× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
মান্নান হীরা সাম্যের কথা বলতেন
google_news print-icon

মান্নান হীরা সাম্যের কথা বলতেন

মান্নান-হীরা-সাম্যের-কথা-বলতেন
নাট্যকার, নির্দেশক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মান্নান হীরা। ফাইল ছবি
মান্নান হীরা কেবলই নাটক করার জন্য নাটক করেননি। তিনি নাটক করতেন মানুষের জন্য, বিশ্বাস করতেন ‘শিল্প কেবল বিনোদনের জন্য না, মানুষের জন্য।’ তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষে মানুষে সাম্য প্রতিষ্ঠায় মেধা, মনন ও কলমে লড়েছেন।

বুধবার রাত ৯টা ৪১ মিনিটে টুই টুই শব্দে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে একটি খবর ভেসে উঠল। নাট্যকার মান্নান হীরা আর নেই। মালিবাগের বাসায় হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত পৌনে নয়টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

মোবাইলের স্ক্রিনে কত সময় যে চোখ নিবদ্ধ হয়ে রইল বলতে পারবো না। এমনি করে আমার মতো অজস্র মানুষের চোখ আটকে যায় মোবাইল স্ক্রিনে। হীরা ভাই আপনি এভাবে চলে গেলেন? মাত্র ৬৩ বছর বয়সে কি এমন তাড়া ছিল?

১৯৫৬ সালে সিরাজগঞ্জ জেলায় তার জন্ম। সেখান থেকে মাধ্যমিক, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই নাট্যচর্চার সাথে যুক্ত হন। শুরু থেকে যুক্ত থাকেন আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে।

মান্নান হীরা কেবলই নাটক করার জন্য নাটক করেন নি। তিনি নাটক করতেন মানুষের জন্য, বিশ্বাস করতেন ‘শিল্প কেবল বিনোদনের জন্য না, মানুষের জন্য।’ তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষে মানুষে সাম্য প্রতিষ্ঠায় মেধা, মনন ও কলমে লড়েছেন।

প্রধানত তিনি নাট্যকার হলেও অভিনয়, নির্দেশনাসহ অন্যান্য শাখার সঙ্গেও তার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। সব সময় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন মঞ্চনাটক, টেলিভিশন ও পথনাটক রচনায়।

তার নাটকের প্রধান উপাদান নিরন্ন মানুষ ও দরিদ্র জনপদ। প্রাণ-প্রকৃতিও সমাধিক গুরুত্ব পেয়েছে তার নাটকে। বিশেষ করে মান্নান হীরার নাটকসমূহ কৃষিজীবী মানুষ, তাদের উৎপাদন ও উপকরণ কেন্দ্র করে লেখা। তীক্ষ্ণ সংলাপের ঘাত-প্রতিঘাতে মান্নান হীরার নাটক যেমন অভিনয় উপযোগী, তেমনি সুখপাঠ্য।

তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে ময়ূর সিংহাসন, ভাগের মানুষ, ‘লাল জমিন’, ‘সাদাকালো’, ‘মুর্খ লোকের মুর্খ কথা’, ‘আদাব’, ‘বৌ’, ‘ফেরারী’ ‘নিশান’, ‘ঘুমের মানুষ’, ‘শেকল’, ‘জননী বীরাঙ্গনা’, ‘একাত্তরের রাজকন্যা’, ‘মেহেরজান’, ‘ফুটপাত’, ‘রেফারী’, ‘বাংলার বাদশা’ ও ‘সুখদৈত্য’ অন্যতম।

তিনি নির্মাণ করেছেন শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’। নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গরম ভাতের গল্প’ এবং ‘একাত্তরের রঙ পেন্সিল’।

মান্নান হীরা রাজনৈতিকভাবে সমাজতান্ত্রিক দর্শনে বিশ্বাস করতেন। সে দর্শনকে ভালোবেসেই তিনি মঞ্চে, পথে বা টেলিভিশনের জন্য নাটক নির্মাণ করেছেন। তাই তার নাটকে প্রচ্ছন্ন রাজনীতিকে কেন্দ্রে রেখে প্রেম ও অন্যান্য সামাজিক সম্পর্কগুলি আবর্তিত হয়েছে। প্রথাগত সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে ফেলতে অনুপ্রেরণা জোগায় তার লেখা নাটক।

তার রচিত রাজনীতি আশ্রয়ী পথনাটক প্রশংসিত হয়েছে দেশ-বিদেশে। তার একাধিক নাটক অনূদিত হয়ে দিল্লি, হংকং, পাকিস্তান, নেপালসহ অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়েছে।

মান্নান হীরা বাংলাদেশের পথনাটক অঙ্গনে এক অনন্য নাম। যে কজন নাট্যকার বা নাট্যব্যক্তিত্ব এ দেশের পথনাটককে সমৃদ্ধ করেছেন, মান্নান হীরা তাদের অন্যতম।

বাংলাদেশে পথনাটক আন্দোলনকে গতিশীল করতে তিনি একাধারে নাটক লিখেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে আমৃত্যু পথনাটক নিয়ে চর্চারত দলসমূহের মোর্চা ‘বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের’ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই পথনাটক পরিষদের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পথনাটক পরিষদের বিভিন্ন পদে থেকে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এ সময় দেখেছি এক অসাধারণ ধীশক্তি সম্পন্ন মানুষ তিনি। পথনাটক পরিষদের সমবেত বিভিন্ন চিন্তার মানুষদের মতামতকে ধারণ করে সময়ের বিবেচনায় অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি। অনেকেই সরকারের সঙ্গে থাকতে চেয়েছেন, অনেকে বিপক্ষে যেতে চেয়েছেন, কেউ রেখে-ঢেকে বলতে চেয়েছেন। কিন্তু হীরা ভাই টলে যান নি কখনো। যেটা বলা সমীচীন সেটাই বলেছেন।

হীরা ভাই শুধু নিজের দলে নাটক করে বা দলের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করে থেমে থাকেন নি। অন্যদের গড়ে তুলতে বা পথনাটক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে যা যা করা দরকার তাই করেছেন।

উদীচীর প্রয়োজনে যখনই বলেছি হীরা ভাই আপনার নেতৃত্বে একটি প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে চাই বা অমুক জেলায় উদীচীর সম্মেলন আছে আপনাকে অতিথি হিসেবে যেতে হবে। সাধারণত উনি ফিরিয়ে দেন নি। মাটির মানুষের জন্য মাটি কামড়ে থাকা এই মানুষটি ২০০৬ সালে নাটক শ্রেণিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।

চাকরি, উদীচী সব দায়িত্ব মিলিয়ে ২০১৬ থেকে আমি পথনাটক পরিষদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেই। কিন্তু হীরা ভাই তাতে খুশী হতে পারেন নি। দেখা হলেই তার কথায় সেটা প্রকাশ পেত। এই গতবছরও পানুপালের জন্ম শতবার্ষিকীতে তার নাতনী মধুমিতা পাল আসলে তার সামনে শিল্পকলা একাডেমির ভিতরে স্বভাবসুলভ ভাবেই তার বহি:প্রকাশ ঘটালেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের দৌরাত্বে গত কয়েকমাস কারোর সঙ্গেই তেমন দেখা সাক্ষাৎ হয় না। সবশেষ দেখা হলো ২৪ অক্টোবর পিআইবি’র অডিটোরিয়ামে। সেখানে প্রদীপ ঘোষ পরিচালিত ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে। কথা ছিল আমরা দুজনেই প্রীতিলতা চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। কিন্তু তা হলো না। যেন অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো সে প্রত্যশা।

অসম্ভব মেধা আর সৃজনে সমৃদ্ধ। মৃত্যুর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানের শাসন আমলে বিচারপতি আবু সায়েম যে ইনডেমনিটি বিল পাশ করে তা নিয়ে নাটক ‘ইনডেমিনিটি’ করলে তিনি মামলার শিকার হন। বিএনপি তার নামে মামলা করে। কিন্তু তিনি তার প্রত্যয়ে অনড় ছিলেন। বলতেন, এসব মামলা দিয়ে আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। আমরা রাজপথে লড়াই করে বেঁচে থাকি। মহামান্য আদালত তার নামে মামলা খারিজ করে দেয়। সময়ে এই দুঃসাহসী মানুষটির প্রতি আনত শ্রদ্ধা।

লেখক: সহ-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

আরও পড়ুন:
মান্নান হীরা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী
নাট্যকার মান্নান হীরা আর নেই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Karim Sharifs associates with weapons and ammunition were detained

অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুর্ধর্ষ করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগী আটক

অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুর্ধর্ষ করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগী আটক

‎অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর এক সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন ।

‎মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

‎সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের শেলা নদী সংলগ্ন তাম্বুলবুনিয়া খাল এলাকায় রওনা করবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মংগলবার সকাল ৬ টার দিকে কোস্ট গার্ড বেইস মোংলা ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দলটি ধাওয়া করে ১ টি একনলা বন্দুক, ০২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ০৬ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ১ সহযোগীকে আটক করে।

‎আটককৃত ডাকাত আলমগীর হোসেন সাগর বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দীর্ঘদিন যাবৎ করিম শরীফ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো।

‎আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আলামতের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

‎সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jubo leader Shamims original planner is the killer wife and Schalk Emon arrested

যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

সাতক্ষীরার তালার যুবদল নেতা এসএম শামীম আহম্মেদ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মূল আসামি তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (৩০) ও শ্যালক ইমন হোসেন বাদল (১৮) কে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল এলাকায় শামীমের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় বৃষ্টির স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতিও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশের এএসপি সার্কেল আবির শুভ্রসহ পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়ির তিন তলায় নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাতক্ষীরা তালার উথালী গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এসএম শামীম আহম্মেদ। এ'হত্যাকান্ডের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা না'পাওয়ায় পুলিশ তাদের নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

নিহত যুবদল নেতা শামীমের মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রশিদা বেগম, গত রোববার কারো নাম উল্লেখ না করে ডুমুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ-হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম তদন্তে নামে।

ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মাসুদ রানা জানান, ‘শামীম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবির শুভ্র জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী বৃষ্টি আগে থেকেই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি একটি চাপাতি সংগ্রহ করে রাখেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার রাতে বৃষ্টির ভাই বাদল চাপাতি দিয়ে শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সময় বৃষ্টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে হত্যায় ব্যাবহৃত অস্ত্র পাশের একটি গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। এএসপি আরও বলেন, বৃষ্টির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ'ঘটনায় অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The driver of the auto rickshaw killed the driver in Noakhali

নোয়াখালীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নোয়াখালীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের এক চালককে হত্যা করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশ থেকে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত অটোরিকশা চালকের নাম মো.রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তিনি সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ফজল হক মিয়ার বাড়ির আক্কেল আলীর ছেলে।

নিহতের পারিবার ও স্থানীয়রা জানান ,গত ২-৩ মাস আগে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন রফিকুল ইসলাম। সোমবার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পায়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পড়ে থাকতে দাখে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ চরজব্বার ইউনিয়ন ৫নম্বর ওয়ার্ডে ফেলে অটোরিকশা ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে এলাকাবাসী মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটিকে হত্যাকান্ড মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায় নি। মরদেহের গলায় গোলাকার দড়ি পেঁছানো কালো একটি দাগ আছে, বাম হাতের আঙুল থেতলানো, পিঠের পিছনে ফোলা জখম। মুখের মধ্যে কি দিয়ে, নাক-মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। অন্য কোন পদার্থ কিনা দেখা হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two arrested in Chuadanga

চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আটক দুই

চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আটক দুই

চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়ায় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত তৈয়ব আলী (৪০) ও মিরাজ হোসেন (২০) একই এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিরাজের বাবা তৈয়ব আলীর সঙ্গে তার আপন ভাতিজা একই এলাকার বাবু ও ভাগ্নে রাজুর সাথে প্রায় দেড় কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটাতে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। একই বিরোধের জেরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আলোকদিয়া তুফান মিয়ার গোডাউনের অদূরে পাট শুকানোর সময় মিরাজ ও তার বাবার উপর হামলা চালায় বাবু ও রাজু। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিরাজ। গুরুতর আহত হন তার বাবা তৈয়ব আলী। আহত তৈয়বকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবু ও রাজুকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pirojpur District Police recovered 20 lost mobile phones and handed over to the owners

২০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ

২০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ

পিরোজপুরে হারানো মোবাইল ও হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানান পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।

পুলিশ সুপার জানান, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ২০ টি মোবাইল ফোন ও ৫ টি হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজপুর সদর থানায় ৩টি, ইন্দুরকানি থানায় ৫টি, মঠবাড়িয়া থানায় ৩টি, নাজিরপুর থানায় ৬টি এবং ভান্ডারিয়া থানায় ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে হ্যাক হওয়া পাঁচটি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের আরও জানান, অতি অল্প সময়ের মধ্যে পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাধারণ ডায়েরি অনুযায়ী ২০টি মোবাইল ফোন ও ৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের জেলা পুলিশের এরকম উদ্ধারজনিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human bonds demanding stopping irregularities at Nalitabari Upazila Hospital

নালিতাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নালিতাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নালিতাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৬ আস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক রুহুল আমিন সিদ্দিকী রুমান, মানব কল্যাণ সংস্থা ইনসাফ এর চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী, উপদেষ্টা মানিক মিয়া, সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, নালিতাবাড়ী ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের সদস্য আবদুল্লাহ আল আমিন ও ভুক্তভোগী লোকজন ও রোগীরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান খুবই নিম্নমুখী। হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। এসব বন্ধের জন্য জোর দাবী জানান বক্তারা। এসময় আয়োজকরা হাসপাতালের সঠিক সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯টি দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবী পুরন না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারিও দেন বক্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two smugglers with 5 gold bars on the Darshan border of Chuadanga

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি আটক

ভারতে চোরাচালানের সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় আটক করা হয়েছে দুই চোরাকারবারিকে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী। আটককৃতরা হলেন- দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৪৯) ও একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৭)।

বিজিবি জানায়, সকালে ভারতে চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। এসময় একটি মোটরসাইকেলেযোগে দুই ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের থামার সংকেত দেওয়া হয়। এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে আটক আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তির কোমরে অভিনব কায়দায় লুকানো ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানান, ৮টি স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ১৬২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা। আটক আসামিদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে