× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বিশ্বের বৃহত্তম ড্রেজারে খনন হচ্ছে মোংলা চ্যানেল
google_news print-icon

বিশ্বের বৃহত্তম ড্রেজারে খনন হচ্ছে মোংলা চ্যানেল

বিশ্বের-বৃহত্তম-ড্রেজারে-খনন-হচ্ছে-মোংলা-চ্যানেল
বিশ্বের বৃহত্তম ড্রেজার হপার জিন জি ল্যাং-৫
গত বুধবার মোংলায় পৌঁছানোর পরই বিশাল হপার ড্রেজার জিন জি ল্যাং-৫ কাজ শুরু করেছে। উন্নত অটোমেশন সরঞ্জামে সজ্জিত ড্রেজারটি তৈরিতে একটি কার্যকরী নকশা করা হয়েছে, যার নিচে ডাম্পিং স্পেস রাখা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী, দানবাকৃতির এই খনন যন্ত্র যেকোনো সময়, যেকোনো ঋতুতে, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার খনন কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম।

করোনাভাইরাসের রেডজোনে পরিণত হলেও বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে পুরোদমে এগিয়ে চলছে উন্নয়নযজ্ঞ। সরগরম মোংলার ইনারবার চ্যানেল। খননের কাজ করে যাচ্ছে চীনের বৃহৎ দানবাকৃতির খনন যন্ত্র ফড়িং আকৃতির ‘হপার ড্রেজার’। এটি চীনের সবচেয়ে বড় তিন খননযন্ত্রের একটি।

ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। পোস্টে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার একটি প্রতিবেদনও শেয়ার করেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ সত্ত্বেও একটি চীনা হপার ড্রেজার মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং চীন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) চুক্তি অনুযায়ী দেশের দ্বিতীয় প্রধান সমুদ্রবন্দর মোংলায় বন্দর চ্যানেল ড্রেজিংয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।

গত বুধবার মোংলায় পৌঁছানোর পরই বিশাল হপার ড্রেজার জিন জি ল্যাং-৫ কাজ শুরু করেছে। উন্নত অটোমেশন সরঞ্জামে সজ্জিত ড্রেজারটি তৈরিতে একটি কার্যকরী নকশা করা হয়েছে, যার নিচে ডাম্পিং স্পেস রাখা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী, দানবাকৃতির এই খনন যন্ত্র যেকোনো সময়, যেকোনো ঋতুতে, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার খনন কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম।

সিনহুয়া বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ড্রেজারটি তৈরি হওয়ার পর মোংলা বন্দর চ্যানেল খননের মাধ্যমে এটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এটি তিনটি দানবাকৃতি চীনা ড্রেজারের একটি। অন্য দুটি হলো বিশ্বের বৃহত্তম কাটার সাকশন ড্রেজার ‘সিন হাই টেং’ ও ‘জিন হাই জু’। এ দুটিও মোংলা চ্যানেল প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত।

চীনা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিসিইসিসি বলেছে, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম সেলফ নেভিগেটেড কাটার সাকশন ড্রেজার পরিচালনা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। কেননা, প্রতি ঘণ্টায় সাড়ে ছয় হাজার ঘনমিটার মাটি ও বালু কেটি নিয়ে তা ২০ কিলোমিটার দূরে ফেলতে হচ্ছে।

চীনা সংবাদ সংস্থা বলেছে বঙ্গীয় ব-দ্বীপের অন্যতম প্রধান সমুদ্রবন্দর মোংলা, যা খুলনা শহর থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে ও পশুর নদের পাড়ে অবস্থিত।

বিশ্বের বৃহত্তম ড্রেজারে খনন হচ্ছে মোংলা চ্যানেল
বিশ্বের বৃহত্তম কাটার সাকশন ড্রেজার সিন হাই টেং

দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে অনেক আন্তর্জাতিক শিপিং সংস্থা বিকল্প বন্দর হিসেবে মোংলায় তাদের জাহাজ পাঠাতে পছন্দ করছে।

এ ছাড়া, দেশের বৃহত্তম প্রকল্প পদ্মা সেতু এবং পদ্মা রেল লিঙ্ক নির্মাণের কারণে মোংলা একটি আকর্ষণীয় গেটওয়ে হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। দেশের এ দুটি বড় প্রকল্প মোংলা বন্দরকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করতে চলেছে। তবে বন্দরটি বর্তমানে পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সমস্যার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিসিইসিসির মধ্যে চুক্তি হয় ২০২০ এর ডিসেম্বরে। চুক্তি অনুযায়ী মোংলা বন্দরের ইনারবার চ্যানেলের গভীরতা সাড়ে ছয় মিটার থেকে বাড়িয়ে ১০ মিটার গভীর করবে সিসিইসিসি। যাতে যেকোন সময় ১০ মিটার ড্রাফটের কন্টেইনার জাহাজ বন্দরের টার্মিনালে ভিড়তে পারে।

৭.৫৪ বিলিয়ন টাকার প্রকল্পটি ২০২১ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনারবারের ড্রেজিং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ড্রেজিং প্রকল্প। চুক্তির আওতায় কাজের মূল অংশটি ২৪ মিলিয়ন ঘনমিটারের বেশি ড্রেজিং ভলিউমসহ ২৪ কিমি দীর্ঘ।

প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর মাধ্যমে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করা হয়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত সমীক্ষায় মোংলা বন্দরে ২০২৫ সালে ৮.৭২ লাখ টিইউজ কন্টেইনার এবং ২০৫০ সালে ৪৫.৩২ লাখ টিইউজ কন্টেইনার ও ৩০ হাজারের বেশি গাড়ি হ্যান্ডলিং এর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়। এরপরই মূলত প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে হাতে নেয়া হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা নিউজবাংলাকে বলেন, ১৩০ কিলোমিটারের এই ইনারবার (অভ্যন্তরীণ চ্যানেল) ড্রেজিং হলে বন্দরে সাড়ে ৯ মিটার থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ অনায়াসেই প্রবেশ করতে পারবে। তাতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এখন বন্দর চ্যানেলে সাত মিটার পর্যন্ত গভীরতার জাহাজ আসতে পারে।

বিশ্বের বৃহত্তম ড্রেজারে খনন হচ্ছে মোংলা চ্যানেল

এ ছাড়া, ইনারবার ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরের গতিশীলতা আরও বাড়বে। নানামুখী উন্নয়নের ফলে আগের তুলনায় এখন এই বন্দরে ২০ শতাংশ জাহাজ আসা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা সমুদ্রবন্দরে রেকর্ডসংখ্যক ৯৭০টি জাহাজ এসেছে। এর আগে মোংলা বন্দরে এত জাহাজ আর কখনোই আসেনি। এই সময়ে মোংলা বন্দর ৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১৯ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। এ ছাড়া, ৪৩ হাজার ৯৫৯টি কনটেইনার খালাস-বোঝাই এবং ১৪ হাজার ৪৭৪টি গাড়ি নামানো হয়েছে বন্দরে।

ডিসেম্বরে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লার দরকার হবে। ফলে বছরে ১৩০টি মাদার ভেসেল এবং তিন শতাধিক লাইটার জাহাজ বন্দরে আসবে।

আরও পড়ুন:
মোংলা বন্দরে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক পাঁচ ক্রেন
মোংলা বন্দরে জাহাজের রেকর্ড
করোনা তহবিলে ৫ কোটি টাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল সংসদে পাঠানোর সুপারিশ
সংসদীয় কমিটির কাছে গেল মোংলা বন্দর বিল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
The son of the former MP of Satkhira with drugs and weapons is detained

মাদক ও অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সাবেক এমপির ছেলে আটক

মাদক ও অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সাবেক এমপির ছেলে আটক

সাতক্ষীরার আ.লীগের সংরক্ষিত আসেনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বিলাশবহুল বাড়িতে ২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার আহমেদ।

সাফায়াত সরোয়ার রুমন আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তার মা রিফাত আমিন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সভানেত্রী ও আ.লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।

যৌথবাহিনীর অভিযানের শুরুতেই দুইতলা হতে রুমন লাফিয়ে নিজতলা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন যৌথবাহিনী রুমনকে আটক করে বাড়িতে তল্লাশি করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে।

সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার আহম্মেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ শতাধিক ইয়াবা বড়ি ও একটি রাইফেল, একটি তলোয়ার এবং মদ ও খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে এবং সাবেক এমপির ছেলে সাফায়াত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল

পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল

বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদের চার কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল ও পদোন্নতি হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখার উপসচিব মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট আলি আকবর খানকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. শামসুল হককে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ঢাকা আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। আর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি রোমানা আক্তারকে ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট করা হয়েছে।

জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Tourist centers in the threat of looting natural resources

প্রাকৃতিক সম্পদ লুট হুমকিতে পর্যটন কেন্দ্র

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য
প্রাকৃতিক সম্পদ লুট হুমকিতে পর্যটন কেন্দ্র পর্যটন কেন্দ্র থেকে এভাবেই মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় ঘেরা গজনী পর্যটন কেন্দ্র। এখন পর্যটন কেন্দ্রটি চরম পরিবেশ সংকটে রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গারো পাহাড় ও পার্শ্ববর্তী নদী-নালা, খাল-বিল, ঝরনা থেকে দিনের পর দিন পাথর ও বালু লুটপাট করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্প।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গারো পাহাড়ের কোলে গড়ে তোলা হয় ‘গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্র’। গজনী মৌজার নামানুসারে এ নামকরণ করা হয়। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক ভ্রমণপিপাসু এ পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করেন। সরকারও এখান থেকে রাজস্ব আয় করে থাকে।

তবে সম্প্রতি এই পর্যটন কেন্দ্রের আশেপাশের পাহাড়, নদী ও ঝর্ণা এলাকা অবৈধভাবে দখল করে চলছে পাথর ও বালু উত্তোলন। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র—যাদের বলা হচ্ছে ‘বালুদস্যু’—তারা দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারে ট্রাক, মাহিন্দ্রা ও ট্রলিগাড়ি ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার পাথর ও বালু পাচার করছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘেষা নদীর হালচাটি, মালিটিলা, গান্ধীগাঁও, বাঁকাকুড়া, দরবেশতলা, মঙ্গল ঝুড়া, পশ্চিম বাঁকাকুড়া, ছোটগজনী, গজনীসহ আশপাশের এলাকা থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ। প্রতিবাদ করলেই হুমকি, গালিগালাজ এমনকি হামলারও শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের।

সম্প্রতি ঈদের আগে এক সপ্তাহে বনবিভাগ পাঁচটি মাহিন্দ্রা গাড়ি আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বালুদস্যুরা রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ কার্যালয়ে হামলা চালায় ও কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। গত ৪ জুন রাতে উপজেলা সদরের বাজারে বালু ভর্তি মাহিন্দ্রা গাড়ির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে এক সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বালুদস্যুরা।

এমনকি, এর আগেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালু শ্রমিকদের শাস্তি দেয়ায় বালুদস্যুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামে। যদিও মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়, কিন্তু তাতে বন্ধ হচ্ছে না এই অবৈধ কার্যকলাপ।

গজনী ফরেস্ট বিট কর্মকর্তা সালেহীন নেওয়াজ বলেন, ‘লোকবলের অভাব ও নিরাপত্তা জণিত কারণে আমরা রাতে অভিযান চালাতে পারি না। এই কারণে বালুদস্যুরা রাতের অন্ধকারে সুযোগ নিচ্ছে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবেশবাদী বলেন, ‘গারো পাহাড় শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, এটি আমাদের প্রাকৃতিক নিরাপত্তার দেয়াল। এখানকার জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু এবং পর্যটন—সবই আজ হুমকির মুখে। এই লুটপাট যদি এখনই বন্ধ না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পুরো এলাকা মরুভূমিতে রূপ নিতে পারে।’

স্থানীয় সচেতন মহল অবিলম্বে এই অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The nest of the babui bird is getting lost

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

নিপুণ বাসা তৈরির দক্ষ করিগর বাবুই পাখি ও এর বাসা এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, নতুন বণায়নে বাসযোগ্য পরিবেশ ও খাদ্যের অভাব, নির্বিচারে তালগাছ কর্তন, অসাধু শিকারীর ফাঁদসহ বহুবিধ কারণে কালের আবর্তে প্রকৃতির স্থপতি, বয়ন শিল্পী এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি বাবুই পাখি ও এর দৃষ্টিনন্দন বাসা ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে।

আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও গ্রামগঞ্জে ব্যাপকভাবে বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। কিচিরমিচির শব্দ আর এদের শৈল্পিক বাসা মানুষকে পুলকিত করত। অপূর্ব শিল্প শৈলীতে প্রকৃতির অপার বিস্ময় এদের সেই ঝুলন্ত বাসা বাড়ির তালগাছসহ নদীর পাড়ে, পুকুর পাড়ে, বিলের ধারে এখন আর সচরাচর চোখে পড়ে না। আগের মতো বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় না গ্রাম বাংলার জনপদ।

নিরীহ, শান্ত প্রকৃতির এই বাবুই পাখি উচু এবং নিরিবিলি পরিবেশে বাসা তৈরি করে। গ্রামগঞ্জের তাল, সুপারি, নাড়িকেল, খেজুর গাছে বাসা তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে এরা। এসব গাছের সংকটে মাঝে মাঝে হিজল গাছেও বাসা বাধতে দেখা যায় তাদের।

এই পাখি বাসা তৈরির কাজে ব্যবহার করে খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচি পাতা, ঝাউ ও কাঁশবনের লতা। চমৎকার আকৃতির এই বাসা বিশেষ করে তাল গাছের ডালে এমনভাবে সাটানো থাকে যাতে কোনো ঝড়-তুফানে সহসাই ছিড়ে না পড়ে। এদের বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগায় এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করে। এটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমই মজবুত ও টেকসই । ঠোট দিয়ে বাবুই পাখি আস্তর ছড়ায়। পেট দিয়ে ঘঁষে তা আবার মসৃণ করে। বাসা বানাতে শুরুতেই দুটি নিম্নমুখী গর্ত করে থাকে। পরে তা একদিকে বন্ধ করে ডিম পাড়ার জায়গা করে।

অন্যদিকে লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করে। ব্যালেন্স করার জন্য বাসার ভিতরে কাদার প্রলেপ দেয়। এমন বাসাও তৈরি করে যেখানে বসে দোলনার মতো দোল খায়। আধুনিক যুগে যা বড়ই যুক্তি সংগত। বাসার ভিতরে ঠিক মাঝখানে একটি আড়া তৈরি করে বাবুই পাখি। যে আড়াতে পাশাপাশি বসে এরা প্রেম আলাপসহ নানা রকম গল্প করে। এ আড়াতেই এরা নিদ্রা যায়। কি অপূর্ব বিজ্ঞান সম্মত চেতনাবোধ। ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।

এক গাছ থেকে আরেক গাছ, এক বাসা থেকে আরেক বাসায় এরা সঙ্গী খুঁজতো। পছন্দ হলে সঙ্গী বানানোর জন্য কত কিছুই না করে। পুরুষ বাবুই নিজের প্রতি আকর্ষণ করার জন্য ডোবার গোসল সেরে ফুর্তিতে নেচে নেচে উড়ে বেড়ায় এক ডাল থেকে অন্য ডালে। এরপর উচুঁ গাছের ডালে বাসা তৈরির কাজ শুরু করে। অর্ধেক কাজ হলে কাঙ্খিত স্ত্রী বাবুইকে ডেকে সেই বাসা দেখায়। বাসা পছন্দ হলেই কেবল পুরো কাজ শেষ করে। তা না হলে অর্ধেক কাজ করেই নতুন করে আরেকটি বাসা তৈরির কাজ শুরু করে। অর্ধেক বাসা বাঁধতে সময় লাগে ৪-৫ দিন।

কাঙ্খিত স্ত্রী বাবুই পাখির পছন্দ হলে বাকিটা শেষ করতে সময় লাগে আরো ৪ দিন। পুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ৬ টি পর্যন্ত বাসা বুনতে পারে। তাছাড়া এরা ঘর করতে পারে ৬ টির সঙ্গে। স্ত্রী বাবুইদের এতে কোনো বাঁধা নেই। প্রজনন প্রক্রিয়ায় স্ত্রী বাবুই ডিমে তা দেয়ার দুসপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। আর বাচ্চা বাসা ছেড়ে প্রথম উড়ে যায় জন্মের তিন সপ্তাহের মধ্যে।

কৃষকের ধান ঘরে ওঠার মৌসুম হলো বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। দুধ ধান সংগ্রহ করে এনে স্ত্রী বাবুই বাচ্চাদের খাওয়ায়। তবে এখন সঙ্গত কারণেই বাবুই পাখি তালগাছ ছেড়ে ভিন্ন গাছে নীড় বেঁধেছে। এই দক্ষ স্থপতি বাবুই পাখির নীড় ভেঙে দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। এক সময় গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামে দেখা যেতো অগণিত বাবুই পাখির বাসা। এই এলাকার গাঁও গ্রাম ঘুরেও এখন আর দৃষ্টি নন্দন বাবুই পাখির ঝুলন্ত বাসা আগের মতো দেখা যায় না।

উপজেলার আধবই গ্রামের পাখি প্রেমিক নওশীন বাবু ঐশী বলেন, সারাবিশ্বে বাবুই পাখির প্রজাতির সংখ্যা ১১৭টি। তবে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাস। তিনি আরও বলেন, বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। ধান, চাল, গম ও পোকা-মাকড় প্রভৃতি তাদের প্রধান খাবার।

উপজেলা কৃষক ইব্রাহিম বলেন, নিপুণ কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা টিকিয়ে রাখতে হলে বৃক্ষ নিধনকারীদের হাত থেকে উক্ত গাছ রক্ষা করতে হবে। প্রকৃতিক সোন্দর্য বৃদ্ধিতে বাবুই পাখির বাসা তৈরির পরিবেশ সহজ করে দিতে হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
To increase the use of environmentally friendly bamboo furniture Environment Advisor

পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশ  উপদেষ্টা

পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশ  উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব বাঁশের আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দেশে কাঠের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। এই চাপ কমাতে আসবাবপত্র তৈরিতে কাঠের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ব্যবহারে উদ্যোগী হতে হবে। বাঁশ সহজলভ্য, দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশবান্ধব।

আজ পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা পরবর্তী ১ম কর্মদিবসে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এসময় তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্রের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি বাঁশগবেষণা কেন্দ্রে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিক পণ্য উদ্ভাবনের ওপর জোর দেন। উপদেষ্টা বলেন, আধুনিক, টেকসই ও রুচিশীল বাঁশের আসবাবপত্র তৈরি করে অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণ ও আন্তর্জাতিক বাজারেও সম্ভাবনা তৈরি করা সম্ভব।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর সমূহের প্রধানগণ, এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Covids news is increasing the price of mask in the wholesale market

কোভিডের খবরে বাড়ছে পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম

কোভিডের খবরে বাড়ছে পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম

দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে না বাড়তে এরইমধ্যে পাইকারি পর্যায়ে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছেন এক দল ব্যবসায়ী। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অতিরিক্ত দামে মাস্ক কিনে পরতে হচ্ছে তাদের।

সরজমিনে রাজধানীর বাবুবাজার মাস্কের পাইকারি দোকানগুলো ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণে মাস্কের চাহিদা বাড়ায় ভিড় বাড়ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।

কম দামে মাস্ক পাওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও রীতিমতো উল্টোচিত্রের মুখোমুখি হোন তারা—প্রতি বক্স সার্জিক্যাল মাস্ক রীতিমতো দ্বিগুণ দাম বিক্রি হচ্ছে।

শাহজাহানপুর রেলওয়ের কাছে মাস্ক ব্যবসা করেন মিঠু। তিনি জানান, এতদিন ৬০-৬৫ টাকা দামে প্রতি বক্স মাস্ক কিনলেও আজকে বাজারে একই মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কোনো ধরনের দামাদামির ধার ধারছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

মালিবাগ মোড়ের আরেক মাস্ক ব্যবসায়ী শাহ আলি বলেন, ‘আগে হাজারে সার্জিক্যাল মাস্কের দাম ছিল ৯০০ টাকা। আজকে বাজারে হাজারে মাস্কের দাম বেড়ে হয়েছে ১৬০০ টাকা।’

‘পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে ১০ টাকায় পাঁচটি সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি করলেও এখন তিনটি করে বিক্রি করতে হচ্ছে,’ বলেন তিনি।

সার্জিক্যাল মাস্কের পাশাপাশি দাম বেড়েছে এন-৯৫ মাস্কেরও। এতদিন ১০ টাকা দরে এই মাস্ক বিক্রি হলেও হঠাৎ করে প্রতি পিস মাস্কের দাম হয়েছে ১৫-২০ টাকা।

হঠাৎ করে মাস্কের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, এখনই মাস্কের দাম নাগালে আনতে না পারলে সামনে দাম বেড়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ হবে।

এ প্রসঙ্গে মগবাজারের বাসিন্দা মোহতাসিম বলেন, ‘২০২০ সালে করোনাসময়ে প্রতিপিস সার্জিক্যাল মাস্ক ১০-১৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। তখন ১০ টাকার এন-৯৫ মাস্কের দাম বেড়ে হয়েছিল ১৫০ টাকা। এবার মাস্কের সিন্ডিকেট ভাঙতে এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’

মতিঝিলে কাপড়ের মাস্ক কিনতে এসেছেন সুবাহ হোসেন। বলেন, ‘এতদিন কাপড়ের মাস্কের দাম ২০-৩০ টাকা হলেও এখন দাম বেড়ে ৫০-৮০ টাকা হয়েছে। হঠাৎ করে মাস্কের দাম বাড়ায় ভয় লাগছে, পরিস্থিতি আবার ২০২০ এর মতোন হবে কিনা।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংক্রমণ বাড়ায় ইতোমধ্যে মহাখালীর কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সূত্র: ইউএনবি

মন্তব্য

জাতীয়
Import export started after 7 days at Banglabandha land port

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১০ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু

কোরবানি ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে পঞ্চগড়ের চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তবে এ সময়েও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার ছিল স্বাভাবিক। ঈদের ছুটিতেও যাত্রী চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গত ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।% আজ রবিবার থেকে আবারও স্বাভাবিক নিয়মে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে বন্দরে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সংশ্লিষ্ট কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টদের আগেই এ বিষয়ে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছিল।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের ছুটিতে ১০ দিন স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। আজ থেকে চার দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবীর জানান, বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ঈদের ছুটিতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল। এতে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।

মন্তব্য

p
উপরে