× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Will the Rohingyas become permanent?
google_news print-icon

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে

রোহিঙ্গারা-কি-স্থায়ী-হয়ে-যাবে
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীরা। বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর বাস। গত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপও ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে আসছে।

আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশে স্থায়ী হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া ‘মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক’ বা রোহিঙ্গারা। স্থায়ী হচ্ছে রোহিঙ্গাসংকটও।

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ‘সাময়িক আশ্রয় গ্রহণকারী’ হিসেবে উল্লেখ করলেও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা স্পষ্টত দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের হিসাব কষছে।

মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের স্রোত বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরবর্তী বেশ কয়েক দিনে ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা বিভিন্নভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রবেশ করে বলে ইএনএইচসিআরের এক হিসাবে বলা হয়। তবে স্থানীয়দের দাবি, এ দফায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা এর দ্বিগুণ হতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৭ সালেই বাংলাদেশে আসে ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আসা আরও ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়ার বালুখালী ও টেকনাফের উনচিপ্রং ও শাপলাপুর ক্যাম্পে রয়েছে। কিছু রোহিঙ্গাকে সরকার নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে।

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ক্যাম্প। ফাইল ছবি

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করে বাংলাদেশ। কিন্তু গত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। দেশটি টালবাহানা করে প্রত্যাবাসন শুরুতে দেরি করছে।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রত্যাবাসন এখন আরও সুদূরপরাহত বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।

এমন বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ধরনের নাগরিক অধিকার দেয়ার যে প্রস্তাব করেছে বিশ্বব্যাংকসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা, তা এসব আশ্রিতদের স্থায়ী জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনার শামিল বলে মনে করছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্ব মূলত বাংলাদেশেই রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করার স্বপ্ন দেখছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা বাংলাদেশের কাছে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দেয়ার কথা তুলেছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে জমি ক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, ভ্রমণ স্বাধীনতা দেয়ার দাবি করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের ওপর চাপ দেয়ার নৈতিক অধিকার রাখে না। তবুও বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব একটা বড় ধরনের সংকেত।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখনই হতাশ হতে চান না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গার চেয়েও এখন বড় সমস্যা করোনাভাইরাস মহামারি। বর্তমানে মিয়ানমারে এই মহামারি আরও বেড়ে গেছে। মহামারি কমে গেলে…একদিন না একদিন সমাধান হবেই। এর সমাধান না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আসিয়ান ফোরামে তো আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা ফেরাতে যে চুক্তি হয়েছে, সে চুক্তিতেই বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন চায়। যতক্ষণ তা না হয়, ততক্ষণ তো অপেক্ষা করতেই হবে।’

ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘যেহেতু অং সান সু চি এখন ক্ষমতায় নেই, মিয়ানমার সরকারও দুর্বল তার ঘরের ভেতরেই। সু চির দল কিন্তু রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।

‘তারা বলেছে, ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গাদের অধিকার দেবে। সময় লাগছে হয়তো, তবে এই ডেভেলপমেন্টগুলো বলে দিচ্ছে, একসময় সমাধান হবে। মহামারি গেলে নজর দেয়া যেতে পারে মিয়ানমারের ওপর।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, কেবল কূটনৈতিক চাপ দিয়ে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা ফেরাতে রাজি করানো যাবে না। অন্য বিকল্পগুলোও বিবেচনা করতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ তো যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের কূটনীতির মূল নীতিও সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রেখে দেয়ার বাস্তবতা নেই। তাদের ফেরত যেতেই হবে। তা ছাড়া মিয়ানমার কিন্তু কখনো বলেনি তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে না, তবে দেশটির বর্তমান অবস্থা রোহিঙ্গা ফেরাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

‘সেখানে সামরিক শাসন চলছে এবং গৃহযুদ্ধের মতো একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে করোনা মহামারিও তাদের জন্য সুবিধা করে দিয়েছে। কারণ এর দোহাই দিয়ে তারা বহির্বিশ্বের চাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে। আমাদের এখন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের বোঝা আজীবন বহন করা সম্ভব নয় বলে গত ৬ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। তারপরও শুধু মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ১ দশমিক ১ মিলিয়ন (১১ লাখ) রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এ জন্য ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বনভূমি নষ্ট করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। এ অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমনের জন্য রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা জরুরি।’

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠক হয় জুনের মাঝামাঝি সময়ে। ছবি: নিউজবাংলা

মিয়ানমার সর্বশেষ যা বলেছিল

রোহিঙ্গা ফেরাতে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর রাজধানী নেপিডোতে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চুক্তির আগে সে সময়ের বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বৈঠক করেন অং সান সু চির সঙ্গে। ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও সু চির কার্যালয়ের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সুয়ে।

চুক্তিতে দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।

গত ৭ আগস্ট আসিয়ান ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান মং লুইন দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমসা সমাধানের কথা বলেন।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সে সময়ের সু চি সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিনকে চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

ওই চিঠির জবাবে ২০ জানুয়ারি কাইয়া টিন চিঠি দেন মোমেনকে। এতে তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

কাইয়া টিন লেখেন, বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পারস্পরিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যেকোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের সমাধান করতে চায়।

মিয়ানমারের মন্ত্রী পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭২ ও ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

১৯ জানুয়ারি চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

রোহিঙ্গা ফেরাতে যত উদ্যোগ

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ফেরাতে নেপিডোতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের পরও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি কেবল মিয়ানমারের অনিচ্ছা ও অসহযোগিতার কারণে। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমারের প্রতিদিন ৩০০ করে প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার কথা ছিল।

প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারার জন্য বাংলাদেশ সরকার বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার যথাযথ দায়িত্ব না নেয়াকে দায়ী করেছেন সেই সময়ের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ফেরাতে আমাদের একটা চুক্তির দরকার ছিল এবং তা হয়েও ছিল। কিন্তু তারপর যেন সবার দায় শেষ হয়ে গেল।

‘বাস্তবায়নের দৃষ্টিকোণ ছিল খুবই লঘু এবং হতাশার। এ ক্ষেত্রে সে সময়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথ রোল প্লে করে নাই। আবার জাতিসংঘ ও তার সব সংস্থা ও সদস্যরা কার্যকর ভূমিকা নেয় নাই। দুই দফায় প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করেও কাউকে প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে নেয়া যায়নি।’

৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছরের ১২ জানুয়ারি সর্বশেষ ২ লাখ ৩৭ হাজার নামের তালিকা হস্তান্তর করেছে ঢাকা।

এর আগে দেয়া হয় ৫ লাখ ৯৩ জনের তালিকা। মিয়ানমার দৃশ্যত এসব তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের নামে কালক্ষেপণের কৌশল নিয়েছে।

তিন বছরে তারা মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার বিষয়ে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৪ হাজারের কোনো তথ্য তাদের জাতীয় তথ্যভান্ডারে নেই বলে দাবি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা কি স্থায়ী হয়ে যাবে
বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর নানামুখী চাপ তৈরি হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

রোহিঙ্গা ফেরাতে চীন-রাশিয়ার উদ্যোগ

রোহিঙ্গা ফেরাতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ছাড়াও একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন। ২০১৭ সালে সেনাচৌকিতে হামলার কথা বলে মিয়ানমারের রাখাইনে যে নজিরবিহীন হামলা করে সে দেশের সেনাবাহিনী, তার বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব সোচ্চার হলেও এ ঘটনাকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও রাশিয়া। তাদের ভেটোতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনা সব প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।

এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাসখন্দে আমার সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ল্যাভরভের বৈঠক হয়েছে। তাদের কাছে আমি এই বিষয়ে কথা বলেছি। আমি তো রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাবও করেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, রোহিঙ্গা ফেরাতে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছে; আরও বলবে।

‘অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, দ্রুত সময়ে তিন দেশের ফিজিক্যাল মিটিংয়ের (সশরীরে উপস্থিত হয়ে বৈঠক) উদ্যোগ নিচ্ছি। সমস্যা হয়েছে ১ ফ্রেব্রুয়ারি সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর থেকে তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে আলোচনার লাইন কেটে গেছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এই অঞ্চলের স্থায়ী শান্তির জন্য জরুরি বলেও স্বীকার করেছে চীন।’

আরও পড়ুন:
বোয়ালখালীতে ৭৪ রোহিঙ্গা আটক
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় আটক ১১
নৌকাডুবিতে মৃত আরও ৭ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে দাফন
বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি: ৪ দিনে ভাসল ৭ রোহিঙ্গার মরদেহ
বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি: আরও ৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Formation of a committee to assess the damage caused by fire in Shahjalal

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন ছবি: বাসস

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।

অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
"National Board of Revenue publishes Authentic English Text of Income Tax Act 2023 in the form of official gazette notification"

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the introduction of cashless non stop electronic toll collection ETC at Padma Bridge toll payment has become fast and digital Bridge Secretary

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।


বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।


এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।

১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।


ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।


এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The local government department gave historical recognition by distributing a check of Tk

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July Charter Milestone in Bangladeshs Political Shift EU

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ

‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের মাইলফলক: ইইউ ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার । ফাইল ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।

অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Agriculture and Home Advisor has joined the World Food Forum

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব খাদ্য ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি উইং) ড. মো. মাহমুদুর রহমান।

উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফোরামে দেশের কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সদস্য দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবে। সফরকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা ইতালির ইন্টেরিয়র মিনিস্টার এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতালির রোমস্থ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ ফোরাম ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে