× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
জাতিসংঘ ভলান্টিয়ার্স পুরস্কার পেলেন রামুর বুলবুল
google_news print-icon

জাতিসংঘ ভলান্টিয়ার্স পুরস্কার পেলেন বুলবুল

জাতিসংঘ-ভলান্টিয়ার্স-পুরস্কার-পেলেন-বুলবুল
৪০৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১৫ জনকে ভলান্টিয়ার্স পুরস্কার দেওয়া হয়। 

জাতিসংঘের ভলান্টিয়ার্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সূর্যের হাসি যুব সংঘের সভাপতি নুরুল হক বুলবুল।

জাতিসংঘের ভলান্টির্স বাংলাদেশ, ওয়াটারঅ্যাইড বাংলাদেশ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শনিবার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদ্‌যাপন করা হয় রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে।

দিবসটি উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ সংগঠন ও শ্রেষ্ঠ সংগঠকের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার। ৪০৬ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১৫ জনকে ভলান্টিয়ার্স পুরস্কার দেওয়া হয়।

এতে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে শুধুমাত্র বুলবুলকে পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশাল একটি প্ল্যাটফর্মে এসে সূর্যের হাসি যুব সংঘের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সত্যি ভালো লাগছে। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করার আগে বা কাজ করার সময় আমরা কোনোদিন কোনো অর্জন বা স্বীকৃতির আশা করিনি।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আকতার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, জাতিসংঘের বাংলাদেশ কোঅরডিনেটর (রেসিডেন্স) মিসেস মিয়া সেপো, কান্ট্রি ডিরেক্টর আকতার উদ্দিন, ওয়াটারএইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিসেস হাসিন জাহান প্রমুখ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chittagong senior lawyer Bir freedom fighter Mirza Kashir Uddin Ahmed died

চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা কছির উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন

চট্টগ্রামের প্রবীণ আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা কছির উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাতটায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এই প্রবীণ সদস্যের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে আমৃত্যু তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই কন্যা রেখে গেছেন। তার তিন ছেলে-মেয়েই আইনপেশায় নিয়োজিত। বড় ছেলে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা শোয়েব মুহিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সাতকানিয়ার প্রয়াত চিকিৎসক মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ মরহুমের বড় ভাই। দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার তার ভাতিজা।

চট্টগ্রাম আদালত ভবনে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বেলা সাড়ে ১২টায়। এতে অংশ নেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মহানগর দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম। আরও অংশ নেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা, জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জামায়াতে মহানগরের আমির নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

মরহুমের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার উপজেলার মাদার্শার দেওদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় পুলিশের একটি চৌকস দল ‘গার্ড অফ অনার’ প্রদান করে। এতে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম, সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।

বিকালে তৃতীয় ও শেষ জানাজার পর মাদার্শা বুড়িপুকুর মসজিদের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

বিভিন্ন মহলের শোক

অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিনের মৃত্যুতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শোক জানিয়েছে— সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি, সাতকানিয়া উপজেলা আইনজীবী সমিতি, সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ-চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ, সাতকানিয়া ল’ইয়ার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এএসএম বজলুর রশিদ মিন্টু।

এছাড়া সাতকানিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে সুকান্ত বিকাশ ধর, দিদারুল আলম, জাহেদ হোসাইন, হারুনর রশিদ, ইকবাল মুন্না, তারেক হোসাইন, সাইফুল ইসলাম, মিনহাজ বাঙালি, মো.আরিফুল ইসলাম, মামুনুল হক, মোহাম্মদ হোছাইন, মাসুদুল করিম, টিআই খাইরু,লোহাগাড়ার তাজউদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন রশিদীসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন গভীর শোক জানিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cabs human bond in Chittagong demanding relief on rice legs

ভাতের পাতে স্বস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে ক্যাবের মানববন্ধন

ভাতের পাতে স্বস্তির দাবিতে চট্টগ্রামে ক্যাবের মানববন্ধন

চালের ক্রমাগত অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি বাড়ার কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। অবিলম্বে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্য, প্রতি সপ্তাহেচালরে দাম ২-৫ টাকা করে বাড়িয়ে সর্বশেষ ভরামৌসুমে ৮-১০ টাকা বাড়ার কারণে সাধারণ মানুয়েরখাদ্য নিরাপত্তা হুমকরি মুখে পড়েছে। সরকার নিত্যপণ্যের বাজার তদারকিতে কিছু উদ্যোগথাকলেও চালে বাজার নিয়ন্ত্রণে সেধরণের দৃশ্যমান উদ্যোগ না থাকায় চালের অসাধু ব্যবসায়ীরাতাদের ইচ্ছা মতো দাম বাড়ায় ও কমায়। আবার খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) ও টিসিবিরফ্যামিলি র্কাড র্কাযক্রমও সক্রিয় নয়। সেকারণে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে জনজীবনে তীব্রসংকট নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) নগরীর জামালখান প্রেসক্লাব চত্ত্বরে “ভাতের পাতে স্বস্তি ফেরাও” স্লোগান নিয়ে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তারা উপরোক্ত দাবি জানান।

যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরেরসভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), কনজ্যুমারস অ্যাসোসয়িশেন অব বাংলাদশে (ক্যাব) চট্টগ্রাম, প্রাণ ও আইএসডইি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্যরাখনে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, এডাব চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতিও বিশিষ্ট নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু ও বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিবঅ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সমাবেশে চালের মূল্য ও সার্বিক মুল্যস্ফীতির নয়িন্ত্রণেসংকটপূর্ণ অবস্থা নিরসনে তারা কৃষকের কাছ থেকে সরকারের সরাসরি চাল ক্রয়ের আওতা বৃদ্ধি, দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থাচালু, বাজার, উৎপাদন, মূল্য নির্ধারণ এবং ভোগের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকের স্বার্থ রক্ষায়পদক্ষেপ গ্রহণ, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তার সহায়তায়টিসিবি এবং ওএমএস কর্মসূচির আওতাবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রয়োজনভিত্তিক সহায়তার উদ্যোগ ও মিল, করপোরেট গ্রুপসহ চালের বাজার যথাযথমনিটরিং এবং সিন্ডিকেট এর অপতৎপরতা রোধ করার মাধ্যমে দ্রুত বাজার পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণ করে চালের মূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আনার দাবি জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Wildlife killing on the key campus is on the rise

চবি ক্যাম্পাসে বন্যপ্রাণী হত্যা বেড়েই চলছে

ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা
চবি ক্যাম্পাসে বন্যপ্রাণী হত্যা বেড়েই চলছে

সবুজ অরণ্য, পাহাড়, ঝর্ণার বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যেমন সৌন্দর্যের স্বর্গভূমি তেমনি অসংখ্য বন্যপ্রাণী, পাখির আবাসস্থল। তবে এখানে অবাধেই চলছে বন্যপ্রাণী হত্যা। শাস্তির আওতায়ও আসছে না অপরাধীরা। ২০১২ সালে দেশের জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন। যেখানে বন্যপ্রাণী শিকার, হত্যা, কেনাবেচা, বা এদের আবাসস্থল ধ্বংস নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া এই আইন লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জরিমানা, কারাদণ্ড। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদেও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তবে এই আইনের কার্যকর প্রয়োগ নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। মায়া হরিণ, শূকর, বন মোরগ, অজগরসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণীর এই আবাস্থলে নিয়মিতই হচ্ছে প্রাণী হত্যা। এসব প্রাণী হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের। বিশেষজ্ঞরাও জানাচ্ছেন শঙ্কার কথা। গত ২৪ জুন চবির ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. নুরুল হামিদ কানন একটি মৃত শূকরের ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, ‘শূকর পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না আপনাদের হাত থেকে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের উত্তর পাশের ব্রিজের নিচে একটি বন্য শূকরকে মাথায় আঘাত করে রাতে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা এমন গর্হিত কাজ করেন তারা পরিবেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর।’ বুধবার (০২ জুলাই) সালমান শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘বুধবার (০২ জুলাই) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটা পাহাড় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় একটি চিতা বিড়ালের মৃত্যু হয়। চিতা বিড়াল বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে লাল তালিকায় আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চিতা বিড়ালের উপস্থিতি আছে জানা ছিল না। অজগর, মায়া হরিণ, বন্য শূকর, শিয়াল এসবের কথাই আগে জানা ছিল। তবে এই চিতা বিড়ালটির মৃত্যু কয়েকটি ভাবনার জন্ম দিয়েছে। ’

তিনি আরও লিখেন, ‘আজকের চবি যেখানে প্রতিষ্ঠিত এটা মূলত বন্য প্রাণীদেরই এলাকা। আমরা তাদের এলাকা দখল করেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। যেহেতু এখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা হয় সেহেতু এখানে বসবাসরত প্রাণীগুলোর প্রতিও আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। তাদের নিরাপদ, ঝঞ্ঝাটহীন জীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

শিক্ষার্থীদের মতে, ‘ মধ্যরাতে প্রাণীদের চলাচল ও খাবার সন্ধানের সময়। এই সময়ে যানবাহনের চলাচল সীমিত করা দরকার। উচ্চগতিতে গাড়ি চালানোও বন্ধ করে দেওয়া উচিত। প্রাণীর নিরাপদ আবাস গড়তে ক্যাম্পাসের ভেতরে গাড়ি চালকদেরও কিছু নির্দেশনা জানানো উচিত। তা ছাড়া জরিপ করে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান সংরক্ষণ ও জীবনযাপনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিশেষজ্ঞ শিক্ষক, গবেষকদের মতামত নিয়ে এই কাজগুলো বাস্তবায়ন করা উচিত।’

জানতে চাইলে প্রাণীবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘বন্যপ্রাণীগুলো যখন রাতে চলাচল করে তখন এগুলোর চোখে লাইট পড়লে তারা দেখতে পায় না। তখন গাড়ি চালকরা হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবেই তাদের মেরে দেয়। আমাদের এখানে যখন রাস্তা দিয়ে প্রাণীগুলো চলাচল করে, তখন তাদের রক্ষা করার চেয়ে মেরে ফেলার মানসিকতাই বেশি কাজ করে। আমি বিদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে দেখেছি বন্যপ্রাণী রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমাদের এখানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিলবোর্ড, প্লেকার্ড , কিংবা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যা যা প্রয়োজন তা আমরা করব। এনিয়ে আমরা প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটি আছে। আমাদের ক্যাম্পাস অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। এখানে অনেক বন্যপ্রাণীর বসবাস আছে। এগুলো সচরাচর দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা পরিবেশ আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন মেনে চলি। এর আগেও বন্যপ্রাণী হত্যার দায়ে অনেককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যপ্রাণী হত্যার যে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং কমিটিকে আমরা নির্দেশনা দিব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fake Certificate

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে জাল সনদ এবং ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পদ গ্রহণসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে দশ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১) মো. নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্মারকে এ তথ্য ওঠে এসেছে। এতে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলাধীন নবারুণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে জাল সনদ এবং ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পদ গ্রহণ ও বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে আনীত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। এ অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদনের মতামতের আলোকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর প্রমাণিত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৮.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে পত্র প্রাপ্তির দশ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two students took the exam in Sakhipur and left the body

সখীপুরে মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা দিলেন ২ শিক্ষার্থী

সখীপুরে মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা দিলেন ২ শিক্ষার্থী

পুরো বাড়িতে শোকের মাতম। শোকে স্বজনেরা লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন অবস্থায় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে মায়ের লাশ দাফনে অংশ নেবে তারাও। হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন বিষয় দুটি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায়। উপজেলার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী লাবনী আক্তারের মা মারা গেছেন।

মা হারানো সায়মা আক্তার সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এবং লাবনী আক্তার সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার আগে অশ্রুসিক্ত চোখে কেন্দ্রে আসেন তারা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার হতেয়া গ্রামের মো. রায়হান মিয়ার মেয়ে সায়মা আক্তারের-মা শিল্পী আক্তার (৪০) কিডনীজনিত সমস্যার কারণে ২ জুলাই রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতেই মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। অন্যদিকে উপজেলার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার। তার মা সফিরন (৪৫) বুধবার (০২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী ছিলেন। উভয়ে পরিবারের ছোট সন্তান।

লাবনীর মায়ের জানাজা সকাল সাড়ে ১১টার অনুষ্ঠিত হয় অন্যদিকে সায়মার মায়ের জানাজা বাদ যোহর অনুষ্ঠিত হয়।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সায়মা মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে আসা সত্যি কষ্টদায়ক। আল্লাহ যেন তার সহায় হোন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the Nilphamari made fake khatiyan in prison

নীলফামারীতে ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে কারাগারে

নীলফামারীতে ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে কারাগারে

নীলফামারী ল্যান্ড সার্ভে আদালতে ভুয়া খতিয়ান ও জাল দলিল তৈরি করে মামলা দায়েরের অভিযোগে প্রতারক মো. মতিয়ার রহমান শাহ্ (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (০২ জুলাই) প্রতারক মতিয়ার রহমান আদালতে উপস্থিত হলে সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। মতিয়ার সদর উপজেলার নগর দারোয়ানী এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

জানা যায়, ল্যান্ড সার্ভে ১৭৮/২০ নং মামলায় মতিয়ার রহমান জাল দলিল ও ভুয়া খতিয়ান (ডিপি ১৯৩) তৈরি করে আদালতে উপস্থাপন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী শামিমা পারভীন আদালতে মোকাবেলা করেন এবং আদালতে প্রমাণিত হয় যে উক্ত খতিয়ানটি ভুয়া। পরে আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং সি.আর ২১৪/২৪ মামলাটি খারিজ করে প্রতারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৫(সি) ধারায় ব্যবস্থা নিতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আদেশ প্রদান করেন।

বাদী পক্ষের অ্যাড. রাজীব ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ, ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে নীলফামারী আমলী আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি গত পাঁচ মাস ধরে পলাতক ছিলেন। একসঙ্গে, সি.আর ১০৯/২৫ নং মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৫০৬(২)/৩৪ ধারায় আরও একটি মামলা চলমান রয়েছে, সেখানেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দলিল জালিয়াতির।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
July is spending the day without eating

খেয়ে না খেয়ে, দুঃখ-দুর্দশায় জুলাই যুদ্ধে নিহত বাবুর পরিবার

খেয়ে না খেয়ে, দুঃখ-দুর্দশায় জুলাই যুদ্ধে নিহত বাবুর পরিবার

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর শালদাহর মৃত নওশেরের ছেলে সুরুজ আলী বাবু (৪১)। পেশায় স্বর্ণকার। টানা পোরানের সংসার। কোনো রকম বিধবা মা স্ত্রী আর তিন ছেলেমেয়ে অভাবের সংসারের মধ্যেই সুখেই দিন কাটছিল। মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৭) এবার এসএসসির পরীক্ষার্থী। ছেলে ফয়সালকে (১০) হাফেজ করার প্রবল ইচ্ছায় ভর্তি করেছিল মাদ্রাসায় আর ছোট মেয়ে রুবাইায়াকে (৭) সবেমাত্র প্লে গ্রুপে ভর্তি করেছিল। কিন্তু মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ঘাতক বুলেটের আঘাতে নিহত হয় বাবু। চোখের পলকে একটি স্বপ্নের ইতি হয়ে যায়। একমাত্র উপার্জন করা মানুষকে হারিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। অনিশ্চিত হয়ে গেছে তিন ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ ও লেখাপড়া। স্থানীয় ও স্বজনদের সাহয্য সহযোগিতা নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে বাবুর পরিবার। ঘটনার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও শোকের ছায়া ঘিরে রেখেছে বাবুর পরিবারকে। সুরুজ আলী বাবুর বৃদ্ধা মা রাহেলা খাতুনের (৭০) কান্না এখনও থামছে না। তৎকালীন সময়ের কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশের এসআই সাহেব আলীর গুলিতে সুরুজ আলী বাবু নিহত হয়েছে বলে দাবি করে তার (সাহেব আলীর) বিচারের দাবি করেছেন তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুন। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুথানে বীরত্বের সঙ্গে ছাত্র-জনতার প্রথম সারিতে থেকে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সুরুজ আলী বাবু। পুলিশের এলোপাথারি গুলিকে উপেক্ষা করে দৃড়ভাবে অবস্থান করেন কুষ্টিয়ার থানা মোড়ে। স্বৈরশাসক হাসিনার পদত্যাগের পর ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ হলে দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা জানান, বাবু খুব কষ্ট করে সংসার চালাত। স্বর্ণের দোকানে কাজ করে যতটুকু ইনকাম করত তা তিন ছেলেমেয়ের পেছনে খরচ করত। ছেলে আর মেয়েতে নিয়ে তার স্বপ্নের তাজমহল গড়ে তুলেছিল। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হয়। জেলা জামায়াতের থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছিল। কিন্তু সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পায়নি। তারা আরও জানান, সুরুজ আলী বাবুর ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। তার ছেলেমেয়েরা যেন ঠিকমতো লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমরা সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি। অশ্রুসিক্ত নয়নে মা রাহেলা খাতুন বলেন, আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। আমার ছেলেকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তার বিচার চায়। আমার নাতি নাতনির লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আয় করার মানুষ নেই। সরকার সাহায্য না করলে আমরা না খেয়ে মারা যাব। আব্বু মারা যায়নি আমার বিশ্বাস হয়না এমন মন্তব্য করে সুরুজ আলী বাবুর ছেলে ফয়সাল জানান, আমি মাদ্রাসায় ছিলাম। আমার বন্ধু কয় ‘তোর আব্বা মরে গেছে’ আমি বিশ্বাস করিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার আব্বু গুলিতে মারা গেছে। আমার আব্বু নেই আমাদের এখন কেউ ভালোবাসে না। আমার আব্বুকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চায়। কান্নাজড়িত কন্ঠে স্বামী হত্যাকারির বিচার চেয়ে ফাহিমা খাতুন জানান, মৃত্যুর আধা ঘণ্টা আগে আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। আমি বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে শুনি তার গায়ে এসআই সাহেব আলী গুলি করেছে। খবর শুনে ৩টার দিকে হাসপাতালে যেয়ে শুনি আমার স্বামী মারা গেছে। আমি আমার তিন ছেলেমেয়েকে কিভাবে মানুষ করব।

তিনি বলেন, আত্মীয়স্বজনরা বাজার করে দিয়েছিল তাই আমরা খাচ্ছি। আমার শাশুড়ি সেও খুব অসুস্থ তার ওষুধ কিনে দেয়ার সামর্থন নেই। কেউ সাহায্য না করলে না খেয়ে থাকতে হয়। অল্প কিছু আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলাম। আমার স্বামীর কিছু দেনা ছিল। সেই টাকা দিয়ে কিছু দেনা শোধ করেছি। এখন সরকার সাহয্য না করলে ছেলেমেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তিনি আরও জানান, আমি আমার স্বামি হত্যার বিচার চায়। এসআই সাহেব আলী গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চায়। আমি স্বামী হত্যার মামলা করতে পারিনি। ভিনদেশি এক ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছে। আমি তাকে চিনি না।

মন্তব্য

p
উপরে