‘কোন পাথেয় নিয়ে তোমরা এসেছ? মহৎ আকাঙ্ক্ষা। তোমরা বিদ্যালয়ে শিখবে বলে ভর্তি হয়েছ। কী শিখতে হবে ভেবে দেখ। পাখি তার বাপ-মায়ের কাছে কী শেখে? পাখা মেলতে শেখে, উড়তে শেখে। মানুষকেও তার অন্তরের পাখা মেলতে শিখতে হবে, তাকে শিখতে হবে কী করে বড় করে আকাঙ্ক্ষা করতে হয়। পেট ভরাতে হবে। এ শেখাবার জন্যে বেশি সাধনা দরকার নেই; কিন্তু পুরোপুরি মানুষ হতে হবে- এই শিক্ষার জন্যে যে অপরিমিত আকাঙ্ক্ষার দরকার তাকেই শেষ পর্যন্ত জাগিয়ে রাখবার জন্যে মানুষের শিক্ষা।’
১৯১৯ সালের ৭ নভেম্বর সিলেট মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজে দেয়া বক্তৃতায় এমনটি বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথের এই বক্তৃতা মুগ্ধ করেছিল উপস্থিত শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে একজন পরে এ নিয়ে চিঠি লিখেন কবিকে। চিঠির এক জায়গায় প্রশ্ন রাখেন- ‘আকাঙ্ক্ষা বড় করতে হলে কী করতে হবে?’ এই শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ মুজতবা আলী। পরবর্তী সময়ে স্বনামে খ্যাত ও রসসাহিত্যের অনন্য অবস্থানে পৌঁছার পরও তার স্বীকারোক্তি- ‘আমার অন্তর্জগৎ রবীন্দ্রনাথের গড়া’।
এমসি কলেজে বক্তৃতা দেয়ার দুদিন আগেই রবীন্দ্রনাথ আসেন সিলেটে। যা তখন শ্রীহট্ট নামেও খ্যাত ছিল, কবিগুরু ভালোবেসে যার নাম দিয়েছিলেন ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’।
১৯১৯ সালের ৫ নভেম্বর। হেমন্তের শীত শীত সকাল। চারদিকে কুয়াশার আঁধার। তার ভেতর থেকেই যেন একটা ট্রেন এসে থামল সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে। প্রতিদিনই যেমন থামে। তবে এই ট্রেন থেকে নেমে এলেন দীর্ঘ শুভ্রকেশ আর শ্মশ্রুমণ্ডিত বিশেষ একজন। ছয় বছর আগে যিনি উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল জয় করেছেন। অবশ্য গান আর কবিতায় তারও আগেই তিনি জয় করে নিয়েছেন বাঙালির হৃদয়। শ্রীহট্টে পা রাখলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সিলেটে তিন দিন অবস্থান করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কবিগুরুর এই সফর নিয়ে প্রখ্যাত সম্পাদক নলিনীকুমার ভদ্র লেখেন- ‘কবির জীবনী থেকে এ তিনটি দিনের কাহিনি (সিলেট ভ্রমণের ৩ দিন) বাদ দিয়ে যদি কোনো শ্রীহট্টের ইতিহাস লেখা হয় তাহলে তা হবে অসম্পূর্ণ। অনাগত যুগে আমাদের ভবিষ্যৎ বংশীয়রা এ কাহিনি পড়ে গর্ব অনুভব করবে- যদিও ঈর্ষা করবে তারা আমাদের অপরিসীম সৌভাগ্যকে।’
সিলেট ভ্রমণের আনন্দস্মৃতির কথা উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ ১৯১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ইতিহাসবিদ ও কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কালিদাস নাগকে এক চিঠিতে লেখেন, ‘আশ্রমে ফিরে এসেছি। পাহাড় (শিলং) থেকে নেমে আসবার পথে গৌহাটি, শিলেট (সিলেট) ও আগরতলা ঘুরে এলুম। বলা বাহুল্য বক্তৃতার ত্রুটি হয়নি। দিনে চারটে করে বেশ প্রমাণসই বক্তৃতা দিয়েছি এমন দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এমনতর রসনার অমিতাচারী আমি যে রাজি হয়েছি তার কারণ ওখানকার লোকেরা এখনও আমাকে হৃদয় দিয়ে আদর করে, এটা দেখে বিস্মিত হয়েছিলুম। বুঝলুম কলকাতা অঞ্চলের লোকের মতো ওরা এখনও আমাকে এত বেশি চেনেনি। ওরা আমাকে যা-তা একটা কিছু মনে করে। তাই সেই সুযোগ পেয়ে খুব করে আমার মনের কথা ওদের শুনিয়ে দিয়ে এলুম।’ (চিঠিপত্র-১২)
সিলেটে ভ্রমণকালে ৬ নভেম্বর টাউন হল প্রাঙ্গণে ও ৭ নভেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের উদ্যোগে কবি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুটি বক্তৃতা দেন রবীন্দ্রনাথ। পরবর্তী সময়ে টাউন হলের বক্তৃতা ‘বাঙালীর সাধনা’ নামে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় আর এমসি কলেজের বক্তৃতার সারমর্ম ‘আকাঙ্খা’ শিরোনামে ‘শান্তিনিকেতন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এমসি কলেজের বক্তৃতার কিছু অংশ শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘যে দেশে বিদ্যালয়ে কেবল দেখতে পাই, ছাত্র নোটবুকের পত্রপুট মেলে ধরে বিদ্যার মুষ্টিভিক্ষা করছে কিংবা পরীক্ষায় পাশের দিকে তাকিয়ে টেক্সট বইয়ের পাতায় পাতায় বিদ্যার উঞ্ছবৃত্তিতে নিযুক্ত, যে দেশে মানুষের বড় প্রয়োজনের সামগ্রী মাত্রই পরের কাছে ভিক্ষা করে সংগ্রহ করা হচ্ছে, নিজের হাতে লোকে দেশকে কিছুই দিচ্চে না- না স্বাস্থ্য, না অন্ন, না জ্ঞান, না শক্তি; যে দেশে কর্মের ক্ষেত্র সংকীর্ণ, কর্মের চেষ্টা দুর্বল, যে দেশে শিল্পকলায় মানুষ আপন প্রাণমন আত্মার আনন্দকে নব নব রূপে সৃষ্টি করছে না; যে দেশে অভ্যাসে বন্ধনে সংস্কারের জালে মানুষের মন এবং অনুষ্ঠান বদ্ধ বিজড়িত; যে দেশে প্রশ্ন করা, বিচার করা নতুন করে চিন্তা করা ও সেই চিন্তা ব্যবহারে প্রয়োগ করা কেবল হাতে যে নেই তা নয়, সেটা নিষিদ্ধ এবং নিন্দনীয়, সেই দেশে মানুষ আপন সমাজে আত্মাকে দেখতে পায় না, কেবল হাতকড়া, পায়ের বেড়ি এবং মৃতযুগের আবর্জনারাশিকেই চারিদিকে দেখতে পায়, জড় বিধিকেই দেখে, জাগ্রত বিধাতাকে দেখে না।’
ভ্রমণকালে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে মুগ্ধ হয়ে সিলেটকে নিয়ে একটি কবিতাও লেখেন রবীন্দ্রনাথ। সে সময় বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে সিলেটকে আসামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এ নিয়ে আক্ষেপও ফুটে ওঠে রবীন্দ্রনাথের কবিতায়। শতাধিক বর্ষ পরেও সিলেটের বর্ণনা দিতে গিয়ে এখনও অনেকেই দ্বারস্থ হন সেই কবিতার।-
‘মমতাবিহীন কালস্রোতে/ বাঙলার রাষ্ট্রসীমা হতে/ নির্বাসিতা তুমি/ সুন্দরী শ্রীভূমি।/ ভারতী আপন পুণ্য হাতে/ বাঙালির হৃদয়ের সাথে/ বাণীমালা দিয়া/ বাঁধে তব হিয়া/ সে বাঁধনে চিরদিনতরে তব কাছে/ বাঙলার আশীর্বাদ গাঁথা আছে।’
এই কবিতা থেকে ধার করে সিলেটকে ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’ হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকেন কেউ কেউ।
লেখক ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক নৃপেন্দ্র লাল দাশ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ কেবলমাত্র সিলেটকে নিয়েই কবিতা লিখেছেন। অন্য কোনো স্থান সম্পর্কে কোথাও কবিতা লিখেছিলেন কি না, জানা যায় না। রবীন্দ্র হস্তাক্ষরে লেখা কবিতাটির শিরোনাম ছিল না। তারিখও ছিল না। স্থান নামও ছিল না। পরে কবিপ্রণামে ‘শ্রীভূমি’ নামে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্র গবেষকদের অনুমান ১৯৩৬ সালে এই কবিতা রচিত হয়েছিল।’
সিলেটে এসে মণিপুরী নৃত্য দেখে মুগ্ধ হন রবীন্দ্রনাথ। মণিপুরী কাপড়ও তাকে মুগ্ধ করে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা তর ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষে ফিরে দেখা’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ মণিপুরী নৃত্যকলায় এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, কলকাতায় ফিরবার পথে ত্রিপুরার রাজার সাহায্য নিয়ে একজন নাচের শিক্ষককে শান্তিনিকেতনে নিয়ে যান সেখানকার শিক্ষার্থীদের নাচ শেখাবার জন্যে।’
কবিগুরুর সিলেট সফরের শতবর্ষ পূর্ণ হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে। গর্ব আর ঈর্ষাজাগানিয়া সেই স্মৃতির স্মরণে সে বছর সিলেটে ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে ‘শ্রীহট্টে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষে স্মরণোৎসব’ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথের পরিভ্রমণের একশ’ বছর পূর্তি পালন করা হয়। রবীন্দ্র স্মরণোৎসব বিশাল আয়োজনে পালন করা হলেও দীর্ঘদিন ধরেই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে রবীন্দ্রস্মৃতিচিহ্নগুলো।
সিলেট ভ্রমণকালে নগরীর নয়াসড়কের মিশনারি বাংলোয় (পাদ্রী বাংলা নামে পরিচিত) থাকার ব্যবস্থা হয় রবীন্দ্রনাথের। এই বাংলোটির এখন আর অস্তিত্বই নেই। খ্রিষ্টান মিশনারি নেতারা বাংলোসহ ওই জায়গাটি অনেকটা গোপনে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে সেখানে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।
নগরীর চৌহাট্টা এলাকার এতিহ্যবাহী সিংহ বাড়িতে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এ বাড়িটিকে অর্পিত সম্পত্তি উল্লেখ করে একটি প্রভাবশালী মহলকে বন্দোবস্ত করে দেয়া হয়েছিল। তবে আন্দোলনের মুখে পরে বন্দোবস্ত বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এমসি কলেজেও নেই রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্ন ধরে রাখার মতো কোনো উদ্যোগ।
সিলেট ভ্রমণকালে নগরীর বন্দরবাজারের ব্রাহ্মমন্দিরে দুইবার যান রবীন্দ্রনাথ। সেখানে সমবেত প্রার্থনায়ও অংশ নেন। ব্রাহ্মমন্দিরটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনো রকমে টিকে আছে।
রবীন্দ্রনাথের মন কেড়েছিল সিলেটের মণিপুরী নৃত্য। নগরীর মাছিমপুরের মণিপুরী পল্লির মণ্ডপে বসে নৃত্য দেখেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের দাবির পর গত বছর এই মণ্ডপপ্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় মৌলবাদী গোষ্ঠী।
এ প্রসঙ্গে কবি তুষার কর বলেন, ‘কেবল গানবাজনা আর লোকদেখানো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রস্মরণ নয়। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্নগুলোও আমাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তাতে আগামী প্রজন্ম এ বিষয়ে জানতে পারবে।’
আজ ইংরেজি সালে ৮ মে, বাংলায় ২৫ বৈশাখ। বাঙালি সত্তা ও সংস্কৃতির মহানায়ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০ তম জন্মদিন। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম এই প্রবাদপুরুষের।
আরও পড়ুন:দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ অংশ নিচ্ছেন, এমন ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সমস্ত নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। এর আগে-পরে সব নির্বাচনই বয়কট করে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে দলটি।
বহিষ্কার হলেন যারা
চট্টগ্রাম বিভাগ
মোসা. শিরীন আক্তার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বান্দরবান জেলা মহিলা দল বান্দরবান জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মো. রিটন মো. রিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, আলীকদম উপজেলা বিএনপি বান্দরবান জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
মোসা. জাহানারা জাহাঙ্গীর সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দল। জেলা কক্সবাজার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
জাহাদুল হুদা সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা যুবদল। জেলা কক্সবাজার। ভাইস চেয়ারম্যান রাজশাহী বিভাগ
কায়সার আহমেদ সাবেক সহ—সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
মো. কামাল উদ্দীন সদস্য, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
মোসা. রেশমাতুল আরস রেখা মহিলাদল নেত্রী, ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
বাবর আলী বিশ্বাস সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
আতাউর রহমান খসরু আহ্বায়ক, মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি কালাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান ১১. শামীমা আক্তার (বেদেনা) সদস্য, জয়পুরহাট জেলা মহিলাদল ও সহ-সভাপতি, ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলাদল।
জয়পুরহাট জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা সাবেক ভিপি, নাটোর সদর উপজেলা। নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
আফজাল হোসেন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
মোসা. মহুয়া পারভিন সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা মহিলাদল নাটোর জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
ময়মনসিংহ বিভাগ
এ বি এম কাজল সরকার সাবেক ছাত্রনেতা হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
মোসা. সুমি বেগম সহ-কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোসা. মনোয়ারা বেগম সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
হাসনাত তারেক সদস্য, আইনজীবী ফোরাম হালুয়াঘাট উপজেলা ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
জাহাঙ্গীর আলম খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
শামসুর রশিদ মজনু সাবেক সহ-সভাপতি ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
ইমরান হাসান পল্লব সাবেক সাধারণ সম্পাদকফুলপুর পৌর বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
কামাল উদ্দীন যুগ্ম আহ্বায়ক পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
(প্রত্যাহার করেছেন)
নাজমুল আলম সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
নাজমুল আলম সদস্য, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফরিদ আল-রাজি সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদল। কুমিল্লা বিভাগ
সাজ্জাদ মোর্শেদ সহ—প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, নাসিরনগর উপজেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ওমরাহ খান সাবেক সহ-সভাপতি নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
শামীম ইস্কান্দার সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
হানিফ আহমেদ সবুজ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল উপজেলা যুবদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
রৌমারী উপজেলা মহিলাদল, কুড়িগ্রাম জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু যুগ্ম আহ্বায়ক, পীরগাছা উপজেলা বিএনপি, রংপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফরিদপুর বিভাগ
জানে আলম সদস্য সচিব, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষকদল, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফারুক মৃধা প্রাথমিক সদস্য, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
শাহিদ আল-ফারুক যুগ্ম আহ্বায়ক, ফরিদপুর জেলা কৃষকদল, সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
এ কে এম নাজমুল হাসান সাবেক সদস্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
রউফ উন-নবী সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
শারমিন আক্তার টুকটুকি সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দল, সদর, রাজবাড়ী জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
গ্যাস পাইপলাইনে জরুরি কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ইএনবির
তিতাস জানায়, যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
এ সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে তিতাস। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কোম্পানি।
দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় শ্রীমঙ্গল-পাত্রখোলা সড়কে বাস পরিষেবা চালু করেছে শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর-কুলাউড়া বাস মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসিদ আলী ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই রুটে ৫০ মিনিট পরপর ২৪টি বাস চলাচল করবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ মাধবপুর সড়ক দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান পর্যন্ত এ বাস চলাচল করবে।
কুরমা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া পাত্রখোলা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৫০ টাকা, মাধবপুর থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪০ টাকা, কুরমা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ৪০ টাকা, পাত্রখোলা থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ২৫ টাকা, মাধবপুর থেকে ভানুগাছ পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং ভানুগাছ থেকে শ্রীমঙ্গল ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুরমা নতুন বাস স্ট্যান্ডে বাস চলাচলের উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর-কুলাউড়া বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. তসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী যোগেশ্বর চন্দ্র সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শাওন, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, নুরুল হক, বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, গ্রুপ সভাপতি কাসেম মিয়া ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এর আগে মাধবপুর বাজারে বাস প্রবেশ করলে এলাকাবাসী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় যাত্রীদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
এদিকে সিএনজি থেকে ভাড়া কম করে বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় যাত্রীসহ স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার ও ইসরাত জাহান সিফাত নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১২ বছরের আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং ৯ বছরের সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় আলমি৷ পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু ঘটনাটি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পুলিশ দুই শিশুর মরদেহের সুরতহাল করে।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানত, আরেকজন জানত না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসঙ্গে ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থনীয়রা।’
মরদেহের সুরতহাল শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম। বাড়ি তার বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। বর্তমানে ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত।
৩৮ বছর বয়সী এ যুবকের নেশা বিয়ে করা। যেখানেই যান সেখানেই তিনি বিয়ে করেন। এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ে করেছেন।
সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার। ঢাকায় থাকাকালে সেঁজুতি নামের পবহাটির একটি মেয়ের সঙ্গে সপ্তমবারের মতো সংসার শুরু করেন তিনি।
তবে এর মানে এই নয় যে, তার আগের সব স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রী পারভীন তার গ্রামের বাড়িতে এবং ষষ্ঠ স্ত্রী রয়েছেন যশোরের বেনাপোলে। ২ স্ত্রীর ঘরে ২টি সন্তানও রয়েছে তরিকুলের।
সম্প্রতি সংসার জীবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই যুবক। স্বামীকে ফিরে পেতে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝিনাইদহের পবহাটিতে আসেন ষষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী। তরিকুলকে স্বামী দাবি করলে সেখানে বেঁধে যায় রণক্ষেত্র। স্বামীকে নিয়ে সেঁজুতির সঙ্গে শুরু হয় তার কাড়াকাড়ি। কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে সাথী জানান, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন তরিকুল। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ের পর থেকে একসঙ্গেই ছিলেন দুজন। তবে ২০২২ সালে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান তরিকুল। তার কিছুদিন পর থেকে সাথীর সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।
তিনি জানান, ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে তার ও তাদের সন্তানের কোনো খরচ পাঠাতেন না তরিকুল। এরই মধ্যে সেঁজুতির সঙ্গে তার ইমোতে পরিচয় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেঁজুতিকে বিয়ে করেন তিনি।
সাথী বলেন, ‘গত ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। সেখানে আমাকে ভুলিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর আবার সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী ঝিনাইদহ আছে- এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আর এর মধ্যে আবার পালিয়েছে সে (তরিকুল)। আমি তরিকুল ও সেঁজুতির বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে আনসার সদস্য তরিকুলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের মধ্যে পড়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেমাজপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থাকা ওই পাইপ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী রনি বর্মনকে (২৩) অবশেষে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএর গভীর নলকূপটির পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, নতুন করে আরেকটি গভীর নলকূপ কিছুদিন আগে বসানো হয়, ফলে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল। ওই পরিত্যক্ত নলকূপের পাইপের মধ্যেই পড়ে যান রনি বর্মন।
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারেকুর রহমান জানান, প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রনি বর্মনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
স্থানীয়রা জানান, রনি বর্মন গভীর নলকূপের ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। সকালে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের কাছে গেলে,পড়ে যান। এ সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ওই নলকূপের কাছে পানি খাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তারা ছেলেটির কান্নার আওয়াজ শুনে সবাইকে জানান, খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার নামের এক ছাত্রী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৭ বছর বয়সী মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।
মাদ্রাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদ্রাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদ্রাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছিল, কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্তব্য