Annual Senate Meeting in the BUP

বিইউপিতে ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠিত

বিইউপিতে ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠিত

১৯ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভা বিইউপির বিজয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিইউপির উপাচার্য ও সিনেট চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ মাহ্বুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি।

সভার শুরুতে বিইউপির উপাচার্য ও সিনেট চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ মাহ্বুব-উল আলম বিদায়ী সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং নবনিযুক্ত সদস্যদের স্বাগত জানান। পরে বিইউপির ট্রেজারার এয়ার কমডোর মোঃ রেজা এমদাদ খান, জিইউপি, বিইউপি, এনডিসি, পিএসসি, জিডি(পি), ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ১৩৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ও ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের ১৩৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।

সিনেট সদস্যগণ ট্রেজারার এর বক্তৃতার ওপর আলোচনা করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এছাড়াও সিনেট সভায় ১৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপিত ও সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভাটি সার্বিকভাবে সঞ্চালনা করেন বিইউপির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাব্বি আহসান, এনডিসি, পিএসসি।

সভায় সিনেট চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মাহ্বুব তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিইউপি বয়সে নবীন হলেও এর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকগণের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও গবেষণা ভিত্তিক কার্যক্রমের অর্জনসমূহ জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুনাম বয়ে আনছে। যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নিত হওয়ার লক্ষ্যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একটি সুনির্দিষ্ট Academic Strategic Plan –২০৫০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

Academic Strategic Plan এর মাধ্যমে পাঠ্যক্রমের আধুনিক মান নির্ধারণ, Outcome Based Education (OBE) কারিকুলাম প্রনয়ণ, গবেষণা, উদ্ভাবন, প্রকাশনা ও গবেষণা সহায়তার সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মাননীয় উপাচার্য সকলকে অবহিত করেন যে বিইউপি’র গবেষণাভিত্তিক অগ্রযাত্রায় BUP Research Centre (BRC) অংঙ্গীভূত ফ্যাকাল্টি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে গবেষণা, উদ্ভাবন ও পরামর্শমূলক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। 'Inspiring Innovation for Advancing Knowledge' শ্লোগানকে ধারণ করে, BUP Research Centre, গবেষকদের মানসম্মত গবেষণায় উৎসাহ দিচ্ছে এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রসারের উদ্দেশ্যে বিইউপি থেকে ৫টি জার্নাল প্রতিবছর নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে যা সকলের মাঝে সমাদৃত। সিনেট চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন যে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি একজন সুশৃঙ্খল, নৈতিকতা সম্পন্ন সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিইউপি বদ্ধপরিকর এবং সে লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক গুণাবলি ও আত্মিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সকল প্রোগ্রামের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে Need Based Education - কেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মানসম্মত কারিকুলাম ও শিক্ষা পরিবেশের পাশাপাশি বৈচিত্র‍্যময় সাংস্কৃতিক সান্নিধ্যের গুরুত্বকে সামনে রেখে বিইউপি'তে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, নবপ্রজন্মের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, চরিত্র গঠন ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করতে পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য তুলে ধরে বিইউপি’র বিভিন্ন আলোচনা সভা, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা উল্লেখ করেন।

এই সিনেট সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP does not support the electoral college in the presidential election

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তাবিত ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এই ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কমিশনের যে প্রস্তাব তাতে একটা ইলেক্টোরাল কলেজ করা হবে। এবং প্রায় ওনাদের ভাষ্য অনুযায়ী ৭০ হাজারের মতো ভোটার থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এখানে ভোটার হবেন। এবং রাষ্ট্রপতিকে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ওখানে প্রস্তাব করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে আগের মতোই একমত নয় বিএনপি।

এই কাউন্সিলের জবাবদিহি না থাকায় সমর্থন করে না বিএনপি। এই কাউন্সিলে আরেকটি ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করি আমরা।’

স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হলে ভারসাম্যহীনতা দূর হবে, ফ্যাসিবাদ দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, অন্য সাংবিধানিক পদ, সংস্থা স্বাধীন করতে পারলে সমস্যা থাকবে না।’

বিএনপি মনে করে সুশাসন নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল করা যেতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে তাদের যোগ করা যেতে পারে, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন করা যেতে পারে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মনে করে, দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনগুলো সংস্কারের প্রয়োজন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bhawal Chandipur Agrakhola road is like a death

ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী   
ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

কেরানীগঞ্জের শাক্তা ও তারানগর ইউনিয়নের বুক চিরে চলা ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়কের বেহাল দশায় নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কজুড়ে এখন গর্ত আর ধুলাবালি। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় যানবাহন আটকে যায়, আর শুকনো মৌসুমে উড়ে ধূলোর ঝড়।

রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। ছোট-বড় গর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত হন অনেক পথচারী। অন্যদিকে, যানবাহন চলাচলের অযোগ্য এই সড়কে প্রতিনিয়তই নষ্ট হয়ে পড়ে ভ্যান, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি। আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল, মেকাইল মাদ্রাসা ও অগ্রখোলা কমিউনিটি হাসপাতালের সামনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই যানবাহন ।

সড়কের করুণ অবস্থার কারণে অনেক চালক ও পথচারী এখন পাশের বেলনা, কলাতিয়া ও নয়াবাজার হয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করছেন। এতে সময়, অর্থ ও দুর্ভোগ বাড়ছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেরানীগঞ্জ ছাড়াও নবাবগঞ্জ, দোহার, সিরাজদিখানসহ দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার মানুষ মোহাম্মদপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। অথচ বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটার অবস্থা এমন যে, অটোরিকশা সিএনজিতে ওঠা মানেই কোমর ভাঙা। মাঝে মাঝেই যানবাহন পড়ে মানুষ আহত হয়। স্কুলের বাচ্চারা পর্যন্ত ভয়ে এই রাস্তায় যেতে চায় না। কোন এমপি-মন্ত্রী একবার এই রাস্তা দিয়ে গেলে বুঝত কষ্টটা কেমন।

একই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পণ্যবাহী ট্রাকচালক রাকিব হাওলাদার। তিনি বলেন, একবার গর্তে পড়লে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ট্রাকে থাকা জিনিসপত্র পড়ে যায়, এভাবে থাকলে এই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা সম্ভব নয়। এটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সড়কটি ইতোমধ্যে ডিপিপিতে অনুমোদন পেয়েছে। তাই এখন সংস্কার করা হচ্ছেনা। বছরের শেষ দিকে ২০ ফুট প্রশস্ত করে এবং আরও শক্তিশালী করে কাজ শুরু হবে। তখন রাস্তাটি আরো টেকসই হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, সংস্কার কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত অন্তত গর্ত ভরাট করে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। নইলে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Twenty four bucks the family of four runs a family of four

আড়াইশ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল!

আড়াইশ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল!

একটা ভাঙাচোরা বাইসাইকেলই তার ভরসা। এ সাইকেল চালিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের দুর্গম খাসিয়া পল্লীতে কাজ করে দুই-আড়াইশ টাকা রোজগার করে কিশোর তোফাজ্জল (১৪)। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দী গ্রামের আলী আহমেদ (৬৫) এর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন। পরিবারে সে একমাত্র উপার্জনক্ষম। বাবা হার্টের রোগী, বোন আয়েশা খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন আর বয়োবৃদ্ধ দাদী সমিতা বিবি (৮২) দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী।

তোফাজ্জল কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিনি সকালে ভাঙাচোরা একটি সাইকেল নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের খাসিয়া পল্লীতে কাজে যাই। সন্ধ্যায় ফিরি। যা রোজগার হয়, দুবেলাও খেতে পাইনা। এ দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নাই। প্রতিবেশী ফজল মিয়া, আবু শহীদ এ পরিবারের দুরাবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, প্রকৃতই তারা খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিনজনই অসুস্থ। মাঝে মধ্যে আমরা যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

সরেজমিন তোফাজ্জলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ছোট্ট একটি ঘরে মেঝেয় জীর্ণ-শীর্ণ কাঁথায় শুয়ে আছেন সমিতা বিবি। অপুষ্টি আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় ক্লান্ত। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। যা বললেন বোঝা গেলো, ডালভাত খেয়ে ঈদের দিন পার করেছি। ক্ষিদের জ্বালায় রাতে ঘুম আসে না। একরত্তি নাতি আর কিইবা করবে। তবু যা করছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চাল ডাল আনলে ওষুধ আনতে পারে না। তবু প্রায়ই অনাহারে থাকতে হয়। ঈদে চান্দে প্রতিবেশীরা কেউ খাবার দেয়, কেউ সামান্য টাকা-পয়সা দেয়। এইভাবেই টিকে আছি।

স্থানীয়দের সহযোগিতাই একমাত্র ভরসা। মানুষের সাহায্যে দুমুঠো ভাত খেতে পারেন, যদি কেউ সাহায্যে না করে তাহলে না খেয়েই থাকতে হয়। তার বিলাপে চোখে জল চলে আসে। এ যেন দারিদ্র্যের এক করুণ চিত্র। এই অসহায় নারীর জীবন কাটছে অভাব আর কষ্টে। পা ভেঙে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী। ছেলে আলী আহমেদও হার্টের রোগী। কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। তাই ১৩/১৪ বছরের নাতি তোফাজ্জলের কাঁধেই সংসারের ভার। দুর্গম খাসিয়া পুঞ্জিতে কাজ করে দিনে আয় করে দুই-আড়াইশ টাকা মাত্র। এ টাকায় দুবেলা খাবার যোগানোই মুশকিল। তার ওপর অসুস্থ দাদি, বাবা আর মরার উপর খাঁড়ার ঘা মানসিক প্রতিবন্ধী বড় বোন আয়েশা খাতুন।

ইসলামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ জানান, একসময় তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। কয়েক বছর আগে সরকারি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবারের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোফাজ্জলদের দুরাবস্থা জেনে অনেকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাদের সহায়তা করছেন। তবে বয়োবৃদ্ধ সমিতা বিবি ও মানসিক প্রতিবন্ধী আয়েশা খাতুনের সুচিকিৎসা ও তোফাজ্জলদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ব্যবস্থা জরুরি।

মন্তব্য

p
উপরে