× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Who is responsible for the death of the queen?
google_news print-icon

রানির মৃত্যুর দায় কার

রানির-মৃত্যুর-দায়-কার
গিনেসে নাম লেখানো হলো না রানির। ছবি: নিউজবাংলা
খর্বাকৃতি গরু রানিকে খামারের যে অংশে রাখা হতো, সেটি বাইরে থেকেই দেখা যেত। তবে, বেশ কিছুদিন ধরে রানিকে সেখান থেকে সরিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। খামারে দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশও বন্ধ করে দেয়া হয়।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে আর ছিল কেবল দেড় মাসের অপেক্ষা। এরপরেই হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু হতে পারত রানি। এর আগে হঠাৎ মৃত্যু হয় প্রাণীটির।

সাভারের এই আলোচিত গরুর মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি পান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছ থেকে। তবে শুরুর দিকে এই তথ্য অস্বীকার করেন রানির মালিক। পরে বিষয়টি স্বীকার করে ফেসবুকে পোস্ট দেন।

সংবাদকর্মীদের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রানি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তাকে শেষ সময়ে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

এসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রানির মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন এলাকার লোকজন। ফেসবুকেও অনেকে এ নিয়ে পোস্ট দেন। তাদের ধারণা, গিনেসে নাম লেখাতে খামারমালিক মরিয়া হওয়ায় রানির অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর বিষয়টিও ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন।

রানির মৃত্যুর দুই দিন আগে তার খোঁজ নিতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের ওই খামারে যান নিউজবাংলার প্রতিবেদক। তখন তাকে খামারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দেখতে দেয়া হয়নি রানিকে।

কারণ জানতে চাইলে খামারের একজন বলেন, স্টাফদের অসুস্থতার কারণে মালিকের নির্দেশে সেখানে প্রবেশ একেবারেই বন্ধ রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে সেদিনই ফোন দেয়া হয় খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ানকে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, তাদের নিজস্ব প্রাণিচিকিৎসক নিয়মিত রানিকে দেখতে আসেন। রানি সুস্থ আছে।

এর দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সাভার উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন, রানি মারা গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় গরুটিকে তার কাছে আনা হয়। তাই তাকে বাঁচানো যায়নি।

রানির অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মঙ্গলবার খামার এলাকায় যান নিউজবাংলার প্রতিবেদক, কথা বলেন আশপাশের লোকজনের সঙ্গে। তারা জানান, আগে রানিকে খামারের যে অংশে রাখা হতো, সেটি বাইরে থেকেই দেখা যেত। তবে, বেশ কিছুদিন ধরে রানিকে সেখান থেকে সরিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। খামারে দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশও বন্ধ করে দেয়া হয়।

ওই খামারের পাশেই বাড়ি লোকমান হোসেনের। স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনিই রানির বিষয়ে খোঁজখবর দিতেন। তার দাবি, গত বৃহস্পতিবার তিনিই প্রথম জানতে পেরেছিলেন যে রানি মারা গেছে।

রানির মৃত্যুর দায় কার


নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মারা যাওয়ার আগে রানিরে আমি খামারে দেখি নাই। করোনার কারণে ওনারা আমাদের ঢুকতে দিত না লোকজন অনেক বেশি হয় দেইখা। এই কারণে আমিও যাইতাম না। এলাকার লোকজন প্রাচীরের ওপর দিয়া রানিরে দেখার চেষ্টা করত।

‘বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের সরকারি পশু হাসপাতালের একজন পরিচিত লোক আমারে ফোন করে জানাল, ভাই পাঁচ মিনিট আগেই রানি মারা গেল। বলছে, আমার চোক্ষের সামনে মারা গেছে। পরে আমি সাংবাদিকদের ফোন দিয়া জানাইছি।’

পশু চিকৎসক মো. আতিকুজ্জামান ওই খামারে গিয়ে নিয়মিত রানিকে দেখতেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মারা যাওয়ার দুই-তিন দিন আগেও আমি খামারে গিয়ে রানিকে দেখে এসেছিলাম। তখন স্বাভাবিক ছিল। কোনো সমস্যা ছিল না।

‘ওইদিন (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ করেই আমাকে ফোন দিছে। বলছে যে, এই রকম পেট ফুলে গেছে। তখন আমি বলছি, আমি উপজেলা পশু হাসপাতালে আছি পাঠায় দেন।’

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের পার্সোনাল ডাক্তার না। আমি আরেকটা কোম্পানিতে (এসআই গোদরেজ) জব করি। তবে ওখানে মাঝে মধ্যেই যাওয়া হয়। আমার মনে হয়, পেটে অতিরিক্ত পরিমাণ গ্যাস জমে গিয়েছিল। গ্যাস জমে পেটটা ফুলে গিয়েছিল।

‘গ্যাস তো অনেক কারণেই জমতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে, দানাদার খাবার গুঁড়া, ভুসি এগুলা খাওয়াইলে পেটে গ্যাস জমে যায়। তা ছাড়া রানি যেহেতু বামন টাইপ, তাই ইমিউনিটিও অনেক কম ছিল। পরে আমরা হাসপাতালে অনেক চেষ্টা করেছি রিকভার করার জন্য। কিন্তু রিকভার করতে পারি নাই।’

রানির মৃত্যুর দায় কার

উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বলেন, ‘গরুটা দুই দিন ধরে অসুস্থ ছিল। এটার শরীরে অ্যান্টিবডি তেমন নাই। ওরা হয়তো পচা-বাসি খাবার খাওয়াইছে। আবার ফিডও খাওয়াইছে মনে হয়। ওরাও বলছে, ফিড খাওয়াইছে।

‘দানাদার খাবার বেশি খাওয়াইলে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে, গ্যাস হতে পারে। যার কারণে ফুড পয়জনিং হয়ে মারা গেছে। গরুটা মুমূর্ষু অবস্থায় আমাদের কাছে নিয়ে আসছে। আনার পরে আমরা যথার্থ চিকিৎসা যা দেয়ার দিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসায় কোনো উন্নতি হয় নাই। তারপরে গরুটা মারা গেছে।’

এ ধরণের খর্বাকৃতি স্বল্প ইমিউনিটির গরুর যত্ন কেমন হওয়া উচিত, রানিকে সেভাবে রাখা হয়েছিল কি না- তা জানতে যোগাযোগ করা হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে।

নিউজবাংলাকে তিনি জানান, এ ধরনের গরু যেহেতু স্বাভাবিক না, সেহেতু এগুলোর যত্ন-আত্তিও অন্যসব গরুর মতো নেয়ার সুযোগ নেই। এমনকি এ ধরনের গরুকে অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা জায়গাতেই রাখা দরকার।

সাজেদুল বলেন, ‘আমি প্রথম যখন রানিকে দেখতে সেখানে যাই, তখনই তাদের (খামার কর্তৃপক্ষ) বলেছিলাম এর যত্ন নিতে হবে বিশেষভাবে। তাদের জানিয়েছিলাম, স্বাভাবিক গরুকে যে পরিমাণ খাবার দেয়া হয়, রানিকে সে পরিমাণ দেয়া যাবে না। তার ওজন বুঝে পরিমিত খাবার দিতে হবে। যেহেতু এটি আকারে ছোট, তাই অন্য গরুর থেকে এটিকে আলাদা করে রাখতে হবে।’

রানির যত্নে কোনো ত্রুটি ছিল কি না, জানতে চাইলে সাজেদুল বলেন, ‘এটি আমি বলতে পারব না। রানির বিষয়ে বিভিন্ন সময় খামার কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ফোন করে পরামর্শ নিতেন। রানিকে শেষ সময়ে যখন নিয়ে আসে, তখন পরীক্ষা করে বোঝা গেছে যে এটি অন্তত দুই দিন ধরে অসুস্থ।

‘যখন রানি অসুস্থ হয়, তখনই আমাদের খবর দেয়া উচিত ছিল। তাহলে সময়মতো যথাযথ চিকিৎসা দিলে হয়তো রানিকে বাঁচানো যেত।’

সাজেদুল মনে করেন, যে গরু নিয়ে দেশে-বিদেশে এত চর্চা হচ্ছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে খামার কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল।

রানির অসুস্থতার খবর কেন আগে জানানো হলো না, সেই প্রশ্নও তোলেন এই চিকিৎসক।

রানির মৃত্যুর দায় কার

রানির মৃত্যুর পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান ফেসবুকে লেখেন, ‘আমরা আসলে কেমন? দেখেন একটা খর্বাকৃতির গরুর জন্য আমাদের কতই না উচ্ছ্বাস, উৎসাহ! গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠানো নিয়ে কথা! সেই খর্বাকৃতির গরুটা অসুস্থতা নিয়ে আজ মারা গেল। যেতেই পারে। জন্ম-মৃত্যু যেখানে সৃষ্টিকর্তার হাতে।

‘খামারের মালিক শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. আবু সুফিয়ানকে ফোন দিলাম ঘটনার সত্যতা জানার জন্য। তিনি বেমালুম অস্বীকার করলেন। বললেন, তার “রানি” মরেনি। বোঝেন অবস্থা! এই গরুটি তো আর কোটি টাকার ব্যাংক লোন নিয়ে কেনা নয়। তো সেই গরুর মৃত্যুর খবর তিনি কেন অস্বীকার করছেন? কারণ একটাই। তার আকাঙ্ক্ষা, এই খবর কোনোমতে চেপে রাখলে দেড় মাস পর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাদের নাম উঠবে।’

এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সুফিয়ান। তবে নিজের প্রতিক্রিয়া নিউজবাংলার প্রতিবেদককে ইনবক্স করেন।

তিনি বলেন, ‘রানিকে আবিষ্কারের পর থেকেই সব প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুগণ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা, চারিগ্রাম এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায় রানি। অনেক শৌখিন ক্রেতা উচ্চমূল্যে রানিকে কিনেও নিতে চান।

‘কিন্তু আমাদের ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশের হয়ে গিনেস বুকে আগে ওর নামটা লেখানো। তারপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে শিকড় অ্যাগ্রোর পক্ষ থেকে উপহার দেয়া। এ নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আবেদনও করে রেখেছিলাম… রানি তো রানি-ই। পৃথিবীর একমাত্র ইউনিক পিস। স্বাভাবিকভাবে সেলিব্রিটি হবার পর রানির নিরাপত্তার কারণে ওর চলাফেরা আমাদের সীমিত করতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে ছোট গরু আমাদের রানি মারা গেল।’

রানির মৃত্যুর দায় কার

তিনি জানান, রানিকে ওই রাতেই খামারে মাটিচাপা দেয়া হয়।

রানির খবর গত ৫ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপরই দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয় ২০ ইঞ্চির এই গরুটি। দুই বছর বয়সী রানিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এএফপি, বিবিসি, অস্ট্রেলিয়ার এবিসি, ফ্রান্সের ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের গালফ নিউজসহ অনেক সংবাদমাধ্যম।

সে সময় বক্সার ভুট্টি জাতের এই গরুকে কিনতে আগ্রহ দেখান শৌখিন ক্রেতা ও খামারমালিকরা। এর জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতেও রাজি ছিলেন কেউ কেউ। তবে খামার কর্তৃপক্ষ গিনেস বুকে নাম ওঠার আগে রানিকে হাতছাড়া করতে নারাজ ছিলেন সে সময়।

শেষমেশ চিরতরেই হাতছাড়া হয়ে গেল রানি।

আরও পড়ুন:
রানির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল মালিকপক্ষ
রানির মৃত্যুর তথ্য অস্বীকার মালিকের
সেই রানি আর নেই
বিশ্ব রেকর্ডের জন্য রানির অপেক্ষা আরও দেড় মাস
এএসআইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

p
উপরে