× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
সালমান রহমানের মন্তব্যে মর্মাহত বুয়েট
google_news print-icon

সালমান রহমানের মন্তব্যে মর্মাহত বুয়েট

সালমান-রহমানের-মন্তব্যে-মর্মাহত-বুয়েট
সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে সিইটিপি নকশার কাজ বুয়েট ঠিকভাবে করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন সালমান এফ রহমান। ছবি: সংগৃহিত
প্রকল্পে কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন জানিয়েছেন, ‘সালমান এফ রহমান একজন সিনিয়র লোক। বুঝে-না বুঝে কথা বলেন। সঠিকভাবে শতভাগ দায়িত্ব পালনের পরও দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্যে আমি খুবই মর্মাহত।’  

সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরী প্রকল্পে ভুল কনসালটেন্সির কারণে দেশ সাংঘাতিক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের এমন বক্তব্যে মর্মাহত হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

প্রকল্পে কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন জানিয়েছেন, ‘সালমান এফ রহমান একজন সিনিয়র লোক। বুঝে-না বুঝে কথা বলেন। সঠিকভাবে শতভাগ দায়িত্ব পালনের পরও দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্যে আমি খুবই মর্মাহত।’

তিনি দাবি করেন, ‘সরকারি কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সম্পৃক্ত হলে দায়িত্বের ভার অনুযায়ী কাজ করে। চামড়া শিল্প নগরীতে বুয়েটের দায়িত্ব ছিল কারিগরি পরামর্শ ও কাজে মান বজায় রাখার বিষয়ে তদারকি সহায়তা দিয়ে যাওয়া। পরামর্শক হিসেবে বুয়েট সঠিক কাজটি করেছে বলেই শত বাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে দেশ আজ বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কমপ্লিট রূপ দেখতে পাচ্ছে।’

‘কিন্তু তিনি (সালমান এফ রহমান) শুধু আমাকেই খাটো করেননি, দেশের প্রকৌশল জগতে সবচেয়ে মর্যাদার প্রতিষ্ঠান স্বনামধন্য বুয়েটকেও কলুষিত করেছেন। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয়, এটা অনৈতিক ও অন্যায়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার সাভার চামড়া শিল্প নগরী কমপ্লায়েন্ট না হওয়ার পেছনে বুয়েটকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শিল্পটিকে কমপ্লায়েন্ট না করতে পারার অন্যতম কারণ হলো যে চাইনিজ ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তারা সঠিকভাবে কাজটি করেনি। আরেকটা কথা আমি বলতে চাই। এই সাভার সিইটিপির হোল থিংক, একটা তো ছিল কন্ট্রাক্ট বা কন্ট্রাক্টর। কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, কন্ট্রাক্টরের চেয়ে বড় দোষ হলো কনসালটেন্টের। এখানে কনসালটেন্টটা ছিল আমাদের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার যখনই কিছু করতে চায় তখন বুয়েটকে বলা হয়। তারা একটা সুপারিশ দেয়, আমরা সেটি গ্রহণ করি। এটাই হলো গর্ভমেন্টের মাইন্ডসেট।’

‘কিন্তু এই সিইটিপি কেইসে আমি কিন্তু মনে করি বুয়েট আমাদেরকে কিন্তু সাংঘাতিকভাবে লেটডাউন-ই করে নাই, দেশের সাংঘাতিকরকম ক্ষতি করেছে। আই হ্যাভ অ্যাট ট্রিমেন্ডাস নাম্বার অফ মিটিং দ্যাট—বুয়েটের যে কনসালটেন্ট আছেন, উনি সব সময় আমাদেরকে এনশিউর করতেছে আগামী ১৫-২০ দিনে এটা ঠিক হয়ে যাবে। লাস্টে যখন এটা হলো না তখন উনি ব্লেম করতে শুরু করলেন, যারা এটা ব্যবহার করেন তারা ঠিকমতো ব্যবহার করছেন না। ওনাদের বুয়েটের নিজের ডিজাইনে যে ফল্ট আছে, কন্ট্রাক্টরদেরকে কন্ট্রোল করার যে ফল্ট আছে—ওইগুলো নিয়ে কিন্তু ওনারা কোনো দিন এটা স্বীকার করতে রাজি হন নাই।’

উপদেষ্টার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্পের বুয়েট কনসালটেন্ট বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান (পরিবেশ প্রকৌশল) অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন এর কাছে মতামত জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

এর জবাবে অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেইন বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমার ভুল থাকলে আমাকেই বলতে পারতেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান ধরে কথা বলা উচিত হয়নি। আমাকেও এভাবে বলতে পারেন না। সালমান এফ রহমান যা করেছেন তা ভালো হয়নি, এটা মানহানিকর। মানহানির মামলা করলেই ভালো হতো। যদিও সেদিকে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।’

ওই অনুষ্ঠানে শিল্পনগরীর বেহাল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপদেষ্টা আরও জানান, ‘যেহেতু একটা ইনভেস্টমেন্টটা হয়ে গেছে। এটাকে এখন বাদ দিয়ে ভেঙে দিয়ে আবার নতুন করে করাটা ইজ নট পসিবল। এটা নট প্র্যাকটিক্যাল। কিন্তু যেটা করা যায়, যা ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে, এটার ম্যানেজমেন্ট এবং এটাকে আমরা বিএমআরইই যদি আমরা করতে পারি, এটাকে যদি আমরা একটা প্রফেশনাল ইন্টারন্যাশনাল কাউকে দিয়ে পিপিপি ভিত্তিতে দিয়ে ঠিক আছে তুমি এটা টেকওভার করো, এটাকে ঠিক করার জন্য যা টাকা-পয়সা লাগবে তুমি এটাতে ইনভেস্ট করো আর তুমি এটা ওভার অফ পিরিয়ড টাইম চার্জ করে তা রিকোভার করে। এটা একটা হতে পারে।’

‘আরেকটা মডেল হতে পারে, ঠিক আছে তুমি আমাদেরকে এটা বলো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এলডব্লিউজি স্ট্যান্ডার্ডে, এলডব্লিউজি কমপ্লায়েন্সে এলডব্লিউজি সার্টিফিকেশনে -যা যা করার জন্য আর কত টাকা লাগবে কত ইনভেস্টমেন্ট লাগবে সেটা তোমরা আমাদেরকে জানাও, এবং এটা ভবিষ্যতে কীভাবে ম্যানেজ করা যাবে সেটা তোমরা আমাদেরকে বলো।’

বর্তমান স্ট্যাকচার যা রয়েছে তার সক্ষমতা কতটা এ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা হলে তো হলই। না হলে যতোটা ট্যানারির জন্য এর ক্যাপাসিটি আছে, তা দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। বাকিগুলোর জন্য পৃথক আরেকটি শিল্পনগরীর বিষয়ে চিন্তা করতে হবে আমাদের।’

এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পরামর্শক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন জানান, ‘আসলে ট্যানারির লোকেরা চায় না একটা আন্তর্জাতিকমানের কমপ্লিট চামড়া শিল্প নগরী হোক। তারা উপদেষ্টাকে কী বুঝিয়েছেন, তিনি কী বুঝেছেন সেটি তিনিই ভাল বলতে পারবেন। আমি মনে করি, আরও শিল্প নগরী তৈরি করা হলেও সেখানেও একই সমস্যা থাকবে। যদি না আমরা সিইটিপি ব্যবহারবিধি যথাযথ অনুসরণ না করি। সময় সময়ে এর ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পরিবর্তন না করি। একইভাবে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সক্ষম কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করতে না পারি। তার চেয়ে বড় কথা হলো এ সবের সার্বিক কর্মকাণ্ড যদি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয় কঠোর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তাহলে কোনো উদ্দেশ্যই সফল হবে না। সেখানে আরেকটি প্রকল্প হতে পারে। সেখানে সরকারের আবারও টাকা খরচ হবে। কিছু লোকের পকেট ভরবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না।’

প্রশ্ন রেখে প্রকল্পে বুয়েটের পরামর্শক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন দাবি করেন, ‘আমাকে ২১ মাসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আমি যদি ব্যর্থই হতাম, তাহলে আমাকে এক্সটেনশন করে বছরের পর বছর রাখা হলো কেন? শতভাগ প্রফেশনালিজম থেকে দায়িত্ব পালন করেছি।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চামড়া শিল্প নগরী নিয়ে যা হয়েছে, বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয় যা করেছে এবং চানিজ কোম্পানি যেভাবে অসহযোগিতা করেছে, ওই পরিস্থিতিতে বুয়েট পরামর্শক হিসেবে ছিল বলেই দেশ আজ একটি কমপ্লিট চামড়া শিল্প নগরী পেয়েছে। নতুবা কী হতো আল্লাহই ভাল জানেন।’

তাহলে পরামর্শক হিসেবে আপনাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেইন বলেন, ‘প্রকল্পটির টেন্ডার আহ্বান করেছে বিসিক। এর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও ছিল তারাই। সেখানে সিইটিপি নির্মাণ কাজের সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পায় বুয়েট। যেখানে সিইটিপিকে আরও সুযোপযোগী করতে সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, স্লুয়েজ পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও যুক্ত হয়।’

‘কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম অসহযোগিতা সত্বেও শতভাগ চেষ্টা করেছি প্রকল্পটিকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার। সুপারভিশনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছি বলেই দায়িত্বে থাকা চাইনিজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নানা অনিয়মের কারণে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করতে পেরেছি। এভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলতি বছর ৩০ জুন অর্পিত দায়িত্বও শেষ হওয়ার আগেই চামড়া শিল্প নগরীর একটি পরিপূর্ণ কাঠামো রূপ পায়। যার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে।’

বুয়েটের এই পরামর্শক জানান, ‘এখানে সিইটিপি কমপ্লিট। ক্যাপিটাল মেশিনারিজের ফাংশনাল প্রবলেম থাকতেই পারে। সব যন্ত্রপাতিরই সক্ষমতার একটি সুনির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। এরপর তা পরিবর্তন করতে হয়। তারপর আবার কাজ করে। আবার ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। নতুবা প্রবলেম থাকবেই।’

তবে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচল থাকলেও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বা সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সমস্যা এখনও আছে। এই বর্জ্য অপসারণে শিল্পনগরীর ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে কঠিন বর্জ্য সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ করে আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ল্যান্ড ফিল গ্রাউন্ডে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি করপোরেশন ওই বর্জ্যে রাসায়নিক থাকার কারণে তা নিতে রাজি হয়নি। পরে পরিবেশসম্মতভাবে এই সলিড ওয়েষ্ট বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা (এসপিজিএস) কাজ করতে নিয়োগ দেয়া হয় হেলেন নামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রতিষ্ঠানকে। তারা দায়িত্ব পেয়েও কিছুই করেনি।

এই পরিস্থিতিতে ভিক্টরি জিলেটিন নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের প্রতিদিন ১০০ টন কঠিন বর্জ্য কনজিউ্যম করার কথা। কিন্তু তারা সেটি করছে দৈনিক মাত্র ২০ টন। অথচ বর্তমানে সময়ের ভিন্নতায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ২০০ টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এখানে সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয় রয়েছে। আর প্রকল্পের অন্যান্য অবকাঠামো ঠিক রাখার বিষয়টি তো রুটিন ওয়ার্ক এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়।

তিনি বলেন, ‘বুয়েট বা আমি তো কোনো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নেই। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরিটি হচ্ছে বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয়। সেখানে বুয়েটের দোষটা কোথায়? ভুলটাই বা কী করল।’

আরও পড়ুন:
ফের স্থগিত বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

জাতীয়
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

জাতীয়
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Foreign Adviser

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।

ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে