সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরী প্রকল্পে ভুল কনসালটেন্সির কারণে দেশ সাংঘাতিক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের এমন বক্তব্যে মর্মাহত হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
প্রকল্পে কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন জানিয়েছেন, ‘সালমান এফ রহমান একজন সিনিয়র লোক। বুঝে-না বুঝে কথা বলেন। সঠিকভাবে শতভাগ দায়িত্ব পালনের পরও দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্যে আমি খুবই মর্মাহত।’
তিনি দাবি করেন, ‘সরকারি কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সম্পৃক্ত হলে দায়িত্বের ভার অনুযায়ী কাজ করে। চামড়া শিল্প নগরীতে বুয়েটের দায়িত্ব ছিল কারিগরি পরামর্শ ও কাজে মান বজায় রাখার বিষয়ে তদারকি সহায়তা দিয়ে যাওয়া। পরামর্শক হিসেবে বুয়েট সঠিক কাজটি করেছে বলেই শত বাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে দেশ আজ বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কমপ্লিট রূপ দেখতে পাচ্ছে।’
‘কিন্তু তিনি (সালমান এফ রহমান) শুধু আমাকেই খাটো করেননি, দেশের প্রকৌশল জগতে সবচেয়ে মর্যাদার প্রতিষ্ঠান স্বনামধন্য বুয়েটকেও কলুষিত করেছেন। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, এটা অনৈতিক ও অন্যায়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সাভার চামড়া শিল্প নগরী কমপ্লায়েন্ট না হওয়ার পেছনে বুয়েটকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শিল্পটিকে কমপ্লায়েন্ট না করতে পারার অন্যতম কারণ হলো যে চাইনিজ ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা সঠিকভাবে কাজটি করেনি। আরেকটা কথা আমি বলতে চাই। এই সাভার সিইটিপির হোল থিংক, একটা তো ছিল কন্ট্রাক্ট বা কন্ট্রাক্টর। কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, কন্ট্রাক্টরের চেয়ে বড় দোষ হলো কনসালটেন্টের। এখানে কনসালটেন্টটা ছিল আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার যখনই কিছু করতে চায় তখন বুয়েটকে বলা হয়। তারা একটা সুপারিশ দেয়, আমরা সেটি গ্রহণ করি। এটাই হলো গর্ভমেন্টের মাইন্ডসেট।’
‘কিন্তু এই সিইটিপি কেইসে আমি কিন্তু মনে করি বুয়েট আমাদেরকে কিন্তু সাংঘাতিকভাবে লেটডাউন-ই করে নাই, দেশের সাংঘাতিকরকম ক্ষতি করেছে। আই হ্যাভ অ্যাট ট্রিমেন্ডাস নাম্বার অফ মিটিং দ্যাট—বুয়েটের যে কনসালটেন্ট আছেন, উনি সব সময় আমাদেরকে এনশিউর করতেছে আগামী ১৫-২০ দিনে এটা ঠিক হয়ে যাবে। লাস্টে যখন এটা হলো না তখন উনি ব্লেম করতে শুরু করলেন, যারা এটা ব্যবহার করেন তারা ঠিকমতো ব্যবহার করছেন না। ওনাদের বুয়েটের নিজের ডিজাইনে যে ফল্ট আছে, কন্ট্রাক্টরদেরকে কন্ট্রোল করার যে ফল্ট আছে—ওইগুলো নিয়ে কিন্তু ওনারা কোনো দিন এটা স্বীকার করতে রাজি হন নাই।’
উপদেষ্টার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্পের বুয়েট কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন এর কাছে মতামত জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।
এর জবাবে অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমার ভুল থাকলে আমাকেই বলতে পারতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান ধরে কথা বলা উচিত হয়নি। আমাকেও এভাবে বলতে পারেন না। সালমান এফ রহমান যা করেছেন তা ভালো হয়নি, এটা মানহানিকর। মানহানির মামলা করলেই ভালো হতো। যদিও সেদিকে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।’
ওই অনুষ্ঠানে শিল্পনগরীর বেহাল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপদেষ্টা আরও জানান, ‘যেহেতু একটা ইনভেস্টমেন্টটা হয়ে গেছে। এটাকে এখন বাদ দিয়ে ভেঙে দিয়ে আবার নতুন করে করাটা ইজ নট পসিবল। এটা নট প্র্যাকটিক্যাল। কিন্তু যেটা করা যায়, যা ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে, এটার ম্যানেজমেন্ট এবং এটাকে আমরা বিএমআরইই যদি আমরা করতে পারি, এটাকে যদি আমরা একটা প্রফেশনাল ইন্টারন্যাশনাল কাউকে দিয়ে পিপিপি ভিত্তিতে দিয়ে ঠিক আছে তুমি এটা টেকওভার করো, এটাকে ঠিক করার জন্য যা টাকা-পয়সা লাগবে তুমি এটাতে ইনভেস্ট করো আর তুমি এটা ওভার অফ পিরিয়ড টাইম চার্জ করে তা রিকোভার করে। এটা একটা হতে পারে।’
‘আরেকটা মডেল হতে পারে, ঠিক আছে তুমি আমাদেরকে এটা বলো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এলডব্লিউজি স্ট্যান্ডার্ডে, এলডব্লিউজি কমপ্লায়েন্সে এলডব্লিউজি সার্টিফিকেশনে -যা যা করার জন্য আর কত টাকা লাগবে কত ইনভেস্টমেন্ট লাগবে সেটা তোমরা আমাদেরকে জানাও, এবং এটা ভবিষ্যতে কীভাবে ম্যানেজ করা যাবে সেটা তোমরা আমাদেরকে বলো।’
বর্তমান স্ট্যাকচার যা রয়েছে তার সক্ষমতা কতটা এ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা হলে তো হলই। না হলে যতোটা ট্যানারির জন্য এর ক্যাপাসিটি আছে, তা দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। বাকিগুলোর জন্য পৃথক আরেকটি শিল্পনগরীর বিষয়ে চিন্তা করতে হবে আমাদের।’
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পরামর্শক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন জানান, ‘আসলে ট্যানারির লোকেরা চায় না একটা আন্তর্জাতিকমানের কমপ্লিট চামড়া শিল্প নগরী হোক। তারা উপদেষ্টাকে কী বুঝিয়েছেন, তিনি কী বুঝেছেন সেটি তিনিই ভাল বলতে পারবেন। আমি মনে করি, আরও শিল্প নগরী তৈরি করা হলেও সেখানেও একই সমস্যা থাকবে। যদি না আমরা সিইটিপি ব্যবহারবিধি যথাযথ অনুসরণ না করি। সময় সময়ে এর ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পরিবর্তন না করি। একইভাবে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সক্ষম কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করতে না পারি। তার চেয়ে বড় কথা হলো এ সবের সার্বিক কর্মকাণ্ড যদি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয় কঠোর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তাহলে কোনো উদ্দেশ্যই সফল হবে না। সেখানে আরেকটি প্রকল্প হতে পারে। সেখানে সরকারের আবারও টাকা খরচ হবে। কিছু লোকের পকেট ভরবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না।’
প্রশ্ন রেখে প্রকল্পে বুয়েটের পরামর্শক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন দাবি করেন, ‘আমাকে ২১ মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আমি যদি ব্যর্থই হতাম, তাহলে আমাকে এক্সটেনশন করে বছরের পর বছর রাখা হলো কেন? শতভাগ প্রফেশনালিজম থেকে দায়িত্ব পালন করেছি।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চামড়া শিল্প নগরী নিয়ে যা হয়েছে, বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয় যা করেছে এবং চানিজ কোম্পানি যেভাবে অসহযোগিতা করেছে, ওই পরিস্থিতিতে বুয়েট পরামর্শক হিসেবে ছিল বলেই দেশ আজ একটি কমপ্লিট চামড়া শিল্প নগরী পেয়েছে। নতুবা কী হতো আল্লাহই ভাল জানেন।’
তাহলে পরামর্শক হিসেবে আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন বলেন, ‘প্রকল্পটির টেন্ডার আহ্বান করেছে বিসিক। এর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও ছিল তারাই। সেখানে সিইটিপি নির্মাণ কাজের সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পায় বুয়েট। যেখানে সিইটিপিকে আরও সুযোপযোগী করতে সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, স্লুয়েজ পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও যুক্ত হয়।’
‘কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম অসহযোগিতা সত্বেও শতভাগ চেষ্টা করেছি প্রকল্পটিকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার। সুপারভিশনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছি বলেই দায়িত্বে থাকা চাইনিজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নানা অনিয়মের কারণে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করতে পেরেছি। এভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলতি বছর ৩০ জুন অর্পিত দায়িত্বও শেষ হওয়ার আগেই চামড়া শিল্প নগরীর একটি পরিপূর্ণ কাঠামো রূপ পায়। যার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে।’
বুয়েটের এই পরামর্শক জানান, ‘এখানে সিইটিপি কমপ্লিট। ক্যাপিটাল মেশিনারিজের ফাংশনাল প্রবলেম থাকতেই পারে। সব যন্ত্রপাতিরই সক্ষমতার একটি সুনির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। এরপর তা পরিবর্তন করতে হয়। তারপর আবার কাজ করে। আবার ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। নতুবা প্রবলেম থাকবেই।’
তবে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচল থাকলেও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বা সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সমস্যা এখনও আছে। এই বর্জ্য অপসারণে শিল্পনগরীর ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে কঠিন বর্জ্য সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ করে আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ল্যান্ড ফিল গ্রাউন্ডে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশন ওই বর্জ্যে রাসায়নিক থাকার কারণে তা নিতে রাজি হয়নি। পরে পরিবেশসম্মতভাবে এই সলিড ওয়েষ্ট বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা (এসপিজিএস) কাজ করতে নিয়োগ দেয়া হয় হেলেন নামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রতিষ্ঠানকে। তারা দায়িত্ব পেয়েও কিছুই করেনি।
এই পরিস্থিতিতে ভিক্টরি জিলেটিন নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের প্রতিদিন ১০০ টন কঠিন বর্জ্য কনজিউ্যম করার কথা। কিন্তু তারা সেটি করছে দৈনিক মাত্র ২০ টন। অথচ বর্তমানে সময়ের ভিন্নতায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এখানে সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয় রয়েছে। আর প্রকল্পের অন্যান্য অবকাঠামো ঠিক রাখার বিষয়টি তো রুটিন ওয়ার্ক এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়।
তিনি বলেন, ‘বুয়েট বা আমি তো কোনো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নেই। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরিটি হচ্ছে বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয়। সেখানে বুয়েটের দোষটা কোথায়? ভুলটাই বা কী করল।’
আরও পড়ুন:দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। এ সময়ে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে করণীয় কী কী, তা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার।
এক ভিডিওবার্তায় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন, যা তার ভাষায় তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকের জন্য।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সতর্কতা
সম্মানিত দর্শকমণ্ডলী, প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে কন্টিনিউ করতে পারে। এ সময় কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে জন্য এই তাপদাহের সময় অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া লাগবে।
বিশেষ করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক সতর্ক হওয়া লাগবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহারের সময় এটি একটানা দীর্ঘসময় ব্যবহার না করে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া লাগবে এবং এগুলো যারা পরিচালনা করেন, শ্রমিক যারা তাদেরও কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে একটানা কাজ না করিয়ে মাঝে মাঝে তাদেরকেও বিরতি দিতে হবে। তাহলে কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা হ্রাস পাবে এবং সীমিত থাকবে।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত রাখা
সকল ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত আছে কি না, এখনই চেক করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ থাকলে তা বদলে ফেলতে হবে। একটি বৈদ্যুতিক লাইন থেকে অথবা একটি মাল্টিপ্লাগ থেকে অতিরিক্ত সংযোগ নেয়া যাবে না। এই জাতীয় সংযোগ থেকে কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারে সতর্কতা
বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যখন ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে, সব ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। অফ করে রাখতে হবে।
রান্নার ক্ষেত্রে সতর্কতা
এ ছাড়া আমরা আবাসিক ভবনে যারা রান্নার কাজ করি, রান্না রেখে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। রান্না শেষে অবশ্যই চুলা পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে হবে এবং গ্রামেগঞ্জে রান্না করছি যেখানে ছাই যেন উত্তপ্ত না থাকে, ছাইও নিশ্চিন্তভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে।
ধূমপান পরিহার
আবাসিক ভবন ও কারখানায় কোনোভাবেই কিন্তু ধূমপান করা যাবে না। অপরিহার্য ক্ষেত্রে বাইরে যারা ধূমপান করবেন, বিড়ি-সিগারেটের শেষ অংশ সতর্কভাবে, সচেতনভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে এবং গাড়িতে চলাচলের সময় ধূমপান করে যেখানে সেখানে কিন্তু সিগারেটের অংশ ফেলা যাবে না।
বারবিকিউ পার্টি না করা
বাড়ির ছাদে, বারান্দায় অথবা আশপাশে দাহ্য বস্তু আছে, এমন খোলা জায়গায় এ সময় বারবিকিউ পার্টি করবেন না। কারণ একটি স্ফূলিঙ্গ উড়ে গিয়ে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার সৃষ্টি করতে পারে। এই সময় ক্যাম্প ফায়ার, ফানুস ওড়ানো অথবা আতশবাজিকে পুরোপুরি না বলুন।
গাড়িতে অবস্থান ও পার্কিংয়ে সতর্কতা
ফিলিং স্টেশন থেকে তেল ও গ্যাস সংগ্রহের সময় অনুগ্রহপূর্বক কেউ গাড়িতে অবস্থান করবেন না। সবাই সচেতন থাকবেন। বিশেষ করে ফিলিং স্টেশনের মালিক এবং যারা কর্মরত আছেন, তাদের এ ব্যাপারে অধিক মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
এ সময় সরাসরি রোদ পড়ে এমন জায়গায় গাড়ি পার্কিং করবেন না। গাড়ি ছায়ার মধ্যে পার্কিং করবেন বা যেখানে ছায়া আছে, এমন জায়গায় গাড়ি পার্ক করবেন।
আগুন নিয়ে খেলা পরিহার
এ সময় বাচ্চাদের আগুন নিয়ে খেলতে দেবেন না এবং আপনার হাতের কাছে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সংরক্ষণ করুন। সরঞ্জাম ত্রুটিমুক্ত আছে কি না, তা পরীক্ষা করুন এবং এগুলোর সামনে কোনো ব্যারিয়ার তৈরি করবেন না।
ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা পেতে
আপনার সতর্কতা এবং আপনার প্রতিবেশীকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে কিন্তু নিরাপদ থাকা সম্ভব। এ ছাড়া আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের মোবাইলে নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বর সেভ করে রাখুন। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত রেসপন্স করার জন্য ১৬১৬৩ হটলাইন অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কিংবা নিকটতম ফায়ার স্টেশনের ফোন নম্বরে দ্রুত কল করুন এবং ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করুন।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতরকেন্দ্রিক যাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রীদের স্বার্থ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
ঈদযাত্রায় অন্যান্য পথে দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছে।
‘সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।’
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে।
‘দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেছে। সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল।
‘বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।’
আরও পড়ুন:সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ও সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অস্থান নিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
শনিবারের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশালের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে যা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।
দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।
অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’
‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য