মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির প্রাণকেন্দ্রে মাটি খুঁড়ে অ্যাজটেক সভ্যতার খুলির টাওয়ারের আরও কিছু অংশ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি (আইএনএএইচ) জানিয়েছে, এবার টাওয়ারের ১১৯টি খুলি পাওয়া গেছে।
২০১৫ সালে মেক্সিকো সিটির একটি ভবন পুনর্নির্মাণের সময় খুলির টাওয়ারের সন্ধান মেলে।
ধারণা করা হয়, অ্যাজটেকদের সূর্য, যুদ্ধ ও নরবলির দেবতার মন্দিরের অংশ খুলির টাওয়ারটি।
অ্যাজটেকদের রাজধানী তেনোচতিতলানে হুইজিলোপোচতলির চ্যাপেলে রাখা এই খুলির স্তম্ভ ‘হিউয়ি জোমপ্যান্তলি’ নামে পরিচিত ছিল।
অ্যাজটেকরা নাওয়াটেলভাষী, যারা ১৪ থেকে ১৬ শতক পর্যন্ত মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় অঞ্চল শাসন করেছে। ১৫২১ সালে স্প্যানিশ হারনান করতেস অ্যাজটেক সাম্রাজ্যের পতন ঘটান। তবে হিউয়ি জোমপ্যান্তলি স্পানিশ যোদ্ধাদের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছিল।
সিলিন্ডারের মতো দেখতে এই স্তম্ভটি আছে তেনোচতিতলানের অন্যতম প্রধান মন্দির টেমপ্লো মেয়রের ওপর তৈরি বিশাল মেট্রোপলিটন ক্যাথেড্রালের কাছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, ১৪৮৬ থেকে ১৫০২ সালের মধ্যে তিনটি পর্যায়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
মেক্সিকোর সংস্কৃতিমন্ত্রী আলেজান্দ্রা ফ্রস্তো বিবিসিকে বলেন, ‘টেমপ্লো মেয়র আমাদের বিস্মিত করেই যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক বছরে প্রত্নতাত্ত্বিকদের অন্যতম বিস্ময়কর আবিষ্কার হিউয়ি জোমপ্যান্তলি।’
প্রত্নতাত্ত্বিকরা আশা করেছিলেন, এখানে তরুণ যোদ্ধাদের খুলি পাবেন। কিন্তু তারা নারী ও শিশুদের খুলির অংশও পেয়েছেন। এর ফলে অ্যাজটেক সাম্রাজ্যে নরবলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক রওল বারেরা বলেন, ‘আমরা অবশ্য বলতে পারি যে, এদের মধ্যে কত জন যোদ্ধা ছিল। হয়তো কাউকে কাউকে নরবলি উৎসবের জন্য বন্দি করা হয়েছিল।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সাইদানী রোববার ২০ জুলাই সকালে ঝালকাঠির বিখ্যাত ভাসমান হাট ও পেয়ারা বাগান পরিদর্শন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ভিমরুলি ও আটঘর কুড়িয়ানা এলাকায় পেয়ারা উৎপাদনের বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করেন এবং স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলেন।
তিনি এখানকার নৌকা তৈরিতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যবাহী ভাসমান হাট দেখে আমি মুগ্ধ। আলজেরিয়ায় পেয়ারা উৎপাদন হয় না। এখান থেকে পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি আলজেরিয়ার সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
তিনি আরও বলেন, ভিমরুলি ও আটঘর কুড়িয়ানা একটি সম্ভাবনাময় কৃষি অঞ্চল। এখানকার ভাসমান হাট ও পেয়ারা চাষাবাদ অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এটি বাংলাদেশের এক অনন্য সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উদাহরণ।
রাষ্ট্রদূতের সফরে ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং বাংলাদেশে আলজেরিয়া অ্যাম্বাসেডরের সেক্রেটারি এ কে এম সাইদাদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আলজেরিয়া রাষ্ট্রদূ পেয়ারা রপ্তানির সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য এসেছেন। তারা সম্মত হলে আমরা পেয়ারা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করবো।
উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে গড়ে ওঠা ভাসমান পেয়ারা হাট এখন দেশের কৃষিভিত্তিক পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
নীলফামারীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মো. সেলিম মিয়া (২৭) নামের এক ভিসা প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জ থানার বেলতলী বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার সেলিম মিয়া কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই কাছারিপাড়া গ্রামের মৃত ফকির উদ্দিনের ছেলে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, ‘ সেনাবাহিনী হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ও রাহাজানিসহ নানা সামাজিক অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারী সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির মেজর সালমানের নেতৃত্বে চৌকস একটি দল যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। এতে সেলিম মিয়া বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পুলিশের একাধিক অভিযানের পরও সে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল।'
বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশনে এই প্রথম বস্তাতে আদা চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। এই উপজেলায় কৃষিতে বৈচিত্র আনার প্রয়াসে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বস্তায় আদা চাষ। মাটি ও জমির সীমাবদ্ধতা, বন্যা বা লোনা পানির ঝুঁকি, এবং কৃষি জমির উচ্চমূল্যের কারণে অনেক কৃষক যখন বিপাকে পড়ছেন, তখন বস্তায় আদা চাষ তাদের জন্য হয়ে উঠছে এক সম্ভাবনাময় বিকল্প।
চরফ্যাশন মূলত নদীবেষ্টিত। এখানে মৌসুমি বন্যা ও জোয়ারের পানিতে অনেক সময় ফসলের ক্ষতি হয়। তবে বস্তায় চাষ পদ্ধতিতে মাটি সহজে সরানো যায়, উঁচু জায়গায় রাখা যায়, বন্যার পানি থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়। কৃষকরা পুরোনো চালের বস্তা, প্লাস্টিকের বস্তা, এমনকি পরিত্যক্ত বালুর বস্তাও ব্যবহার করছেন। এই পদ্ধতিতে প্রাথমিক খরচ কম। একটি বস্তা, কিছু জৈব সার, বেলে দোআঁশ মাটি ও বীজ আদা এগুলোই মূল উপকরণ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, আসলামপুর, হাজারীগঞ্জ, জাহানপুর, আব্দুল্লাহপুর, চর মাদ্রাজ ও চরফ্যাশন পৌরসভা সহ আরো কিছু এলাকার কৃষকরা বস্তাতে আদা চাষাবাদ করছে। চলতি বছরে বস্তাতে আদা চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৮০০হেক্টর জমি। তবে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আদা চাষাবাদ হচ্ছে।
চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. বারেক বলেন, ‘আমরা আগে বর্ষায় জমিতে কিছু করতে পারতাম না। এখন বারো মাস বস্তাতে আদা চাষ করতে পারবো। তবে এই প্রথম চরফ্যাশনে বস্তাতে আদা চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমি ৩০০ বস্তা আদা চাষ করছি। খুব সহজে সার পানি দেই, আর কোনো কষ্ট নেই।’
পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাওলানা ইউসুফ বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোসহ দেশের কয়েকটি জেলায় আদা চাষ করা হয়। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এই প্রথম চরফ্যাশনে বস্তাতে আদা চাষাবাদ করা হচ্ছে। বাড়ির উঠান বা রাস্তার পাশে পতিত জমিতেও আদা চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি এই বছরে প্রাথমিকভাবে ২০০ বস্তায় আদা চাষাবাদ করছি। একটি বস্তাতে ২টি করে আদা রোপন করেছি। বৈশাখ থেকে আদা চাষ শুরু হয়েছে। ২টি আদা রোপনের ফলে ১০/১২ মাস পর একটি বস্তাতে প্রায় ৩ কেজি আদা উৎপাদন হবে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বলছে, বস্তায় আদা চাষে রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে আলাদা বস্তা সরিয়ে আলাদা করা যায়। রোগ ছড়ানোর ভয় কম থাকে। এতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারও কমে যায়, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভালো। বিশেষ করে যুবসমাজ ও নারী উদ্যোক্তারা স্বল্প পুঁজি ও জায়গায় এই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কেউ কেউ নিজেদের উঠোন বা বারান্দায়ই বস্তা রেখে চাষ করছেন। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভালো ফলনের জন্য বস্তার মাটি ও জৈব সার ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করতে হয়। নিয়মিত পানি দিতে হয়, কিন্তু অতিরিক্ত পানি যাতে না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। বস্তার নিচে ছিদ্র রাখতে হয় যাতে পানি বের হয়ে যায়।
কৃষি অফিস জানিয়েছে, তারা স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আদা একটি মুনাফাযোগ্য মসলা ফসল। বাজারে চাহিদা সারা বছর থাকে। বস্তায় উৎপাদিত আদা আকারে মাঝারি হলেও গুণে ভালো। দামও ভালো পাওয়া যায়। অনেকে বীজ উৎপাদনের জন্যও বস্তায় আদা চাষ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ‘এখানে অনেক জমি বর্ষায় ডুবে যায়। বস্তায় আদা চাষ এ অঞ্চলের জন্য বড় সম্ভাবনা। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। তারা যদি শিখে নেয়, এভাবে শুধু আদা নয়, হলুদ, আলু, মিষ্টি আলু, কচু – অনেক কিছু চাষ করা যাবে।’
তিনি আরো বলেন, 'চরফ্যাশনের কৃষির স্বরূপ বদলাচ্ছে। বস্তায় আদা চাষ শুধু জমি সাশ্রয়ী বা বন্যা-সহনশীল পদ্ধতি নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন প্রাণসঞ্চার করছে। কৃষকদের আয় বাড়াতে ও স্বনির্ভর হতে এই উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।'
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি তারা এবিষয়ে কোন প্রকার গাফিলতি করেননি/করছে না।
রবিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক-সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইবি প্রশাসন সম্মতি জানিয়ে বলেন, তদন্ত কমিটিতে দুইজন শিক্ষার্থীকে অবজারভার হিসেবে রাখা হবে এবং সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসিটিভি ও লাইটিং এর আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে এবং খুব দ্রুত শেষ হবে। সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত যেন হয় সে বিষয়ে ইবি প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে।
সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতো দিন বিগত প্রশাসনের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তৃতা-সহ নানা মাধ্যমে জিজ্ঞেসা করা হয়- ‘প্রশাসন এতো এতো টাকা কী করে?’ আমরা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। দুঃখের বিষয় হলো- হল প্রশাসন থেকে জানানো হয় না তাদের কী প্রয়োজন। প্রশাসনের কোথাও আর্থিক দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আছে ইউজারের, জিনিসগুলো প্রপারলি ইউজ করলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না।
উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ৫ আগস্টের পর সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সীমিত আকারে বাজেট দেয়। কিন্তু বিশেষ দিবসসমূহে আমাদের আলাদা বাজেট রাখতে হয়। যেহেতু আমাদের বাজেট কম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয়। তবুও আমরা গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছি।
ড. এয়াকুব আরো বলেন, আমাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা- ঘটনা প্রবাহের তথ্য উদঘাটন করা। তবে কাউকে বিচার করা, ফাঁসি দেওয়া ও বহিষ্কার করা এটা আমাদের ক্ষমতা নেই। এটা সম্পূর্ণ পুলিশবাদী কেস। আমরা সর্বোচ্চ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারি।
তিনি সাজিদের ব্যাপারে বলেন, আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। তবে শিক্ষার্থীরা যেটা বলছেন- প্রক্টর আসতে দেরি হয়েছে এবং প্রশাসনের কেউ ছিল না। সাজিদ মারা যাবে বা তার লাশ ভেসে উঠবে এইটা তো আমরা জানতাম না। যদি কোনো ইঙ্গিত পাইতাম তাইলে যাইতাম না। কাকতালীয় ভাবে ঘটনাটা ঘটেছে। সাজিদের লাশ যে ভেসে উঠবে এমন কোনো লক্ষণও তো আগের রাতে দেখি নাই। আমি তো রাত আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ঘুরছি। রাতে কই কোনো লক্ষণ দেখিনাই তো? একটা মানুষ কে যখন মারে বা মরে ক্যাম্পাসে একটা ভাব থাকে গুমগুমে ভাব, সেরকম কিছু দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সাজিদকে হারিয়েছি, এটার সাথে কোনো কিছু আছে কি-না আমরা বিহিত করতে নামছি এবং খুব আন্তরিকভাবে কাজ করছি। যদি কোনো ভাবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হয়, তা যদি ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও হই, তাহলে আমি আমার শাস্তি চাইবো। ধৈর্য্য ধারণ করুন, আমরা শক্তভাবে এইটা হাতে নিয়েছি। কারণ সাজিদের বিচারটা যদি না হয় তাহলে প্রত্যেক ছাত্ররা কিন্তু হলে থাকতে ভয়ভীতি ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যাবে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা নিছক দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
সংঘর্ষে নিহতদের লাশ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের বিষয়টি ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ জুলাই) হাসপাতালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গত ১৬ জুলাই, গোপালগঞ্জ জেলায় অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত না করার বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের বক্তব্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।’
বিবৃতি অনুযায়ী, প্রকৃত ঘটনা হলো— সংঘর্ষ চলাকালে প্রথম মৃতদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রোগীর স্বজনদের লাশ ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেওয়ার কথা বললে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে জোর করে লাশ নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বাকি মৃতদেহগুলোর স্বজনরাও ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয়নি। তারা হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করে জোর করে মৃতদেহ নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এমন পরিস্থিতি ও চারদিকে সংঘর্ষের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন উপস্থিত না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসহায় বোধ করেন। এছাড়া, ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মচারীরা সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসাকাজে নিয়োজিত থাকায় এবং হাসপাতালের বাইরে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
তবে, পরবর্তীতে এই ঘটনা পুলিশকে মোবাইল ফোনে এবং লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। এই বিবৃতির মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে বলেও আশাপ্রকাশ করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে হতাশ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের দল বহুত্ববাদকে ধারণ করে একটি রেইনবো স্টেট গঠনের স্বপ্ন দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এখানে একজন শহীদের পিতা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন যে, আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থানের পরে অতিদ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হবে, রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি হবে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারব।
‘বিষয়টা হচ্ছে যে, রাজনীতিটা অত সহজ পথ নয়, গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো থাকে না, এখানেও সমস্যা থাকবে, সেটাই রাজনীতি। কিন্তু এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভিন্নমত থাকবে, বহুমাত্রিক পথ থাকবে, কেউ গণতন্ত্রের বিশ্বাস করবে, কেউ সমাজতন্ত্রের বিশ্বাস করবে, কেউ আপনার ওয়েলফেয়ার স্টেটে বিশ্বাস করবে। সবগুলোকে মিলিয়ে সেই রকম একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করা হবে, অনেক আগেই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ‘
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির দেওয়া অতীতের ৩১ দফা সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১দফা দিয়েছেন, সেই দফার মধ্যে আজকে যে সংস্কারের প্রশ্নটা উঠেছে, সংস্কারের যে প্রস্তাবগুলো আসছে তার প্রত্যেকটি প্রস্তাব আমরা ২০২২ সালে দিয়েছি।’
জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতি নিয়ে যে সংকট প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান বিএনপির এই নেতা। উদ্ভূত সমস্ত সংকট এড়াতে অন্তর্বতীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ দেবে বলেও প্রত্যাশা রেখেছেন তিনি।
জুলাই আন্দোলনে শহিদের সংখ্যা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সেই বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে চাই না। আমার কতজন শহীদ হয়েছেন, আমার কতজন নিহত হয়েছেন, আমরা কত ত্যাগ স্বীকার করেছি, কারা কী কাজ করেছি এই বিতর্কে আমি যেতে চাই না।
‘কারণ ওটা আমার কাছে মনে হয় স্বার্থপরতার একটা ব্যাপার আছে। আমার দায়িত্ব হচ্ছে এই জাতিকে আমাকে উপরে তুলতে হবে।যে প্রাণগুলো গেছে, যারা জীবন দিয়েছে তারা কিন্তু জীবন দিয়েছে ঘোষণা করেই দিয়েছে যে, আমরা ফ্যাসিস্টকে সরাবো, জাতিকে একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।’
সত্যিকার অর্থে একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ যেন সুস্থভাবে স্বাধীনভাবে কমফোর্টেবল ওয়েতে স্বস্তির সঙ্গে যেন চলাফেরা করতে পারে সেই ধরণের একটা রাষ্ট্র চাই।
মির্জা ফখরুল আশা করেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা তারা রক্ষা করবে।
‘সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের একটা সরকার তৈরি করতে পারব। যে সরকার আমার এই শহিদদের মূল্যায়ন করবেন, তাদের মর্যাদা দেবেন, একই সঙ্গে যেজন্য সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবার সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করবে।’
এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ চার শহিদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস, বাদলুর রহমান বাদল, সাইফ আলী খান, মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাহিদুল ইসলাম রনি, শফিকুল হক সাজু ও হাসনাইন নাহিয়ান সজীবসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ১৫তম দিনের আলোচনার প্রথমার্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দলের মতামতের আলোকে কমিশন সভা করে দলগুলোর কাছে ফের একটি সংশোধিত সমন্বিত প্রস্তাব প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবটিতে বিস্তারিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই প্রস্তাবের অধিকাংশ বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবটির ভাষাগত ও খুঁটিনাটি দিক পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর আগামীকালের মতামতের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৫তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
সকালে একাডেমি সম্মুখে ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধনকারী জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই মানববন্ধন কর্মসূচির সঙ্গে আমরা আন্তরিক সংহতি প্রকাশ করছি।’
একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বাকি দিনগুলোর আলোচনায়ও আরও কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকলে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।
উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা নিয়ে কোনো ভিন্নমত নেই উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, উচ্চকক্ষ কীভাবে হবে, তা নিয়ে দুটি ভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কমিশনের কাছে দায়িত্ব অর্পণের মতামত দিয়েছে।
কমিশন ইতোমধ্যে উচ্চকক্ষ বিষয়ে বৈঠক করেছে। কী ধরনের উচ্চকক্ষ হবে, সে বিষয়ে কমিশন আরেকটু সময় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য