× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
The ACC did not find any irregularities in Chairman Iqbal Mahmud
google_news print-icon

‘চেয়ারম্যান’ ইকবাল মাহমুদের অনিয়ম খুঁজে পায়নি দুদক

চেয়ারম্যান-ইকবাল-মাহমুদের-অনিয়ম-খুঁজে-পায়নি-দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
গত ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এরপর উচ্চ আদালত এই ঘটনায় ব্যাখ্যা চায় দুদকের কাছে। দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশনে কারও একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। যাদের বিষয়ে অভিযোগের তথ্য প্রমাণ অনুসন্ধানে পাওয়া যায় না, সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ তার মেয়াদের শেষ পাঁচ মাসে দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্তি দেয়ার বিষয়কে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ বলে একটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে দুদক।

তবে এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব ছিল না বলে প্রতিবেদনে মত দেয়া হয়েছে।

এই প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে দাখিল করা হবে। তবে এর একটি কপি আগেই পেয়েছে নিউজবাংলা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এর মধ্যে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত তথ্যটি বিভ্রান্তিমূলক, যা বস্তুনিষ্ঠ নয়।’

তবে যে প্রতিবেদক সংবাদটি করেছেন, তিনি নিউজবাংলাকে বলেছেন, যথেষ্ঠ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই তিনি সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। আদালত চাইলে তিনি সে নথিপত্র দাখিল করবেন।

কী ছিল সেই প্রতিবেদনে

গত ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ ৫ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন।’

এই তথ্য ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।

দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে সেই প্রতিবেদনে এও বলা হয়, ইকবাল মাহমুদ বিদায় নেয়ার আগে স্বীয় কৃতকর্মের অনেক দালিলিক প্রমাণই যথাসম্ভব ‘নিশ্চিহ্ন’ করে যান।

বলা হয়, এরপরও ওই প্রতিবেদকের হস্তগত হয় বেশকিছু নথি। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই শতাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

ইকবাল মাহমুদ চলতি বছরের ১০ মার্চ বিদায় নেন। তিনি ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

উচ্চ আদালতের আদেশ

এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়। পাশাপাশি ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ঘটনাগুলোর বিষয়ে রুল জারি করে দুদকের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়।

এতে কত জনকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে, সে সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককেও সেই তথ্য জানাতে বলা হয়।

দুদকের প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে

আদালতের আদেশের পর দুদক এই বিষয়ে একটি প্রতিবদন তৈরি করেছে। এটি শিগগির আদালতে জমা দেয়া হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তা সঠিক নয়। সংবাদটি বাস্তবতাবিবর্জিত। সংবাদে উপস্থিত তথ্যসমূহ বস্তুনিষ্ঠ হয়।’

এতে বলা হয়, ‘সংবাদে যে ৫ মাস সময়কালের উল্লেখ করা হয়েছে, সে সময়ে কমিশনের কার্যক্রম অন্যান্য সকল সময়ের মতোই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক যথাযথ নিয়ম, আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে আইন ও বিধির কোনো ব্যত্যয় করা হয়নি। উল্লেখ্য সিদ্ধান্তসমূহ আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনের সিদ্ধান্ত হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে এবং সকল সিদ্ধান্ত আইনগতভাবেই গ্রহণ করা হয়েছে।’

দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাত মো. আবদুল ওয়াদুদ সাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “‘সংবাদের প্রথম বাক্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান…’ এ কথাটি সত্য নয়। কারণ, কমিশনের চেয়ারম্যান বা কোনো কমিশনার এককভাবে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি বা ছেড়ে দিতে পারেন না। দুদক আইন ও বিধি মোতাবেক যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ কমিশনের পক্ষে একজন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক অনুসন্ধান পরিচালনা করেন। অনুসন্ধান শেষে তিনি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দাখিল করেন।

“প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যায়ক্রমে একজন অনুসন্ধান কার্যের তদারককারী (ঊর্ধ্বতন) কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ও মহাপরিচালকগণ পর্যালোচনা করেন। প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে তাদের মতামতসহ কমিশনের নিকট উপস্থাপিত হয়। কমিশন মেরিট অনুযায়ী কেস টু কেস পর্যালোচনা শেষেই কেবল একটি অভিযোগ পরিসমাপ্তি অথবা মামলা দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের ন্যায়ে সংবাদে উল্লেখিত সময়কালে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে সকল অনুসন্ধান/তদন্ত যথাযথভাবে নিষ্পত্তি শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এককভাবে চেয়ারম্যানের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ ছিল না।”

দুদকের আইনজীবী যা বলছেন

সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইকবাল মাহমুদের মত একজন দক্ষ চেয়ার‌ম্যানকে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এ ধরনের নিউজ ছাপা হয়েছে। যেটাকে আমরা মনে করি হলুদ সাংবাদিকতা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো- ইনকিলাবে যে রিপোর্ট হয়েছে সেটি বিভ্রান্তিমূলক। এক ধরনের হলুদ সাংবাদিকতা। তার কারণ হলো দুদকের কোনো চেয়ারম্যান বা কমিশনার একা কোন কাজ করতে পারেন না।

‘দুদকের বিধি ১২ ধারা অনুযায়ী সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যদি সর্বসম্মত না হয়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। এককভাবে কোনো ব্যক্তির পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব নয়। এককভাবে কোনো ব্যক্তির কোনো কাজ দুদক আইনে অনুমোদন করে না। যা করে কমিশন আইন অনুযায়ী সর্ব সম্মতভাবে হয়ে থাকে। কাজেই প্রত্যেকটি কাজের ব্যাখ্যা দুদক থেকে দিয়েছেন। সেটি আমরা আদালতে দাখিল করব।’

কী বলছেন সেই প্রতিবেদক

দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনটি লিখেছেন সাঈদ আহমেদ খান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দায়মুক্তির ক্ষেত্রে তাদের (দুদক) যে সমস্ত ডকুমেন্ট রয়েছে, সেই ডকুমেন্টের ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। আদালত চাইলে আমরাও আমাদের জবাব দেব। ডকুমেন্টগুলো সরবরাহও করব। আমরাও সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘দুদকের আইনজীবী হিসেবে খুরশীদ আলম খান সঠিক বলেননি। তিনি শুধু দুদকের পক্ষে উকালতি করেছেন। আর আমরা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছি তথ্য প্রমাণের বিভিত্তিতে। আমরা রিপোর্টে বলেছি তারা (দুদক) ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। অনেক প্রভাবশালী পয়সাওয়ালা ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময় তাদের এখতিয়ারকে পুঁজি করে দায়মুক্তি দিয়েছে। তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’

আরও পড়ুন:
সাধারণ বীমার সাবেক ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার
পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও স্ত্রী কারাগারে
সেই মীনা কামালের সম্পদের খোঁজে দুদক
এবার ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
দুদকের সুপারিশ ফাইলবন্দি মন্ত্রণালয়ে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Practitioning in the video made with AI is being propagated Factwatch

এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : ফ্যাক্টওয়াচ

এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : ফ্যাক্টওয়াচ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।

বাংলাদেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে সঠিক তথ্য জানাতে কাজ করা স্বাধীন অনুসন্ধানী সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং পরিচালিত হয় সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস)’র মাধ্যমে।

ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সম্প্রতি ফেসবুক ও টিকটকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি অনেক ভিডিও ছড়ানো হয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে পক্ষে-বিপক্ষে উপস্থাপন করা। এসব ভিডিওর মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান দলের বরাতে বলা হয়, গত ২১ জুন ‘পলিটিক্যাল মিম’ নামের একটি ফেসবুক পেইজে ‘কেন টেম্পোস্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজদের ভোট দেব না’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে হিজাব পরা এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘টেম্পোস্ট্যান্ড বা কোনো চাঁদাবাজকে ভোট দিলে তাদের অপকর্মের দায় আপনাকেও নিতে হবে।’

ফ্যাক্টওয়াচ নিশ্চিত করেছে, ভিডিওটি আসল নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Mossad related suspects are widespread arrests are being executed in Iran

মোসাদ-সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে ইরানে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

মোসাদ-সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে ইরানে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে তেহরান। এর পাশাপাশি একাধিক অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করেছে ইরান সরকার।

ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইসরায়েলি এজেন্টদের অনুপ্রবেশের পর এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।

ইরান সরকারের অভিযোগ, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) শীর্ষ কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের টার্গেট করে হত্যাসহ যুদ্ধ চলাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের কাছে সরবরাহ করা তথ্যই ভূমিকা রেখেছে।

এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করেছে তেহরান। তারা ইরানের ভেতর থেকেই এসব পরিচালনা করেছে বলে দাবি দেশটির।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডগুলোর ব্যাপকতা ও নিখুঁত বাস্তবায়নে হতবাক ইরানি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এখন যেকোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে ইরান।

তবে এসব পদক্ষেপ প্রকৃতপক্ষে ভিন্নমত দমন ও জনগণের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনব্যাপী সংঘাতের সময় তাদের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান সরকার। যুদ্ধবিরতির পরদিন ২৫ জুন এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এরপর থেকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে—এমন শত শত সন্দেহভাজনের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি আটক কয়েকজনের বক্তব্যও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। সেখানে তাদের ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করার কথা স্বীকার করতে দেখা যায়।

এদিকে, চলমান এই অভিযানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনগুলো।

তারা বলেন, ইরানের বিচারব্যবস্থায় জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি গ্রহণ ও অন্যায্য বিচারের ইতিহাস রয়েছে। তাছাড়া, আরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

অন্যদিকে, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিআইএ, মোসাদ ও এমআই৬-এর মতো পশ্চিমা ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ‘নিরলস লড়াই’ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

আইআরজিসি সঙ্গে সম্পৃক্ত ফার্স নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ইরানেরর ভেতরে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংঘাতের ১২ দিনে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত সাত শতাধিক ব্যক্তিকে ইরানি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলেও দাবি করেছে তারা।

বিবিসি ফারসিকে ইরানের কয়েকজন নাগরিক জানিয়েছেন, তারা ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় থেকে হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা পেয়েছেন। সেখানে তাদের ফোন নম্বর ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের এসব পেজ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

বিবিসি ফারসি, লন্ডনভিত্তিক ইরান ইন্টারন্যাশনাল ও মানোতো টিভিসহ দেশের বাইরের ফারসি ভাষার গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ওপরও ইরান সরকার চাপ বাড়িয়েছে বলে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগ, সম্প্রতি তাদের একজন নারী উপস্থাপিকার মা, বাবা ও ভাইকে তেহরানে আটক করেছে আইআরজিসি। চ্যানেল থেকে ওই উপস্থাপিকাকে পদত্যাগ করার জন্য তার বাবাকে দিয়ে ফোন করিয়ে আহ্বান জানানো হয়। এমনকি পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়।

যুদ্ধ শুরুর পর বিবিসি ফারসির সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের প্রতি হুমকি আরও বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধাবস্থায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করাও ন্যায্য—এমন হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন সাংবাদিক।

এসব সাংবাদিককে ‘মোহারেব’ বা ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে’ এমন ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে যা ইরানি আইনে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।

সাংবাদিকদের পরিবারের প্রতি হুমকি এবং চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করার প্রচেষ্টার মতো ঘটনার কথা জানিয়েছে মানোতো টিভিও।

এসব পদক্ষেপ মূলত ভিন্নমত দমন ও নির্বাসিত সংবাদকর্মীদের ভয় দেখানোর একটি বৃহৎ কৌশলের অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বহু অধিকারকর্মী, লেখক ও শিল্পীকেও আটক করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। অনেক ক্ষেত্রে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই তাদের করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি ২০২২ সালের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনের সময় নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল বর্তমান আন্দোলন নয়, আগের আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেয় এসব পদক্ষেপ।

যুদ্ধ চলাকালে সরকার ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। যুদ্ধবিরতির পরও পূর্ণ প্রবেশাধিকার এখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।

দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ এখন ইরানের একটি সাধারণ কৌশলে পরিণত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইরানে ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম, এক্স ও ইউটিউবসহ অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এবং বিবিসি ফারসিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। সেগুলো কেবল ভিপিএন বা প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করেই দেখা যায়।

এসব ঘটনায় আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমানের এসব পদক্ষেপের মিল খুঁজে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার-কর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সে সময় রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্মমভাবে দমন করেছিল ইরান সরকার।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক পরিসরে দুর্বল হয়ে পড়া ইরান হয়তো আবার দেশের অভ্যন্তরেই ব্যাপক গ্রেপ্তার, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে কঠোর দমন-পীড়নের পথে হাঁটছে—এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।

ইরানের এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচকরা ১৯৮৮ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সে সময় সংক্ষিপ্ত ও গোপন বিচার শেষে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল আগেই সাজাপ্রাপ্ত। ওই সময়ে অধিকাংশকে পরিচয়হীন গণকবরে দাফন করা হয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছিল।

মন্তব্য

জাতীয়
Bangladesh is ashamed of the innings in the second Test

দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ

দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ

গলে প্রথম টেস্ট অবিশ্বাস্যভাবে ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য কিছু না হলে যে হারতে চলেছে বাংলাদেশ, তা একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল গতকালই। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারে কি না—শুধু তা-ই দেখার অপেক্ষা ছিল। তবে সেই আশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।

কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন ১১৫ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ দিন শুরুর পর মাত্র ৩৪ বলেই গুটিয়ে গিয়েছে টাইগারদের ইনিংস।

দ্বিতীয় ইনিংসে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে কেবল লিটন দাসই আউট হতে বাকি ছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

লিটনের আউটে বাংলাদেশ ১১৭ রানে সাত উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতে পারেন লেজের দিকের ব্যাটাররা। ফলে ৭৮ রান ও এক ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতে হয় নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোং-কে।

প্রথম ইনিংসে কেউ অর্ধশত ছুঁতে না পারলেও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৩ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। এই ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন জয়সুরিয়া।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৮০ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ, যা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ৪৫৮ রান টপকে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, দীনেশ চান্দিমালের ৯৩ ও কুশল মেন্ডিসের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওই রান করে স্বাগতিকরা।

বল হাতে তাইজুল ইসলামও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যা ছিল বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ পাঁচবার পাঁচ উইকেট করে নেওয়ার রেকর্ড। তবে লজ্জাজনক হারে সেই রেকর্ড ম্লান হয়েছে।

টেস্ট ইতিসাসে এটি বাংলাদেশের ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। আর সর্বোচ্চ ৯ বার টাইগারদের এই তেতো অভিজ্ঞতা দিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একই সংখ্যক টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জেতার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। এই রেকর্ডে শ্রীলঙ্কা আজ প্রোটিয়াদের পাশে বসল।

মন্তব্য

জাতীয়
3 lives injured on the Dhaka Mawa Expressway

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ১৪

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ১৪

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের হাসাড়ায় ট্রাকের পেছ‌নে এক‌টি বা‌সের ধাক্কায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাসাড়া ব্রিজ-২-এর মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— যশোরের মধুগ্রাম থানার বজলুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৬৫), পাগলাদাহ থানার ইনসান আলির ছেলে ডা. জালাল (৬৫), ডা. আব্দুল হালিম (৫৫) এবং হেলপার পাগলাদাহ থানার মো. বাপ্পির ছেলে হাসিব (৩২)। তারা সবাই যশোরের বাসিন্দা।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী একটি নাইট কোচ হামদান এক্সপ্রেস চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপে রেলিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।

খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করে দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি সরিয়ে নেয়। সাময়িক বিঘ্নের পর এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

জাতীয়
Earthquake of magnitude 3 in the Philippines

ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প

ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প

শনিবার দক্ষিণ ফিলিপাইনের উপকূলে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।

ম্যানিলা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি দাভাও অক্সিডেন্টাল প্রদেশের নিকটতম এলাকা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ১০১ কিলোমিটার (৬৩ মাইল) গভীরে আঘাত হানে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

সারাঙ্গানির দ্বীপের একজন প্রাদেশিক উদ্ধারকারী মারলাউইন ফুয়েন্তেস এএফপিকে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পটি তেমন শক্তিশালী ছিল না, তবে কার্যালয়ের টেবিল এবং কম্পিউটারগুলো (প্রায় পাঁচ সেকেন্ড) কেঁপে উঠেছিল’।

কোনও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ফিলিপাইনে ভূমিকম্প একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় ’রিং অফ ফায়ার’ এর পাশে অবস্থিত। জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত তীব্র ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের একটি বৃত্ত।

বেশিরভাগ ভূমিকম্পই এতটাই দুর্বল যে মানুষ তা অনুভব করতে পারে না, কিন্তু শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পগুলো এলোমেলোভাবে আসে এবং কখন ও কোথায় ঘটবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য কোনও প্রযুক্তি নেই।

মন্তব্য

জাতীয়
Improves again in the air of Dhaka

ঢাকার বাতাসে আবারও উন্নতি

ঢাকার বাতাসে আবারও উন্নতি

কয়েকদিন টানা মাঝারি শ্রেণিতে এবং একটু একটু করে উন্নতি হওয়ার পর পর গতকাল (শুক্রবার) হঠাৎ করেই ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়। তবে একদিন পরই আবারও সেই উন্নতির ধারায় ফিরেছে রাজধানীর বাতাস।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৯। অথচ, গতকাল প্রায় একই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর নামে ১০২-এ।

কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ হলেও তা ‘ভালো’র কাছাকাছি রয়েছে।

গতকাল ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়লেও তার আগের পাঁচ দিন রাজধানীর বায়ুমানে ক্রমেই উন্নতি দেখা যাচ্ছিল। এর মধ্যে ২২ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৭তম, ২৩ জুন সকাল ৯টায় ২১তম, ২৪ জুন ২৯তম, ২৫ জুন ৩১তম এবং ২৬ জুন ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৮তম।

আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪১তম। একই একিউআই স্কোর নিয়ে তারপরই রয়েছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ।

এই সময়ে সূচক ১৬৭ নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। এ ছাড়া ১৫৬ স্কোর নিয়ে দুইয়ে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ১৫৫ নিয়ে তিনে পাকিস্তানের লাহোর এবং ১৫১ স্কোর নিয়ে চারে ছিল ইন্দোনেশিয়ার আরও এক শহর মেদান।

১৪২ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি এই সময়ে অবস্থান করছিল সপ্তম স্থানে। তবে ৭৯ স্কোর নিয়ে গতকাল সকালে শহরটি বেশ ভালো অবস্থানে ছিল।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

জাতীয়
Naogaon

নওগাঁয় ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান

নওগাঁয় ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান

ধান ও চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ মজুত বন্ধে নওগাঁয় যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে অনুমোদনহীনভাবে ধান ও চাল মজুত ও খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মের কারণে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন রাইস মিল ও গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, ‘বাজারে চালের দাম বাড়ার পেছনে মজুতদারির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। এজন্য আমরা সরেজমিনে অভিযানে নেমেছি। যেসব রাইস মিলে অতিরিক্ত মজুত, নিয়ম না মেনে সংরক্ষণ কিংবা লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার আরো বলেন, সদর উপজেলার বরেন্দ্র রাইস মিল ও কে.এস অটোমেটিক রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, অনুমোদনহীনভাবে ধান ও চাল মজুত রয়েছে। সেইসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মও ধরা পড়ে। এ কারণে প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে