× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The name of the scientist programmer in that list is also the responsibility of the enthusiasts
google_news print-icon

সেই তালিকায় বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের নাম, দায় কার?

সেই-তালিকায়-বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের-নাম-দায়-কার?
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব রওনক মাহমুদ। তার মায়ের চিকিৎসার দেখভালে ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে।
সচিবের মায়ের চিকিৎসায় দেখভালের জন্য যাদের তালিকা করে দেয়া হয়েছে বলে প্রচার পেয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন বিজ্ঞানী, যাদের একজন আবার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। একজন আছেন উপসচিব। দুজন করে আছেন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা। আছে একজন করে কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসারের নামও। আরও আছেন তিনজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, চারজন ট্রেইনি সহকারী এবং বাকি পাঁচজন অফিস সহায়ক।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব রওনক মাহমুদের করোনা আক্রান্ত মায়ের দেখভালের জন্য যে ২২ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাদের হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ঢোকারই অনুমতি থাকার কথা নয়।

করোনা ইউনিটে চিকিৎসক ও সেবিকা ছাড়া কেবল স্বজনদের পাশে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। তাও সেখানে থাকে নানা বিধিনিষেধ।

সচিবের ৯৫ বছর বয়সী মা করোনায় আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে। সোমবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ হয় যে, তার চিকিৎসার দেখভালের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর তোলপাড় পড়ে যায়।

পরদিন মন্ত্রণালয়ে আসেননি সচিব। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক যোগ দিলেও বেলা ৩টা পর্যন্ত আর দপ্তরে যাননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের ফিরতে হয় নিরাশ হয়ে।

সচিবের অনুপস্থিতিতে কথা বলেছেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তার পুরোটাই ‘সচিবের কাছ থেকে শোনা’। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন যে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে বলেছেন, আনুষ্ঠানিক চিঠি না গেলেও একটি অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা গেছে।

তিনি বলেন, এর সঙ্গে সচিবের সংশ্লিষ্টতা ছিল, এমন নয়। কয়েকজন অতি উৎসাহী কর্মকর্তা সচিবকে তুষ্ট করতে এ কাজ করেছেন।

তবে সেই কর্মকর্তা কারা, সেটি বলেননি তিনি।

তালিকায় যাদের নামে বিস্ময়

সচিবের মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে যাদের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাদের কারও চিকিৎসা বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকার কথা নয়।

তাদের মধ্যে চারজন বিজ্ঞানী, যাদের একজন আবার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। একজন আছেন উপসচিব। দুজন করে আছেন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা। আছে একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসারের নামও। আরও আছেন তিনজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, চারজন ট্রেইনি সহকারী এবং বাকি পাঁচজন অফিস সহায়ক।

সব মিলিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ২২ জন। তাদের মধ্যে একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে তিনটি শিফটে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তালিকায় সচিবের মায়ের পরিচর্যায় প্রতিদিন চার শিফটে দুজন করে কর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিন দিনে দায়িত্ব পালন করার কথা ২৪ জনের। তবে প্রকৃতপক্ষে ২২ জনের নাম আছে। কারণ, একজন কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছি তিন শিফটের দায়িত্ব।

আসাদুল আলম নামে সেই কর্মকর্তা প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি সাইট ইনচার্জ হিসেবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি আঞ্চলিক কেন্দ্রে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।

বণ্টন করা সূচি অনুযায়ী তার সোম থেকে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা। এ সময়ে তার সরকারি দায়িত্ব কীভাবে পালন হয়েছে- এই বিষয়ে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বহুবার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় জবাব মেলেনি।

তার মতোই বিজ্ঞানী আছেন আরও তিনজন। তারা হলেন মৎস্য অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক মিয়া ও এম এস নিয়াজ মোর্শেদ।

তালিকায় তাদের রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলা আছে। একজনের সোমবার, একজনের মঙ্গলবার আর একজনের বুধবার।

সেই তালিকায় বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের নাম, দায় কার?
সচিবের মায়ের চিকিৎসার দেখভাল করতে এভাবে সূচি করে দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে

তালিকায় আছে প্রোগ্রামার নুর মোহাম্মদের নাম। যার দায়িত্ব পালনের কথা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। সিস্টেম অ্যানালিস্ট ইলিয়াস হোসেনের দায়িত্ব পালনের কথা লেখা আছে সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

মৎস্য অধিদপ্তরের যে দুই পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তার নাম আছে, তাদের মধ্যে রাশেদ পারভেজের দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ আছে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শামসুল আলম পাটওয়ারীর দায়িত্ব পালনের কথা বলা আছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।

ফোন করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এমন কোনো দায়িত্ব আমি পাইনি।’

একজন উপসচিবের নামও আছে তালিকায়। পুলকেশ মণ্ডল নামের সেই কর্মকর্তাকে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলা আছে সেই তালিকায়।

অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসার আলী রেজা আহম্মেদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ আছে।

তিনি কী দায়িত্ব পালন করেছেন- এই বিষয়ে জানতে তাকে ফোন দেয়া হলে বলেন, ‘আমি বাসে আছি, কিছু শুনতে পাচ্ছি না। আপনি আমাকে পরে ফোন দেন।’

তবে এ কথা বলার আগে ‘আপনি কি আলী রেজা আহম্মেদ বলছেন?’ এমন প্রশ্ন তিনি শুনতে পেয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, বলুন।’

বাকিরা কেউ কর্মকর্তা নন। এই ২১ জনেরই নাম, পদবি এমনকি মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ থাকা বলে দেয়, তালিকাটি একটি অফিস থেকেই এসেছে।

মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের মুখে কুলুপ

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি নিয়ে পাঁচজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। কিন্তু বিষয় শুনেই তারা এড়িয়ে গেলেন।

সেই তালিকায় উল্লেখ আছে, তালিকাভুক্ত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সমন্বয় করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব আজিজুল ইসলামের সঙ্গে।

তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

কিন্তু এই কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে সচিবের মায়ের সবশেষ খবর হোয়াটস অ্যাপে জানাতে বারবার তাগাদা দিয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে।

যদি কিছুই না জানেন, তাহলে এই বিষয়টি কীভাবে ঘটল? এমন প্রশ্নে উপসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সচিব স্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এরপর আমার বলার কিছু থাকে না।’

একজন উপসচিবের কাছ থেকে যা জানা গেল

একের পর এক কর্মকর্তা এড়িয়ে যাওয়ার পর উপসচিব মর্যাদার একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে তথ্য জানাতে রাজি হলেন। তিনি বলেন, ‘সচিব স্যার কদিন আগেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ফলে ওনার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না। এর মধ্যে মায়ের অসুস্থতা। আমার মনে হয়, কিছু উৎসাহী কর্মকর্তা এটা করেছে। কিন্তু বিষয়টা যেভাবে সংবাদে এসেছে, তেমন কিছু নয়। এটা অফিশিয়াল কোনো নির্দেশনা নয়।’

সেই তালিকায় বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের নাম, দায় কার?
মন্ত্রণালয়ের সচিবের দেখা না পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রী-সচিবদের আপনজন সিক হলে অনেকেই দেখতে যান। সচিব স্যারের মা অসুস্থ হওয়ায় অনেকে দেখতে যাচ্ছিলেন। যেহেতু করোনা, তাই হয়তো ধাপে ধাপে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন। তবে এটা অফিশিয়াল কোনো আদেশ ছিল না।’

সচিবের ঘনিষ্ঠ অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তালিকা একটা হয়েছে। আমি নিজেও দেখেছি। তবে এটুকু বলতে পারি, ওটা কোনো অফিস আদেশ ছিল না, সিম্পলি একটা তালিকা।’

তবে কার বা কাদের নির্দেশে এই তালিকা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তারা।

আরেকজন কর্মকর্তা বললেন, ‘তালিকাটি কে বা কারা করেছে বা কে ফাঁস করেছে, তা নিয়ে মন্ত্রণালয়জুড়েই আলোচনা চলছে।’

মন্ত্রী যা বললেন

সচিব মন্ত্রণালয়ে নেই। তবে ছিলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ফলে তাকেই ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন, ‘আমি সচিবকে জিজ্ঞেস করেছি, তিনি বলেছেন যে এভাবে কাউকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। কাউকে অফিশিয়াল কাজের বাইরে গিয়ে তার মাকে দেখভাল করা বা সেখানে কোনো দায়িত্ব পালনের কথা বলেননি।’

সচিবের মাকে এতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেখতে যাওয়া অতি উৎসাহী কাজ কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এর বাইরে তো আমার বলার কিছু নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি, এটা আমি নিশ্চিত হয়েছি। সচিবকে জিজ্ঞেস করেছি, তিনিও বলেছেন, না, আমি ভারবালিও কাউকে কোনো দায়িত্ব দিইনি। কাউকে কোনোভাবে আমার মাকে দেখভালের দায়িত্ব দিইনি। এখন আমার মা অসুস্থ, তাকে সহানুভূতি জানাতে হয়তো কেউ যেতে পারেন।’

সচিব কী বলেছেন- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘গেছেন এটা উনি ওভাবে বলেননি, এভাবে কেউ যেতে পারেন, সেটা নিজ দায়দায়িত্বে যদি কেউ গিয়ে থাকে। লিখিত বা মৌখিকভাবে ওনার মাকে দেখার জন্য বা হসপিটালে যাওয়ার জন্য কিছু বলেননি। এটা উনি আমাকে জানিয়েছেন।’

হাসপাতাল পরিচালকও কিছু বলছেন না

সচিবের মা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে শুনেছি। যে কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।’

আরও পড়ুন:
আদেশ নয়, সচিবের মাকে সেবা ‘সহানুভূতি থেকে’: মন্ত্রী
সচিব হলেন সলীম উল্লাহ
জনপ্রশাসন পদক পাওয়ায় তথ্যসচিবকে অভিনন্দন
‘হাসপাতাল, চিকিৎসক বাড়িয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না’
সচিব হলেন তিনজন, ওএসডি দুই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Allegation of illegal assets ACC case against former minister Saber Hossain along with his wife

অবৈধ সম্পদের অভিযোগ; স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদের অভিযোগ;
স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী রেহেনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
দুদক জানায়, আসামি সাবের হোসেন চৌধুরী ১৯৮৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বৈধ আয়ের বাইরে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিজের নামে ২১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২৪ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার অধীনে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।
এছাড়া, তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৩টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে দুদক জানিয়েছে। এই মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকেও সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবের আওয়ামী লীগ সরকারের সবশেষ মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে তিনি প্রথমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। সাবের হোসেন ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান। একাদশ সংসদে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
সরকার পতনের পর গত অক্টোবরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে পাঠানোর পরদিনই ছয় মামলায় জামিন পেয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি পান সাবের হোসেন চৌধুরীর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Release of new schedule of metro rail movement

মেট্রো রেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

মেট্রো রেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধায় আগামী রোববার থেকে রাজধানীর মতিঝিল এবং উত্তরা-উত্তর প্রান্ত থেকে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন তরফদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমটিসিএল-এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রমাগতভাবে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এবং সম্মানিত যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে আগামী রোববার হতে উত্তরা উত্তর মেট্রো রেল স্টেশন ও মতিঝিল মেট্রো রেল স্টেশন উভয় প্রান্ত থেকে এক ঘণ্টা বর্ধিত সময়ে মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরা-উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশন অভিমুখে প্রথম মেট্রোরেল ছেড়ে যাবে ৬টা ৩০ মিনিটে। যা আগে ছেড়ে যেত সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। এখন উত্তরা-উত্তর স্টেশন থেকে সবশেষ মেট্রো রেল ছেড়ে আসে রাত ৯টায়। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।
এছাড়া মতিঝিল থেকে উত্তরা-উত্তর অভিমুখে দিনের প্রথম মেট্রো রেল ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ৭টায়।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী উত্তরা অভিমুখে মেট্রো রেল চলবে সকাল সোয়া ৭টা থেকে। মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখে সর্বশেষ মেট্রোরেল ছেড়ে যেত রাত সাড়ে ৯টায়। এখন রাত ১০টা ১০ মিনিটে তা ছেড়ে যাবে।
এদিকে শুক্রবারে মেট্রো রেল চলাচলের সময়সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখে প্রথম ট্রেন ছাড়ে বিকেল ৩টায়। সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায়। মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখে প্রথম ট্রেন ছাড়ে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
11 arrested in Jail in Golands Padma campaign to protect Hilsa

ইলিশ রক্ষায় গোয়ালন্দের পদ্মায় অভিযান, ১১ জেলে আটক

ইলিশ রক্ষায় গোয়ালন্দের পদ্মায় অভিযান, ১১ জেলে আটক

মা-ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে ২৫ লাখ বর্গমিটার অবৈধ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১১ জেলেকে আটক এবং ৫ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর কলাবাগান ও অন্তার মোড় এলাকায় নৌপুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে

২৫ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল, ১১ জন জেলে আটক ও ৫ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে আটককৃত ১১ জন জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা আইন ১৯৫০ খ্রি. সালের ৫ (২) (খ) ধারা মতে মিয়মিত মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও মাছগুলো এতিমখানা ও স্থানীয় অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌপুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্দেশনা মতে গত ৪ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে, মা-ইলিশ প্রজনন এই মৌসুমে সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করা হয়েছে, যেন কোনো জেলেরা নদীতে মা-ইলিশ না ধরে, যেন মা-ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে পারে, আমাদের নৌপুলিশের অভিযান নদীতে অব্যাহত রয়েছে। এখানে জেলা মৎস্য অফিসের সাথে আমাদের নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, ম্যাজিস্ট্রেট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি থেকে চারটি মামলা রুজু হয়েছে, মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে, ৬০ জনের মতো আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, ২ কোটি ১০ লাখ বর্গমিটারের উপরে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, ২৬০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে গরিব ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা, এসআই মেহেদী হাসান অপূর্বসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain to demand closure of brick kilns in Amtali

আমতলীতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আমতলীতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও ফসল রক্ষায় বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের বিবিসি ইটভাটা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আঁকবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিবিসি (বিসমিল্লাহ ব্রিকস) ইটভাটার কারণে এলাকার অন্তত পাঁচশত একর তিন ফসলি জমি, গাছপালা, জীববৈচিত্র্য, প্রাণিসম্পদ ও গ্রামীণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে আব্দুল হান্নান মৃধা ফসলি জমির ওপর বিবিসি ইটভাটি স্থাপন করেন। কৃষকরা অভিযোগ করেন, ইটভাটা নির্মাণের পর থেকে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে আগের মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। ওই ইটভাটার ৩০০ গজের মধ্যে রায়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। আইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা, কৃষি জমি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে সেখানে ইটভাটা চালু রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাশির উদ্দিন, কবির গাজী, শাহীন প্যাদা ও খোকন হাওলাদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইটভাটার কারণে জমিতে আগের মতো ফলন হচ্ছে না, গাছে ফল ধরছে না এবং শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। তারা বরগুনা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত ইটভাটা বন্ধের দাবি জানান। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, তিন দিক ঘেরা ধান খেতের মধ্যে বিবিসি ইটভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে।

রায়বালা গ্রামের কৃষক কবির গাজী বলেন, ‘ইটভাটার কারণে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো ফসল ফলছে না। পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pledge to stand united for rice grains in Faridpur

ফরিদপুরে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার

ফরিদপুরে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যিনি ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা তাকেই জিতিয়ে নেওয়ার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করব। এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনে এবার ধানের শীষ প্রতীক হেরে গেলে আমরা শুধু হারবই না, চিরতরে হারিয়ে যাব। তাই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই ধানের শীষকে সর্বশক্তি দিয়ে বিজয়ী করে আনতে হবে।

গত বুধবার রাতে শহরের হাবেলি গোপালপুরে আফজাল হোসেন খান পলাশের বাসভবন প্রাঙ্গণে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় রাজপথের অকুতোভয় দুঃসাহসী নেতা হিসেবে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশকে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি দেখতে চান বলেও নেতা-কর্মীরা জোরালো বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে আফজাল হোসেন খান পলাশের দৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের করণীয় কী হবে, আমরা কী করব সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সভার আয়োজন। যারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন, সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ফরিদপুরের রাজপথে কোনো আন্দোলন হয়েছে আর আমি আফজাল হোসেন খান পলাশ ছিলাম না তা কখনোই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতীয় পর্যায়ে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন চলছিল, তেমনি ফরিদপুরেও একটা চক্রান্ত হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে বিএনপির ধানের শীষকে বিজয়ী করব।

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আরেফিন সাগর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ সালাম লাল, ফরিদপুর সুগার মিলের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দীন বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দার, জেলা যুবদলের সহসভাপতি কেএম জাফর, মোহসিনুল কবির রুবেল, টিটু খাঁন, শ্যামসুন্দরপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুতাওয়াল্লী আলহাজ ফরিদ শেখ, বিএনপির প্রবীণ নেতা আলমগীর মাস্টার, মো. রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার খান, শাহীন হক, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির, আলতাফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজা, জিন্না মেম্বার, হায়দার হোসেনসহ অনুষ্ঠানে ৪৫ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
27 percent of people in Rangpur are carriers of thalassemia

রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প
রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। এছাড়া প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫ থেকে ৮ হাজার নতুন থ্যালাসেমিয়া রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাসহ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করে এমন নারী-পুরুষদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধ যোগ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প’ উপলক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালের উদ্যোগে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. একরামুল হোসেন স্বপন। তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাফরুহা আক্তার। রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম আল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার।

সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়ার বাহক আর থ্যালাসেমিয়ার রোগী এক নয়। বাহকের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না, তেমন কোনো চিকিৎসাও লাগে না। তবে একজন বাহক পরবর্তী প্রজন্মে রোগ বহন করতে সক্ষম। থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বিষয়ে সবাই সচেতন হলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবার এর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tourists of Srimangal suffer from ticket shortage

টিকিট সংকটে ভোগান্তিতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকরা

টিকিট সংকটে ভোগান্তিতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকরা

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় সিট সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় সপ্তাহ ১০ দিন আগেই সব টিকিট বুকিং হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘুরতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয় যাত্রীরা।

গত শুক্রবার ঢাকা থেকে পরিবারের লোকজন নিয়ে শ্রীমঙ্গল ঘুরতে আসেন পর্যটক আরোফিন আহমেদ। বাসে যাতায়াত করা তার জন্য অস্বস্তিকর হওয়ায় তিনি ট্রেনে ফিরতে চাইলেও গত রোববার বা সোমবারের কোনো টিকিট পাননি। শেষমেষ ভোগান্তি নিয়ে তাকে বাসে করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক হুমায়রা সুলতানা বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পরেও ট্রেনের কোনো টিকিট পাইনি। ছোট্ট শিশু সন্তান নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে যাত্রা করতে হয়েছে। এটি খুবই কষ্টদায়ক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।’

১৯১২ সালে চালু হওয়া শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন মৌলভীবাজার জেলার তিনটি উপজেলার যাত্রী ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল হওয়ায় এ স্টেশনের গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন; কিন্তু টিকিট সংকট তাদের জন্য সবচেয়ে বড় ভোগান্তি।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী শ্রীমঙ্গল থেকে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা কালনী এক্সপ্রেসে ৮১টি, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে ৭০টি, পারাবত এক্সপ্রেসে ১০৫টি, উপবন এক্সপ্রেসে ৬৫টি, পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ৪৭টি এবং উদয়ন এক্সপ্রেসে ৩০টি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী লিটন অধিকারী বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহেই ঢাকায় যেতে হয়। শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে টিকিট বরাদ্দ কম থাকায় সিলেট থেকে ঢাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করি।’

রাধানগর পর্যটন কল্যান পরিষদের যুগ্ম সভাপতি তাপস দাশ বলেন, ‘বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১০০টি হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসলেও ট্রেনের টিকিটের সংখ্যা এত কম যে সেগুলো ১০ দিন আগেই বুকিং হয়ে যায়। ফলে পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প ও স্থানীয় জনগণের ভ্রমণ সুবিধা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ট্রেন চালু ও সিট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেন স্থানীয়রা।

পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মা বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন ফিরতি টিকিট নিয়ে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য কোনো কোটা নেই। রাত ২টার পর ঢাকা যাওয়ার ট্রেন ধরতে স্টেশনে পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হয়, অথচ স্টেশনের টয়লেট ব্যবস্থাও নাজুক এবং ভিআইপি রুম তালাবদ্ধ থাকে। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে নতুন ট্রেন চালুর পাশাপাশি সময়সূচি আপডেটের দাবি জানান।

শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শুক্র ও শনিবারে হাজারও পর্যটক আসেন। কিন্তু যাত্রী সংখ্যার তুলনায় বরাদ্দ টিকিট অপ্রতুল। আমাদের কিছু করার নেই। অনলাইনে আগেই টিকিট কেটে নেয় যাত্রীরা। কালোবাজারির সুযোগ নেই, কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকিট কাটা যায় না। তবে আমরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সিট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘এই উপজেলার পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক সমস্যা সমাধান, ট্রেন ও টিকিট সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’

মন্তব্য

p
উপরে