× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী
google_news print-icon

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!

ঢাকার-বুকে-হাতির-মতো-এ-কী
বিজিবি সদরদপ্তরের গেটে (বাঁয়ে) এবং এলিফ্যান্ট রোডে হাতির ভাস্কর্য। ছবি: নিউজবাংলা
বিজিবি সদরদ প্তরের গেটের পাশে বেঢপ গড়নের ভাস্কর্যে হাতির বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মাথা, দীর্ঘ প্যাঁচানো শুঁড়, দেহের তুলনায় সরু পা, ঘাড় থেকে নিচের দিকে প্রায় সোজা নেমে যাওয়া দেহ, এমনকি এমন ধবধবে সাদা রঙের হাতি আফ্রিকার কোথাও নেই। আর এলিফ্যান্ট রোডে ঢোকার মুখে বাচ্চা হাতির দাঁত কীভাবে গজালো সেই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই।

ধানমন্ডির শংকর এলাকা থেকে প্রতিদিনই সাতমসজিদ রোড-সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে ফকিরাপুল যাতায়াত করেন প্রিন্টিং ব্যবসায়ী সোহান পারভেজ। এই পথে দুটি জায়গায় রয়েছে ‘হাতির’ ভাস্কর্য। একটি পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের পাশে, আরেকটি সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে।

বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের পাশের ভাস্কর্যকে প্রথম দর্শনে হাতির বলে মেনে নেয়া বেশ কঠিন। গেটের দুই পাশে দুটি করে মোট চারটি এবং আরও একটি আছে গেটের ওপরে।

প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়ানো বা চিড়িয়াখানায় বন্দি হাতির যত ছবি দেখেছেন, তার কোনোটির সঙ্গেই ভাস্কর্যের ‘হাতি’ মেলাতে পারেন না সোহান পারভেজ। এলিফ্যান্ট রোডের দুটি হাতির অবয়ব নিয়েও আপত্তি রয়েছে তার।

এই ব্যবসায়ী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বলতে গেলে প্রতিদিনই একবার করে চোখ আটকায় এই ভাস্কর্যগুলোতে। আমার কাছে সবচেয়ে অদ্ভুত লাগে বিজিবির গেটের হাতিগুলো।

‘হাতি দেখতে কি এ রকম হয় বলেন? দেখতে কেমন যেন! আর সায়েন্সল্যাবের মাথার হাতির দিকে তাকানো যায় না। না বড় হাতি, না বাচ্চা হাতি কেমন জানি সাইজ এগুলোর। অনেক দিন ধরে আবার সেটার মুখ, দাঁত, লেজ ভাঙা, চারদিকে নোংরা।’

বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের হাতির প্রতিটিতে দাঁত রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক হাতির বাহ্যিক কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে লিঙ্গ নির্ধারণের সাধারণ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সে অনুযায়ী, আফ্রিকান হাতির ক্ষেত্রে পুরুষ বা মাদি- দুই ধরনের হাতিতেই লম্বা দাঁত দেখা যায়। তবে এশিয়ান মাদি হাতির লম্বা দাঁত নেই, কখনও কখনও এ ধরনের মাদি হাতির দৃশ্যমান দাঁতই থাকে না। এ ছাড়া, হাতির প্রতিটি দলে পুরুষের পাশাপাশি মাদি হাতিও থাকে।

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
বিজিবি সদর দপ্তরের গেটে হাতির ভাস্কর্য

বিজিবি গেটের ভাস্কর্যে সবগুলো হাতির লম্বা দাঁত থাকায় ধরে নেয়া যেতে পারে, সেগুলো আফ্রিকান প্রজাতির পুরুষ ও মাদি হাতির একটি দল। বিশালাকার কান থেকেও ধরে নেয়া যায়, ভাস্কর এশিয়ান হাতি নয়, তৈরি করতে চেয়েছেন আফ্রিকান প্রজাতির হাতি।

তবে মাথা থেকে শুরু করে দেহের আর কোনো গড়ন থেকেই এই ভাস্কর্যে হাতির বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মাথা, দীর্ঘ প্যাঁচানো শুঁড়, দেহের তুলনায় সরু পা, ঘাড় থেকে নিচের দিকে প্রায় সোজা নেমে যাওয়া দেহ, এমনকি এমন ধবধবে সাদা রঙের হাতি আফ্রিকার কোথাও নেই।

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
এলিফ্যান্ট রোডে হাতির ভাস্কর্য

এলিফ্যান্ট রোডে ঢোকার মুখের দুটি হাতি এসব জটিলতা কিছুটা এড়াতে পারলেও প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশে থাকা বাচ্চা হাতিরও দাঁত কীভাবে গজালো সেই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। তাছাড়া, এই হাতির শুঁড়ও দেহের তুলনায় লম্বা, দেহের গড়ন নিয়েও আছে বিস্তর প্রশ্ন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভাঙা পড়েছে দাঁত, লেজ।

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা দিশেহারা

বাঘ ও হাতি বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ আজিজ বলছেন, এসব ভাস্কর্য যারা বানাচ্ছেন তাদের হাতি নিয়ে বাস্তব কোনো ধারণা নেই।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেউ যদি কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য বানান, তার প্রথম দায়িত্ব হলো রিয়েল ওয়ার্ল্ডে প্রাণীটিকে দেখা, ইভেন নট ইন ফটোগ্রাফ। আমাদের এখানে হয় কি, যিনি এটা বানান, ইন্টারনেটে তিনি হয়তো একটা ছবি দেখে সেটা বানানোর চেষ্টা করেন। যিনি এগুলো বানাচ্ছেন, তার উচিত ছিল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলা।’

বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের পাশের ভাস্কর্যকে আফ্রিকান প্রজাতির হাতি হিসেবে শনাক্ত করার পক্ষে ড. আজিজ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আফ্রিকান প্রজাতির হাতির কান অনেক বড় হয়, তাছাড়া সামনের দিক থেকে এদের অ্যাপিয়ারেন্স কিছুটা অ্যাগ্রেসিভ। এশিয়ান এলিফ্যান্টের অ্যাপিয়েরেন্স অতটা অ্যাগ্রেসিভ নয়।’

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
আফ্রিকান হাতি (বাঁয়ে) এবং এশিয়ান হাতি

হাতির গায়ে সাদা রং চড়ানোর বিষয়ে প্রচণ্ড আপত্তি আছে ড. আজিজের। তিনি বলেন, কোনো হাতির বায়োলজিক্যাল কোনো প্রবলেম হলে গায়ের রং কিছুটা সাদা হতে পারে। তবে একেবারে সাদা বলতে যা বোঝায় এটা কিন্তু সেই সাদা না। তাছাড়া সাদা হাতি আমি কেন করব! ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ডে এটা তো এক্সেপশনাল ঘটনা। মানুষের মধ্যেও আমরা কারও কারও শ্বেত রোগ দেখে থাকি, কিন্তু সেটা তো কমন নয়। আপনি হয়তো বনে এক শটা হাতি দেখলেন, তার মধ্যে একটা হয়তো পাওয়া যাবে কিছুটা সাদা। আমি সেটাই কেন ভাস্কর্যের জন্য বেছে নেব?’

ভাস্কর্যের হাতির শুঁড় তুলনামূলক লম্বা জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি গেটের হাতির শুঁড়ে যেভাবে কয়েক প্যাঁচ রয়েছে সেটাও অসম্ভব।

অধ্যাপক ড. এম এ আজিজের কাছে এলিফ্যান্ট রোডের বাচ্চা হাতির দাঁত গজানোর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তিনি বলেন, ‘নরমালি বাচ্চা হাতির দাঁত বাইরে ওইভাবে এক্সপোজড থাকে না। আমাদের বাচ্চাদেরও তো শুরুতে থাকে না। এরপর তার দুধদাঁত ওঠে, তারপর সেগুলো পড়ে গিয়ে স্থায়ী দাঁত ওঠে।’

ড. আজিজ মনে করেন, এ ধরনের ভাস্কর্য কেবল সৌন্দর্যহানিই ঘটাচ্ছে না, প্রাণী সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তিরও জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা বা ইয়াং জেনারেশন হয়তো ১০ বছর পরে আর হাতিই দেখবে না। তখন এসব ভাস্কর্য থেকে তারা একটা ধারণা নেবে। ক্লাসে টিচার যখন বলবে, এশিয়ান মাদি হাতির দাঁত থাকে না, তখন তারা বলবে, কই আমরা তো এলিফ্যান্ট রোডের সব হাতিরই দাঁত দেখেছি।’

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
বাচ্চাসহ এশিয়ান হাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামানও দিচ্ছেন একই মত।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাতির কানটা কতটুকু লম্বা হয়, শুঁড়টা কতটুকু লম্বা হয়, মাথার সঙ্গে বডির রেশিও কত, এসব চিন্তা করা হচ্ছে না। ভাস্কর্য বানাতে পারে বানিয়ে রেখে দেয়। সেটা কিসের ভাস্কর্য হলো, মানুষের হলো না জন্তুর হলো, এগুলো তারা চিন্তা করে না।

‘ওই জায়গাগুলোতে ভাস্কর্য বসিয়েছে কেন, উদ্দেশ্য কী? এখন এই প্রাণীগুলো অতি বিপন্ন হয়ে গেছে। এই অতি বিপন্ন প্রাণীগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য, দরদ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন জায়গায় এসব ভাস্কর্য আমরা করে থাকি। সেখানে আমরা একটা হাতির ভাস্কর্য বসাতে গিয়ে সেটা হাতি না হয়ে যদি অন্য কিছু বোঝায় তাহলে এটা খারাপ অবশ্যই।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ওয়াইল্ড লাইফ নিয়ে কাজ করি, কখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় না। সারা পৃথিবীতে যেকোনো জিনিস সরকার যখন করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খোঁজে; এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কে, তাদের পরামর্শ নেয়, সেই অনুয়ায়ী কাজ করে। আর আমাদের দেশে তোয়াক্কা করে না এগুলো।

‘আপনি একটা প্রাণী যখন ডিসপ্লে করবেন, কোন মোশনে সেটা থাকা উচিত, সেই প্রাণীটা বসলে কীভাবে বসে থাকে, কত অ্যাঙ্গেলে মাথাটা ঘুরিয়ে থাকে, কত অ্যাঙ্গেলে বডিটা ঘোরানো থাকে। হাতিটা থাকলে শুঁড়টা কীভাবে থাকে? কোন অ্যাঙ্গেলে ঘোরানো থাকে।’

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
বিজিবি সদর দপ্তরের গেটে ভাস্কর্যের হাতির শুঁড়ে আছে বিস্ময়কর প্যাচ

শিল্পবোদ্ধা, নগর বিশেষজ্ঞরাও দুশ্চিন্তায়

এসব ভাস্কর্য নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওরিয়েন্টাল আর্টের শিক্ষক গুপু ত্রিবেদীর সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এই ভাস্কর্যগুলো কে করেছে আমি জানি না, কিন্তু কাজগুলো খুবই দুর্বল। সোজা কথা এগুলো ডিসপ্রোপরসন ওয়ার্ক। ভাস্কর্যের যে প্রোপরসন থাকে, সেটা ঠিক নাই। চোখের জায়গায় চোখ নাই, দাঁতের জায়গায় দাঁত নাই। মাথা আর বডির কোনো সম্পৃক্ততা নাই। অ্যাবনরমাল একটা ব্যাপার।

‘আর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের বাচ্চা হাতির তো দাঁত হয়ে আছে। এই কাজগুলো নিয়ে যদি বলি তাহলে এগুলো না শিল্প, না অশিল্প, কিছুর মধ্যেই পড়ে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভাস্কর মুকুল কুমার বাড়ৈ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ভাস্কর্যগুলো দিয়ে আমাদের আরবান কর্তৃপক্ষের শিল্পবোধের যে জায়গাটা, সেখানে কিছুটা হলেও দুর্বলতার প্রকাশ পায়। সবকিছু মিলেই তো আমাদের প্রকাশ এবং আমরা আমাদেরই প্রকাশিত করছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের শিল্প উৎকর্ষে র যে জায়গাটা সেটা অপ্রকাশিত হচ্ছে।’

নগর পরিকল্পনাবিদ, গবেষক ও শিল্পসমালোচক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যখন একটা হাতির ভাস্কর্য বসানো হয়েছিল, সেটা তো করেছিল নিশ্চয় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য। হাতি, ঘোড়া যাই হোক, এগুলো তো সৌন্দর্যের জন্য বসাতেই পারে।

‘সেটা ঠিক আছে, কিন্তু জায়গাটা যেন সুন্দরভাবে পরিকল্পিত হয় ও স্থাপনাটা সুন্দর হয় এবং সবচেয়ে বড় কথা বসানোর পরে যেন এটা যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত হয়। তা না করে একটা কিছু বানালাম, অযত্নে ফেলে রাখলাম, তাতে শহরের সৌন্দর্য সেটাও বাড়ে না আর শিল্পকর্মের প্রতি আমাদের যে অবজ্ঞা সেটা প্রমাণ দেয়। আর আমরা জন্তু-জানোয়ারকে কতটা ভালোবাসি বা বাসি না সেটাও প্রমাণ রাখে।’

এসব ভাস্কর্য কার পরামর্শে এবং কার অনুমতি নিয়ে করা হচ্ছে- প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, ‘এটায় তো অবশ্যই সিটি করপোরেশনের অনুমোদন লাগবে। এখন আমাদের এত বড় শহর, রাজধানী, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুলের শহরের একটা। কিন্তু এখানে শিল্পকর্ম কোথায় কীভাবে স্থাপন করা হবে, কে সংরক্ষণ করবে কোনো নিয়মকানুন নাই। কোনো চিন্তাভাবনা নাই।’

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
এলিফ্যান্ট রোডের হাতির ভাস্কর্যের দাঁত, মুখও ভেঙে গেছে

ভাস্কর অধরা, কর্তৃপক্ষের চোখে শিল্প

বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের পাশে ও এলিফ্যান্ট রোডের ভাস্কর্যের নির্মাতা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো তথ্য পায়নি নিউজবাংলা। তবে বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, বিজিবি গেটের ভাস্কর্যের নির্মাতার নাম কবীর চৌধুরী। দেশে আর কোথাও তার কোনো শিল্পকর্ম আছে কি না, সে ব্যাপারে ভাস্কর্যশিল্পীরাও কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

বিজিবির গেটের হাতিগুলোকে শুধু শিল্পকর্ম হিসেবেই দেখতে চান বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান।

হাতির ভাস্কর্যের প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি নিউজবাংলা প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুঁড় নিয়ে বলবেন তো? শুঁড়টা অনেক লম্বা তাই তো? দেখেন সবকিছু তো স্কেল হিসেবে হয় না। সেই হিসেবে প্রতীকী অর্থে ধরে নেয়াটাই সবচেয়ে শৈল্পিক হবে আরকি।’

ঢাকার বুকে হাতির মতো এ কী!
বিজিবি সদর দপ্তরের গেটের উপরেও আছে ভাস্কর্যের একটি হাতি

বিজিবির এই কর্মকর্তা দাবি করেন, হাতির ভাস্কর্য বানানো হয়েছে ঢাকা ও পিলখানার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে।

এই ধরনের শ্বেতশুভ্র এবং বেঢপ হাতি ঐতিহ্য বহন করে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটার যৌক্তিকতা একেবারেই একেকজনের কাছে একেক রকম। একেকজনের চিন্তার লাইন একেক রকম হবে। তবে যে উদ্দেশ্যে করা সেটা মূলত ঐহিত্যকে ধারণ, স্মৃতিকে ধরে রাখা। আমরা নিজেদেরকে ঐতিহ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছি; হ্যাঁ পিলখানায় সিম্বল অফ হাতি।’

আর ঢাকায় হাতির ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম।

তিনি বলেন, ‘সংবাদ সংক্রান্ত এবং মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের পাবলিক রিলেশন অফিসার আছে, তার সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

আরও পড়ুন:
টেকনাফের লোকালয়ে বন্য হাতি 
হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
ঈদ জমে হাতিরঝিলে
বন্যহাতির আক্রমণে দিশেহারা কৃষক
বন্যহাতির মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Sarah Cook recycled the UK support for a fair election in Bangladesh

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত সারাহ কুকের

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক

বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’

মন্তব্য

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

উত্তরায় বাসের ধাক্কায় মোটরবাইক চালকের মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।

নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka South City Corporation is working to reduce temporary waterlogging caused by thunderstorms with thunderstorms

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বজ্রসহ মুষলধারার বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rains from night

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাত থেকে বৃষ্টি, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি

রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।

এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।

এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Grand Opening of Tripology began in Dhaka

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।

উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”

ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।

ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩১৩টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Satarasta twist blockade technical students stop traffic

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।

২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।

উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।

কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।

এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।

উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।

মন্তব্য

p
উপরে