× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
গান নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক বড়
google_news print-icon

গান নিয়ে স্বপ্ন অনেক বড়: পুষ্পিতা

গান-নিয়ে-স্বপ্ন-অনেক-বড়-পুষ্পিতা
নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা। ছবি: নিউজবাংলা
গানের পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। উপস্থাপনাও করি মাঝে মাঝে। উপস্থাপনাটা নিয়মিত চালিয়ে যেতে চাই: পুষ্পিতা

চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ চ্যাম্পিয়ন নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা। এখন ব্যস্ত টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে। ঢাকা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

গান গাওয়া শুরুটা কীভাবে হলো?

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। মা গান করতেন। বাবা সাংবাদিকতার পাশাপাশি আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় জড়িত ছিলেন। মূলত একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্য দিয়েই বড় হয়েছি। মাকে দেখতাম কিংবদন্তি শিল্পীদের গান শুনতে। সেখান থেকেই উৎসাহটা এসেছে। এভাবেই গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মে।

এরপরে তো ক্ষুদে গানরাজে এলে। সেখানকার কোনো স্মৃতিময় ঘটনা বলো।

ক্যাম্পে থাকার সময় বিভিন্ন এক্সারসাইজ করানো হতো। এক্সারসাইজ করাতে করাতেই একটি নাচ শিখিয়ে দেয়া হয়েছিল। হুট করে একদিন শুটিংয়ে ইজাজ খান স্বপন স্যার বললেন, সেই নাচটি পারফর্ম করতে। আমরা সব পার্টিসিপ্যান্টরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমরা সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী নই। সেই এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ ভাইয়া। আরও ছিলেন সংগীতশিল্পী কণা আপু। তবে ভয় পেলেও শেষ পর্যন্ত আমরা দারুণ নেচেছি। আমার নাচ দেখে সেটে উপস্থিত সবাই মজা পেয়েছিল।

গানের পাশাপাশি আর কী করো?

গানের পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে। উপস্থাপনাও করি মাঝে মাঝে। উপস্থাপনাটা নিয়মিত চালিয়ে যেতে চাই।

প্রিয় সংগীতশিল্পী কে?

প্রিয় শিল্পীর তালিকা আসলে অনেক বড়। কারণ একেক শিল্পীর স্টাইল একেক রকম। আমি তাদের সবার থেকেই কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি। তারপরও প্রিয় শিল্পীদের মধ্যে প্রথম স্থানে আছেন কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা ম্যাম। ভারতের শ্রেয়া ঘোষাল দিকেও পছন্দ করি।

প্রিয় গান কোনটি?

এটা বলা একদমই সম্ভব না। আমার অসংখ্য প্রিয় প্রিয় গান আছে।

আলাদিনের চেরাগ পেলে কী চাইবে?

সে তো আমার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করবে, তাই না? সে ক্ষেত্রে প্রথমেই চাইব আমার কণ্ঠ যেন আরও সুরেলা হয়ে যায়। পৃথিবীর সব ধরনের মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট চাইব। সবশেষে বলব পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করাতে।

বন্ধুরা কী নামে ডাকে?

কেউ পুষ্পি বলে, কেউ পুষ্পিতা। তবে ক্লোজ ফ্রেন্ডরা পোপো ডাকে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

গান নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক বড়। তবে সবার আগে একজন ভালো মানুষ হতে চাই। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখি। সঙ্গে অনেক বড় শিল্পী হতে চাই। এমন কিছু গান করতে চাই, যে গানগুলো মানুষের হৃদয় ছুঁতে পারবে। সফল মিউজিক কম্পোজার হওয়ার ইচ্ছাও আছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Seized the absconding dollar of 2 dozen cases in Jessore

যশোরে ২ ডজন মামলার পলাতক আসামী ডলার আটক

যশোরে ২ ডজন মামলার পলাতক আসামী ডলার আটক

যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার ২৪ মামলা ও ৫ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ইব্রাহিম হোসেন ডলারকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটকৃত ডলার ষষ্টিতলাপাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
গতকাল (২৩ জুন) রাতে রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, বিভিন্ন থানায় ১টি খুন, ৬টি অস্ত্র, ৬টি বিস্ফোরক, ৮টি মাদক, ২টি দ্রুত বিচারসহ ২৪টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া ৫ টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
সে এলাকায় সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল, এসংক্রান্তে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Coxs Bazar is killed in Ukiah in the house of Coxs Bazar

কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নিহত ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নিহত ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ঘরে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় গৃহকর্তা নিহত এবং নিহতের এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এসময় ডাকাতরা বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের।

সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব নূরারডেইল পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত নুরুল আমিন ওরফে বাবুল (৪০) একই এলাকার মৃত ইসহাক আহমদের ছেলে। ঘটনায় আহত হয়েছে মোহাম্মদ হাসান (৩৫)। তিনি নিহতের ছোট ভাই।

নিহতের স্ত্রী আছিয়া খাতুন বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ীতে স্বামী নুরুল আমিন সহ পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে মিলে নিজের বরজ থেকে তুলে আনা পান গোজগাজ ( বিড়া ) করছিল। তিনি কাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্বামীকে বাজার মাছ কিনে আনার কথা জানান। পরে ছোট ভাই মোহাম্মদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তার স্বামী স্থানীয় স্টেশনে মাছ কিনতে বের হন। তারা মাছ কিনতে বের হবার ২০/২৫ মিনিট পরই মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জনের একদল বাড়ীতে হানা দেয়।

এসময় ডাকাতদের হাতে দেশিয় তৈরী লম্বা বন্দুক, লম্বা কিরিচ ও ছোরা ছিল। বাড়ীতে ঢুকেই বাড়ীর লোকজনকে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে। পরে মারধরের এক পর্যায়ে আমার ও মেয়ের পরিহিতসহ বাড়ীতে থাকা স্বর্ণালংকার এবং কোরবানির সময় গরু বিক্রি বাবদ নগদ ২ লাখ টাকা লুটে করা হয়।

ভূক্তভোগী এ গৃহকর্ত্রী বলেন, চলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমার স্বামী ও দেবর ডাকাতদলে সম্মুখে পড়েন। দেখা মাত্রই তাদের লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি ছুঁড়ে। পরে কুপিয়ে তাদের ফেলে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালে আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার তরুণী মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করে আছিয়া খাতুন জানান, ডাকাতরা চলে যাওয়ার তার মেয়েকে বাড়ীর পাশের ছড়া পর্যন্ত তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ডাকাতদলের সদস্যদের হাতে-পায়ে ধরে অনেক কাকুতি-মিনতি করার পর মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে।

ঘটনার ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানান, সন্ধ্যার পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তার আগেই আহত দুই ভাইকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ডাকাতি নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘটিত হয়ে তা নিশ্চিত নন অবহিত করে তিনি বলেন, বাড়ী ফেরার সময় পথেই দুই ভাই দূর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। তাই ডাকাতি নাকি অন্য কোন বিরোধের জেরে ঘটেছে রহস্য উদঘাটনে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

আরিফ হোছাইন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Railway security forces arrested youth with pistols from Bhairab Railway Station

ভৈরব রেলস্টেশন থেকে পিস্তলসহ যুবককে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী

ভৈরব রেলস্টেশন থেকে পিস্তলসহ যুবককে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী


কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্লাটফর্মে সন্দেহজনকভাবে মো.শামীম (২২) নামের এক যুবককে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তার কোমরে মিললো ১ টি লোহার তৈরি পিস্তল। তাছাড়াও তার কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

আটকৃত আসামী কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার ভাটি ঘাগড়া এলাকার মো.আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ শামীম মিয়া (২২)।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি স্টেশনে থামলে ২নং প্লাটফর্মে শামীম নামের ওই যুবক সন্দেহজনকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুরাঘুরি করছিলেন। এসময় বিষয়টি প্লাটফর্মে দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ সদস্যদের নজরে আসলে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং চৌকিতে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালান। এসময় যুবকের কোমরে গোজা অবস্থায় একটি লোহার তৈরি পুরনো পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভৈরব চৌকির ইনচার্জ হাসান মাহমুদ জানান, “রাত প্রায় সাড়ে ৮টার সময় কর্তব্যরত সদস্যরা একজন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করেন। তাকে আটক করে তল্লাশি চালানো হলে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর আইন অনুযায়ী তাকে ভৈরব রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া রয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Naogaon Health Assistant Program for 5 points

৬ দফা দাবিতে নওগাঁয় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

৬ দফা দাবিতে নওগাঁয় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’ দেওয়াসহ ছয় দাবিতে নওগাঁয় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২ঘন্টাব্যাপী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েনের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশ নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক অনুপ কুমার, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নার্গিস আক্তার, সাধারন সম্পাদক আসমানী বানু, কোষাধ্যক্ষ রুকশানা আরাসহ স্বাস্থ্য সহকারীরা।

তাদের ৬দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা, সব স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শককে প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারীদের স্নাতক সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া ও বেতন স্কেল পুনর্র্র্নিধারণের সময় প্রাপ্ত টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধে কাজ করেন তারা। এছাড়াও রোগ থেকে মুক্তির উপায়, নতুন রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু বেতন কাঠামোয় রয়েছে চরম বৈষম্য। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশ নওগাঁ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি নার্গিস আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে সারাদেশে প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। তারা শিশু, গর্ভবর্তী নারী ও কিশোরীদের টিকাদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল উন্নতির জন্য স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলন করলেও তা প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Commission has received international involvement with Gum

গুমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

গুমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

গুম সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কমিশন তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পেছনে শুধু দেশীয় নিরাপত্তা বাহিনীই নয় বরং বিদেশি অংশীদারদের ভূমিকা এবং বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বিধা ও মতবিরোধও কাজ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ গুমসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, যার ফলে অনেককে পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে ভুগতে হয়েছে।

কমিশন বলেছে, গুম ছিল না বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার ফল, বরং এটি এমন একটি কাঠামোগত ব্যবস্থা, যেখানে আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকতাও ছিল-বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার নামে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সম্পৃক্ততা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, গুম সংক্রান্ত বিষয়ে নিরপেক্ষ মত দেওয়ার কারণে তাকে সহকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়, নতুন পদায়নের আগেই তার সম্পর্কে সতর্ক বার্তা ছড়ানো হত, এমনকি তার পরিবারের ওপর নজরদারি চলত।

এক যুবক কমিশনকে জানান, তার ভাই একটি গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করতেন। তাকে রাজনৈতিক ‘বিরোধীদের’ তালিকা করতে বলা হয়। পরে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে, যা জানার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তার ভাই এবং শেষ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

এক সৈনিক জানান, তাকে একটি গোপন বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছিল যেখানে বন্দিদের প্রতি ছিল চরম নিষ্ঠুরতা। তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন স্বাভাবিক ব্যবহার না করা হয়, বরং বন্দিদের কষ্ট দেওয়ার নির্দেশ মেনে চলা হয়। এমনকি বন্দিদের সামনে কথা বলাও নিরুৎসাহিত করা হতো; পরিবর্তে ইশারা ও শিসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হতো- যা অনেক ভুক্তভোগীর বর্ণনায়ও উঠে এসেছে।

তবে প্রতিবেদন জানায়, ওই সৈনিক একপর্যায়ে প্রতিরোধের ছোটখাটো চেষ্টা করতেন, যেমন নিজের খাবার বন্দিদের দিয়ে দিতেন। এক বন্দি কমিশনকে সরাসরি জানান, ওই সৈনিকের দেওয়া খাবারে তিনি বেঁচে ছিলেন।

আরেকজন র‌্যাব গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, তাকে একজন দীর্ঘদিনের বন্দিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা অমান্য করেন এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে তার অবস্থান ধরে রাখেন।

কমিশনের ভাষায়, ‘সবসময়ই যে অবাধ্যতার ফলাফল তাৎক্ষণিক হয়, তা নয়। কেউ কেউ তাদের অবস্থান জানানোর পরও টিকে ছিলেন।’ যেমন দুজন র‌্যাব সদস্য র‌্যাব গোয়েন্দা প্রধানকে নিজ হাতে লেখা চিঠিতে জানান যে তারা বেআইনি কোনো আদেশ পালন করবেন না।

এক চিঠিতে লেখা ছিল: ‘যদি কোনো অভিযান আইন বহির্ভূত বা আইন বহির্ভূত গুলি চালানোর উদ্দেশে হয়, তাহলে আমি তাতে অংশ নিতে পারব না।’

প্রতিবেদন জানায়, বিগত সরকারের পতনের পর এই ধরনের কয়েকটি নোট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছিল, যা পরে গণভবন থেকে উদ্ধার হয়।

তবু কমিশনের ভাষায়, ‘এরপরও গুমের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যেখানে ট্রেনলাইন কিংবা চলন্ত যানবাহনের নিচে ফেলে লাশ গুম করা হয়েছে।’

প্রতিবেদন বলছে, ‘গুমের মতো অপরাধকে অনেকাংশে অঘোষিতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং যারা এসব করেছিল, তারা প্রকৃত অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হননি।’

কমিশনের প্রতিবেদন জানায়, আন্তর্জাতিক সংযোগও এই ঘটনার পেছনে কার্যকর ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছাড়াও, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পশ্চিমা সহযোগিতার সুবিধাও পেয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয় একজন ভুক্তভোগী কমিশনকে জানান, তাকে ডিবির হেফাজতে দুজন আমেরিকান নাগরিক জেরা করেছিলেন। যদিও তারা সরাসরি নির্যাতনে অংশ নেয়নি, তথাপি তাদের উপস্থিতিই এই বেআইনি আটক ব্যবস্থাকে বৈধতা দেয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mob Justice is not acceptable in any way
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় বলে জানিয়েয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গতকাল সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গত রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’

‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কৃষি জমি দখল রোধে কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’

পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।

মন্তব্য

p
উপরে