কলকাতা হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোটের ফল গণনায় কারচুপির অভিযোগে তৃণমূল নেত্রীর করা ইলেকশন পিটিশনের শুনানি শুক্রবার হয়নি। নতুন করে আগামী বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম মামলার শুনানির তারিখ দিয়েছে আদালত।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে নির্বাচনের ফলে কারচুপি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, এই অভিযোগ সামনে এনে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে ইলেকশন পিটিশন হিসেবে একটি মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইপ্রোফাইল নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বনাম শুভেন্দুর ভোট যুদ্ধের পরতে পরতে বিতর্ক আর উত্তেজনা ছিল। যা শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে গড়ায়।
এবারের বিধানসভা ভোটে গোটা দেশের নজরে ছিল নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের দিকে। রাজ্য জুড়ে বিজেপির ভরাডুবি হলেও নন্দীগ্রামে সামান্য ভোটে জিতে যান শুভেন্দু অধিকারী।
এ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী তখন অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘আমরা দু’শর বেশি আসনে জিতেছি। একটা আসনে জেতা হারা বড় ব্যাপার নয়। ওরা একবার ঘোষণা করে দিয়েছিল, আমি জিতে গিয়েছি। এখন বলছে, হেরে গিয়েছি। এটা কি করে হয়, জানি না।
‘ওখানকার মানুষ যে রায় দিয়েছেন, মেনে নিচ্ছি। ওখানে ভোট গণনা যাতে রিভিউ হয় সেই আবেদন জানাব। দরকার হলে আদালতে যাব।’
তৃণমূলের তরফে পুনর্গণনার দাবি করা হয়েছিল। যদিও সেই দাবি মানেনি নির্বাচন কমিশন।
গত ২ মে ফল প্রকাশের দিন টানটান উত্তেজনায় প্রথমে বলা হয়, ১ হাজার ২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। পরে বলা হয়, মমতা নয়, নন্দীগ্রামে ১ হাজার ৯০০ বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী।’
গণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। গণনার সময় দু’ ঘণ্টা সার্ভার ছিল না। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হঠাৎ শুভেন্দু জিতে যাওয়ায় বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল নেত্রীও।
ক্ষুব্ধ নেত্রী, তার মোবাইলে পাঠানো মেসেজ দেখিয়ে সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘একজনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি, নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে, তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তার প্রাণ সংশয় হতে পারে, নন্দীগ্রামের মেশিন পাল্টে দেয়া হয়েছে।’
বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার আক্রমণ করা হয়েছে, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বলে। মমতা এইসব আক্রমণের কোনো জবাব দেননি। শুধু পূর্বঘোষণা মত বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে আদালতে গেছেন।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে একমাত্র উপায় হচ্ছে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে ইলেকশন পিটিশন করা। নিয়ম হচ্ছে, ভোট প্রক্রিয়া শেষে তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে হয়। নিয়ম মেনে তৃণমূলনেত্রী পিটিশন জমা দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। শুভেন্দু জিতেও বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। এটা মেনে নেয়া উচিত।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি হাইকোর্টে যেতেই পারেন। আমাদেরও বিভিন্ন কেন্দ্রে গণনায় কারচুপির অভিযোগ আছে। আমরা পুনর্গণনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাব।’
আরও পড়ুন:ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই উৎসব ত্যাগ, উদারতা ও ঐক্যের চেতনায় মানুষকে একত্রিত করে—এমন অভিন্ন বার্তা উঠে এসেছে দুই নেতার শুভেচ্ছাবার্তায়।
গতকাল রোবরার অন্তর্বর্তী সরকারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উভয় নেতার শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার ( ৬ জুন) মোদিকে পাঠানো চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার এই চেতনা আমাদের দুই জাতিকে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহা হচ্ছে এমন একটি সময়, যা মানুষকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ দেয় এবং বৃহত্তর মানবিকতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদির চিন্তাশীল বার্তা, আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদের অভিনন্দন তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি আপনাকে ও আপনার মাধ্যমে ভারতের জনগণকে এই পবিত্র উপলক্ষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’
এ ছাড়াও, মোদির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন অধ্যাপক ইউনূস।
এর আগে, ৪ জুন বাংলাদেশের জনগণ ও অধ্যাপক ইউনুসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব ভারতের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশব্যাপী ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোটি কোটি মানুষের মধ্যে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়।’
শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
এ ছাড়া, বার্তায় তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনাও করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটাকাটি নিয়ে বাগবিতাণ্ডার জেরে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৮ জুন) জেলার বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল মিয়া উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কোরবানির মাংস কাটার সময় মাংসের আকার ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সঙ্গে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগীর দুলাল মিয়াকে মারধর করেন।
মারধরের এক পর্যায় দুলাল মিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেন তার ভাইয়েরা। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলে, ‘এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগীর পলাতক রয়েছেন।’
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা নগরীতে ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আর চারজন।
সোমবার (৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) পশ্চিম প্রান্তে দারোগার লীজ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও যাত্রী তানজিল (১২)।
লবণচরা থানার লবনচরা ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম জানান, সোমবার ভোরে চাঁদপুর থেকে কয়েকজন খুলনায় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাস থেকে নেমে তারা ইজিবাইকে করে রং সাইডে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে বাগেরহাট থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক রফিকুল ও যাত্রী তানজিল নিহত হন। আহত হন আরও চার যাত্রী।
আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া, নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রহিম।
চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
এছাড়া বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, তাঁর এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
রোববার গভীর রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোহান মোল্যা (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে উন্নত মানের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সোহান মোল্যা ওই গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,সে খুলনার একটি কলেজে লেখাপড়া করে।
সেনাবাহিনী জানায়,টেলিস্কোপিক সাইট ও সাইলেন্সার যুক্ত ৪.৫ ক্যালিবারের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেলটি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকীর মুখে ফেলছিল অভিযুক্ত সোহান মোল্যা। সূত্র আরো জানায় গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নড়াইল ও কালিয়ার সেনাক্যাম্প যৌথভাবে রোবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।
জানাযায়,সেনা সদস্যরা প্রথমে আবুল কালাম মোল্যার বাড়িটি ঘিরে ফেলে। চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে সোহান মোল্যার বিছানার নিচে গোপনে রাখা রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান সোহান ও তার বাবা।পরে উদ্ধারকৃত রাইফেলটি কালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিণয়টি আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে থানা পুলিশ জানান।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এলাকাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানা যায়। সন্তাস দমন এবং অস্ত্রচক্র নির্মূলে এ ধরণের যৌথ অভিযান আগামিতেও চলমান থাকবে বলে সেনাবাহিনী আশাবাদব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক।
এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’
মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে সূর্য তরুণ যুব সংঘের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিলুপ্তপ্রায় এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
খোরশেদ আলম আকন্দ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোমেনশাহী ল কলেজের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এড. রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের একসময়কার জনপ্রিয় পুরনো এ খেলাটি গ্রামের কাঁচা রাস্তায়, মাঠ, বাগানে বা খোলা স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো। কালের বিবর্তনে এই খেলা এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই জনপ্রিয় এ খেলাটি টিকিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলায় উজ্জীবিত করায় তিনি সূর্য তরুণ যুব সংঘকে অভিনন্দন জানান।
এ খেলায় ঢাকা একাদশকে হারিয়ে গ্রাম একাদশ বিজয় লাভ করেন। পরে বিজয়ীদলকে পুরস্কার হিসেবে একটি খাসি উপহার দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি ফুলবাড়িয়া শাখার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান বিএসসি, এডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন, ডা. রফিকুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম প্রমুখ।
নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি উপভোগ করতে খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে বিপুলসংখ্যক দর্শক ও ক্রীড়া প্রেমী জড়ো হয়।
মন্তব্য