× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The name of the scientist programmer in that list is also the responsibility of the enthusiasts
google_news print-icon

সেই তালিকায় বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের নাম, দায় কার?

সেই-তালিকায়-বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের-নাম-দায়-কার?
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব রওনক মাহমুদ। তার মায়ের চিকিৎসার দেখভালে ২২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে।
সচিবের মায়ের চিকিৎসায় দেখভালের জন্য যাদের তালিকা করে দেয়া হয়েছে বলে প্রচার পেয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন বিজ্ঞানী, যাদের একজন আবার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। একজন আছেন উপসচিব। দুজন করে আছেন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা। আছে একজন করে কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসারের নামও। আরও আছেন তিনজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, চারজন ট্রেইনি সহকারী এবং বাকি পাঁচজন অফিস সহায়ক।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসচিব রওনক মাহমুদের করোনা আক্রান্ত মায়ের দেখভালের জন্য যে ২২ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাদের হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ঢোকারই অনুমতি থাকার কথা নয়।

করোনা ইউনিটে চিকিৎসক ও সেবিকা ছাড়া কেবল স্বজনদের পাশে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। তাও সেখানে থাকে নানা বিধিনিষেধ।

সচিবের ৯৫ বছর বয়সী মা করোনায় আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে। সোমবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ হয় যে, তার চিকিৎসার দেখভালের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর তোলপাড় পড়ে যায়।

পরদিন মন্ত্রণালয়ে আসেননি সচিব। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক যোগ দিলেও বেলা ৩টা পর্যন্ত আর দপ্তরে যাননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের ফিরতে হয় নিরাশ হয়ে।

সচিবের অনুপস্থিতিতে কথা বলেছেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তার পুরোটাই ‘সচিবের কাছ থেকে শোনা’। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন যে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে বলেছেন, আনুষ্ঠানিক চিঠি না গেলেও একটি অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা গেছে।

তিনি বলেন, এর সঙ্গে সচিবের সংশ্লিষ্টতা ছিল, এমন নয়। কয়েকজন অতি উৎসাহী কর্মকর্তা সচিবকে তুষ্ট করতে এ কাজ করেছেন।

তবে সেই কর্মকর্তা কারা, সেটি বলেননি তিনি।

তালিকায় যাদের নামে বিস্ময়

সচিবের মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে যাদের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাদের কারও চিকিৎসা বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকার কথা নয়।

তাদের মধ্যে চারজন বিজ্ঞানী, যাদের একজন আবার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। একজন আছেন উপসচিব। দুজন করে আছেন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা। আছে একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসারের নামও। আরও আছেন তিনজন ল্যাব টেকনিশিয়ান, চারজন ট্রেইনি সহকারী এবং বাকি পাঁচজন অফিস সহায়ক।

সব মিলিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ২২ জন। তাদের মধ্যে একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে তিনটি শিফটে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তালিকায় সচিবের মায়ের পরিচর্যায় প্রতিদিন চার শিফটে দুজন করে কর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিন দিনে দায়িত্ব পালন করার কথা ২৪ জনের। তবে প্রকৃতপক্ষে ২২ জনের নাম আছে। কারণ, একজন কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছি তিন শিফটের দায়িত্ব।

আসাদুল আলম নামে সেই কর্মকর্তা প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি সাইট ইনচার্জ হিসেবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি আঞ্চলিক কেন্দ্রে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।

বণ্টন করা সূচি অনুযায়ী তার সোম থেকে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা। এ সময়ে তার সরকারি দায়িত্ব কীভাবে পালন হয়েছে- এই বিষয়ে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বহুবার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় জবাব মেলেনি।

তার মতোই বিজ্ঞানী আছেন আরও তিনজন। তারা হলেন মৎস্য অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক মিয়া ও এম এস নিয়াজ মোর্শেদ।

তালিকায় তাদের রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলা আছে। একজনের সোমবার, একজনের মঙ্গলবার আর একজনের বুধবার।

সেই তালিকায় বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের নাম, দায় কার?
সচিবের মায়ের চিকিৎসার দেখভাল করতে এভাবে সূচি করে দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে

তালিকায় আছে প্রোগ্রামার নুর মোহাম্মদের নাম। যার দায়িত্ব পালনের কথা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। সিস্টেম অ্যানালিস্ট ইলিয়াস হোসেনের দায়িত্ব পালনের কথা লেখা আছে সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

মৎস্য অধিদপ্তরের যে দুই পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কর্মকর্তার নাম আছে, তাদের মধ্যে রাশেদ পারভেজের দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ আছে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শামসুল আলম পাটওয়ারীর দায়িত্ব পালনের কথা বলা আছে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত।

ফোন করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এমন কোনো দায়িত্ব আমি পাইনি।’

একজন উপসচিবের নামও আছে তালিকায়। পুলকেশ মণ্ডল নামের সেই কর্মকর্তাকে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা বলা আছে সেই তালিকায়।

অ্যানিমেল প্রোডাকশন অফিসার আলী রেজা আহম্মেদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ আছে।

তিনি কী দায়িত্ব পালন করেছেন- এই বিষয়ে জানতে তাকে ফোন দেয়া হলে বলেন, ‘আমি বাসে আছি, কিছু শুনতে পাচ্ছি না। আপনি আমাকে পরে ফোন দেন।’

তবে এ কথা বলার আগে ‘আপনি কি আলী রেজা আহম্মেদ বলছেন?’ এমন প্রশ্ন তিনি শুনতে পেয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, বলুন।’

বাকিরা কেউ কর্মকর্তা নন। এই ২১ জনেরই নাম, পদবি এমনকি মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ থাকা বলে দেয়, তালিকাটি একটি অফিস থেকেই এসেছে।

মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের মুখে কুলুপ

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি নিয়ে পাঁচজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। কিন্তু বিষয় শুনেই তারা এড়িয়ে গেলেন।

সেই তালিকায় উল্লেখ আছে, তালিকাভুক্ত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সমন্বয় করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব আজিজুল ইসলামের সঙ্গে।

তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

কিন্তু এই কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে সচিবের মায়ের সবশেষ খবর হোয়াটস অ্যাপে জানাতে বারবার তাগাদা দিয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে।

যদি কিছুই না জানেন, তাহলে এই বিষয়টি কীভাবে ঘটল? এমন প্রশ্নে উপসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সচিব স্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এরপর আমার বলার কিছু থাকে না।’

একজন উপসচিবের কাছ থেকে যা জানা গেল

একের পর এক কর্মকর্তা এড়িয়ে যাওয়ার পর উপসচিব মর্যাদার একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে তথ্য জানাতে রাজি হলেন। তিনি বলেন, ‘সচিব স্যার কদিন আগেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ফলে ওনার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না। এর মধ্যে মায়ের অসুস্থতা। আমার মনে হয়, কিছু উৎসাহী কর্মকর্তা এটা করেছে। কিন্তু বিষয়টা যেভাবে সংবাদে এসেছে, তেমন কিছু নয়। এটা অফিশিয়াল কোনো নির্দেশনা নয়।’

সেই তালিকায় বিজ্ঞানী-প্রোগ্রামারের নাম, দায় কার?
মন্ত্রণালয়ের সচিবের দেখা না পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রী-সচিবদের আপনজন সিক হলে অনেকেই দেখতে যান। সচিব স্যারের মা অসুস্থ হওয়ায় অনেকে দেখতে যাচ্ছিলেন। যেহেতু করোনা, তাই হয়তো ধাপে ধাপে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন। তবে এটা অফিশিয়াল কোনো আদেশ ছিল না।’

সচিবের ঘনিষ্ঠ অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তালিকা একটা হয়েছে। আমি নিজেও দেখেছি। তবে এটুকু বলতে পারি, ওটা কোনো অফিস আদেশ ছিল না, সিম্পলি একটা তালিকা।’

তবে কার বা কাদের নির্দেশে এই তালিকা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তারা।

আরেকজন কর্মকর্তা বললেন, ‘তালিকাটি কে বা কারা করেছে বা কে ফাঁস করেছে, তা নিয়ে মন্ত্রণালয়জুড়েই আলোচনা চলছে।’

মন্ত্রী যা বললেন

সচিব মন্ত্রণালয়ে নেই। তবে ছিলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ফলে তাকেই ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন, ‘আমি সচিবকে জিজ্ঞেস করেছি, তিনি বলেছেন যে এভাবে কাউকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। কাউকে অফিশিয়াল কাজের বাইরে গিয়ে তার মাকে দেখভাল করা বা সেখানে কোনো দায়িত্ব পালনের কথা বলেননি।’

সচিবের মাকে এতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেখতে যাওয়া অতি উৎসাহী কাজ কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এর বাইরে তো আমার বলার কিছু নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি, এটা আমি নিশ্চিত হয়েছি। সচিবকে জিজ্ঞেস করেছি, তিনিও বলেছেন, না, আমি ভারবালিও কাউকে কোনো দায়িত্ব দিইনি। কাউকে কোনোভাবে আমার মাকে দেখভালের দায়িত্ব দিইনি। এখন আমার মা অসুস্থ, তাকে সহানুভূতি জানাতে হয়তো কেউ যেতে পারেন।’

সচিব কী বলেছেন- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘গেছেন এটা উনি ওভাবে বলেননি, এভাবে কেউ যেতে পারেন, সেটা নিজ দায়দায়িত্বে যদি কেউ গিয়ে থাকে। লিখিত বা মৌখিকভাবে ওনার মাকে দেখার জন্য বা হসপিটালে যাওয়ার জন্য কিছু বলেননি। এটা উনি আমাকে জানিয়েছেন।’

হাসপাতাল পরিচালকও কিছু বলছেন না

সচিবের মা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে শুনেছি। যে কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।’

আরও পড়ুন:
আদেশ নয়, সচিবের মাকে সেবা ‘সহানুভূতি থেকে’: মন্ত্রী
সচিব হলেন সলীম উল্লাহ
জনপ্রশাসন পদক পাওয়ায় তথ্যসচিবকে অভিনন্দন
‘হাসপাতাল, চিকিৎসক বাড়িয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না’
সচিব হলেন তিনজন, ওএসডি দুই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
A Bangladeshi worker died after being hit by a road in Singapore

সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব। ছবি: সংগৃহীত
চলতি মাসের ৩ এপ্রিল বুধবার নির্মাণকাজ করার সময় রডের বান্ডিলে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে রডের নিচ থেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান।

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় রাকিব হোসেন নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

২২ বছর বয়সী রাকিব বেনাপোল পোর্ট থানার ২ নম্বর ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, চলতি মাসের ৩ এপ্রিল বুধবার নির্মাণকাজ করার সময় রডের বান্ডিলে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে রডের নিচ থেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান বলেন, ‘এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছে। সে সিঙ্গাপুরে কনস্ট্রাকশনের কাজ করত। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে উপরে তোলার সময় টোশন ছিঁড়ে (দড়ি) রডের নিচে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায় সে।’

বেনাপোল পোর্ট বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান (মফিজ) বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। এখন তার মরদেহ কীভাবে দেশে আনা যায়, তার সার্বিক সহযোগিতা আমার পক্ষ থেকে করে যাচ্ছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appointment of 3 judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ

আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার শপথ

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis returned from Myanmar after serving their sentences

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি প্রিয়জনের উদ্দেশে তীর থেকে হাত নাড়ছে অপেক্ষায় স্বনজরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরে যাবে।

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।

প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।

মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Assault on chairman candidate in Juri arrested 1
উপজেলা নির্বাচন

জুড়ীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, আটক ১

জুড়ীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, আটক ১ হামলায় রক্তাক্ত জখম হন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আহত আলী হোসেন বলেন, ‘কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর নির্দেশে সাইদুল, মুহিব, সোহেলদের নেতৃত্বে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। ‌এ সময় আমাকে অপহরণেরও চেষ্টা করা হয়।’

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় এ ঘটনা‌ ঘটে।‌ এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

হামলায় আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনকে প্রথমে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।‌ অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আহত আলী হোসেন বলেন, ‘কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর নির্দেশে সাইদুল, মুহিব, সোহেলদের নেতৃত্বে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। ‌এ সময় আমাকে অপহরণেরও চেষ্টা করা হয়।’

ভাইরাল হওয়া অপর এক ভিডিওতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করার দৃশ্য দেখা যায়।‌

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী হোসেনসহ আরও তিনজন ঘোড়া প্রতীক চেয়েছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের দিন বিষয়টি নিয়ে অনেক হট্টগোল হয়।‌ একাধিক প্রার্থী হওয়ায় লটারির মাধ্যমে আলী হোসেন ঘোড়া প্রতীক পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলীর নির্দেশে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মনির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, হামলার এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন‌।

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন
উপজেলা নির্বাচন: চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ ৫ জুন
উপজেলা ভোটে প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Singra Upazila Volunteer League President and Secretary released

সিংড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে অব্যাহতি

সিংড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে অব্যাহতি সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদকে অব্যাহতি হয়েছে। ফাইল ছবি
বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ইমাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহন আলীকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন জানান, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন পাশা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এরপর গত ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ থেকে দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ করে নির্যাতন করে তার সমর্থকরা। এই ঘটনায় দেশব্যাপি সমালোচনা শুরু হলে পলকের নির্দেশে তার শ্যালক রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

তিনি বলেন, ফলে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার পাশাকে মঙ্গলবার একমাত্র পার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ। এই ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ার খবর ও পুলিশের তদন্তে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ইমাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহন আলী সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। ফলে তাদের দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The High Court wants the names of the Rohingyas in the voter list

ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের নাম চায় হাইকোর্ট

ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের নাম চায় হাইকোর্ট ফাইল ছবি
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

তদন্তে প্রমাণিত ৩৫ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে- তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। খবর বাসসের

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কিছু ক্ষমতাধর কথিত জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাদেরকে জাল ঠিকানা, ভুয়া বাবা-মা সাজিয়ে ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডিসহ দেশের নাগরিকত্ব দিতে সরাসরি সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ওই ইউনিয়নে অন্তত ৩৭০ জন রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি দেয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে বিবাদীদের প্রতি অভিযোগ দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।

আইনজীবী আরও জানান, এতে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িতদের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দেয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র বাতিল করে তাদের নাম ভোটার তালিকে থেকে বাদ দেয়ার জন্য জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এসব রোহিঙ্গাদের ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাইকোর্টে রিট করেন।

শুনানি শেষে বিবাদীদের প্রতি চার সপ্তাহের রুল জারি করে ভোটার তালিকা থেকে তদন্তে প্রমাণিত রোহিঙ্গাদের নাম বাদ এবং আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে- তা তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আজ উচ্চ আদালত।

রিটে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appointment of 3 Judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারক নিয়োগ

আপিল বিভাগে ৩ বিচারক নিয়োগ ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করা হয়েছে। খবর বাসসের

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ হলেন-বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

মন্তব্য

p
উপরে