× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
The attacker of Sheikh Hasinas fleet was arrested
google_news print-icon

শেখ হাসিনার বহরে হামলাকারী গ্রেপ্তার

শেখ-হাসিনার-বহরে-হামলাকারী-গ্রেপ্তার
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান। সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয়। এদের মধ্যে ১৬ জন পলাতক।

দুই দশক আগে সাতক্ষীরায় সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার বহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ। তবে তার নাম পরিচয় জানানো হয়নি।

শুক্রবার রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম ও গণসংযোগ শাখা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানানো হয়।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান।

সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়।

ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয়।

সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে দেয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড।

শেখ হাসিনার বহরে হামলাকারী গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব

১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বাকি দুজন হলেন মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। এরা দুই জনই পলাতক।

পলাতক আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে দেয়া হয়েছে নয় বছরের কারাদণ্ড। বাকি ৪৬ জন আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

সেদিন ৩৪ আসামির উপস্থিতিতে রায় দেয়া হয়। তাদেরকে সেদিনই কারাগারে পাঠানো হয়।

বাকি ১৬ জনের মধ্যে আছেন আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু মিয়া, নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী, কনক, মাহাফুজুর রহমান।

মামলার বিচারে চক্কর

হামলার পর এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৭৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করতে যান। তবে তাতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতে মামলা করেন তিনি।

হাসিনার বহরে হামলা: সাবেক এমপির ১০ বছরের দণ্ড

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মামলাটি আটকে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৫ সালে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়। ওই মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন হয়।

২০১৫ সালের ১৭ মে হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।

এই মামলাটির শুনানি থামাতে হাইকোর্টে একের পর এক আবেদন করেছেন আসামিরা।

একটি আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ৬ অক্টোবর সে রুলের শুনানি শেষে রুলটি খারিজ করে হাইকোর্ট।

গত ৮ অক্টোবর মামলাটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

সবশেষ আবেদন হয় আসামি রাকিবুর রহমানের পক্ষ থেকে। ঘটনার সময় তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন দাবি করে এই মামলায় বিচার ঠেকানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে গত ২৪ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ হলে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে আর কোনো আইনি বাধা থাকেনি।

আরও পড়ুন:
১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় এলো
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে যাবেন শেখ হাসিনা
যেদিন বন্দি হয়েছিলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের চার দশক নিয়ে স্মারকগ্রন্থ  
শেখ হাসিনার বহরে হামলা: ৭ জনের জামিন স্থগিতই থাকছে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
The safety of one company is questionable after burning 13000 dollars worth of products
বিমানবন্দরে কার্গো ওয়ারহাউসে আগুন

এক প্রতিষ্ঠানেরই ১৩ হাজার ডলারের পণ্য পুড়ে ছাই, নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

এক প্রতিষ্ঠানেরই ১৩ হাজার ডলারের পণ্য পুড়ে ছাই, নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি কার্গো ওয়ারহাউসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ আমদানি পণ্য পুড়ে গেছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কয়েক ঘণ্টা পরও ধোঁয়ায় ঢেকে ছিল পুরো এলাকা। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে ততক্ষণে কোটি টাকার পণ্য ভস্মীভূত হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগুনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিভিন্ন সিএনএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্ট ও ক্ষুদ্র আমদানিকারকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পরপরই ওয়ারহাউসের ভেতরে প্রচণ্ড ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ প্রথমে বিষয়টিকে ছোটখাটো শর্ট সার্কিট ভেবে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কেমিক্যাল ও কাপড়ের অংশে পৌঁছালে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

ইমুট্রান্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার (আমদানি রপ্তানি শাখার ইনচার্জ) হাসান জানান, তাদের চারটি ডকুমেন্টসহ এই ১৩ হাজার ডলারের কনসাইনমেন্টটি পুড়ে গেছে।

তিনি জানান, বড় শিপমেন্ট হওয়ায় এটির ইনস্যুরেন্স করা ছিল।

তিনি বলেন, এতো বড় শিপমেন্ট সাধারণত ইনস্যুরেন্স করা থাকে। তবে ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, এয়ারবিলসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া এখন অনেক জটিল হয়ে গেছে।

হাসান বলেন, বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি ও ইকুইপমেন্ট সাধারণত ইনস্যুরেন্স করা হয় এবং এটি বায়ার বা আমদানিকারকের চাহিদামতোই করা হয়ে থাকে। ইনস্যুরেন্স থাকলে আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানির আইন অনুযায়ী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি তখন এই ক্ষতিপূরণ বহন করে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তাদের বায়ারদের এই ক্ষতির কথা জানানো হয়েছে, তবে এখনো ক্ষতিপূরণ বা ক্লেইম বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রশ্ন

রয়্যাল ক্লিয়ারিং হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের মালামালের অবস্থা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কারণ সংশ্লিষ্ট সব নথি ও তথ্যসংগ্রহ ব্যবস্থা পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এটি দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকা। এখান থেকে সরকারের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। অথচ এমন স্থানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় এতটা অবহেলা অগ্রহণযোগ্য।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো যেত।

তৌফিক আহমেদ নামে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্ট বলেন, আগুন প্রথমে ছোট ছিল, কিন্তু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কেমিক্যালের অংশে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মনে হচ্ছে ওয়ারহাউসে কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না।

ওয়ারহাউসটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে বহুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, বিপুল পরিমাণ দাহ্য পণ্য সংরক্ষণের পরও এখানে জরুরি ফায়ার এক্সটিংগুইশার, হাইড্রেন্ট বা প্রশিক্ষিত কর্মী ছিল না।

পুরোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি

২০১৩ সালেও একই স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল।

পুরোনো কর্মীরা বলছেন, আগের ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবে হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুরোনো কর্মচারী বলেন, তখনও ক্ষতি হয়েছিল, কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভয়াবহ। তখন সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মতো আগুন ছিল। সময় মত বুঝতে পারা এবং কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে তখন এতো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এবার দুদিন লেগে গেল।

দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব

অগ্নিকাণ্ডে শুধু পণ্য নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো সিএনএফ কর্মীর জীবিকা। এই খাতে প্রায় ৩০–৪০ হাজার মানুষ দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেন। কাজ বন্ধ থাকলে আয়ও বন্ধ। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, তদন্ত ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তবে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না, কতটুকু ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ২টা ২০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের সাত ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে শতাধিক আমদানি-রপ্তানি পণ্য, গার্মেন্টসের কাঁচামাল ও বিভিন্ন কনসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বিমানবন্দরের পণ্য পরিবহন কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

জাতীয়
Bangladeshi couple involved in pornography ring arrested

পর্নোগ্রাফি চক্রে জড়িত বাংলাদেশি দম্পতি গ্রেপ্তার

পর্নোগ্রাফি চক্রে জড়িত বাংলাদেশি দম্পতি গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে বান্দরবানে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) এবং এলআইসি শাখার যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ঢাকায় আনা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

গত ১৭ অক্টোবর 'দ্য ডিসেন্ট' নামের একটি নিউজ পোর্টাল “পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশি যুগল যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্ন তারকা” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ওই দম্পতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি ও বিক্রি করে আসছিলেন। তাদের কনটেন্ট অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ উপার্জনের তথ্যও সেখানে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দম্পতির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

জাতীয়
22 arrested in connection with Navin Varan clash at Comilla Victoria College

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে নবীন বরণে সংঘর্ষের ঘটনায়, গ্রেফতার ২২

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে নবীন বরণে সংঘর্ষের ঘটনায়, গ্রেফতার ২২

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মূলহোতা সিফাত ও আবরারসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও র‍্যাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

সোমবার বেলা ১২ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১ এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ ও কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে চারজন গুরুতর আহত হন মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সিফাত তার বাহিরের বন্ধুদের নিয়ে কলেজে আসে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে পিস্তল। তদন্তে জানা গেছে, ভিডিওতে অস্ত্রধারী ওই তরুণ সিফাত।

ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।”

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র‌্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
A CID member was stabbed and robbed of his mobile wallet in Jatrabari

যাত্রাবাড়ীতে সিআইডি সদস্যকে ছুরি মেরে মোবাইল-মানিব‍্যাগ ছিনতাই

যাত্রাবাড়ীতে সিআইডি সদস্যকে ছুরি মেরে মোবাইল-মানিব‍্যাগ ছিনতাই

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার রায়ের বাগ এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. রাসেল মিয়া (৩১) নামে সিআইডির একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আজ (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

আহত রাসেল মিয়া যাত্রাবাড়ীর রইস নগর এলাকায় ভাড়া থাকেন এবং বর্তমানে ঢাকা সিআইডি হেডকোয়ার্টারে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা নুরুল ইসলাম জানান, আমি ওই পুলিশ সদস্যের পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকি। আজ ভোরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে শনির আখড়া থেকে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ৩/৪ জন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে এবং ছুরি দিয়ে বাহুতে আঘাত করে মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আজ সকালের দিকে সিআইডির পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The tragic death of the mother in law at the hands of the daughter in law

পুত্রবধূর হাতে শাশুড়ির মর্মান্তিক মৃত্যু

পুত্রবধূর হাতে শাশুড়ির মর্মান্তিক মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে পারুল বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেছে তার পুত্রবধূ ৩ সন্তানের জননী মাকসুদা আক্তার লিলি (২৮)।

প্রথমে পুলিশ ও স্থানীয়দের মাঝে লিলি শাশুড়িকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ বাড়ির উঠানে ফেলে যায় বলে মিথ্যা নাটক সাজায়। কিন্তু পরবর্তীতে রাত ১১ টার দিকে পুলিশের ব্যাপক জেরারমুখে নিজেই হত্যার কথা স্বীকার করে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের আসাদনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল বেগম ওই এলাকার আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুত্রবধূ লিলি আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান জানান, পারুল আক্তার ও আব্দুল ওয়াহিদ মিয়া দম্পতির একমাত্র ছেলে বিল্লাল প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে তারা দুজন ছাড়াও পুত্রবধূ লিলি আক্তারও থাকেন। লিলির তিন সন্তান রয়েছে। শাশুড়ির সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা হতো।

প্রতিবেশীরা জানান, রোববার সকালে আব্দুল ওয়াহিদ মিয়া কুমিল্লায় চিকিৎসার জন্য যান। সন্ধ্যায় শাশুড়ির সঙ্গে লিলির ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করে এবং মাথা ও মুখে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এতে ঘটনাস্থলেই পারুল বেগম মারা যান।

এর আগেও পুত্রবধূ লিলি নিহত শাশুড়ি পারুল বেগমকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওসি হাসান জামিল খান জানান, হত্যার পর বাড়ির উঠানে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভেবে পাচ্ছিলেন না কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে। ঘরের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে লিলিকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পুত্রবধূ কর্তৃক বৃদ্ধা শাশুড়িকে হত্যার ঘটনাটি পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Shimul tree is a tradition of five hundred years surrounded by legends

কল্পকাহিনীতে ঘেরা পাঁচশ বছরের ঐতিহ্য শিমুল গাছ

কল্পকাহিনীতে ঘেরা পাঁচশ বছরের ঐতিহ্য শিমুল গাছ

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নে সবচেয়ে বৃহত্তম শিমুল গাছটি ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী। বহন করছে নানা ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার স্বাক্ষী এই শিমুল গাছটি।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গাছটির বয়স পাঁচ থেকে ছয়শ বছর। এর ছায়ায় প্রশান্তি পান ক্লান্ত পথিক। তবে বৃহদাকৃতির এ গাছটি ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। তাই এটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি স্থানীয়দের। গাছটি ঘিরে পর্যটনেরও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত এলাকাবাসীর।

বানারীপাড়া উপজেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামক স্থানে গাছটির অবস্থান। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি, মোরগ, জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই যেন তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। অনেকে মনের বাসনা পূরণের জন্য মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালিয়ে পূজা-অর্চনা করেন। আবার অনেকে দেখার জন্য এসে গাছটিতে প্রিয়জনের নামও লিখে যায়। আগত ভক্তদের একটাই উদ্দেশ্য যেনো সৃষ্টিকর্তা তাদের মনের বাসনা পূর্ণ করে।

প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা শিমুল গাছটির গোড়ার পরিধি প্রায় ৫৫ গজ। গাছটির গোড়ায় দাঁড়িয়ে কখনো মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতি। এর বিশালতায় ভরে যায় মন। এখানে এলে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে যায় দর্শনার্থীর হৃদয়। আলোচিত এই গাছটি দেখতে তাই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক দর্শনার্থী।

স্থানীয় বাড়ির বাসিন্দা ও গাছের মালিক উত্তম সরকার বলেন, আমি বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনে আসছি এই শিমুল গাছটির বয়স কমপক্ষে পাঁচশ বছর হবে। আবার গ্রামের অনেকেই বলেছে, গাছটির বয়স ছয়শ বছর বা তারও বেশি হবে।

প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছটি বেড়ে উঠেছেও প্রাকৃতিকভাবেই। একসময় বৃহৎ আকৃতির এই শিমুল গাছটি পত্র-পল্লবে এতটাই ঘন ছিল যে এর নীচে রোদ, বৃষ্টি, কুয়াশাও পড়ত না। প্রচন্ড গরমের সময়ও গাছের নীচে পাওয়া যেত হিমেল শান্তির পরশ। পথিক, কৃষক থেকে শুরু করে নানা পেশা ও শ্রেণির লোকজন গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিত। দুপুর ও বিকালে দেখা যেত ডালে ডালে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেকে।

গাছটি যার জমিতে আছে তিনি (উত্তম সরকার) তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে পেয়েছেন, তিনি আবার তার বাবার কাছ থেকে এভাবেই চলে আসছে শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে। কিন্তু কেউ বলতে পারে না এর জন্মলগ্নের সঠিক ইতিহাস।

গাছটিকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানান কল্পকাহিনী। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায় সময় এখানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন গাছটি একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকে। তারা মানত করে স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে অলৌকিক কোন কিছু আছে। তাই মনের বাসনা পুরন করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে।

স্থানীয় বাসিন্দা অসীম সরকার জানান, এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যে গাছটি কাটতে যায় সে অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছে। এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।

এলাকাবাসী মহানন্দ মন্ডল দোকানদার বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও নানামুখী অত্যাচারের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিমুল গাছটি অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে। ভেঙে পড়ছে বড় বড় ডালগুলো। সকলের সহযোগিতায় আমরা এই গাছটিকে সংরক্ষণের চেষ্টা করছি। দর্শনার্থী টানতে এলাকাবাসী বিশালাকৃতির দৃষ্টিনন্দন এ গাছটি সম্পর্কে প্রচারণা ও মূল রাস্তা থেকে গাছের গোড়া পর্যন্ত পাকা সংযোগ সড়ক তৈরিসহ বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Students love sacrifice Jobi Chhatra Dal leader Jobaid

ছাত্রীর প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

ছাত্রীর প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

টিউশন ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার প্রেমের বলি হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার সঙ্গে তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবে বর্ষার মুখে জোবায়েদকে পছন্দ করার কথা শুনে সাবেক প্রেমিক মাহির ক্ষুব্ধ হয়ে বন্ধুকে নিয়ে জোবায়েদকে খুন করে।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষার মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা ভয় পাওয়া যায়নি; বরং পুরো সময় শান্ত ছিলেন তিনি।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় এক ছাত্রীকে টিউশন পড়াতে গিয়ে খুন হন জোবায়েদ। নিহত জোবায়েদ জবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।

ঘটনার পর জবির শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে দ্রুত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তবে ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাহির রহমান ও তার বন্ধুকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে