× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
কবিতায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
google_news print-icon

কবিতায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

কবিতায়-বঙ্গবন্ধুর-স্বদেশ-প্রত্যাবর্তন
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকরা অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন সৃজনশীলতার উঠোনে। যেমন, সিকান্দার আবু জাফরের ‘সে নাম মুজিব’ ও আবুবকর সিদ্দিকের ‘প্রশ্ন’ জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে লেখা কবিতা। ফিরে আসা বঙ্গবন্ধুর চোখে অশ্রু ছিল সেদিন। কোনো কোনো কবি সেই দৃশ্যও কবিতার চরণে উপস্থাপন করেছেন।

বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। কেবল কবিতায় নয় গল্প-উপন্যাস ও চিত্রকলায় তার ফিরে আসা অন্ধকার থেকে আলোর জগতে ফিরে আসা হিসেবে চিহ্নিত। স্বপ্ন ও আশাবাদীতায় জাগ্রত জনতার কথাও এসেছে এ প্রসঙ্গে। অন্যদিকে বাঙালির স্বাধীনতা লাভের ইতিহাসও বিবৃত হয়েছে। দেশভাগের পর ১৯৭১ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো মুখ্য হয়ে উঠেছিল তার কয়েকটি দিক কবিতা বিশ্লেষণের পূর্বে স্মরণ করা যেতে পারে।

২.

১৯৪৮ সালের মার্চের ভাষা প্রশ্নে প্রতিবাদের পথ বেয়ে ১৯৪৯-এ জন্ম হয় ‘আওয়ামী মুসলিম লীগে’র। এই রাজনৈতিক সংগঠনটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অনুঘটক। অন্যদিকে বিভাগোত্তর কালের কমিউনিস্ট পার্টির একমাত্র প্রগতিশীল সাহিত্য সংগঠন ‘প্রগতি লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘ’ ক্রমশই কমিউনিস্ট বিপ্লবের দ্বিধাবিভক্ত ও তাত্ত্বিক বিতর্কের ফলে ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা জেলায় এর অস্তিত্ব একেবারে বিলুপ্ত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের অবদমন নীতি ও বাংলাদেশকে পাকিস্তানের নতুন-কলোনিতে পরিণত করার চক্রান্তে এবং রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে যে গভীর ষড়যন্ত্র ও বিতর্ক উত্থাপিত হয়, এরই ফলে সংগঠিত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।

১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এই কালক্রমিক ঘটনা প্রবাহে পাকিস্তানের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তদান ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের জানান দেওয়ার ঘটনা। দেশ-বিভাগোত্তর কেন্দ্রীয় প্রশাসনের রাজনৈতিক কূটজাল, অত্যাচার, নিপীড়ন, ধর্মীয় কলহ ও দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তারের বিরুদ্ধে বাঙালির ঐক্য ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয় লাভ অনিবার্য করে তোলে। কিন্তু যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা গঠিত হলেও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্তে বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতির অবনতি ও বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে দাঙ্গার সৃষ্টি করে ১৯৫৪ সালের মে মাসে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা পরিকল্পিতভাবে বাতিল করা হয়।

১৯৫৪ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক প্রশাসনের বিচিত্রমুখী ষড়যন্ত্রের পরে দেশে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটে। সামরিক শাসক দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়। মূলত দেশবিভাগ থেকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ দ্বন্দ্ব-জটিল হলেও এর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলটি ছিল সকল বিকৃতি, কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতা এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়গত সকল প্রকার বৈরীভাবের বিরুদ্ধে মানবতার আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল ক্ষেত্রে মহিমাদীপ্ত করার কাল।

এদিক থেকে ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাগমারিতে পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের আন্তর্জাতিক মানের সাংস্কৃতিক সম্মেলনের কথা উল্লেখযোগ্য। রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতির এই যোগসূত্র বাংলাদেশের কবিদের আলোড়িত করেছিল স্বাভাবিক কারণে। তবে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ সালের সামরিক জান্তার করতলগত বাংলাদেশের নগর-গ্রামের গণজাগরণ এ অঞ্চলের সমাজ মানসের প্রগতিশীল রূপান্তরের স্বতন্ত্র মাত্রা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এরপর স্বাধিকার অর্জনের পথে ১৯৬৯-এর পথ বেয়ে ১৯৭১-এর মুক্তিসংগ্রাম দেশ বিভাগের পরবর্তী আরেকটি দেশবিভাগের ঘটনাকে ত্বরান্বিত করে দেয়। জন্ম হয় নতুন দেশ- ‘বাংলাদেশ’।

১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন কালানুক্রমিক ঘটনা ধারায় আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানসে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবতাবাদী আদর্শ এবং প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক জীবনবোধের বিকাশ ঘটে। কবিরা সেই শ্রেণির অংশ হিসেবে তাদের কবিতার ধারায় ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে নির্মাণ করেন স্বাধিকারের সপক্ষে আমাদের সমাজমানসের বিচিত্র তরঙ্গ। মনে রাখা দরকার ভাষা-আন্দোলন থেকে ১৯৭১ পর্যন্তই কেবল নয় ২০২০ সালে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর নানান অনুষঙ্গে অভিব্যক্ত এদেশের কবিতায় স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষণ যুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নিজে কবি ছিলেন না কিন্তু ছিলেন রাজনীতির কবি- ‘রাজনীতির প্রকৌশলী নন মুজিব, মুজিব হচ্ছেন রাজনীতির কবি, বাঙালির স্বাভাবিক প্রবণতা প্রয়োগিক নয়, শৈল্পিক। তাই মনে হয়, বাংলাদেশের সকল মানুষ, শ্রেণি ও মতাদর্শকে এক সূত্রে গাঁথা হয়ত কেবল মুজিবের মতো রাজনৈতিক কবির পক্ষেই সম্ভব।’ বেলাল চৌধুরী বলেছেন, কবিতা একটি জাতির ভাষার স্মৃতি। (কবিতায় বঙ্গবন্ধু, ভূমিকা, ২০১০) প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতায় বাঙালি জাতির ভাষার স্মৃতি উচ্চকিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো মহাপুরুষকে নিয়ে রচিত কবিতায় কবি সমাজ ও জীবনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে বাধ্য। কারণ কবিতার মাধ্যমে কবি একাত্মতার বাণী প্রচার করেন। মানুষের সঙ্গে মানুষের একাত্ম হওয়ার এই বাণী অসংখ্য কবির অজস্র চরণে কখনও শেখ মুজিব, কখনও বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে।

৩.

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি দিন। সেদিন মহান নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এসেছিলেন মুক্ত স্বদেশে। যে স্বদেশকে তিনি নিজের জীবনের অংশ করে নিয়েছিলেন। সেদিন ঢাকার ১০ লাখ মানুষের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে বারবার ভেঙে পড়েছেন; অশ্রু সজল নয়নে চেয়েছেন মানুষের মুখপানে। ১৯৭১ সালে দেশের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা তিনি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই জেনেছিলেন। হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় লুটেরা রাজাকার-আলবদর-আলশামসের অত্যাচারের কথা শুনেছিলেন। এজন্যই আবেগময়ী ভাষণে তিনি এদেশকে পাকিস্তান কর্তৃক শ্মশান করে ফেলার কথা বলেছিলেন। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তার অনুভূতি তখন প্রতিটি তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে শিহরণ জাগাচ্ছিল।

যখন তাকে বহন করা বিমানটি ঢাকার মাটি স্পর্শ করছিল, তখন বিপুল জনতার ঢেউ দেখে তিনি বলেছিলেন- ‘আমার দেশের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। আমি এদেরকে খাওয়াবো কীভাবে?’ (দ্রষ্টব্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি, ২০০৮, বাংলা একাডেমি, পৃ ৮৬১-৬৪) দেশ পরিচালনায় জননেতার এই উৎকণ্ঠা সত্যিই শেষ দিন পর্যন্ত অটুট ছিল। যুদ্ধোত্তর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও বীরের মতো মানুষের জন্য উদগ্রীব হয়েছেন। একাত্তরে হত্যাযজ্ঞের শিকার মানুষের আত্মীয়-স্বজনের হাহাকার, নিরাশ্রয় আর খাদ্যহীন পরিস্থিতির কথা বলে তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিলেন পাকিস্তানীদের বীভৎসতার চালচিত্র।

‘স্বাধীন’ শব্দটি তার প্রাণের গহীন থেকে উচ্চারিত হলো - ‘ভাইয়েরা আমার লক্ষ মানুষের প্রাণদানের পর আজ আমার দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ আমার জীবনের সাধ পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’(প্রাগুক্ত)

এই স্বাধীন দেশের প্রথম সংবর্ধনায় তিনি তার ভাষণে আত্মত্যাগী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শহিদদের জন্য অন্তরের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন- ‘আমার বাংলায় আজ এক বিরাট ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে। তিরিশ লক্ষ লোক মারা গেছে। আপনারা জীবন দিয়েছেন, কষ্ট করেছেন। বাংলার মানুষ মুক্ত হাওয়ায় বাস করবে, খেয়ে-পরে সুখে থাকবে, এটাই ছিল আমার সাধনা।’(প্রাগুক্ত)

তিনি সেদিন ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তার মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধীর প্রচেষ্টাকে স্মরণ করেছেন। আর বড় হৃদয়ের মানুষ ছিলেন বলেই শত্রু পাকিস্তানিদেরও মঙ্গল কামনা করেছেন। কারণ বাংলাদেশ তখন স্বাধীন। এর চেয়ে বড় আর কোনো চাওয়া ছিল না তার।

১০ জানুয়ারির ভাষণেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন- ‘অনেকেই আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে আমি তাদের জানি। ইয়াহিয়া সরকারের সাথে যারা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’(প্রাগুক্ত)

তিনি আরও উল্লেখ করে বলেছিলেন- ‘২৫ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৯ মাসে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশের প্রায় সব বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে। তারা আমার মানুষকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে।’(প্রাগুক্ত)

বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে জঘন্যতম কুকীর্তির তদন্ত হওয়া দরকার বলেই পরবর্তীকালে ১১ হাজার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের কারাগারে আটকও রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সপরিবারে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পরে জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করে তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকরা অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন সৃজনশীলতার উঠোনে। যেমন, সিকান্দার আবু জাফরের ‘সে নাম মুজিব’ ও আবুবকর সিদ্দিকের ‘প্রশ্ন’ জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে লেখা কবিতা। ফিরে আসা বঙ্গবন্ধুর চোখে অশ্রু ছিল সেদিন। কোনো কোনো কবি সেই দৃশ্যও কবিতার চরণে উপস্থাপন করেছেন। (শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ, প্রাগুক্ত, পৃ ৫৬৯) আবুবকর সিদ্দিক ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ফেরা’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আনন্দ এবং বিরান বাংলায় স্বজন হারানোর বেদনাকে পাশাপাশি উপস্থাপন করেছেন।’(সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, আমি তোমাদেরই লোক, পৃ ৫৭১) কামাল চৌধুরীর ‘১০ জানুয়ারি ১৯৭২’- এ বিষয়ের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের হাল টেনে ধরলেন, মানুষ আশায় বুক বাঁধল-

‘চতুর্দিকে শোক, আহাজারি, ধ্বংসচিহ্ন, পোড়াগ্রাম, বিধ্বস্ত জনপদ

তিনি ফিরে আসলেন, ধ্বংসস্তূপের ভেতর ফুটে উঠল কৃষ্ণচূড়া

মুকুলিত হ’ল অপেক্ষার শিমুল

শোক থেকে জেগে উঠল স্বপ্ন, রক্তে বাজল দারুণ দামামা

বেদনার অশ্রুরেখা মুছে ফেলে

‘জয় বাংলা, জয় বাংলা’ ব’লে হেসে উঠল

লতাগুল্ম, ধূলিকণা, পরিপূর্ণ দীপ্ত পতাকা।’(কবিতায় বঙ্গবন্ধু, ২০১২, পৃ ৩৭)

সিকানদার আবু জাফর রচিত ‘ফিরে আসছেন শেখ মুজিব’ সম্পর্কে কবীর চৌধুরী লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মাটিতে, তার মুক্তস্বদেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগেই আন্তর্জাতিক তৎপরতা ও পাকিস্তানের বাস্তব পরিস্থিতির ফলে তখন তার মুক্তি ও বাংলাদেশে ফিরে আসার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়ে যায়, তখন সংগ্রামী কবি সিকানদার আবু জাফর ‘ফিরে আসছেন শেখ মুজিব’ নামে একটি চমৎকার কবিতা লেখেন। সিকানদার আবু জাফর তখন আরও বহু দেশত্যাগী বাংলাদেশের মানুষের মতো ভারতের পশ্চিম বাঙলায় ছিলেন।’(কবীর চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বাঙালি জাতীয়তাবাদ মুক্তবুদ্ধির চর্চা, র‌্যাডিকেল এশিয়া পাবলিকেশন্স, লন্ডন, ১৯৯২, পৃ ১১) মূলত কবি এ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামে ডাকের সফলতার চিত্র তুলে ধরেছেন।

বাঙালির ত্যাগ-তিতিক্ষার ফল স্থপতিরূপে বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা। তার প্রত্যাবর্তন আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবে পরিণত করে। কবি জানতেন বঙ্গবন্ধু ফিরে আসবেন। ৭ মার্চের ডাক ব্যর্থ হতে পারে না। মা- বোনদের ইজ্জত বৃথা যেতে পারে না। নির্মলেন্দু গুণের ‘প্রত্যাবর্তনের আনন্দ’ বঙ্গবন্ধুর আত্মকথনে রচিত। স্বদেশে ফিরে আসা বীরের চেতনার নানা প্রান্ত উন্মোচিত হয়েছে এখানে। পঁচাত্তরের পনের আগস্ট ও পরবর্তীতে সত্যের জয়গান সম্পর্কে জাতির পিতার কথনে কবির চরণ এরকম-

‘আনন্দের ঘোর কাটতে না কাটতেই,

একাত্তরের পরাজিত এজিদবাহিনী

রাত্রির অন্ধকারে সংগঠিত হয়ে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট

সপরিবারে হত্যা করলো আমাকে।...

বহুদিন পর আজ সত্য জয়ী হয়েছে-,

সংগ্রাম জয়ী হয়েছে, সুন্দর জয়ী হয়েছে।

আজ আমার খুব আনন্দের দিন।’( মুজিবমঙ্গল, ২০১২, পৃ ৬১-৬২ )

কবি আসাদ মান্নানের কবিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাল্যকালের অভিজ্ঞতাকে বর্তমানের বোধিতে ধরা, বৃহত্তর পরিসরে জাতির পিতার চিরন্তন ভাবমূর্তিকে প্রকাশ করা সত্যিই অভিনব। কখনোবা আবেগের সঙ্গে যুক্তির বিন্যাসে ও লেখনী নিঃসৃত চিত্রকল্পসজ্জায় উপলব্ধিময় আখ্যানের রূপ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবির চিন্তা পাঠকের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রযত্নে। ভাষার নানা নির্দেশ ও ইতিহাস অনুসন্ধিৎসার উপস্থাপনা এবং বাংলা কবিতার ঐতিহ্য সংলগ্নতায় আসাদ মান্নান অনন্য। ১০ জানুয়ারি নিয়ে লেখা ‘পিতা তুমি ফিরে এলে’ কবিতার একটি অংশ-

‘নতুন আশার টানে ছুটে যায় আলো জ্বালতে গঞ্জের বাজারে-

কামার কুমার কুলি জেলে তাঁতী এক পায়ে নেমেছে রাস্তায়:

ভয়াবহ অই দীর্ঘ রক্তপথ পার হয়ে আলোর নাবিক

তুমি পিতা ফিরে এলে বীর বেশে বিজয়ী যোদ্ধার মতো-

স্বপ্নের জাহাজে চড়ে তীরে এসে দাঁড়িয়েছ মুক্তির হাওয়ায়;

মাঠে মাঠে সোনা ফলে, কৃষকের হাসি জমে ধানের গোলায়:

তোমার আভার কাছে পরাজিত সূর্যটাকে মেঘের আড়ালে

ঢেকে রাখে দুঃখিনী মুজিব বাংলা- বাঙালির স্বাধীন ভূখণ্ড।’

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রচনায়, হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কবিতায় কিংবা অজস্র প্রবন্ধ-নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা পরিপূর্ণ মুক্তির দিশা হিসেবে এবং স্বাধীনতা অর্জনের সার্থকতায় শোভিত হয়েছে।

বস্তুত ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা এদেশবাসীর কাছে ছিল বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম আলোড়িত ঘটনা। এজন্য কবিদের অনুভূতি ও মননে সেই সন্দ্বীপন ইতিহাস ও কল্পনায় রঙিন হবে এটাই স্বাভাবিক। কবিতার চরণে সেই দিনটির আনন্দ, উচ্ছ্বাস ফিরে আসার তাৎপর্যে অনন্য হয়ে প্রকাশ পেয়েছে।

লেখক: ড. মিল্টন বিশ্বাস, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Tamanna Bhatia in the Tumul Debate

তুমুল বিতর্কে তামান্না ভাটিয়া

তুমুল বিতর্কে তামান্না ভাটিয়া তামান্না ভাটিয়া। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগেই কর্ণাটকে শো করতে গিয়ে কন্নড় ভাষা নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন সংগীতশিল্পী সোনু নিগম। জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। সেই ইস্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই কর্ণাটকের এসবিআই কর্মীর কন্নড় বলায় আপত্তির ঘটনা নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আবারও ভাষা নিয়ে উত্তাল কর্ণাটক। এবার এর রোষানলে পড়েছেন দক্ষিণী সিনেমার নায়িকা তামান্না ভাটিয়া। সরকারি সাবানের বিজ্ঞাপনী দ্যূত হিসেবে দক্ষিণী এ সুন্দরীকে বেছে নেওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন কর্ণাটক রাজ্যের বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিক্ষোভের পাহাড়। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে সিদ্দারামাইয়ার সরকারকে। প্রতিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিতর্কের কারণে শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হলেন কর্ণাটকের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী এমবি পাতিল।

সম্প্রতি তামান্না ভাটিয়ার নাম কর্ণাটকের সরকারি সাবান ‘মাইসোর স্যান্ডেলর বিজ্ঞাপনী দ্যূত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই প্রতিবাদের ঝড়। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দাদের দাবি, কন্নড় চলচ্চিত্রের কোনো নায়িকাকে না বেছে কেন তামান্নাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হলো? প্রশ্ন তুলে একই কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছে কর্ণাটকবাসীর একাংশ। অনেকে আবার কন্নড় অভিনেত্রী রুক্মিণী বসন্তের নামও প্রস্তাব করেছেন। জানা গেছে, ‘মাইসোর স্যান্ডেল’ সংস্থার সঙ্গে দুবছরের চুক্তি হয়েছে তামান্নার। যার জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তিনি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, ৬.২০ কোটি রুপিতে চুক্তিবদ্ধ হন তামান্না। তবে এ প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণী সুন্দরীকে নির্বাচন করলেও সেটি ভালো মনে নেয়নি কর্ণাটকবাসীদের একাংশ। এরপর প্রতিবাদের আগুন তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে। বিপাকে পড়ে সবশেষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামতে হয় মন্ত্রী এমবি পাতিলকে। তার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি তামান্না ভাটিয়াকে বিজ্ঞাপনী দ্যূত হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে পাতিলের ভাষ্য, কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি আমাদের সম্পুর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। এমনকি কিছু কন্নড় সিনেমা তো বলিউড সিনেমার ব্যবসাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। মাইসোর স্যান্ডেল কর্ণাটকে খুব জনপ্রিয় এক প্রসাধনী সংস্থা। এবার সেই জায়গাটা আরও পোক্ত করতে হবে। ‘তবে এবার মাইসোর স্যান্ডেলের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The possibility of rain in different regions of the country in the sea

সাগরে লঘুচাপের শঙ্কা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা

সাগরে লঘুচাপের শঙ্কা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা ছবি: সংগৃহীত

জ্যৈষ্ঠ মাসের দশ দিন চলছে। এই সময়ে প্রকৃতিতে তাপমাত্রা যেমন থাকে তেমনি থাকে বৃষ্টিপাতও। বাংলা এই মাসের শুরুতেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে প্রকৃতিতে তাপমাত্রা কমেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আগামী আরও দশ দিন। বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হওয়া গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার জন্য এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মিয়ানমারের আকিয়াব উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও অগ্রসর হওয়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আগামী ২৭ মে পশ্চিমমধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শেষ দিকে সাগরে একটি নিম্নচাপ হতে পারে। এ থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ও সৃষ্টি হতে পারে।

কাজী জেবুন্নেছা বলেন, ২৫ থেকে ২৬ মে সাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেবে কী না, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলার সময় আসেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মে মাস সাধারণত ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস হিসেবে পরিচিত। গত বছরের মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় রিমাল সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। গত বছরের ২৬ মে এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাংলাদেশের উপকূলে। এবারও নিম্নচাপ ও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সময় কাছাকাছি। এর আগেও একাধিক বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় এ মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে। তাই আবহাওয়াবিদরা এ সময় সতর্ক থাকতে বলছেন।

কাজী জেবুন্নেছা আরও বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার উপযোগী রয়েছে। তবে নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি কোথায় যাবে, কীভাবে শক্তি সঞ্চয় করবে, এসব বিষয় আরও কিছুদিন পর জানা যাবে।’এবার যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, তবে এর নাম হবে ‘শক্তি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh canceled the contract with Indian company

ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ

ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক একটি প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রায় ১৮০ কোটি রুপি) চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির আওতায় কলকাতার গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই) নামের প্রতিরক্ষা কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য একটি ৮০০ টন ওজনের টাগ বোট সংগ্রহ করার কথা ছিল।

এই চুক্তিটি হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে, যেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ভারতীয় কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তিটি ছিল ভারত সরকারের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তার অংশ, যা ২০২৩ সালে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এই টাগ বোট কেনার উদ্যোগটিকে সেই ঋণচুক্তির প্রথম বড় প্রকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছিল।

তবে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকার এই ক্রয়াদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক এক কূটনৈতিক উত্তেজনা। এর আগে গত শনিবার ভারত তাদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরই বাংলাদেশ পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, এই চুক্তি বাতিলের ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জিআরএসই কোম্পানিটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। এনডিটিভি জানিয়েছে, কোম্পানিটি ভারতীয় পুঁজিবাজারকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে।

এদিকে, বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণ দেখছেন অনেকে। ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যমতে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত’বলে অভিহিত করেন এবং এই অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে, ভারত এর জবাবে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দু বিজনেস লাইন বলেছে, বাংলাদেশ সরকার ও জিআরএসইর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতেই চুক্তি বাতিল হয়েছে। যদিও এই আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ পায়নি। ভারত ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশকে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) সুবিধার আওতায় ৮ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এই সহায়তার বেশিরভাগ প্রকল্পই বাস্তবায়ন হয়েছে শেখ হাসিনার আমলে।

চুক্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্তকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভবিষ্যতে এর প্রভাব দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক লেনদেনে কতটা পড়ে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Another one eleven arrangement is going on Nahid Islam

আরেকটি এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে: নাহিদ ইসলাম

আরেকটি এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে: নাহিদ ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

আরেকটি এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে- বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে সব ধরনের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌমভাবে পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে বারবার বিভাজিত করা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা হয়েছে, বাংলাদেশেকে দুর্বল করে রাখার লক্ষ্যে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে আবারো দিল্লি থেকে ছঁক আকা হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার, দেশকে বিভাজিত করার। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশপন্থী ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতাকে সার্বভৌমত্ব, সংস্কার ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার ও সৈনিকদের সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশ রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ড. ইউনূসকে জনগণকে দেওয়া সংস্কার, বিচার ও ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তাকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দিতে হবে। ঘোষিত টাইম ফ্রেমের মধ্যেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের জুলাই সনদ রচিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হবে এবং বিচারের রোডম্যাপ আসতে হবে। নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন একই সঙ্গে দিতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Trump administration has admitted foreign students to Harvard

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি-বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি-বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি বাতিল করেছে এবং বর্তমানে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থান হারাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)। হার্ভার্ড এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও প্রতিশোধমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (এসইভিপি) প্রত্যয়ন বাতিলের নির্দেশ দেন।

ডিএইচএস-এর বিবৃতিতে বলা হয়, হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আগেই চাওয়া কিছু তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নোয়েম বলেন, 'এই প্রশাসন হার্ভার্ডকে জবাবদিহির আওতায় আনছে—যেহেতু তারা সহিংসতা ও ইহুদিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমন্বয় করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুবিধা, যা তারা অধিক টিউশন ফি নিয়ে বহু বিলিয়ন ডলারের তহবিল ফুলিয়ে তোলার কাজে ব্যবহার করে।'

হার্ভার্ড পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, 'সরকারের এই পদক্ষেপ অবৈধ। আমরা হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা এসব মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও পুরো জাতিকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করেন।'

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ড-বিরোধী অভিযানের একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ম্যাসাচুসেটসের এই আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘বামপন্থী’ বা ‘মার্কসবাদী’ আদর্শ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন।

গত মাসে হার্ভার্ড একটি ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ স্থগিতাদেশের মুখে পড়ে, কারণ তারা হোয়াইট হাউসের দেওয়া একগুচ্ছ শর্ত প্রত্যাখ্যান করে।

এসব শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কাঠামো, নিয়োগ নীতি ও ভর্তি পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বৈচিত্র্য সংক্রান্ত দপ্তরগুলো বন্ধ করা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্ক্রিনিংয়ে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা।

হার্ভার্ড পরে এই বরাদ্দ স্থগিতাদেশ ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP calls for announcing the election schedule to avoid instability

অস্থিরতা এড়াতে ড. ইউনূসকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান বিএনপির

অস্থিরতা এড়াতে ড. ইউনূসকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান বিএনপির জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করুন- দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।

আগামী সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় দেশে অস্থিতিশীলতা বাড়ছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যদি অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করেন—তাহলে তার দল ব্যথিত হবে।

শুক্রবার (২৩ মে) একটি প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, ‘দেশে অস্থিরতার ঢেউ বইছে বলে মনে হচ্ছে। এই অস্থিরতার পিছনে মূলত দায়ী কারা? নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা কারা করছেন? আপনার (ড. ইউনূসের) মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা এই বিষয়গুলো জানতে চাই।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, সরকার যদি একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ দিত—তাহলে শেখ হাসিনার আমলে যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন এবং অসংখ্য মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—তারা গঠনমূলকভাবে জড়িত হয়ে নির্বাচনমুখী হতেন।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আপনি (ড. ইউনূস) এখনও কোনো রোডম্যাপ দেননি। যদি এই অস্থিরতা আপনার তৈরি হয়—তাহলে জেনে রাখুন, বিএনপি কখনই এর দায় নেবে না।’

সরকারকে অবিলম্বে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করুন—দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগ সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে ফারুক বলেন, ‘যদি আপনার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়—তাহলে তা আমাদের ক্ষতি হবে।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে যেভাবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, ঠিক সেভাবে আপনার নামও লেখা থাকুক। দিনের আলোতে ভোটদানের সুযোগ দিয়ে আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করলে... এমন উত্তরাধিকার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

বিএনপি নেতা প্রধান উপদেষ্টাকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করে একটি উদাহরণ সৃষ্টির আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির একজন গ্রহণযোগ্য ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি, আপনি অবিলম্বে আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলম এবং খলিলুর রহমান—এই তিন ব্যক্তিকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দেন। অন্যথায়, তাদের অপসারণের দায় আপনার উপর বর্তাবে।’

ফারুক বলেন, সংস্কার অবশ্যই করা উচিত, কিন্তু এমনভাবে নয়—যাতে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি করিডোর তৈরি হয় বা চট্টগ্রাম বন্দর অন্যদের হাতে চলে যায়।

ষড়যন্ত্রকারীদের নির্বাচন বিলম্বিত করা ও অধ্যাপক ইউনূসের সরকারকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে—এমন যেকোনা সংস্কারের বিষয়ে সতর্কও করেন তিনি।

এই অস্থিতিশীলতা দূর করতে অধ্যাপক ইউনূসকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানান ফারুক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Ministry of Railways called for collecting tickets online and from station counter

অনলাইনে ও স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহের আহ্বান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের

অনলাইনে ও স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহের আহ্বান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের

প্রতারণা এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন সেবা ও স্টেশন কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে টিকিট সংগ্রহ করা হতে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

আজ এক তথ্য বিবরণীতে আরো জানানো হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বুধবার সকাল থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২৭ মে পর্যন্ত ৭ দিন রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। এ সময় ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলাচলকারী আন্ত:নগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে