× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
শাটডাউনে ভুগিয়ে ভাইভা পেছাচ্ছে বার কাউন্সিল
google_news print-icon

শাটডাউনে ভুগিয়ে ভাইভা পেছাচ্ছে বার কাউন্সিল

শাটডাউনে-ভুগিয়ে-ভাইভা-পেছাচ্ছে-বার-কাউন্সিল
শাটডাউনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদেরকে বার কাউন্সিল ডেকে আনলেও ব্যাংক বন্ধ থাকায় তারা ফরম পূরণ করতে পারেননি।
বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, তারা গত বছর ভাইভায় বাদ পড়াদের ফরম পূরণ পিছিয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করেছেন। মৌখিক পরীক্ষা কবে নেয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওইটা আমরা এখনও ঠিক করি নাই। পরিস্থিতি দেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার জন্য গত বছর অনুত্তীর্ণ শতাধিক পরীক্ষার্থীকে বার কাউন্সিল পরীক্ষার্থীদেরকে ডেকে আনলেও তারা নিবন্ধন করতে পারেনি।

যান চলাচল বন্ধ থাকা অবস্থায় নানা হয়রানির মধ্যে বার কাউন্সিলে এসে তারা ব্যাংক ও বিভিন্ন শাখা বন্ধ পান। আর এতে ক্ষোভের পর মৌখিক পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৫ জুলাই থেকে। বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় এমসিকিউ পাসের পর লিখিত পরীক্ষায় ফেল করলে পরেরবার তিনি এমসিকিউ ছাড়াই লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারেন। আবার কেউ ভাইভায় ফেল করলে পরেরবার তিনি লিখিত না দিয়েই আবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

গত বছর মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ আড়াইশর মতো পরীক্ষার্থীকে আবার নিবন্ধনের জন্য রোববার ডাকা হয় বার কাউন্সিলে। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই আসতে পারেননি। আর ঢাকায় থাকা যারা সেখানে গিয়েছেন, তাদেরেক নানা ঝক্কি ঝামেলা সয়েই যেতে হয়েছে।

পরে রাতে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, তারা ফরম পূরণ পিছিয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করেছেন।

মৌখিক পরীক্ষা কবে নেয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওইটা আমরা এখনও ঠিক করি নাই। পরিস্থিতি দেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে এ বিষয়ে অফিস আদেশ এখনও জারি হয়নি। আর বিষয়টি নিয়ে জানতে বার কাউন্সিল সচিব রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি।

পরে তার নামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, হাইকোর্ট পারমিশন বিভাগের ফরম ফিলাম এবং অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তির কার্যক্রমের জন্য সীমিত আকারে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অফিস খোলা হইলেও করোনা মহামারির কারণে সরকারঘোষিত লকডাউনের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অফিস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

‘উল্লেখ্য যে, হাইকোর্ট পারমিশন বিভাগের ফরম ফিলাপ ৩১ আগস্ট ২০২১ ইং পর্যন্ত অনলাইনে চলমান থাকিবে।’

শাটডাউনে ভুগিয়ে ভাইভা পেছাচ্ছে বার কাউন্সিল
শাটডাউনে পরীক্ষার্থীদের ডেকে ভোগান্তির পর অফিস বন্ধ ঘোষণা করে বার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তি

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধ দিয়ে সরকার এবার বেশ কঠোর। ৯ দিনে কেবল ঢাকায় যৌক্তিক কারণ দেখাতে তা পারায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা। আটকের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। ঢাকার বাইরে এই সংখ্যাটি আরও বড়।

এর মধ্যে বার কাউন্সিল আইনজীবী নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষার জন্য তারিখ ঘোষণা করে আগামী ২৫ জুলাই। সে পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত হতে পারে কি না, এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে গতবার যারা পাস করতে পারেননি, তাদের এবারের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণের জন্য কাউন্সিলে ডাকা হয়।

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, এদের ফরম ফিলাপের জন্য ১১ জুলাই থেকে বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট, রেজিস্ট্রেশন শাখা এবং ডেসপাচ শাখাগুলো খোলা রাখা হবে।

ভোগান্তি চরমে

বার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফরম ফিলাপের জন্য রামপুরা বাসা থেকে সকালে বের হন স্বপন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকসায় করে দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় কাউন্সিল ভবনে পৌঁছেন।

পথে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে জেরার মুখে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। অনুরোধ করে আসতে পেরেছেন গন্তব্যে।

তবে এত কষ্ট করে বার কাউন্সিলে যেতে পারলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শাটডাউনের মধ্যে শুক্র ও শনিবারের পাশাপাশি ব্যাংক রোববারও বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে টাকা জমা দেয়া যায়নি, ফরমও পূরণও হয়নি।

এরপর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে আবার রিকসা ভাড়া করে বাসায় ফেরত আসতে হয়েছে।

একই অভিজ্ঞতা শতাধিক পরীক্ষার্থীর।

তবে ঢাকার বাইরে থাকা এন নারী পরীক্ষার্থীর এক বছর বয়সী বাচ্চা আছে। এখন আছেন নওগাঁয়। গত বছর ভাইভাতে বাদ পড়েন। এবার আবার পরীক্ষায় অংশ নিতে চান।

যখন গাড়ি চলাচল বন্ধ, ঢাকায় ঢোকা নিষেধ, তখন কীভাবে তিনি আসবেন, সেটি জানেন না।

তিনি বলেন, ‘ছেলেরা তো না হলে বাইক দিয়ে যেতে পারবে। আমি শিশু সন্তান নিয়ে কীভাবে এই পরিস্থিতির মধ্যে যাব। এটি বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ একবারও ভাবলে না!’

আরেক পরীক্ষার্থীর বাড়ি ফেনীতে। শাটডাউন দেয়ার আগেই চলে যান সেখানে।

তিনি বলেন, ‘গাড়ি তো চলে না। ঢাকায় যাব কীভাবে। এ অবস্থায় মহাবিপদে পড়েছি মনে হচ্ছে।’

এ নিয়ে বার কাউন্সিলের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি প্রতিষ্ঠানটির সচিব।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সোহেল এই সময়ে বার কাউন্সিলের পরীক্ষা নেয়া আর ফরম পূরণের জন্য ডাকাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন পঞ্চগড় থেকে একজন কীভাবে আসবে? সড়কে গাড়ি বন্ধ, লঞ্চ বন্ধ, ফেরি বন্ধ। এ অবস্থায় বার কাউন্সিল পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তো মনে হয় না।’

বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যে কোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয়বার অংশ নেয়ার সুযোগ পান।

সে অনুসারে ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবার লিখিত পরীক্ষা দিতে পেরেছেন।

২০২০ সালে ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবী নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে পাস করেন ৮ হাজার ৭৬৪ জন। তাদের সঙ্গে গতবার বাদ পড়াসহ মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ও চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় লিখিত পরীক্ষা হয়। ১৯ ডিসেম্বরের পরীক্ষায় পাঁচটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে সেগুলোতে পরীক্ষা স্থগিত হয়। পরে এই পরীক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দফায় লিখিত পরীক্ষা দেন।

লিখিততে উত্তীর্ণরা এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এখানে পাস করলেই আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশাগত কাজ শুরু করবেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

আইনজীবী নিবন্ধনের পরীক্ষা বছরে দুটি হওয়ার কথা। কিন্তু সবশেষ পরীক্ষা হয়েছে ২০১৭ সালে। এ কারণে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ আছে। কারণ, পরীক্ষা ছাড়া আইন পেশায় যুক্ত হওয়া যায় না। কেবল অন্য আইনজীবীর সঙ্গে ‘শিক্ষানবিশ’ হিসেবে যুক্ত থাকা যায়। আর এ অবস্থায় আয়ের সুযোগ একেবারেই সীমিত। ‘সিনিয়র’ আইনজীবী তার ইচ্ছামাফিক যত টাকা দেন, তার ওপরই নির্ভর করতে হয়।

আরও পড়ুন:
শাটডাউনে বার কাউন্সিলের এ কেমন সিদ্ধান্ত
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফল প্রকাশ শনিবার
করোনা: বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ১৪ পদে লড়ছেন ৫১ প্রার্থী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
In the future the media will also be included in the visa policy Peter Haas

আগামীতে ভিসানীতিতে পড়বে গণমাধ্যমও: পিটার হাস

আগামীতে ভিসানীতিতে পড়বে গণমাধ্যমও: পিটার হাস পিটার হাস। ফাইল ছবি
পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা এসেছে। আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।’

সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পর আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

রোববার বেসরকারি ‘চ্যানেল ২৪’-এর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা এসেছে। আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।’

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগে পররাষ্ট্র দপ্তর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধী ব্যক্তিরা।

ভিসানীতি প্রয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, (গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী) এসব ব্যক্তি ও তাদের নিকটতম পারিবারিক সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এছাড়া একই অপরাধে জড়িত অন্য ব্যক্তিরাও ভিসানীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার হারাবেন। এদের মধ্যে আছেন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। সে সময় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অর্থ হিসেবে বলা হয়, ভোট কারচুপি, ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানো, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধাদান, রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, মিডিয়াকে মতপ্রকাশে বাধা দেয়া।

আরও পড়ুন:
অপমানজনক ভিসানীতির জন্য এককভাবে দায়ী সরকার: ফখরুল

মন্তব্য

জাতীয়
Bangabandhu Tunnel Toll Rate Final Awaiting Inauguration

উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোল হার চূড়ান্ত

উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোল হার চূড়ান্ত ফাইল ছবি
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘টানেলে যানবাহনগুলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে। টানেলের ধারণাটি আমাদের কাছে নতুন। এজন্য এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে দুই বা তিন চাকার গাড়ির জন্য এটি নিরাপদ।’

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। মূল টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি সজ্জিত।

দেশের প্রথম পানির নিচের এই টানেল এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে এই টানেলে চলাচল করা যানবাহনের টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: ইউএনবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে টানেলটি উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেবেন। পরদিন থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। বর্তমানে টানেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই অসাধারণ প্রকল্পের উদ্বোধন পানির নিচে টানেলের যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের সূচনা করছে। এই স্মরণীয় অর্জন দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে, যা জাতির জন্য গর্বের বিষয়।’

সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘টানেলটি প্রাথমিকভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। চলমান প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং থানা ভবনের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনসহ বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টানেল প্রকল্প কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘টানেলকেন্দ্রিক একটি পুলিশ স্টেশন, একটি ডাম্পিং এলাকা এবং একটি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গাও সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

‘উদ্বোধনের পরও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যারা এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত এবং যারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন তাদের নিজস্ব গাড়ি থাকবে।’

সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টানেল এলাকার অভ্যন্তরে এবং এর আশপাশে যানবাহন চলাচল পরিচালনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

‘টানেলে কী ধরনের যানবাহন চলবে তা ঠিক করা হয়েছে। টোলও নির্ধারণ করা হয়েছে। টানেলের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।’

সচিব বলেন, ‘টানেলের ধারণাটি আমাদের কাছে নতুন। এজন্য এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি অন্যান্য সেতু বা রাস্তা থেকে আলাদা। সেক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টানেলটি নিরাপদ থাকবে এবং যারা এটি ব্যবহার করবে তারাও নিরাপদে থাকবে।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে দুই বা তিন চাকার গাড়ির জন্য এটি নিরাপদ।’

টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহরের পরিধি বাড়বে।’

বদলে যাচ্ছে আনোয়ারা

টানেলের এক প্রান্ত চট্টগ্রাম শহর এবং অপর প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার দিকে। টানেলের উন্নয়ন আনোয়ারাকে একটি ক্রমবর্ধমান শহরে রূপান্তরিত করছে। একই সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলায় জমির দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের টার্মিনাসে যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কারখানা। টানেলটি চালু হলে কর্ণফুলী নদী পারাপারের সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩ মিনিটে।

টানেলের আদ্যোপান্ত

টানেলটি রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি পর্যটন নগর কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।

মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং দুটি চার লেনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার থাকবে।

টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে অবস্থিত।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম বা উত্তর টানেলের বোরিং শুরু হয়।

২০১১ সালে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ২০১৪ সালে একটি সমঝোতা স্মারকের পর ২০১৫ সালের ৩০ জুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে মোট ১০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। টানেলের নির্মাণ কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।

কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের অনুরূপ ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

টোল নির্ধারণ

৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহারে মোট ১২ ধরনের যানবাহনে টোল চার্জ দিতে হবে। প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টোল ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পিকআপ ট্রাককে প্রতি ক্রসিংয়ে ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ২৫০ টাকা টোল নেয়া হবে।

৩১টির কম আসনের বাসগুলোর ৩০০ টাকা এবং ৩২টির বেশি আসনের বাসগুলোর জন্য ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।

পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা দিতে হবে। তিন এক্সেল কনটেইনার ট্রেইলারের জন্য দিতে হবে ৮০০ টাকা।

চার এক্সেলের একটি ট্রেলারের টোল এক হাজার টাকা। তবে প্রতিটি অতিরিক্ত এক্সেলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে। টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালুর দিন থেকেই এ টোল হার কার্যকর হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Letter from CEC to EU assuring acceptable selection

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে ইইউকে সিইসির চিঠি

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে ইইউকে সিইসির চিঠি ফাইল ছবি
সিইসি বলেন. ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমি আপনার চিঠি পেয়েছি, যেখানে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব বলে আপনাকে আশ্বস্ত করছি। সরকারও বারবার নিজের জায়গা থেকে সহায়তা করার বিষয়ে অঙ্গীকার করছে। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ করবে।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে তিনি বলছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

২৩ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে সিইসি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমি আপনার চিঠি পেয়েছি, যেখানে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব বলে আপনাকে আশ্বস্ত করছি। সরকারও বারবার নিজের জায়গা থেকে সহায়তা করার বিষয়ে অঙ্গীকার করছে। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ করবে।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তবুও আসন্ন সাধারণ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে যেভাবেই সমীচীন বলে মনে করা হোক না কেন, সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

এর আগে চার্লস হোয়াইটলি এক চিঠিতে সিইসিকে লেখেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ। চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা পরিষ্কার নয় যে, নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলীয় পূরণ হবে কি না। তবে তারা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অন্যান্যভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামী নভেম্বরে ঘোষণা করা হতে পারে এবং ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হতে পারে।

মন্তব্য

জাতীয়
Many reputed Saudi companies want to invest in Bangladesh Envoy

সৌদির নামী অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়: দূত

সৌদির নামী অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়: দূত ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান। ছবি: ইউএনবি
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’

বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’

সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।

সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের ‍মূল গভীরে প্রোথিত।

আরও পড়ুন:
রাশিয়ার বন্ধু দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
নিজেদের ‘স্লো পিচে’ই ঘায়েল বাংলাদেশ
মিরপুরের স্লো উইকেটে ‘চ্যালেঞ্জিং টার্গেট’ দিয়ে অলআউট কিউইরা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ দেবেন না

মন্তব্য

জাতীয়
Light to moderate rain may occur over the country

হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়ে

হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়ে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের আট বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, তিনটিতে হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাংশে সক্রিয় ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না
ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
১০ জেলায় মৃদু দাবদাহ
দুই বিভাগে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা
সারা দেশে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা

মন্তব্য

জাতীয়
Prime Minister from New York to Washington

নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী

নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক থেকে সড়কপথে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান তিনি।

বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিউ ইয়র্কে তার আবাসস্থল দ্য লোটে থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।

প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়বেন। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন তিনি।

সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন। আগামী ৪ অক্টোবর তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘে ভাষণে রোহিঙ্গা, জলবায়ু প্রসঙ্গ তুলবেন প্রধানমন্ত্রী
সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সংকট এড়াতে ধনী দেশগুলোকে সৎ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে নারী মহাসচিব দেখতে চান শেখ হাসিনা
মহামারি প্রতিরোধে বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

জাতীয়
Not worried about US visa ban Foreign Minister

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অবশ্যই অন্যদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, তবে আমরা চিন্তিত নই। কারণ আমরা জানি কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়।’

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয় বলে আল জাজিরার কাছে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

সংবাদমাধ্যমটিকে শনিবার তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক দেশ। আমরাও তাই।’

অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সক্ষম বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, মোমেনের বক্তব্যে তার প্রতিফলন দেখা গেছে।

তিনি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অবশ্যই অন্যদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, তবে আমরা চিন্তিত নই। কারণ আমরা জানি কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়।’

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খর্ব করায় দায়ী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের কথা বৃহস্পতিবার জানায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

ওই ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভিসা রেকর্ড গোপনীয় বিষয় হওয়ায় নিষেধাজ্ঞায় পড়া লোকজনের নাম প্রকাশ করেনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

এমন বাস্তবতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল জাজিরাকে বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা উদ্বিগ্ন নন। কারণ তাদের বেশির ভাগ এই ‘উন্নত দেশে’ বসবাস করতে চান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভোটাররাও চিন্তিত নয়। কারণ তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা একেবারেই ভাবছে না।’

আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রশংসা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের
সরকার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকেলে ঢাকায় আসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিবৃতিদাতাদের জানার সঙ্গে প্রকৃত ঘটনার ফারাক রয়েছে
ঢাকা বহুমাত্রিক সমাধান খুঁজতে জি-২০-এর সঙ্গে কাজ করতে চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে