প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্লোবাল পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড ২০২১। এই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজায় ৬ ক্যাটাগারিতে ১৮ জন সাহসী, সৃজনশীল উদ্যোক্তা, নেতা ও সংগঠনকে এই সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হবে।
পুরস্কার আয়োজন করেছে ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম।
পুরস্কার পেতে বিশ্বের ৩১টি দেশ থেকে আবেদন করেন ১ হাজার ৬৭৫ জন। এদের মধ্য ২০ জন বাংলাদেশিসহ ৪৮ জন মনোনীত হন।
মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন ইকো নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা শামীম আহমেদ মৃধা, সেভ সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা আয়ান মুমিনুল, শিক্ষাবিদ তন্ময় পাল চৌধুরী, ড্রিম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুর রহমান শাফায়েত, সিজ দ্য ডে’র হেড অফ মার্কেটিং আকিদা বিনতে ইসলাম নুহা, ডা. রিফাত আল মাজিদ ভূঁইয়া, গিভ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মিঠু, ডিবে অর্গানাইজার বিডির প্রেসিডেন্ট এইচ এম মারজান, প্রত্যুষ প্রতিষ্ঠাতা তানভির হাসান, নন্দিতা সুরক্ষা প্রতিষ্ঠাতা তাহিয়াতুল জান্নাত, হেল্প দ্য ফিউচার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল্লাহ খালেদ এবং ওয়ান অফ ইউ প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল ইসলাম নিলয়।
বাংলাদেশে থেকে আরও নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার্স প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম সাদমান সাকিব, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব হুইলচেয়ার ক্রিকেটের সিইও মাহবুবুর রহমান, কলামিস্ট সাজিয়া আফরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ইয়্যুথ মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা আইমান মাহমুদ, আর্শি কো-ফাউন্ডার সৈয়দা নাজনিন আহমেদ, পেনি ফর মানির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জেসান রেহমান এবং খন্দকার আবদুল্লাহ আল তাহমীদ, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, ইয়ুথপ্রেনার নেটওয়ার্ক।
পাশাপাশি টিম ব্যর্থ ও ইয়্যুথ অ্যাকশন ফর বাংলাদেশ নামের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন পেয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন পায়।
আয়োজনের বিষয়ে বিডিএসআইএফ ও ডিএসআইএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলী আকবর বলেন, মূলত যাদের অনুকরণীয় প্রচেষ্টা অন্যদের জীবনকে উন্নত করেছে এবং শান্তি ও মানবিক সেবার সংস্কৃতিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখেছে তাদেরকেই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
ইন্টারফেইথ লিডারশিপ, লিডারশিপ ইন স্ট্রেনথেনিং ফ্যামেলিস, আউটস্টান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, গুড গভার্নেন্স অ্যাওয়ার্ড, ইনোভেটিভ স্কলারশিপ ফর পিস এবং গ্লোবাল পিস অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে এই মনোনয়ন দেয়া হয়।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করার অভিযোগে ৫৪ ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। রোববার ভোরে হাতে হাতকড়া ও পায়ে বেড়ি পরিয়ে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫০ তরুণকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ জানায়, দেশে ফেরত আসা এই তরুণরা সবাই অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। এদের মধ্যে ১৬ জন কর্ণালের, ১৫ জন কৈথালের, ৫ জন আম্বালার, ৪ জন যমুনা নগরের, ৪ জন কুরুক্ষেত্রের, ৩ জন জিন্দের, ২ জন সোনিপতের এবং ১ জন করে পঞ্চকুলা, পানিপত, রোহতক এবং ফতেহাবাদের বাসিন্দা।
করনাল পুলিশ জানায়, সবাইকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে এবং কোনো দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
করনালের ডিএসপি সন্দীপ কুমার বলেন, ‘আজ আরো কিছু ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে হরিয়ানার ৫০ জন। কেবল করনাল জেলা থেকেই রয়েছেন ১৬ জন। সবাই ‘ডংকি রুটে’ যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছিল, কিন্তু আজ ফেরত এসেছে।’
পুলিশ আরো জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এই বছরের শুরুতে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ শত শত ভারতীয় দেশে ফেরত পাঠায়। গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তার প্রশাসন।
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৫১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ (সোমবার) পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ৩৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার ৪৮২ জন।
অভিযান চলাকালে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পুরাতন রিভালবর, ২টি দেশি পাইপগান, ১টি একনলা বন্দুক, ১টি পাইপগান, ৬ রাউন্ড গুলি, ১টি দেশীয় এলজি, ১টি পুরাতন মরিচাযুক্ত দেশীয় এলজি, ১টি স্টিলের ধারালো চাকু, ২টি সুইচ গিয়ার চাকু, ১টি কাঠের বাট যুক্ত কিরিচ ও ৫টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে চায় বিএনপি। আর ঐক্য বজায় রাখতে কেউ যেন বিভেদের পথে না যায় সেই বার্তাও দিতে চায় দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক হচ্ছে। দল ও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার বার্তা দিতেই হাইকমান্ডের এই বৈঠক করছে বিএনপি।
এ সময়, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যনির্ভর মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তরুণ-যুবকদের রাজনৈতিক ভাবনাকে ধারণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কর্মসূচি প্রণয়ন করবে বিএনপি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৩০০টি আসনে চূড়ান্তভাবে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৭৬১টি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, “আমরা আজ সারাদেশের ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছি। ৬৪টি জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের জন্য কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং নারী ভোটারের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি।”
আখতার আহমেদ আরও বলেন, “অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি রাখা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে। একটি ভোটকক্ষে গড়ে প্রায় তিন হাজার ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে বিবেচিত। প্রয়োজনে পরবর্তীতে এই সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।”
ইসির তথ্য অনুযায়ী, খসড়া তালিকায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৬১৮টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি। অর্থাৎ এবার ভোটকেন্দ্র বেড়েছে, তবে ভোটকক্ষ কমেছে। আসন্ন নির্বাচনে মোট ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি, যেখানে গত নির্বাচনে ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ৯ম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি)-এর বৈঠক চলছে ।
রাজধানীর শের-ই-বাংলানগর এলাকার এনইসি কনফারেন্স রুমে আজ সকালে এ বৈঠক শুরু হয়।
বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং সফররত পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী আলি পারভেজ মালিক নিজ দেশের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দীর্ঘ ২০ বছর বিরতির পর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শেষবার ২০০৫ সালে জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বর্তমান সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সঠিক নয়। বরং সংস্কার কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকবে। সোমবার অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার যে কথা বলা হয়েছে, এটা সঠিক নয়; বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালু থাকবে।
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
একসময় সচ্ছল জীবন ছিল শুভর পরিবারের। নোয়াখালী সোনাইমুড়ী বজরা গ্রামে কিছু জমিও কিনেছেন। পিতা দুই ভাই প্রবাসে থাকায় পরিবার ভালোই চলছিল। প্রবাসে থেকে পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে ৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেন। এখন এ টাকা সবই হারিয়েছেন।সব টাকাই অনলাইন জুয়া খুইয়েছেন।সোনাইমুড়ী থানার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ইতিপূর্বে এ থানায় যোগদান করেন। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লোভে পড়ে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হন। তার একাউন্টে থাকা প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হারিয়ে এখন নিঃস্ব। উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হৃদয় স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে মোবাইল দোকান দেন। তার পিতা দীর্ঘ বছর থেকে আমেরিকায় বসবাস করেন। বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ তার একাউন্টে বেশি পাঠান। সে ব্যবহার করেন দামি মোবাইল। একপর্যায়ে মোবাইল জুয়ায় আসক্ত হয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন।
জানা যায়, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা।এ এখানকার বাসিন্দারা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে বেশি পাড়ি জমান। এলাকার লোকজন বেশিরভাগ বিত্তশালী। তাই এখানে মুঠোফোন অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। লোভে পড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হচ্ছেন। জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন তাদের অনেকে। এ কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সহজে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ এই জুয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এই খেলা শুরুর পরেই নেশায় পড়ে যাচ্ছে। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছে টাকা। বিভিন্ন নামের প্রায় ১০ থেকে ১২টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশী জুয়া খেলা হয়। এসব অ্যাপসে ১০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোন অঙ্কের টাকা দিয়ে শুরু করা যায়।
এসব অ্যাপসের অধিকাংশই পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। বাংলাদেশে এগুলোর এজেন্ট রয়েছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টরা বিদেশী অ্যাপস পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে হাজারে কমপক্ষে ৪০ টাকা কমিশন পায়।
সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তরুণ, যুবক, পুলিশ সদস্য, দিনমজুর এবং কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও অনলাইন জুয়ার ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে।
সোনামুড়ী ডিগ্রী কলেজের এক কলেজ শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানালেন, তিনি এবং তার বন্ধুরা ৫০০ টাকা জমা দিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই টাকা হারিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পৌর শহরের এক চাকরিজীবী বাড়তি আয়ের আশায় অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে কয়েক লাখ টাকা হারিয়ে এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব অ্যাপের অধিকাংশই বিদেশ থেকে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে এদের স্থানীয় প্রতিনিধি বা দালাল রয়েছে, যারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করেন। প্রতি হাজার টাকায় এজেন্টরা অন্তত ৪০ টাকা কমিশন পায়। এর ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।
সোনাইমুড়ী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক নোমান বলেন, এ উপজেলার সাধারণ মানুষ বেশি মোবাইল জুয়ায় আসক্ত হচ্ছেন। কি খবর প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে। আবার পরে প্রচারিত হচ্ছে। এটা এখন সামাজিক ব্যাধি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, এ উপজেলা বাসী প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় ইউরোপের লোক বেশি বসবাস করে। বহু লোক অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন। প্রতিদিনই থানায় এইসব ভুক্তভোগীরা আসে আইনগত সহযোগিতা পেতে। জুয়া খেলা আইনত দ-নীয় অপরাধ। আমরা অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।শুধু স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী নয়, এদের খপ্পরের পুলিশের উদ্বোধন কর্মকর্তা,সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
মন্তব্য