প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরে নবনির্মিত পিটিআই ভবনে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।
বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, মেহের আফরোজ চুমকি, নজরুল ইসলাম বাবু, শিরীন আখতার, ফেরদৌসী ইসলাম এবং মোশারফ হোসেন অংশ নেন।
বৈঠকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর জন্য নিয়োগবিধি দ্রুত চূড়ান্ত করার তাগিদও দেয়া হয়।
আগের বৈঠকেই শূন্য পদে নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পদের বিপরীতে জনবল নিয়োগবিধি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। নিয়োগবিধি প্রণয়ন চূড়ান্ত হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া গতিশীল হবে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষক ও জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে নিয়োগবিধি দ্রুত চূড়ান্ত করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে ঢাকা মহানগরীর ১২টি থানার নির্বাচিত ১৬০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে যেসব বিদ্যালয় স্থাপনে জটিলতা নেই, সেসব বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মাণের কাজ শুরুর সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরবরাহের জন্য ল্যাপটপ ও কম্পিউটার সামগ্রী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কেনা ও সরবরাহের জন্য বলা হয়।
আরও পড়ুন:জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মানসিক সমস্যায় পড়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশই মনে করেন এর পেছনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ভূমিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে আবার ২৬ দশমিক ১ শতাংশ এই মানসিক সমস্যার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকে পুরোপুরি দায়ী করেছেন।
ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই অবসর কাটাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং অনেকেই আসক্তি অনুভব করছেন।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া ব্যক্তিজীবনের প্রভাব, আচরণগত প্রভাবসহ নানা বিষয়ও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
শনিবার আঁচল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব: কতটুকু সতর্ক হওয়া জরুরি’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। অনলাইন মাধ্যমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষার ফল তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস ইউনিটের সদস্য ফারজানা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ হয়েছে। সমীক্ষায় ১৭৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন, যার মধ্যে নারী ৪৯ দশমিক ৫ এবং পুরুষ ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের আছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা জীবনে কখনো না কখনো মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, এই সমস্যার পেছনে ইন্টারনেটের ভূমিকা রয়েছে।
মানসিক সমস্যার কারণ হিসেবে ইন্টারনেটকে পুরোপুরি দায়ী মনে করেন ২৬ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর মোটামুটি দায়ী ভাবেন ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থীর বয়স ১৬ থেকে ১৯ বছর, ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর এবং ১০ দশমিক ৫ শতাংশের বয়স ২৬ থেকে ৩০ বছর। এসব শিক্ষার্থীর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ অপরিমিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
সমীক্ষা বলছে, পড়াশোনার কাজে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কিন্তু পড়াশোনার ফাঁকে অনলাইনে প্রবেশ করলে ৫২ দশমিক ৬ শতাংশের পড়াশোনার মনোযোগ হারিয়ে যায়।
জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি তাদের পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট করছে। ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে সময় ব্যয় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ‘প্রচণ্ড নেতিবাচক’ প্রভাব ফেলছে এবং ৫৭ দশমিক ২ শতাংশের স্বাভাবিক জীবনে ‘কিছুটা নেতিবাচক’ প্রভাব ফেলছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা জানিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন। জরিপে শিক্ষার্থীদের ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার তাদের আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে। এ ছাড়া ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ বলেছেন, অযাচিত কাজে সময় নষ্ট হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশের প্রতিদিন পরিমিত ঘুম হয় না। তাদের মধ্যে ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিমিত ঘুম না হওয়ার পেছনে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে পুরোপুরিভাবে দায়ী করেছেন।
পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির বিষয়ও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। শিক্ষার্থীদের ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি বা যৌন উত্তেজক বিষয়-সম্পর্কিত ওয়েবসাইট দেখেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের প্রভাব
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। অন্যের সফলতা ১০ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মনে হতাশার সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যম থেকে জানা অন্যের সফলতার খবর ১০ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ঈর্ষাকাতর করে তোলে এবং ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ নিজেকে নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। অন্যদিকে, ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এ ধরনের খবর থেকে উৎসাহিত হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। জরিপের তথ্য অনুসারে ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর ধৈর্যশক্তির হ্রাস ঘটে, ২৬ শতাংশ হঠাৎ রেগে যান, ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ চুপচাপ হয়ে যান। অন্যদিকে, ৩০ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, তারা যখন অফলাইনে থাকেন তখন একাকিত্বে ভোগেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মানসিক সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে মানসিক অসুস্থতা তৈরি হয়। শিক্ষার্থীদের বড় অংশই সৃজনশীল কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তাদের কাছে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক চর্চাও আগের চেয়ে কমে গেছে।’
সমস্যা সমাধানে আঁচল ফাউন্ডেশন কিছু সুপারিশ করেছে, ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল লিটারেসি প্রোগ্রাম’ চালু করা, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা, খেলাধুলা ও ব্যায়ামাগারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার বিপ্লব চন্দ্র সরকার এবং টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন মারুফ আহমেদ খান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য পদে দ্বিতীয়বার নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
গত ৭ জুন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপাচার্য ড. এইচ এম জহিরুল হকের নেতৃত্বে কোষাধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজুল হক এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এ এস এম জি ফারুক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
সৌজন্য সাক্ষাতে তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
তিনি এর আগেও চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে কর্মরত অবস্থায় তিনি শিক্ষার গুনগত মানে অনেক অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে অনলাইন কার্যক্রম প্রবর্তন এবং এর ধারা অব্যাহত রাখা অন্যতম।
এর আগে ড. হোসেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ চিটাগং এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ড. হোসেন তার রাশিয়া থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। আমেরিকার পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করেন।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা ১৮ জুন শুরু হবে। চলবে ২২ জুন পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভর্তি পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী, ১৮ জুন কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ‘সি ইউনিট, ইনস্টিটিউট অফ বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সি-১-এর নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
১৯ জুন সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে এবং একই দিন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে।
গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২০ জুন।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২১ ও ২২ জুন।
এ ছাড়া ২৩, ২৪ ও ২৫ জুন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম বিলুপ্তসহ তিন দাবিতে অনশনকারী শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয় আট দিন পর অনশন ভেঙেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলম স্বাক্ষরিত লিখিত আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পানি পান করে তিনি অনশন ভাঙেন।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সামিউলকে তার জন্য বরাদ্দকৃত মীর মশাররফ হোসেন হলের ৪১৭ নম্বর কক্ষে পৌঁছে দেন প্রাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তার কক্ষে থাকা অছাত্র সবুজ রায়কে হলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বের করে দেয়া হয়।
প্রত্যয়ের লিখিত বিষয়গুলো ছিল হলের সকল কক্ষের শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যার হিসাব তালিকা তৈরি করা, হলের যে কক্ষগুলো ফাঁকা ১৫ দিনের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে সেগুলো সিলগালা করা, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আসনগুলোতে বৈধ শিক্ষার্থীদের দেয়া, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হলের মেয়াদোত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগে বাধ্য করা এবং প্রত্যেকটা কাজের আপডেট দেয়া। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কাজগুলো করা না হয় তাহলে হল প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবে বলেও লিখিত দেয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রত্যয় বলেন, ‘আমি সাত দিন ধরে আমার দাবিগুলো নিয়ে অনশন করেছি। আমার দাবি তিনটির কার্যক্রম শুরুর দৃশ্যমান রূপ আমি দেখতে চেয়েছিলাম। প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আমাকে গত কয়েক দিনের কার্যক্রম দেখিয়েছেন। তিনি এক মাস সময় নিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর আমার দাবিগুলো যাতে রাজনৈতিক রূপ না নেয়, সেজন্য প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনশন ভেঙেছি।’
এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, ‘আজ সকালে সামিউল একজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আলোচনার সাপেক্ষে অনশন ভেঙেছেন। তিনি এখন তার জন্য বরাদ্দ করা কক্ষে অবস্থান করছেন।’
প্রত্যয় গত মাসের ৩১ তারিখ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের খেলার মাঠে অনশনে বসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। তার দাবিগুলো ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অছাত্রদের হল থেকে বের করা, গণরুম বিলুপ্ত করা ও মিনিগণরুমে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বৃহস্পতিবার এ সূচি প্রকাশ করেছে।
সূচিতে জানানো হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।
বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা।
বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে তাদের আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট। ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় থাকবে আড়াই ঘণ্টা।
সূচিতে বলা হয়, বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ করে সোহেল মাহমুদ নামের ব্যাংক কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক এবং কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বৃহস্পতিবার সকালে আল হাদিস ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর আগে বুধবার সকালে কুষ্টিয়া হাউজিং ডি ব্লক আবাসিক এলাকায় হাঁটতে বের হওয়ার সময় প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ওই শিক্ষকের অভিযোগ, সোহেল তাকে পরিবারসহ শহর ছাড়তে বলেন। তা না হলে প্রাণনাশ করা হবে বলেও হুমকি দেন।
আহত অবস্থায় মোস্তাফিজকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংকের কুষ্টিয়ার চৌড়হাস শাখার কর্মকর্তা। ইবি শিক্ষক ও তিনি কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের ডি ব্লক এলাকায় থাকেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি ও রেজিস্ট্রার বরাবর আলাদা তিনটি অভিযোগ করেন ইবির শিক্ষক।
মারধরের অভিযোগের বিষয়ে ইবি শিক্ষক মোস্তাফিজ বলেন, ‘বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল সোহেল। সেদিন সকালে একা পেয়ে আমার ওপর হামলা চালায় সে।
‘আমার হাতের আঙুলের অবস্থা খুবই খারাপ। মুখে, গলায়ও আঘাত করা হয়েছে।বিষয়টি শিক্ষক সমিতি ও প্রক্টরিয়াল বডিকে জানিয়েছি। তারা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবেন।’
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল। তিনি আমার অফিসের ডিজিএমের কাছে আমার নামে নানা অভিযোগ করেছেন, কিন্তু আমি মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক শাহেদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ওই শিক্ষক তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন, তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।
ইবির শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, এর আগেও তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক কুষ্টিয়ার হাউজিংয়ের ডি ব্লকে বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাধা দেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ। পরে তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভায় অভিযোগ করলে সার্ভেয়ার এসে বিষয়টির মীমাংসা করে দেন। কিন্তু এরপরে কাজ শুরু করলে আবারও ওই শিক্ষকদের হুমকি দিতে থাকেন তিনি। গত বছরের জুলাই মাসে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে সোহেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক।
আরও পড়ুন:তীব্র দাবদাহে প্রাথমিকের পর এবার মাধ্যমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ বাস্তবায়িত হবে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের সতর্কতার কারণে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কার্যক্রম আগামী ৮ জুন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে আগামী শুক্র ও শনিবার মিলে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তিন দিন ছুটি পাচ্ছে।
গত ৪ জুন তীব্র দাবদাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এ ৪ দিন শিশুদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে না।
এ বিষয়ে দেওয়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহের কারণে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবহাওয়ার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য