× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

খুলনায় প্রবল জোয়ারে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

খুলনায়-প্রবল-জোয়ারে-বাঁধ-ভেঙে-বিস্তীর্ণ-এলাকা-প্লাবিত
খুলনা, নদী ভাঙন

অমাবস্যার প্রবল জোয়ার এবং গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা ও পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।

শুক্রবার জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে কয়রায় চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। কপোতাক্ষ আর কয়রা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে ২ নং কয়রা, গোবরা, ৩ নং কয়রা ও বেদকাশি গ্রাম। এর আগে বুধবার উপজেলার কাজী পাড়া, পুটিহারী, হরিণখোলা, কাশিরহাট খোলা ও ঘাটাখালি প্লাবিত হয়।

গাজী পাড়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আম্পানের পর কোনোমতে ঘর মেরামত করে বসবাস শুরু করেছিলাম। কিন্তু জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে।’

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করে জোয়ারের অতিরিক্ত পানি বাঁধ উপচে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করেছে। এতে নতুন করে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২৫০০ পরিবার সংকটে পড়েছে। সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছে।’

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জোয়ারের পানির চাপে ঘাটাখালী এবং ২ ও ৩ নং কয়রায় বাঁধ ভেঙে গেছে। কিছু জায়গায় বাঁধ ও পাকা সড়ক উপচে গ্রামে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘পানির চাপ কমে গেলে এসব স্থানে প্রয়োজনীয় মেরামত করা সম্ভব হবে। আর বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমের কাজে বস্তা সরবরাহ করা হচ্ছে।’

এদিকে, পাইকগাছা উপজেলায় শিবসা নদীর পানির চাপে হাড়িয়ার বাঁধ ভেঙে বুধবার মাজরাবাদ, বয়ারঝাপা ও টেংরামারী গ্রাম প্লাবিত হয়। গত দুই দিনে অমাবস্যার প্রবল জোয়ারের পানির চাপে চারটি ইউনিয়নের সাতটি স্থানে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে ও উপচে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে সাময়িকভাবে বাঁধ মেরামত করা হলেও বেতবুনিয়ার আবাসন প্রকল্পের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানির মধ্যে বসবাস করছে। জোয়ারের পানিতে উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে বেতবুনিয়া আবাসন এবং গুচ্ছগ্রাম পানিতে থৈ থৈ করছে। একই ইউনিয়নের টেংরামারী ও ভাঙা হাড়িয়ার ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে পাঁচ হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া দেলুটি ইউনিয়নের চকরি-বকরি বদ্ধ জলমহল ও গেওয়াবুনিয়ার ওয়াপদার বাঁধ উপচিয়ে জোয়ারের পানি এলাকায় প্রবেশ করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মন্ডল বলেন, ‘দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটি সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। বুধবার গদাইপুরের কচুবুনিয়া ও লতার কাঠামারীর ওয়াপদার রাস্তা উপচে জোয়ারের পানিতে শত শত বিঘা চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়।’

গ্রামবাসীদের সহায়তায় ভাঙা হাড়িয়ার ভাঙন মেরামত করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক।

ইউপি সদস্য কল্যাণী মন্ডল বলেন, বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Dhaka South City Corporation

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

৫০০ জন মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অংশগ্রহণ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক শনিবার (০৩ মে) খিঁলগাও উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এর উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগন এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান
উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের মশক কর্মীদের দ্বারা উত্তর শাহজাহানপুর আবাসিক এলাকা, ঝিল ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষার মৌসুমকে মাথায় রেখে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা দুটি স্তরে কার্যক্রম শুরু করেছি, প্রথমটি হলো নিয়মিত মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। দ্বিতীয়টি হল বিশেষ মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম এবং জনগনকে সম্পৃক্তকরণ জনসচেতনতামূলক র‍্যালি যা পর্যায়ক্রমে ডিএসসিসির দশটি অঞ্চলে পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডিতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

প্রশাসক আরো বলেন, নগরবাসীকে সচেতনত হতে হবে এবং বাসার ভেতরে, ফুলের টব, চৌবাচ্চা ও বারান্দায় জমে থাকা পানি তিনদিনের ভেতরে নিজ উদ্যোগে ফেলে দিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এবং নগরবাসীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এ ছাড়াও অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি হয়।


পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো: জিল্লুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা সহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Skype is closing

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্কাইপে ছবি: সংগৃহীত

একসময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম স্কাইপে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। আগামী ৫ মে ২০২৫ থেকে স্কাইপে আর ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাইক্রোসফট টিমসকে মূল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সামনে আনতে চায়।

এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ‘ব্যবহারকারীদের আরও আধুনিক ও কার্যকর যোগাযোগের অভিজ্ঞতা দিতে স্কাইপে বন্ধ করে টিমসকে পুরোপুরি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ আগামী তিন মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে স্কাইপে ব্যবহারকারীদের টিমসে স্থানান্তর করা হবে। মাইক্রোসফট জানায়, স্কাইপে বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যবহারকারীরা তাদের আগের সব সুবিধা টিমসের মাধ্যমেই পাবেন। স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সহজ করতে স্কাইপের বর্তমান ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েই মাইক্রোসফট টিমসে বিনা খরচে লগইন করতে পারবেন। এতে আগের মতোই ব্যক্তিগত ও গ্রুপ কল, বার্তা আদান-প্রদান, ফাইল শেয়ারিংসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

মাইক্রোসফটের ভাষ্য, ‘টিমসে লগইন করলেই স্কাইপের আগের সব চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তর হয়ে যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের মতোই নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারবেন।’ স্কাইপে বন্ধ হওয়ার আগে ব্যবহারকারীদের সামনে দুটি বিকল্প রাখা হয়েছে। প্রথমত, স্কাইপের বর্তমান অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহার করে টিমসে লগইন করলেই আগের চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। ফলে ব্যবহারকারীরা ঠিক আগের মতোই তাদের যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, যারা টিমসে যেতে চান না, তারা চাইলে স্কাইপের বার্তা, কন্ট্যাক্ট ও কলের হিস্ট্রির সব তথ্য ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া ৫ মে পর্যন্ত স্কাইপে ও টিমস একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে টিমস অ্যাপ ডাউনলোড করে স্কাইপের অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করলেই আগের সব চ্যাট ও কন্ট্যাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবেন।

মাইক্রোসফট নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য স্কাইপে ক্রেডিট ও কলিং সাবস্ক্রিপশন সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে যারা আগে থেকেই এসব সেবা ব্যবহার করছেন, তারা পরবর্তী মেয়াদ শুরুর আগ পর্যন্ত এসব সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ৫ মের পরও স্কাইপের পেইড ব্যবহারকারীরা স্কাইপে ওয়েব পোর্টাল বা মাইক্রোসফট টিমসের মাধ্যমে ‘স্কাইপে ডায়াল প্যাড’ ব্যবহার করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের ভাষ্য, স্কাইপে বন্ধ হলেও টিমস ব্যবহারকারীদের আরও আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগের অভিজ্ঞতা দেবে। টিমসের বহুমুখী ফিচার স্কাইপের তুলনায় বেশি কার্যকর হবে। বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি মানুষ দুই দশক ধরে স্কাইপে ব্যবহার করে আসছেন। তবে গত কয়েক বছরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্কাইপে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।

মন্তব্য

সরকারি সফরে কাতার গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান

সরকারি সফরে কাতার গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারি সফরে আজ কাতার গেছেন ।

সফরকালে তিনি কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যে মতবিনিময় করবেন।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ৫ মে দেশে ফিরে আসবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Locals brought two Indians to capture two Bangladeshis

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় দুই ভারতীয়কে তুলে আনলেন স্থানীয়রা

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় দুই ভারতীয়কে তুলে আনলেন স্থানীয়রা বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে আটক দুই ভারতীয় নাগরিক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর সীমান্ত এলাকায় ধান কাটার সময় দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দুই ভারতীয় কৃষককে ধরে এনে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ১০-এর কাছে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ও বিরল থানার এসআই কাওসার।

বিএসএফ ধরে নেওয়া বাংলাদেশি মাসুদ রানা (২৬) পিতা এনামুল, গ্রাম কাটালিয়া ও এনামুল হক (৫৫) পিতা ইসরাইল, কাঠালিয়া, উভয় থানা বিরর দিনাজপুর।

স্থানীয়রা জানায়, বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তে ধান ও মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই কৃষক। কোনো কিছু না বলে হঠাৎ করে বিএসএফের সদস্যরা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামে ঢুকে তাদের ধরে নিয়ে যায়। বিএসএফের সদস্যরা অস্ত্রে সজ্জিত থাকায় ওই মুহূর্তে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে তাৎক্ষণিক গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে নিয়ে আসে। ঘটনাটি জানতে পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী আটক দুই ভারতীয়কে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মিজান দৈনিক বাংলার প্রতিবেদককে জানান, বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে গ্রামবাসীও দুই ভারতীয়কে আটক করে বিজিবির হাতে দিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা উভয়পক্ষ বিকেলে পতাকা বৈঠকে বসব। আশাকরি পতাকা বৈঠকে বসলে সমস্যাটি সমাধান হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB school on the inaccessible hill to reach the light of education

শিক্ষার আলো পৌঁছাতে দুর্গম পাহাড়ে বিজিবির স্কুল

শিক্ষার আলো পৌঁছাতে দুর্গম পাহাড়ে বিজিবির স্কুল বান্দরবানের দুর্গম ত্রীমতিপাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে বিজিবি। ছবি: বিজিবি

পার্বত্য বান্দরবানের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকার শিক্ষাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে বান্দরবানের দুর্গম ত্রীমতিপাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে বিজিবি।

আজ শুক্রবার বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পার্বত্য বান্দরবানের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকার শিক্ষাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) ব্যবস্থাপনায় ওয়াংরাইপাড়া বিওপির উদ্যোগে থানচির রেমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম সীমান্তবর্তী ত্রীমতি কারবারী পাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার তিনি (অধিনায়ক) বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ২৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রাথমিক পাঠ্যবই, শিক্ষা উপকরণ, বিস্কুট ও চকলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে এলাকার হতদরিদ্র আরও ২০টি পরিবারকে মশারি বিতরণ করা হয় এবং আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, অত্যন্ত দুর্গম এই ওয়াংরাইপাড়ায় আগে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ৫টি পাড়ার ৪২টি পরিবারের শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। বিজিবির তত্ত্বাবধান ও আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় কারবারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মিত এই বিদ্যালয়টি গতকাল উদ্বোধন করা হলো। বিজিবির এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কারবারী ও সাধারণ জনগণ।

এ বিষয়ে আলীকদম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিজিবি কেবল সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বই পালন করছে না‌ বরং মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিজিবি সবসময়ই বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাহাড়ী ও বাঙালিদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ়করণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই ধারাবাহিকতায় দুর্গম এই সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলো বিজিবি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Indian media has increased fake information campaigns in Bangladesh Rumor Scanner

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে : রিউমার স্ক্যানার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে : রিউমার স্ক্যানার

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে রিউমার স্ক্যানার।

বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমার স্ক্যানার। এপ্রিল মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গত মাসে ফেসবুক পেইজে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।

সংখ্যার হিসেবে যা ২৭৬টি। এছাড়া ইউটিউবে ৫৪টি, ইনস্টাগ্রামে ৪৮টি, এক্সে ৪৪টি, টিকটকে ২৪টি, থ্রেডসে ১৩টি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে। ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও।

১৪টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১২টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুল তথ্যগুলোর ধরণ বুঝতে এগুলোকে রিউমার স্ক্যানার দু’টি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে।

সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমার স্ক্যানার দেখতে পেয়েছে যে, এসব অপতথ্যের প্রায় ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই সরকারকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, এপ্রিলে ২৯টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও, যা চলতি বছরের মাসগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এরমধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই তাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া সরকারের উপদেষ্টা, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জড়িয়ে ভুল তথ্য-অপতথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান টিম। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী

বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াত আমীর ডা.শফিকুর রহমান, এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ছাত্রনেতাদের নিয়ে ভুল তথ্য অপতথ্যের প্রচার শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।

ভুল তথ্যের রোষানল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। এপ্রিলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে ছয়টিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ১৬টি ভুল তথ্য প্রচার শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের বিষয়ে ছড়ানো ৯টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।

গত মাসে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৫৮টি ঘটনায় দেশি ও বিদেশি ২৫টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ৬২টি ভুল তথ্য প্রচার শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Write the UN assistance to write a report on 5 years journalism Press Secretary Shafiqul Alam

১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে প্রতিবেদন লিখতে জাতিসংঘের সহায়তা চাইব : প্রেস সচিব শফিকুল আলম

১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে প্রতিবেদন লিখতে জাতিসংঘের সহায়তা চাইব : প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে একটি স্বচ্ছ ও চমৎকার প্রতিবেদন দিয়েছে। গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন যেন করা হয়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই জাতিসংঘের সহায়তা চাইবে যাতে জুলাই-আগস্ট ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার উপর দেয়া প্রতিবেদনের মত গণমাধ্যমের সার্বিক ভূমিকার উপর প্রতিবেদন দেয়া হয়।

তিনি বলেন, “জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে- বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিনটি নির্বাচন, আইসিটির রায়ে ফাঁসি, মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর সারা দেশে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণহানি, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।”

শুক্রবার (০২ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘকে অনুরোধ করা হবে- বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল করে গত ১৫ বছরের তিন নির্বাচনসহ সব বড় বড় ঘটনাগুলোতে কেমন সাংবাদিকতা হয়েছে, সাংবাদিকদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা অনুসন্ধান করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।

জুলাই আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে সাংবাদিকরা আন্দোলনকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বারবার উঠে আসে আলোচনা সভায়। এবিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের উচিত একজন বিচারক, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খোলাসা করা। এটি বহু আগেই করা প্রয়োজন ছিল। যারা এগুলো করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আন্দোলন ব্যর্থ হলে এই সাংবাদিকরা ছাত্রদের কী করতো, আপনারা দেখতেন।
অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে দেশের মানুষ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন, গালিও দিচ্ছেন। কাউকে কিছু বলা হচ্ছে না। অনেকে আবার বলছেন, স্বৈরাচারের দোসরদের প্রতি সফ্ট হচ্ছি। কিন্তু আমরাতো আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছেন, ‘আপনারা লিখুন। মন খুলে লিখুন। আমরা কোনও কলম ভেঙ্গে দেইনি, কোনো প্রেসে তালা দেইনি। কোনো গণমাধ্যম যদি তার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে, আপনারা সেই গণমাধ্যম অফিসের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করুন’।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। আমাদের গণমাধ্যমকে এগুলোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এটি শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়। প্রত্যেকটি পত্রিকার ফ্যাক্ট চেকিং সেল থাকা দরকার। এটি পোস্ট রেভ্যুলেশনারী চ্যালেঞ্জ।

ভারতীয় গণমাধ্যম প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের লোকজন একত্রিত হয়ে এসব অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তারা মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার-টাকা নিয়ে বসে আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আরও মিথ্যা তথ্য ছড়াবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে আমাদের কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন করতো, প্রশ্নগুলো দেখলেই মনে হতো তারা দালালি আর চামচামি করছেন। আমরা তো এমন সাংবাদিকতা চাইনি। স্বৈরাচারের দোসররা যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ অত্যন্ত জরুরি। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সংবাদ মাধ্যমগুলোর নিরপেক্ষ মনোভাব খুব বেশি দরকার। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন এখনো কার্যকর হয়নি। দ্রুত যেন এ আইন কার্যকর হয়। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার এখন বড় যে সংকট সেটি হলো আস্থার সংকট। সাংবাদিকতায় যে আস্থা ছিল, গত সতের বছরে সেটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি সুন্দর সময় এসেছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এদেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা, আর কারো প্রতি সাংবাদিকরা দায়বদ্ধ নয়। যদি সাংবাদিকরা অন্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন তাহলে সেটি আর সাংবাদিকতা থাকে না। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আলোচনা সভার ধারণাপত্র উপস্থাপনকালে আগামী সপ্তাহেই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুমোদনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হওয়ার পর মৌলিক কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন করে আর কোনো মামলা করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুমোদিত হবে। প্রস্তাবিত আইনে আগের আইনের ৯টি নিবর্তনমূলক ধারা বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর আওতায় ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছিল। এসব ধারা বাতিল হলে ওই মামলাগুলোও স্বয়ংক্রিয়ভাবে খারিজ হয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত আইনে গুরুতর সাইবার হ্যাকিং ছাড়া অন্য অপরাধে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারের বিধান বাতিল করা হচ্ছে উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাস করে, এ আইন হলে সাংবাদিকদের হয়রানি অনেকটা কমে আসবে। দেশে মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টিতে এটি হবে একটি বড় অগ্রগতি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ নওয়াজ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নসরুল কাদির, চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ লিপন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এ্যাব চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ওসমান গণি মনসুর, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রিজাউর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য নীলা আফরোজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সিয়াম ইলাহী ও রিদুয়ান সিদ্দিকী প্রমুখ।

মন্তব্য

p
উপরে