ছয় মাসের মধ্যে চীনের সাংহাই বা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের মতো ঢাকার বিমানবন্দর সড়কটি দৃষ্টিনন্দন করে ডিজিটাল সড়কে রূপান্তরের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শুরুতে।
তবে ২০২১ সালের জুন মাসের শেষ দিকে এসেও শেষ হয়নি ‘বনানী ওভারপাস থেকে বিমানবন্দর মোড় সৌন্দর্যায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে, তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
চীনের ফুজহৌ রিয়েলিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এ কাজ করছে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিতর্কের মুখে কয়েক বছর আগে প্রকল্পের আওতায় বনসাই লাগানোর কাজ বন্ধ করে দেয় তারা।
তবে বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারে চলতে থাকে শোভাবর্ধন ও ডিজিটাল সড়কে রূপান্তরের কাজ।
প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প চলমান হওয়ায় সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই দুটি মেগা প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত সড়কটিকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রূপ দেয়া ও এর সৌন্দর্যবর্ধন সম্ভব হচ্ছে না।
বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের জুনে। আর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত) কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের মার্চ থেকে এপ্রিলে।
এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের জুন মাসের আগে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিউজবাংলাকে তারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে র্যাডিসন হোটেলের সামনে শুরু হয় সৌন্দর্যবর্ধনের পাইলট প্রকল্প। সেটি সফল হওয়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ‘বনানী ওভারপাস থেকে বিমানবন্দর মোড় সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প’ নামের এই প্রকল্প শুরু হয়। ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ শুরু করে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ।
পুরো কাজ তত্ত্বাবধানে আছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ তাদের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) ফান্ড থেকে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা জানায়।
সওজের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, বাস্তবায়নের পর ১০ বছর পর্যন্ত প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। সে জন্য বছরে ৫ কোটি টাকা হিসাবে ১০ বছরে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সব মিলিয়ে প্রকল্পটির জন্য সিএসআর ফান্ড থেকে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে প্রতিষ্ঠানটি। বিনিময়ে প্রকল্প উদ্বোধনের পর থেকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে তারা দোকান ও বিজ্ঞাপন ভাড়া দিয়ে ‘কিছুটা’ খরচ তুলবে।
সম্প্রতি বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বনানী লেভেল ক্রসিং থেকে শুরু করে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি স্থানে যাত্রীছাউনি, বসার বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন ধরনের গাছও লাগানো হয়েছে।
এসবের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। কোথাও তোলা হয়েছে ভবনের ভিত্তি, কোথাও দেয়াল। এর কোনোটিতেই যত্নের কোনো ছাপ নেই।
ডিজিটাল সড়ক হিসেবে ওয়াইফাই সুবিধা থাকার কথা থাকলেও কোথাও ওয়াইফাই সংযোগ পাওয়া যায়নি। কোনো যাত্রীছাউনির কাজই শতভাগ শেষ হয়নি।
ছাউনিতে মোবাইল ফোনের চার্জের পয়েন্ট থাকলেও সেগুলো ঢাকা রয়েছে। কয়েকটি যাত্রীছাউনিতে রয়েছে ‘অত্যাধুনিক স্ক্রিন’, যেগুলোতে মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপন চলতে দেখা যায়।
প্রকল্প এলাকায় কয়েকটি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। রয়েছে আরও কিছু অবকাঠামো। তবে টয়লেটসহ এসব অবকাঠামো তালাবদ্ধ।
নিকুঞ্জ গেটের কাছে নজরে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি ভাস্কর্য, যার নাম ‘বীর’। তবে আর্মি গলফ ক্লাবের সামনে শেওড়া এলাকায় এবং বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সামনে কোনো ধরনের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চোখে পড়েনি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি ফার্মেসি এবং ঠিক বিপরীত পাশে একটি মিনি ফাস্টফুডের দোকান দেখা যায়।
ফার্মেসির এক কর্মচারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই দোকানের মালিক ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপের মালিক আবেদ মনসুর সাহেব। উনিই এটা দেখাশোনা করেন। আর ওই পাশের ফাস্টফুডের দোকানও মনসুর সাহেবের কাছের লোক চালায়।’
কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় সোহেল শাহরিয়ার নামে এক চাকরিজীবীর সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কর্মস্থল কারওয়ান বাজার আর বাসা কুড়িল কাজী বাড়ি এলাকায়। প্রতিদিনই আমাকে এখানে এসে বাসে উঠতে হয়। গত কয়েক বছর ধরেই দেখছি এখানে অর্ধেক কাজ করে রাখা হয়েছে।
‘যাত্রীছাউনি বানাইছে। কিন্তু কাজ শেষ করে নাই। পত্রিকায় দেখেছিলাম এই রেললাইনের ওপর একটা ওভারব্রিজ হবে। কই? হইল না তো। কয়েক বছর আগেই শুনেছিলাম, ছয় মাসেই নাকি এটা ডিজিটাল সড়ক হবে। কই? হইল না তো।’
ছয় মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৫৪ মাসেও কেন হয়নি, তা জানতে কথা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপের সিইও আবেদ মনসুরের সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প এলাকার কিছু জায়গায় থার্ড টার্মিনালের কাজ চলছে। কিছু জায়গায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ চলছে। কিছু জায়গায় রেলের কাজও চলছে। এসব জায়গা ছাড়া আমাদের প্রায় সব কাজই শেষ।
‘ওই সব জায়গায় আমরা কাজ করছি না। কারণ আজ কাজ ধরলে কালই দেখা যাবে মেগা প্রকল্পের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হচ্ছে। এতে শুধু শুধু টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না।’
ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপের সিইও আবেদ বলেন, ‘ওইগুলো হলো জাতীয় প্রকল্প। ওই প্রকল্প বন্ধ করে তো আর আমার এই ছোট প্রকল্পের কাজ করতে পারি না। তা ছাড়া ওই সব প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ শুরু করার আগেই আমাদের জানিয়ে দিয়েছে কোথায় কোথায় তারা কাজ করবে। তাই ওই সব জায়গায় আমরা কাজ করিনি।
‘তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা যখন উপরের গার্ডারের কাজ শেষ করবে, তখন তাদের আর নিচে কাজ থাকবে না। তখনই আমরা আমাদের কাজ শেষ করব।’
সব মিলিয়ে খুব সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে বলে দাবি করেন তিনি।
আবেদ মুনসুর বলেন, ‘প্রকল্পটি আমরা আমাদের কোম্পানির সিএসআর ফান্ড থেকে বাস্তবায়ন করছি। তাই আমরা এখানে আমাদের লাভ-লোকসানের কথা ভাবি না।’
প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই দোকান ভাড়া আর বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ফার্মেসিও আমাদের সিএসআর ফান্ডের টাকায় করা। এখানে কমন কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো আমাদের সবারই প্রয়োজন হয়।
‘সেগুলো আমরা এখানে অনেক কম টাকায় বিক্রি করি। যে বিজ্ঞাপন ভাড়া পাই, তা আমাদের মোট বিনিয়োগের তুলনায় খুবই সামান্য। এটা লাভের জন্য করছি না।’
আবেদ মনসুর বলেন, ‘এখানে আমরা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি ৯০ কোটি টাকায়। বছরে ৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
‘মোট ১০ বছর এই রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ আমাদের খরচ হবে ৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আমাদের খরচ হবে ১৪০ কোটি টাকা। এসবই আমাদের কোম্পানির সিএসআর ফান্ডের।’
প্রকল্পের পুরো কাজ তত্ত্বাবধানে আছে সওজ। বিভাগের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ চলার কারণে এসব এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে।
‘কোথাও পাইলিং হয়েছে, কোথাও পাইলিং হবে, যে কারণে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের অনেক জায়গায় অর্ধেক কাজ হয়ে পড়ে আছে। এই খোঁড়াখুঁড়ির মধ্যে তো আর আমরা এই কাজ করতে পারি না। মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে আমরা এই কাজ এগিয়ে নেব।’
প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার আগেই দোকান চালু ও বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ অনুমতি নিয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় সওজের প্রকৌশলীর কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে ওইভাবে আমাদের অনুমোদন নেই। কিন্তু যেহেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনেক টাকা ইনভেস্ট করছে, তাই তারা এটা করছে মনে হয়।’
প্রকল্পে যা যা হওয়ার কথা
‘বনানী ওভারপাস থেকে বিমানবন্দর মোড় সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প’ নামে বনানী লেভেল ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে ডিজিটাল সেবার সুবিধা রেখে অবকাঠামো স্থাপনের কথা রয়েছে।
এই সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন স্থানে থাকবে ১২টি মিনি পাহাড়ি ঝরনা। ফুটপাতে থাকবে দৃষ্টিনন্দন ফুল, সবুজ পাতার বাহার।
বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য থাকবে ১২টি ডিজিটাল যাত্রীছাউনি, যেখানে থাকবে ওয়াইফাই ও মোবাইল চার্জের সুবিধা। থাকবে বিশুদ্ধ পানিও।
কয়েকটি ব্রেস্ট ফিডিং পয়েন্ট থাকবে সড়কের পাশে। থাকবে ডিজিটাল পুলিশ বক্সও।
নিকুঞ্জ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত থাকবে সাইকেল লেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রকাশ থাকবে সড়কের তিনটি ভাস্কর্যে।
নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকবে বিজ্ঞাপনের ডিজিটাল বিলবোর্ড, ডিজিটাল ডাস্টবিন, ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন, স্বয়ংক্রিয় ধুলা পরিষ্কারের যন্ত্র, এলইডি স্ট্রিট লাইট, এলইডি অর্নামেন্টাল গার্ডেন লাইট।
নিকুঞ্জ অংশে শিশুদের জন্য থাকবে কিড জোন। পুরো সড়ক থাকবে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতায়।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই চবিতে ঈদের উৎসব বিরাজমান। শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাটলে ও বাসে এসে সবুজের রাজ্য খ্যাত চবি ক্যাম্পাসে নামছেন। সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। ভোট প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন হাতে ছবি, ভিডিও নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেছেন। তবে এসব আনন্দের অংশ হতে পারেনি ২৪২ জন ভোটার।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন এবং হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকেই চবি ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুর পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চলতে থাকে। ভোট প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করেন।
তবে এই আনন্দের অংশ হতে পারেননি ২৪২ জন শিক্ষার্থী, যারা বৈধ ছাত্র হয়েও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন ভোটার রয়েছে পিএইচডি ও এমফিল গবেষক শিক্ষার্থী। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেও তারা যুক্ত আছেন। এতে নৈতিকতার দিক থেকে ভোট প্রদান করতে পারবেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন পিএইচডি ও এমফিল পর্যায়ের শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী তারাও এবার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ফলে এসব শিক্ষকদেরও ভোটার হিসেবে ধরা হয়েছে, যেহেতু তারা এখনো শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত।
তবে আমি নিজেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা, হোস্টেল, হল ও প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাই আমি মনে করি, ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও আমাদের ভোট প্রদান করা নৈতিক হবে না। এ কারণেই সংশ্লিষ্ট সবাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”
২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’
রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।
নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।
এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।
এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”
ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।
ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।
মন্তব্য