× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
I saw Hanif Bhai bloody Sheikh Hasina
google_news print-icon

আল্লাহ হাতে তুলে বাঁচিয়েছে: শেখ হাসিনা

আল্লাহ-হাতে-তুলে-বাঁচিয়েছে-শেখ-হাসিনা
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় ১৭ বছর আগের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটার পর একটা গ্রেনেড। আমি দেখলাম রক্ত। তিনটা ফোটার পর কয়েক সেকেন্ড, তারপর আবার। মনে হচ্ছে শেষ নেই। এ যেন কেয়ামতের মতো। আল্লাহ কীভাবে যেন হাতে তুলে বাঁচাল...’

১৭ বছর আগে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দিবসে ওই ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানালেন, ওই দিন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তাকে নিজ হাতে বাঁচিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সকালে ২১ আগস্ট বোমা হামলার দিন স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগস্ট মাসটা শুধুই আসে আমাদের জন্য যেন শোক আর কষ্টের বার্তা নিয়ে। ১৫ আগস্ট হারিয়েছি বাবা, মা, ভাই, পরিবার পরিজনকে। আগস্ট মাসটা আসেই যেন একটা শোক, ব্যথা, বেদনা নিয়ে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা দখল করল। তাদের অত্যাচারটা যেন শুরু হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকেই। অথবা আমি বলব, জুলাই মাসে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করলাম তার সাথে সাথেই। তারা একটা অদৃষ্ট শক্তির বলয়ে তাদের মধ্যে দুর্বৃত্তায়ণ শুরু হলো। আমাদের সামরিক-অসামরিক অনেক অফিসার, তাদের ওএসডি করা, চাকরিচ্যুত করা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীর উপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন শুরু করল।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসল শুরু হলো সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকমীদের ওপর আক্রমণ। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা, গ্রেপ্তার করা, গুম করে ফেলা, নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছিল, ঠিক একই কায়দায় সে নির্যাতন শুরু করল।

‘এর এক পর্যায়ে হত্যা নির্যাতন জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শান্তির পক্ষে আমরা একটা র‍্যালি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা চেয়েছিলাম মুক্তাঙ্গনে করতে, কিন্তু বিএনপি সরকার অনুমতি দেয়নি। যখন অনেকবার চেষ্টা করেও হলো না তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আওয়ামী লীগ অফিসের সামনেই করব।’

সমাবেশের প্রস্তুতি তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘পোস্টার করা হলো, পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ আমরা দিলাম। পুরো ঢাকা ও বাংলাদেশে এটা প্রচার করা হলো। ঠিক রাত সাড়ে ১১টা-১২ টার দিকে একটা পারমিশন আসলো যে মুক্তাঙ্গনে করা যাবে। পরের দিনই র‍্যালি। আমরা বললাম, আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আমাদের মাইক টাইক লাগানো হয়ে গেছে সেখানেই করব।

‘কারণ হঠাৎ করে এই পরমিশন দিলো কেন? রহস্যটা কি? আমরা শুরু থেকেই সন্দিহান ছিলাম, কিন্তু এভাবে যে প্রকাশ্য দিবালোকে আর্জেস গ্রেনেড মেরে হত্যা প্রচেষ্টা চালাবে এটা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘তার আগে কিন্তু খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিয়েছে। আমার নাম ধরেই দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলের নেতাও কোনোদিন হতে পারব না। এর আগে কোটালি পাড়ায় বোমা যখন পোতে তার আগে বলেছিল একশ বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কাজেই আমরা তারপরেও সেখানে র‍্যালি করতে গেলাম।’

‘গায়ে শুধু রক্ত পড়ছে’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় আওয়ামী লীগের সমাবেশ। সেই হামলার মূল উদ্দেশ্যই ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আলোচনা সভায় শেখ হাসিনার বর্ণনায় ১৭ বছর পরও জীবন্ত হয়ে সেই মুহুর্ত।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্রাকেই মঞ্চ করা হয়েছে। আমি উঠে বক্তৃতা দিলাম। মাইকটা রাখতে যাব, এ সময় আমাদের ফটো সাংবাদিক গোর্কি সে এসে বলল, আমি তো ছবি নিতে পারিনি। সাংবাদিকরা সব ট্রাকেই চালকের উপরের ছাদে বসা। ওরাও চিৎকার শুরু করল, আপা ছবি নিতে পারিনি, একটা মাইকটা ধরেন। মাইকটা তখনও আমার হাতে।

‘আমি নিচে নামছিলাম, থমকে দাঁড়ালাম। এর মধ্যেই গ্রেনেডের আওয়াজ। সাথে সাথে আমাকে, হানিফ ভাই পাশেই দাঁড়ানো ছিল। হানিফ ভাই ওইদিন বারবার কেন যেন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। আমি বলছিলাম, আমি তো কাউকে দেখতে পারছি না, আপনি একটু সরেন। তো আমাকে বলছিল, না আমি এখানেই দাঁড়াব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (হানিফ) সাথে সাথে আমাকে ধরে ফেললেন। আমার সাথে মামুন ছিল, আশে পাশে যারা ছিল আমাকে পুরা ঘিরে ধরল। একটার পর একটা গ্রেনেডের আওয়াজ হচ্ছে। আমি তখন বসা, বারবার ওঠার চেষ্টা করছি কিন্তু আমাকে উঠতে দেয়নি। আমার চশমাটা কোথায় ছিটকে পড়ে গেল। আমি দেখলাম আমার গায়ে শুধু রক্ত পড়ছে।

‘অর্থাৎ ওই যে স্পিন্টারগুলি সব হানিফ ভাইয়ের মাথায়, তার গায়ে লাগছে। যেহেতু সে ধরে রেখেছে, আমার শরীরে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তিনটা ফোটার পর কয়েক সেকেন্ড, তারপর আবার। মনে হচ্ছে এর শেষ নেই। এ যেন কেয়ামতের মতো। চারিদিকে ধোঁয়া এবং সেই অবস্থা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক জানি না আল্লাহ কীভাবে যেন হাতে তুলে বাঁচাল। আমার গায়ে একটা স্প্রিন্টারও আর লাগেনি। কিন্তু আওয়াজে যে ক্ষতিটা হয়েছিল, ডান দিকের কানটা দিয়ে আমি শুনতে পাইনি। সেই ট্রাকে অনেকেই আহত হয়েছে। সিঁড়িতে যারা দাঁড়িয়েছিল তারা আহত।

‘একটা পর্যায়ে যখন থামল, আমি উঠে দাঁড়ালাম। ওরা ভেবেছে আমি মনে হয় আহত। কারণ, আমার সারা শরীর তো রক্তাক্ত। আমি বললাম না আমার তো কিছু হয়নি। দেখলাম হানিফ ভাই পুরো মাথা রক্তাক্ত। ওখানে যারা ছিল সবাই, ওনার ছেলে খোকনসহ আমাদের যারা ছিল প্রত্যেকেই আহত।’

‘গুলিতেই মারা গেল মাহবুব’

সেদিন শুধু গেনেড হামলা করেই আক্রমণকারীরা খান্ত হয়নি। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন তার দেহরক্ষী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি গাড়িতে উঠতে যাব, দরজা খুলে মাহবুব দাঁড়ানো। তখনই গুলি আসলো। সেই গুলিতেই কিন্তু মাহবুব মারা গেল। আর কয়েকটি গুলি আমার গাড়িতে লাগলো। যখন আমি গাড়িটা ঘুড়িয়ে জিরো পয়েন্টের কাছে তখন আমি শুনছি হৈ চৈ আওয়াজ। গাড়ি কিন্তু একটানে চালিয়ে নিয়ে আসলো।

‘পরে জানলাম ওখানে এই আহত অবস্থায় মানুষ যখন পড়ে ছটফট করছে তখন পুলিশ বা কেউ কিন্তু এগিয়ে আসেনি সাহায্যের জন্য। উল্টো পুলিশ এসে লাঠি চার্জ শুরু করল। আমাদের এক মহিলাকর্মী আহত অবস্থায়, তার স্বামী এসেছে তাকে লাথি মেরে পুলিশ বের করে দিচ্ছে। সেখানে লাঠিচার্জ আর টিয়ারগ্যাস মারতে শুরু করল। ওই গ্যাসেই তো আরও অনেকে অসুস্থ। তার মানেটা কি? যারা আক্রমণকারী, এদের রক্ষা করতেই এই টিয়ারগ্যাস মারা। সরকারের যদি সহযোগিতা না থাকে তাহলে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার গাড়িটা যখন ৫ নম্বরে সুধাসদনে ঢুকলো, সাথে সাথে পুরো গাড়িটা বসে গেল। আমি যখন নামছি রেহানা ছিল, ও তো চিৎকার। আমি বললাম, আমার কিছু হয়নি। হানিফ ভাই আমাকে ধরেছিল, তার মাথা-শরীরে সব স্প্রিন্টার তার রক্তই আমার গায়ে।

‘ওখানে দাঁড়িয়েই আমি খোঁজ নিতে চেষ্টা করলাম। সাথে সাথে আমাদের ড্রাইভার আলী হোসেন আর শাহজাহানকে পাঠালাম। যতদূর পারো হাসপাতালে নিয়ে যাও।’

‘বিএনপিমনা ডাক্তাররা কেউ ছিল না’

প্রধানমন্ত্রী জানান, সেদিন হামলার পর আহতদের যখন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় তখন বিএনপিমনা চিকিৎসকরা কেউই ছিলেন না।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়, যারা বিএনপিমনা ডাক্তার তারা কেউ ঢাকা মেডিক্যালে ছিল না। আর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আহতকে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। বলেছে, এখানে ইমারজেন্সিতে কেউ চিকিৎসা নিতে পারবে না।

‘আমাদের ডাক্তার রোকেয়া আইভি রহমানসহ প্রায় ৭০ জনকে সে একা এনাস্থেশিয়া দিয়েছে। এভাবেই আমাদের মাইন্ডের যারা তারা ছুটে এসেছে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেছে। লাইন ধরে রোগী। যেভাবে পেড়েছে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মী যারা ছিল সবাই সাহায্য করল, ছুটে গেল চিকিৎসা দিতে। যারা মৃত তাদের লাশগুলো মেডিক্যাল কলেজে, তাদের লাশগুলোও আত্মীয়দের দেবে না। কিছুতেই দেবে না। পরে বাধ্য হয়ে ভোর রাতে এক এক করে দিতে শুরু করল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুনেছি, সে সময় এক ডিজিএফআই অফিসার সেখানে ডিউটিরত ছিল। হামলার পর সে হেডকোয়ার্টারে ফোন করে। তখন তাকে ধমক দেয়া হয়। দু একজন পুলিশ অফিসার যারা জানতো না, তারা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ফোন করে তাদেরকেও ধমক দেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা করতে দেয়া হয়নি বলে জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন পার্লামেন্টে গেলাম। এ বিষয়টি তোলার চেষ্টা করলাম। কিছুতেই এ ব্যাপারে কথা বলতে দেবে না। একটা শোক প্রস্তাব আমরা দিলাম সেটা প্রত্যাখ্যান করা হলো। আমরা যারা কথা বলতে চেয়েছি আমাদের মাইক দেয়া হলো না। খালেদা জিয়া নিজেই দাঁড়িয়ে বললো, ওনাকে আবার কে মারবে? উনি তো নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন।

‘তা আমি বললাম, আমার হাতে তো ভ্যানিটি ব্যাগও ছিল না, কিছুই ছিল না। আর আমি কবে এই আর্জেস গ্রেনেড মারায় এক্সপার্ট হয়ে গেলাম তা তো জানি না। আমরা কী সুইসাইড করতে গিয়েছিলাম ওখানে। আইভি রহমানকে সবাইকে নাকি আমিই গ্রেনেড মেরেছি, এধরনের কথা।’

আহতদের চিকিৎসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাহারা আপাকে পেলাম, শান্তিনগরের ওদিকে একটা হাসপাতালে মৃতপ্রায়। তাকে তাড়াতাড়ি তুলে নিয়ে এসে বাংলাদেশ মেডিক্যালে আমরা ভর্তি করলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে আহতদের নিয়ে আসা, তাদের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

‘আমি সত্যিই ধন্যবাদ জানাই, আমাদের যে ডাক্তার, তারা দিনরাত জান দিয়ে খেটেছে এবং আমাদের আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সবাই ছুটে এসেছে, রক্ত দিয়েছে, আর্থিক সহায়তা করেছে। পরে দেশে বিদেশে পাঠিয়েও রোগীদের চিকিৎসা আমরা করিয়েছি। এখনো অনেকের চিকিৎসা করতে হচ্ছে।’

‘আলমত নষ্টের চেষ্টা’

হামলার ঘটনা থেকে নজর সরাতে আলামত নষ্টের চেষ্টাও করা হয় বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র। প্রকাশ্য দিবালোকে একটা জনসভায় আর্জেস গ্রেনেড যারা মারতে পারে, শুধু তাই না, সাথে সাথে সেখানে রক্ত, জুতা সব পড়ে আছে। তখনও একটা গ্রেনেড সেখানে ফাটেনি। সেটাও পড়ে আছে। সেটা যখন উদ্ধার হলো, একজন আর্মি অফিসার বলল যে এটাকে আলামত হিসেবে রাখতে হবে।

‘তাকে ধমক দেয়া হলো পরে তার ওপর অনেক নির্যাতনও করেছে। সেটাও ধ্বংস করে দেয়া হলো। পানি দিয়ে সব ধোয়া শুরু করল, তখন আমি নানক-আজমকে বললাম, ওখানে আলামত নষ্ট করে দিচ্ছে যতদূর পারো রক্ষা করো। যেসব জায়গায় গ্রেনেডগুলো ছিল, ওরা লাল পতাকা দিয়ে জায়গাগুলো চিহ্নিত করল। এই কাজগুলো কাদের? এগুলোতো সরকারের। পুলিশ কিন্তু তা করেনি। আলামতও তারা রাখতে পারেনি। এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘পরে যখন চারদিকে সমালোচনা, তখন সাবেক একজন জজসাহেবকে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হলো। সেখানে তারা আবিস্কার করল, পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে দিনে দুপুরে যদি এটা করতে পারে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করছিল? তাহলে তারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে কীভাবে? এভাবে তারা সমস্ত দৃষ্টিটা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করল।

‘তারপরেও সমালোচনা ও দাবির মুখে প্রথমে একটি ছেলেকে পড়ে আওয়ামী লীগের একটি ছেলেকে গ্রেপ্তার করল। বলা হলো এই হামলায় তারা জড়িত। আমি বললাম কখনই এটা হতে পারে না। দিনের পর দিন তাদের অত্যাচার করে নাম নেয়ার চেষ্টা করা হলো। উদ্দেশ্য ছিলো তাদের দিয়ে স্বীকার করাবে, এটা দলীয় কোন্দল। এরপর নোয়াখালীর জজ মিয়াকে টাকা পয়সা দিয়ে এক কাহিনী রচনা করল।’

আরও পড়ুন:
তারেকসহ ৩ জনের অবস্থান জানা, ১২ জন কোথায়
২১ আগস্টের শহীদ স্মরণে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
২১ আগস্টের আগে নেত্রীকে সাবধান করেছিলাম: খোকন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
What to do to avoid fire in Dabdaha

দাবদাহে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয়

দাবদাহে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয় দাবদাহের মধ্যে আগুন থেকে বাঁচতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফাইল ছবি
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘আপনার সতর্কতা এবং আপনার প্রতিবেশীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে কিন্তু নিরাপদ থাকা সম্ভব। এ ছাড়া আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের মোবাইলে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত রেসপন্স করার জন্য ১৬১৬৩ হটলাইন অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কিংবা নিকটতম ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বরে দ্রুত কল করুন এবং ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করুন।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। এ সময়ে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয় কী কী, তা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার।

এক ভিডিওবার্তায় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন, যা তার ভাষায় তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকের জন্য।

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সতর্কতা

সম্মানিত দর্শকমণ্ডলী, প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে কন্টিনিউ করতে পারে। এ সময় কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে জন্য এই তাপদাহের সময় অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া লাগবে।

বিশেষ করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক সতর্ক হওয়া লাগবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহারের সময় এটি একটানা দীর্ঘসময় ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া লাগবে এবং এগুলো যারা পরিচালনা করেন, শ্রমিক যারা তাদেরও কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে একটানা কাজ না করিয়ে মাঝে মাঝে তাদেরকেও বিরতি দিতে হবে। তাহলে কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা হ্রাস পাবে এবং সীমিত থাকবে।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত রাখা

সকল ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত আছে কি না, এখনই চেক করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ থাকলে তা বদলে ফেলতে হবে। একটি বৈদ্যুতিক লাইন থেকে অথবা একটি মাল্টিপ্লাগ থেকে অতিরিক্ত সংযোগ নেয়া যাবে না। এই জাতীয় সংযোগ থেকে কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারে সতর্কতা

বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যখন ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে, সব ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। অফ করে রাখতে হবে।

রান্নার ক্ষেত্রে সতর্কতা

এ ছাড়া আমরা আবাসিক ভবনে যারা রান্নার কাজ করি, রান্না রেখে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। রান্না শেষে অবশ্যই চুলা পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে হবে এবং গ্রামেগঞ্জে রান্না করছি যেখানে ছাই যেন উত্তপ্ত না থাকে, ছাইও নিশ্চিন্তভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে।

ধূমপান পরিহার

আবাসিক ভবন ও কারখানায় কোনোভাবেই কিন্তু ধূমপান করা যাবে না। অপরিহার্য ক্ষেত্রে বাইরে যারা ধূমপান করবেন, বিড়ি-সিগারেটের শেষ অংশ সতর্কভাবে, সচেতনভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে এবং গাড়িতে চলাচলের সময় ধূমপান করে যেখানে সেখানে কিন্তু সিগারেটের অংশ ফেলা যাবে না।

বারবিকিউ পার্টি না করা

বাড়ির ছাদে, বারান্দায় অথবা আশপাশে দাহ্য বস্তু আছে, এমন খোলা জায়গায় এ সময় বারবিকিউ পার্টি করবেন না। কারণ একটি স্ফূলিঙ্গ উড়ে গিয়ে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে। এই সময় ক্যাম্প ফায়ার, ফানুস ওড়ানো অথবা আতশবাজিকে পুরোপুরি না বলুন।

গাড়িতে অবস্থান ও পার্কিংয়ে সতর্কতা

ফিলিং স্টেশন থেকে তেল ও গ্যাস সংগ্রহের সময় অনুগ্রহপূর্বক কেউ গাড়িতে অবস্থান করবেন না। সবাই সচেতন থাকবেন। বিশেষ করে ফিলিং স্টেশনের মালিক এবং যারা কর্মরত আছেন, তাদের এ ব্যাপারে অধিক মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

এ সময় সরাসরি রোদ পড়ে এমন জায়গায় গাড়ি পার্কিং করবেন না। গাড়ি ছায়ার মধ্যে পার্কিং করবেন বা যেখানে ছায়া আছে, এমন জায়গায় গাড়ি পার্ক করবেন।

আগুন নিয়ে খেলা পরিহার

এ সময় বাচ্চাদের আগুন নিয়ে খেলতে দেবেন না এবং আপনার হাতের কাছে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সংরক্ষণ করুন। সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত আছে কি না, তা পরীক্ষা করুন এবং এগুলোর সামনে কোনো ব্যারিয়ার তৈরি করবেন না।

ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা পেতে

আপনার সতর্কতা এবং আপনার প্রতিবেশীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে কিন্তু নিরাপদ থাকা সম্ভব। এ ছাড়া আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের মোবাইলে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত রেসপন্স করার জন্য ১৬১৬৩ হটলাইন অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কিংবা নিকটতম ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বরে দ্রুত কল করুন এবং ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন:
কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কারণে বার বার অগ্নিকাণ্ড
আগুনে পুড়ল ফিরিঙ্গি বাজারের বস্তির ২ শতাধিক ঘর
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত
হাজারীবাগে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

মন্তব্য

জাতীয়
407 killed on the road during Eid ul Fitr journey is more than last time
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য

ঈদুল ফিতরের যাত্রায় সড়কে নিহত ৪০৭, গতবারের চেয়ে বেশি

ঈদুল ফিতরের যাত্রায় সড়কে নিহত ৪০৭, গতবারের চেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার বাস ও পিকআপ ভ্যান। ফাইল ছবি
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।’

ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক যাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

যাত্রীদের স্বার্থ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।

ঈদযাত্রায় অন্যান্য পথে দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছে।

‘সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে।

‘দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল।

‘বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনা: স্বামী হারিয়ে দিশাহারা হেনারা
মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের 
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা
সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের
মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত

মন্তব্য

জাতীয়
Temperature and discomfort may increase during the day

তাপমাত্রা ও অস্বস্তি বাড়তে পারে

তাপমাত্রা ও অস্বস্তি বাড়তে পারে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। ফাইল ছবি
তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ও সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অস্থান নিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

শনিবারের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।

বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায়
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে

মন্তব্য

জাতীয়
It may rain but the heat will not decrease

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না তীব্র গরমে একটু স্বস্তির জন্য নগরীতে গাছের নিচে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।

মন্তব্য

জাতীয়
An ongoing burn may continue for 72 hours

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে গরমে পানিতে নামা শিশুর উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

জাতীয়
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

জাতীয়
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

p
উপরে