ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। বাতিল হয়েছে ঢাকা ও সিলেটের চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থিতার এক শতাংশ ভোটারের তথ্যের মধ্যে গরমিল পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ঢাকা ও সিলেটে চারজনের।
মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ জুলাই ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ২৩ জুন। ৬ জুলাই থেকে প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বিএনএফ অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে বিএনপির এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ জন্য দল তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে।
ঢাকা-১৪
এ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহজালাল জানান, বাছাইয়ের পর বৈধ প্রার্থী রয়েছেন চারজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের আগা খান মিন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান, জাসদের মো. আবু হানিফ এবং বিএনএফের এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম। বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান ও এম রুহুল আমীন সরকারের মনোনয়নপত্র।
কুমিল্লা-৫
এই আসনে মাত্র দুইজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। রিটার্নিং অফিসার কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বাছাইয়ে দুই দলীয় প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। তারা হলেন আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম খান ও জাতীয় পার্টির মো. জসিম উদ্দিন।
সিলেট-৩
রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, বাছাইয়ে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বৈধ প্রার্থী রয়েছেন চারজন।
আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন ও শেখ জাহিদুর রহমান মাসুমের মনোনয়নপত্র।
আরও পড়ুন:একসময় বাংলাদেশের বিল-হাওর ভরে থাকত এমন এক খাবার যা ছিল ভাতের বিকল্প। যা শুধু খাবার নয়, ছিল গ্রামীণ জীবনের আনন্দ, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মানুষ এখন সেই খাবারের নাম প্রায় ভুলতেই বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া নামটি হলো- শালুক।
বাংলাদেশের নদীমাতৃক অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য একসময় ছিল গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। নিচু অঞ্চলের দোআঁশ ও কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শালুকের চারটি প্রধান জাত পাওয়া যেত। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মাধবপুর, বৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীর হাওর ও খালচর অঞ্চলজুড়ে ছিল এই শালুকের প্রাচুর্য।
ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাস এলেই দেখা যেত বিলে উৎসবের আমেজ। কৃষক ও দামাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে দলে দলে যেত শালুক তুলতে। হাসি-আড্ডায় মুখর হতো চারদিক। তখন শালুক, শাপলা, বেট, উঠা- এসব ছিল সবার খাবার। শুধু যে মানুষ মজা করে খেতো তাই নয়, অভাবেও মানুষ শালুক খেয়ে জীবন বাঁচাতো।
শালুকেরও ছিল নানা জাত- গাইয়্যা, সিন্ধু, রামউঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়, আর কিছু প্রজাতি শালুকের মতো দেখতে হওয়ায় তাদের বলা হতো উডা, যেগুলো থেকে হতো শাপলা।
প্রতিটি শালুকের ওজন প্রায় ৪০–৭০ গ্রাম। এটি সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেত। পুষ্টিগুণে ভরপুর শালুক হজমে সাহায্য করত- গ্রামের মানুষ ভালোবেসে বলত, ‘শালুক খেলে পেটও খুশি, মনও খুশি।’
কিন্তু এখন বর্ষার পানি কমে গেছে, বিল শুকিয়ে গেছে, আর সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে শালুকের দিনগুলোও।
তবুও একেবারে সব শেষ হয়নি। কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে আজও কিছু মানুষ এই হারানো ঐতিহ্যটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রায় বিশ বছর ধরে শালুকের ব্যাবসা করছেন আবুল কাসেম, নারায়ণ, দীপ্ত সাহা, আবু মুছা ও সফিকসহ অনেকে।
তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ ও মাধবপুর হাট থেকে বারো মাস শালুক সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫০–৮০ টাকা, খুচরায় ১৫০–২০০ টাকা। দীপ্ত সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ কেজি শালুক বিক্রি হয়। এই ব্যাবসাতেই আমাদের সংসার চলে, আর মনে হয় যেন একটা ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখছি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা দাবিসমূহ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।
সোমবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি ও হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার।
লিফলেট বিতরণকালে আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের এই ৩১ দফা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’
অনুষ্ঠানে তিতাস উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের পরবর্তী সময়ে সম্প্রীতিরবন্ধন অটুট রাখতে ও সামাজিক সহমর্মিতার নিদর্শন স্বরূপ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেছেন।
সোমবার চরফ্যাশন ডাক বাংলোতে শাড়ি বিতরণ করা হয়।
এ সময় নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মাঝে সামান্য এই ভালোবাসার উপহার তুলে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপজেলা নেতারা নুরুল ইসলাম নয়নের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
এক উপকারভোগী নারী বলেন, ‘পূজার পরবর্তী সময়ে এমন উপহার পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। নয়ন ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল।’
শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির নেতারা, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত শেফার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সোমবার সকালে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
উপজেলার কাঠালী এলাকায় সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
শ্রমিকরা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ওভারটাইম হার কমানো, টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের কারণে তারা চরম অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি- প্রতি মাসের বেতন সময়মতো প্রদান, ওভারটাইমের হার পূর্বের মতো ৬৮ শতাংশে বহাল রাখা, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং অবসরোত্তর ফান্ড দ্রুত পরিশোধ করা।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে তিনি জানান।
আজ ১৩ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি ও বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোঃ ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া, পিএসসি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও বাজেট-সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল (উপমহাপরিচালক, অপারেশন্স), মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী (পরিচালক, অপারেশন্স), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (পরিচালক, প্রশাসন-কিউ), মোঃ জাহিদ হোসেন (পরিচালক, সিএইচটি-অপস) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজির) উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ আমাদের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি। ইউনিয়ন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির যুগ্ম পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ জাহিদ আখতার। তিনি বলেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে যুগপোযোগী করে গড়ে তোলার জন্য গ্রাম পুলিশদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশ রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২০টি উপজেলায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা সরকারের উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনা আক্তার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গ্রাম পুলিশ সেলিম আহমদ।
জানা গেছে, মাসব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণে ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বশীলতা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণে ৪০ জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছে।
মন্তব্য