× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
তুরস্ক থেকে কী অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ
google_news print-icon

তুরস্ক থেকে কী অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ

তুরস্ক-থেকে-কী-অস্ত্র-কিনছে-বাংলাদেশ
তুরস্কের টি থ্রি জিরো জিরো মিসাইলটি বেশ কার্যকর অস্ত্র হিসেবে ধরা হয়
তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান গত ফেব্রুয়ারিতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশটি থেকে ড্রোন প্রযুক্তি আমদানিতে ঢাকার আগ্রহের কথা জানান। ডিফেন্সিয়া ডট নামে সামরিক একটি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে এয়ারক্রাফট, এরিয়াল ভেহিক্যাল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আর্মার্ড ভেহিক্যাল, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, আর্টিলারি সিস্টেম, ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারকেয়ার সিস্টেম, রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম ক্রয়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

গত ডিসেম্বরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেবলুত সাবুসোলুর ঢাকা সফরের প্রধান লক্ষ্যই ছিল অস্ত্র বিক্রি। সে সময় আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হলো, সে বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকেই মেলেনি বক্তব্য। তবে ছয় মাস যেতে না-যেতেই দুই পক্ষে হলো চুক্তি।

২৯ জুনের এই চুক্তির পর বিবৃতিতে বলা হয়, অস্ত্র আসবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

তবে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আর তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য থেকে বাংলাদেশ কোন ধরনের অস্ত্র আনবে, সে বিষয়ে কিছু আভাস পাওয়া যায়।

তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান গত ফেব্রুয়ারিতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশটি থেকে ড্রোন প্রযুক্তি আমদানিতে ঢাকার আগ্রহের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘তুরস্কের ড্রোন বিশ্বমানের। প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা ভবিষ্যতে আধুনিক সরঞ্জাম নেয়ার বিষয় বিবেচনা করতে পারি।’

সেনা প্রশিক্ষণেও বাংলাদেশের আগ্রহ আছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা লাভবান হবেন।’

বাংলাদেশ চীন, ইতালি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সার্বিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিতে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করে। সুইডেনভিত্তিক সিপরির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে বড় রেঞ্জের মিসাইল কিনছে।

তুরস্ক থেকে কী অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ
গত ডিসেম্বরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে অস্ত্র কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়

টিআরজি থ্রি জিরো জিরো নামের মিসাইল সিস্টেমটি জুনের ২১ তারিখে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয় বলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে।

২০১৯ সালেও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীও মিসাইল সিস্টেম কিনেছে দেশটি থেকে।

ডিফেন্সিয়া ডট নামে সামরিক একটি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে এয়ারক্রাফট, এরিয়াল ভেহিক্যাল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আর্মার্ড ভেহিক্যাল, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, আর্টিলারি সিস্টেম, ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারকেয়ার সিস্টেম, রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম ক্রয়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা সফরে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের তৈরি অস্ত্র মানসম্পন্ন এবং দামে কম। বাংলাদেশ এই অস্ত্র কিনে লাভবান হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি সামরিক খাতে বাংলাদেশকে যৌথ বিনিয়োগেরও প্রস্তাব দেন।

সেদিন বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা চায় জানিয়ে তুর্কি মন্ত্রী বলেন, ‘তুরস্কের যুদ্ধাস্ত্র বিশ্বের অন্যতম সেরা, দাম কম, কোনো আগাম শর্ত নেই। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে লাভবান হবে।’

তুরস্ক থেকে কী অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ
তুরস্ক যেসব অস্ত্র রপ্তানি করে তার মধ্যে এই সাঁজোয়া গানটি অন্যতম

এর পরই দেশটিতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান তুরস্ক থেকে উচ্চপ্রযুক্তির ড্রোনসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ঢাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এরই মধ্যে গত ২৯ জুন আঙ্কারায় তুরস্কের সঙ্গে ‘উল্লেখযোগ্য’পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’পূরণের অংশ হিসেবে গত ২৯ জুন আঙ্কারায় এ চুক্তি হয়।

অনুষ্ঠানে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান ও ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তুরস্কের অস্ত্রের ক্রেতা তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আবর আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন। এ ছাড়া পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, তিউনিসিয়াও।

তবে দেশটির অস্ত্রের সবচেয়ে বড় বাজার তুর্কমেনিস্তান ও আজারবাইজান। এর পরই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার তুরস্ক থেকে বেশি অস্ত্র কিনে থাকে।

এই অস্ত্র কেনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যদি কোনো সিঙ্গেল কান্ট্রি থেকে অস্ত্র কিনি, তাহলে যেকোনো সময়ই এতে বিপদ হতে পারে। একটা সোর্স থেকে কিনলে যেকোনো সময় যদি ওই সোর্স অসহযোগিতা করে, তাহলে বিপদে পড়তে হয়। অনেক সোর্স থেকে তা কিনলে একটি সোর্স বন্ধ হয়ে গেলেও অন্য সোর্স থেকে তা পাওয়ার সুযোগ থাকে। এ জন্য আমরা বিভিন্ন সোর্স তৈরি করছি। আমি বলব, এটা আমাদের দেশের জন্য ভালোই।’

তিনি মনে করেন, তুরস্কের অস্ত্র বাংলাদেশকে বলিয়ান করবে, বিশেষ করে মিয়ানমারের চাপ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ‘তুরস্ক থেকে সম্প্রতি যে অস্ত্র আমাদের দেশে এসেছে, তার একটি হাইরেঞ্জের (দূরপাল্লার) রকেট লঞ্চার, যার রেঞ্জ সম্ভবত ১২০ মাইল, যা কখনোই আমাদের কাছে ছিল না। রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পরে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সে জন্য অস্ত্র কেনার সময় এ বিষয়টি মাথায় রেখেই সেনাবাহিনী তাদের অস্ত্র কিনবে। যাতে মিয়ানমারের কাছে যে অস্ত্র আছে, আমাদের অস্ত্র যেন কমপক্ষে তাদের সমান মানের বা ছাড়িয়ে যায়।’

তুরস্ক থেকে কী অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ

আরেক সামরিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলি শিকদার বলেন, ‘তুরস্ক থেকে এই প্রথম আর্মস কেনা হচ্ছে, তা কিন্তু না। আশির দশকে আমরা যখন সেনাবাহিনীতে ছিলাম, তখনও কিন্তু তা কেনা হয়েছে, বিশেষ করে ভারী অস্ত্র; যাকে আমরা আর্টিলারি গান বলি। আমরা তা ব্যবহারও করেছি।

‘তুরস্ক কিন্তু ন্যাটোভুক্ত দেশ। তারা ইউরোপের অংশ। তাদের অস্ত্রের টেকনোলজির উৎস হলো ইউরোপ। অস্ত্রের কার্যকারিতা নির্ভর করে তার ব্যবহারের ওপর। তারা অস্ত্র উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী উল্লেযোগ্য ও পরীক্ষিত।’

আবদুর রশীদের মতো তিনিও একাধিক দেশ থেকে অস্ত্র আনার পক্ষে। বলেন, ‘আমাদের অস্ত্রের সোর্সের ডাইভারসিফিকেশন থাকতে হবে। আমরা চায়নার ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। তুরস্ক থেকে যে অস্ত্র আসছে, তা আমাদের জন্য বড় ধরনের সুযোগ। তুরস্ক নতুন সোর্স হিসেবে আমাদের জন্য ভালোই হবে।’

তুরস্ক কী সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে

গত এক দশকে তুরস্কের সামরিক শিল্প অনেকটাই এগিয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ সামরিক খাত থেকে ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

দেশটি রস্ক ড্রোন, রকেট লাঞ্চার, স্বল্প পাল্লার মিসাইল, সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার, ট্যাংক ইত্যাদি উৎপাদন করছে। তাদের টি-ওয়ান টু নাইন হেলিকপ্টার একসঙ্গে আটটি অ্যান্টিট্যাংক মিসাইল, ১২টি নিয়ন্ত্রিত নিক্ষেপণযোগ্য রকেট ও অটোমেটিক গানের জন্য ৫০০টি গুলি বহন করতে পারে।

এই হেলিকপ্টার প্রচণ্ড গরম ও ঠাণ্ডায় বিরূপ পরিবেশে রাতের আঁধার বা দিনের আলোতে ভূমি থেকে অনেক উচ্চতায় অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম বলে গত ডিসেম্বরে ‘বিবিসি বাংলা’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টি-ওয়ান ফাইভ ফাইভ ফিরটিনা মিসাইল ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি এখনো আলোচনার পর্যায়ে আছে। তুরস্ক মূলত সামরিক ড্রোন, রকেট লঞ্চার, মিসাইল, হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, যুদ্ধজাহাজ ও ট্যাংক বিক্রি করতে চাইছে।

কতটা কার্যকর তুর্কি সামরিক সরঞ্জাম

‘বিবিসি বাংলা’র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি তুর্কি সমরাস্ত্রের বড় ধরনের ব্যবহার হয়েছে সিরিয়া ও নাগারনো কারাবাখের যুদ্ধে। তুরস্ক সিরিয়ার যুদ্ধে অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চে কুর্দিদের বিরুদ্ধে নিজস্ব সমরাস্ত্র ব্যবহার করে সফল হয়েছে। নাগারনো কারাবাখের যুদ্ধে আজারবাইজান তুরস্কের সরবরাহ করা ড্রোন ব্যবহার করে ফরাসি সহায়তাপুষ্ট আর্মেনিয়াকে পরাজিত করেছে।

তুরস্ক থেকে কী অস্ত্র কিনছে বাংলাদেশ
তুরস্কে একটি অস্ত্র প্রদর্শনীর চিত্র

তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত কিরিক্কিল প্রদেশে গড়ে উঠেছে তুর্কি সামরিক শিল্প। এখানে আছে মেকানিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন বা এমকেইকে। এই করপোরেশন বেশ কয়টি অস্ত্র কারখানা পরিচালনা করে। এই নগরীতেই ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তুরস্কের প্রথম বিশেষায়িত বাণিজ্যিক এলাকা ওআইজেড, যেখানে কেবল অস্ত্র কারখানাই থাকবে।

১৯৮০-এর দশকে বেশ কয়েকটি ন্যাটো সদস্যদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেরাই সমরাস্ত্র তৈরির উদ্যোগ নেয়। তুরস্ক তার একটি। প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে তারা দেশেই প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে।

২০০৩ সালে একে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর এই খাতে আরো বেশি গুরুত্ব দেয় দেশটি। শুরুতে সাঁজোয়া যান দিয়ে শুরু করলেও এখন ট্যাংক, মিসাইল, রকেট লঞ্চার, ড্রোন সবকিছুই তৈরি হচ্ছে তুরস্কের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে।

স্থলযুদ্ধের বিভিন্ন উপকরণ নির্মাণ দিয়ে শুরুর পর যুদ্ধজাহাজ, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এমনকি সর্বাধুনিক ফাইটার জেটও নির্মাণ করছে তারা। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের বিভিন্ন প্রযুক্তিও উৎপাদন করছে দেশটি। ২০২০ সালের শেষ দিকে এসে দেশটির দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে টর্পেডো উৎপাদনের ঘোষণাও দিয়েছে। হেলিকপ্টার ড্রোন, মনুষ্যবিহীন নৌযানেরও সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। বর্তমানে তারা মনোযোগ দিয়েছে মনুষ্যবিহীন সাঁজোয়া যান, আন্ডারগ্রাউন্ড অ্যান্ড টানেল ওয়ারফেয়ার উইপন্স এবং ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদনে।

আরও পড়ুন:
অস্ত্র কিনতে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি
বাংলাদেশিদের জন্য তুরস্কের দরজা বন্ধ
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ: এরদোয়ান
তুরস্কে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি ঘনমিটার গ্যাসের সন্ধান
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে চায় তুরস্ক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Demonstration program of Dinajpur education board employees on various demands

বিভিন্ন দাবিতে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন

বিভিন্ন দাবিতে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন

শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির পদে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের প্রতিবাদে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের স্থায়ী কর্মচারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকালে কর্মচারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের মূল দাবি হলো, অবিলম্বে প্রেষণে দেওয়া ওই কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য এই পদে যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন-এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. মওদুদুল করিম (বাবু), মুজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মচারীরা। তারা বলেন, যে পদটি সম্পূর্ণভাবে বোর্ডের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত, সেখানে প্রেষণে প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন করছে এবং পদোন্নতির সুযোগকে সীমিত করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন মো. আহসান হাবিবের সমর্থকেরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ নিয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মো. আহসান হাবীব তিনি আজ সহকারী কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদান করতে এসেছিলেন, সেটি ১০ম গ্রেডের পদ, তিনি ৯ম গ্রেডে চাকরি করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে পদটি প্রথম শ্রেণির পদ নয়। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে আমাদের কর্মচারীরা বাঁধা সৃষ্টি করে। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

চেয়ারম্যান আরও জানান, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনার জেরে শিক্ষাবোর্ডে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Diwali festival in Jhalkathi gathers thousands of people

ঝালকাঠিতে দীপালি উৎসব হাজারো মানুষের সমাগম

ঝালকাঠিতে দীপালি উৎসব হাজারো মানুষের সমাগম

ঝালকাঠির পৌর শ্মশানঘাটে রোববার সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্বালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় মৃত স্বজনদের পছন্দের খাবার তাদের সমাধিতে উৎসর্গ করা হয়।

ঝালকাঠি পৌর শ্মশান কমিটির সভাপতি নির্মল চন্দ্র দে তরনী জানান, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের তিথিকে ভূতচতুর্দশী তিথি বলা হয়ে থাকে। রোববার সন্ধ্যায় তিথি শুরু হয়েছে এবং আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বিকেল থেকেই সনাতনসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও শ্মশানঘাট প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকে। দিপাবলী উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনে হাজারো মানুষের পদচারণ থাকে এখানে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অলোক সাহা জানিয়েছেন, ‘দীপালি উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার সমাধির এই শ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সদর থানা পুলিশ, র‍্যাবসহ সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে। পাশাপাশি আছেন শ্মশান রক্ষা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।'

বিধান রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাবার সমাধিতে মোমবাতি, আগরবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে স্মরণ করতে এসেছি। তিনি মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন, তার সমাধিতে নানা ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে উৎসর্গ করেছি।’

শ্মশান এলাকায় অনেককে কীর্তন করতে দেখা গেছে। কেউবা অশ্রুসজল চোখে স্মরণ করেন হারানো প্রিয় মানুষটিকে।

বিকেলে অল্প সংখ্যাক লোকজন থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধা নদীর তীরে পৌর শ্মশানঘাটে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সমাগম বাড়তে থাকে।

রাতে দিপালী উৎসব পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান এবং পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়। উৎসব চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজ নেন পুলিশ সুপার।

এছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সদস্য সচীব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিনসহ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপিরএকটি প্রতিনিধি দল দীপালি উৎসবে এসে উপস্থিত সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Courtesy call at BGB BSF level at Atwari

আটোয়ারীতে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ

আটোয়ারীতে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজিবির আহ্বানে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন গিরাগাঁও বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৪০৯/২ এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রমজানপাড়া এলাকার শুন্যরেখায় এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মনিরুল ইসলাম ও বিজিবি, এমএস, পিএসসি, এসি ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানজির আহমেদ।

তার সঙ্গে ছিলেন স্টাফ অফিসারসহ মোট ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। অপরদিকে বিএসএফ-এর পক্ষে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ১৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট শ্রী অজয় কুমার শুকলা ও বিএসএফ ১৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট রাজেশ বোহরা।

সৌজন্য সাক্ষাতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষা, সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ, মানব পাচার, গরু পাচার রোধ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, পুশইনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়াও শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে চোরাকারবারীরা সুযোগ নিতে পারে। সাক্ষাতে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও চোরাচালান রোধে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতের শুরুতে বিজিবি- বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ে কুশলাদি বিনিময় করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
No legal bar to give Shapla symbol to NCP Sarjis Alam

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।

এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।

মন্তব্য

জাতীয়
Price of fish and vegetables in Khulna market

খুলনার বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম

খুলনার বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম

খুলনার বাজারে কমছে না সবজির দাম। মাছের দামও কমেনি। সবজি ও মাছের চড়া মূল্যের কারণে ক্রেতাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি সরবরাহ না থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। রোববার খুলনার নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, খালিশপুর বাজার ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো ১২০, পটল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০ ও কচুমুখী ৪০ টাকা কেজি, চায়না গাজর ১৪০, মোটা গোল বেগুন ১২০ ও শসা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০, শিম ১২০-১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৭০, চিকন বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢেড়স ৭০-৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২৮০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে ও খাসির মাংস ১,১৫০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে, রুই মাছ আকারভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা দরে, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, পাঙাশ মাছ ১৬০-২০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। নতুন সবজি বাজারে উঠলেই দাম অনেকটা কমে যাবে। মাঝে সবজির দাম ১০-১৫ টাকা কেজিতে কমলেও বৃষ্টি হওয়ায় ফের দাম বেড়েছিল। তবে বাজারে সবজির সরবরাহ কম; কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সবুজ মোল্যা বলেন, ‘শীতকালীন কিছু সবজি উঠলেও এখন চড়া দাম। পাইকার বাজারেও দাম অনেক বেশি। এ জন্য অল্প-স্বল্প সবজি উঠাচ্ছি। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কম কম সবজি ক্রয় করছেন।’

নিউমার্কেট বাজারে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর মাছের দামে তো আগুন। সামুদ্রিক মাছের দামও হুহু করে বেড়েছে। এমন চড়া দামে মাছ-সবজি কেনা অনেক কষ্টকর। কোনো সবজি ৫০ টাকার নিচে নেই।’

পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী কামাল মিয়া বলেন, ‘সবজির আমদানি কম থাকলে দাম একটু বেশি থাকে। আর গত কয়েক মাস ধরে তো বৃষ্টির কারণে সবজি নেই বললেই চলে বাজারে। শীতকালে একটু বাজারের পরিবেশ ঠাণ্ডা হতে পারে। তবে আমাদের সবজির দাম বেশি রাখার কোনো সুযোগ নেই।’

মন্তব্য

জাতীয়
The era of two story building is disappearing due to the touch of technology

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে দোন-সেঁউতির যুগ

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে দোন-সেঁউতির যুগ মাগুরার শালিখা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় দোন-সেঁউতি দিয়ে এভাবেই সেচ দেওয়ার কাজ করত কৃষক। সংগৃহীত

বাংলার গ্রামীণ কৃষিজীবনে একসময় ছিল দোন আর সেঁউতির রাজত্ব। বাঁশ, কাঠ, দড়ি ও মাটির কলস বা টিনের পাত্র দিয়ে তৈরি এই সেচযন্ত্রগুলো ছিল কৃষকের অমূল্য সম্পদ। খাল, পুকুর কিংবা নদী থেকে পানি তুলে উঁচু জমিতে ফসল ফলাতে দোন ও সেঁউতির বিকল্প ছিল না। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন সেই ঐতিহ্যবাহী সেচব্যবস্থা হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।

মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া, বুনাগাতী, গঙ্গারামপুরসহ মাগুরার বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় দোন-সেঁউতি ছাড়া সেচ দেওয়ার কথা ভাবাই যেত না। ভোর কিংবা বিকেলে দল বেঁধে কৃষকরা যেতেন খাল বা নদীর ধারে। কেউ টানতেন সেঁউতি, কেউ চালাতেন দোন। দোলনার মতো দোন নড়াচড়া করত একদিক থেকে অন্যদিকে, আর তার সঙ্গে উঠত স্বচ্ছ পানি- যা ঢালা হতো ফসলি জমিতে।

দোনকল সাধারণত একটি লম্বা বাঁশ বা কাঠের সঙ্গে তৈরি হতো। এক প্রান্তে থাকত মাটির পাত্র বা টিনের কলস, অন্য প্রান্তে ভারসাম্য রাখার জন্য ভারী বস্তু। একজন মানুষ সহজেই এটি চালাতে পারতেন। অন্যদিকে সেঁউতি ছিল কিছুটা বড়, দোলনার মতো কাঠামো, যা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি পা দিয়ে চালাতেন।

এখন আর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায় না। বিদ্যুৎচালিত পাম্প আর ডিজেল ইঞ্জিনের আগমনে দোন-সেঁউতি হারিয়েছে জীবনের বাস্তবতা, টিকে আছে শুধু স্মৃতিতে।

শালিখার আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক শুকুর বিশ্বাস সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আগেকার দিনে মেশিন তো ছিল না। আমরা দোনে পানি তুলে জমি ভরতাম। সেই সময়ের পরিশ্রম, মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ- সব হারিয়ে গেছে। এখন মেশিনে সব হয়, কিন্তু মানুষের মধ্যে সেই একতা নেই।’

বুনাগাতীর দেশমুখপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের সময়ে খাল থেকে দোনে পানি তুলে পাতোর ভুঁইতে দিতাম। একজনের কাজ শেষ হলে অন্যজনের জমিতে যেতাম। কাজটা কঠিন ছিল, কিন্তু সবাই মিলেমিশে করতাম বলে ক্লান্তি লাগত না। এখন এসব দেখে না নতুন প্রজন্ম।’

শ্রীপুর উপজেলার প্রবীণ কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে যখন মোটর বা ডিজেল পাম্প ছিল না, তখন দোন আর সেঁউতি দিয়েই আমরা জমিতে পানি দিতাম। দুজন মিলে দিনভর সেঁউতি টানলে জমি ভিজে যেত, ক্লান্তি থাকত কিন্তু তৃপ্তিও ছিল।

দোন ও সেঁউতি কেবল সেচযন্ত্র নয়- এগুলো ছিল গ্রামীণ জীবনের এক অনন্য ঐতিহ্য, যা মানুষের পরিশ্রম, সহযোগিতা আর আনন্দের প্রতীক হয়ে বেঁচে ছিল প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আজকের তরুণ কৃষকরা হয়তো জানেনই না। তাদের পূর্বপুরুষরা কীভাবে নিখুঁত দক্ষতায় জমিতে পানি দিতেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন কৃষিযন্ত্র দোন-সেঁউতি। একসময় এগুলোর ব্যাপক ব্যবহার ছিল; কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির কারণে তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।

এখন দোন-সেঁউতির শব্দ আর শোনা যায় না, দেখা যায় না খালের পাড়ে দোলায় দুলতে থাকা বাঁশের দণ্ড। তবু মাটির গন্ধে, পুরোনো কৃষকের কপালের ঘামে, আর তাদের স্মৃতিচারণে এখনো বেঁচে আছে সেই সোনালি দিনের কৃষি ঐতিহ্য।

মাগুরার মাটিতে তাই এখনো লুকিয়ে আছে এক চিরচেনা গল্প- যেখানে প্রযুক্তি জয় করেছে সময়কে; কিন্তু হারিয়ে গেছে গ্রামীণ জীবনের সোনালি এক অধ্যায়।

দোন-সেঁউতির ইতিহাস: দোন-সেঁউতির ইতিহাস মূলত বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি সেচ পদ্ধতির ইতিহাস। অতীতে, যখন আধুনিক যন্ত্র ছিল না, তখন কৃষক এই হাতে তৈরি পদ্ধতি ব্যবহার করে নদী, খাল বা জলাশয় থেকে জমিতে জলসেচ দিত। এটি একটি সরল; কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি ছিল যেখানে ‘দোন’ নামক বড় আকারের পাত্র ও ‘সেঁউতি’ নামক বিশেষ ধরনের নলের মাধ্যমে জল উত্তোলন করা হতো। প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে এখন এটি প্রায় বিলুপ্ত; কিন্তু গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এটি এখনো কিছু স্মৃতিতে বেঁচে আছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

p
উপরে