× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
শিশু শ্রমিক কত জানে না কেউ
google_news print-icon

শিশু শ্রমিক কত, জানে না কেউ

শিশু-শ্রমিক-কত-জানে-না-কেউ
সরকারের অঙ্গীকার ছিল ২০১৬ সালের মধ্যে দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম শূন্যে নামিয়ে আনার। সে মেয়াদ পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর আগে। আইএলও ২০২৫ সালের মধ্যে তা নিরসন করতে চায়।

শুক্রবার সকাল। রাজধানীর ফার্মগেট থেকে নিউমার্কেটমুখী লেগুনায় এক পায়ে দাঁড়িয়ে ফারুক। বয়স ৯ বছর থেকে বড়জোর ১১। ভেতরে চারজন করে আটজন যাত্রী বসলেও হেলপার হিসেবে সব সময়ের মতোই তার জায়গা লেগুনার পটাতনে।

পাটাতনে আরও দুজন বাড়তি যাত্রীকে জায়গা দিতে এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে। সারা দিন খেটে মজুরি ২০০ টাকা।

দেশের শ্রম আইন অনুসারে ফারুকের এমন কাজ করার কথা নয়। কিন্তু ফারুকের মতো এমন শতাধিক শিশু কাজ করছে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যের লেগুনায়। তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায় না। জানা যায় না দেশে মোট কত শিশু শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে, কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ খাতেই বা কতজন কাজ করে। দেশ থেকে কবে শিশুশ্রম দূর হবে, তাও সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেন না।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে গত দুই দশকে ৯০ হাজার শিশুকে শ্রমের বাইরে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এমন বাস্তবতায় শনিবার বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হবে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্ট নাউ: অ্যান্ড চাইল্ড লেবার’ (শিশুশ্রম বন্ধে পদক্ষেপের সময় এখনই)। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) বলছে, করোনায় সারা বিশ্বে শিশুশ্রম উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশ্বে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটিতে পৌঁছেছে।

করোনার দেড় বছরে এ নিয়ে কোনো জরিপ বা গবেষণা করেনি বাংলাদেশ। ফলে, বর্তমানে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কত তা সরকার জানে না। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানেরও গবেষণা নেই। ২০১৩ সালের সর্বশেষ জাতীয় শিশুশ্রম জরিপের তথ্য ভরসা। বিবিএসের ওই জরিপ বলছে, ১৭ লাখ শিশু পূর্ণকালীন শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশুই নিয়োজিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। ২ লাখ ৬০ হাজার শিশু অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এ ছাড়া ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে সব মিলিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে এক ঘণ্টার কর্মে নিয়োজিত থাকে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু, করোনার এ সময়ে যা আরও বেড়েছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইনে ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে কাজে নেয়া নিষিদ্ধ। ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত কাজে নেয়া গেলেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেয়া যাবে না। জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ অনুসারে, ৫-১৮ বছরের শিশু কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না। ৫-১৪ বছর পর্যন্ত শিশুশ্রম নিয়োগকর্তার জন্য দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এ আইন শুধু কাগজে-কলমেই।

সরকার ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন-১৮২ অনুসমর্থন করে। সরকারের অঙ্গীকার ছিল ২০১৬ সালের মধ্যে দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম শূন্যে নামিয়ে আনার। কিন্তু সে মেয়াদ পার হয়েছে আরও প্রায় ৫ বছর আগে। আইএলও ২০২৫ সালের মধ্যে তা নিরসন করতে চায়। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের একই লক্ষ্য থাকলেও অগ্রগতি কম।

অনেক উদ্যোগ, ফল কম

আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশ থেকে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমই নয়, সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসন হওয়ার কথা। কিন্তু শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, সে কাজের খুব একটা অগ্রগতি আসেনি।

মন্ত্রণালয় বলছে: দেশে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ হয়েছে, ‘জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ করা হয়েছে; এ ছাড়া ‘জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ কাউন্সিল’, ‘বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ কাউন্সিল’, ‘জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি’, ‘উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি’, গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ এবং সচেতনামূলক বহু কর্মশালাও করা হয়েছে।

কিন্তু গত দুই দশকে মাত্র ১ লাখ শিশুকে শ্রমের বাইরের নেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কয়টি শিশু শ্রম ছেড়েছে, তার হিসাব নেই মন্ত্রণালয়ের কাছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, শিশুশ্রম নিরসনে চার পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুশ্রম নিরসন’ প্রকল্পের দুই পর্যায়ে ৪০ হাজার শিশুকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে ৫০ হাজার শিশুকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ শিশুকে শ্রম থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্য নেয়া হয়। ২০২০ সালের মধ্যে সে কাজ হওয়ার কথা ছিল। শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বেড়েছে।

চতুর্থ পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় এক লাখ শিশুকে ছয় মাস মেয়াদি উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং চার মাস মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের একটি প্রস্তাব গত বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১৬০ কোটি টাকা।

শিশুশ্রম নিরসনে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কে এম আব্দুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ২০১০ সালের নীতিমালার আলোকে সরকার অ্যাকশন প্লান নিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ঝূঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে। আগের ৬টি খাত এবং এ বছর দুটিসহ মোট আট খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করা হয়েছে। চলমান প্রকল্পের আওতায় ১৪ জেলায় কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘তবে এটা শুধু এক মিনিস্ট্রির কাজ না, আমরা, মহিলা ও শিশু, শিক্ষাসহ অনেকগুলো মিনিস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়।’

শিশুশ্রমে কত শিশু নিয়েজিত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সঠিক সংখ্যা জানা নেই। কারণ সর্বশেষ জরিপ ২০১৩ সালের। তখন ১.৭ মিলিয়ন শিশু পূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ছিল। ২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত সংখ্যাটা কমে গেছে নিশ্চয়ই। আমরা সামনের বছর একটা সার্ভে করব, তখন দেখব আমাদের প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সংখ্যা কত আছে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে বলে জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

৩৮ কাজে ঝঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নয়

ওয়েল্ডিং, মোটর ওয়ার্কশপ, যানবাহনের হেলপার, প্লাস্টিক ও রাসায়নিক কারখানা, জাহাজ ভাঙা, বিড়ি-তামাক কারখানা, নির্মাণকাজ, ইটভাটা, পাথর ভাঙা, অটোমোবাইল স্টেশন, অ্যালুমিনিয়াম, বর্জ্য অপসারণ, কাচ, সাবান, চামড়ার কারখানা, বিস্কুট কারখানা, হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ ৩৮টি খাতে শিশুদের শ্রমকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে প্রথমে জাহাজ ভাঙা শিল্প, ট্যানারি ও চামড়াজাত শিল্প, সিল্ক, কাচ এবং সিরামিক শিল্পকে শিশুশ্রম মুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

জিএসপিতেও ঝুঁকি রয়েছে

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুশ্রম বন্ধ না হলে এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তীতেও জটিলতায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে আইএলও কনভেনশনে ১৩৮ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আর বাংলাদেশ এলসিডির সুবিধা পাবে না। তখন জিএসপি প্লাস সুবিধা ছাড়া অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপে এ দেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাক মারাত্মক হুমকিতে পড়বে। তাই এখন থেকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসারে নির্দিষ্ট বয়সের নিচে কোনো শিশু শ্রমে থাকতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও এতে স্বাক্ষর করেনি। তবে সরকার এর শর্ত পরিপালনে চেষ্টা করছে। কারণ, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মার্কেটে অ্যাকসেস পেতে হলে এ কনভেনশনে স্বাক্ষর করতে হবে। তার জন্য অতি দ্রুত শিশুশ্রম উঠিয়ে ফেলতে হবে। কারণ কনভেনশন স্বাক্ষর করা মানে আইনগতভাবে তা মেনে চলতে বাধ্য থাকা।

মহামারিতে বিশ্বে বেড়েছে শিশুশ্রম

করোনার শুরুতে গত বছর ইউনিসেফ ও আইএলও আশঙ্কা করেছিল করোনাভাইসের কারণে শ্রম দিতে বাধ্য হবে বিশ্বের লাখ লাখ শিশু।

বৃহস্পতিবার সংস্থা দুটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের শুরুতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। চার বছরে শিশু শ্রমিক বেড়েছে ৮৪ লাখ। ২০২০ সালের শুরুতে ৭ কোটি ৯০ লাখ শিশু বিপজ্জনক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা চার বছর আগের তুলনায় ৬৫ লাখ বেশি।

যদি দারিদ্র্যের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে প্রায় ৫ কোটি শিশু আগামী দুই বছরে শিশুশ্রমে যুক্ত হতে বাধ্য হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রতি ১০টি শিশুর একটি শিশুশ্রমে যুক্ত।

আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, ‘নতুন এই হিসাব একটি সতর্ক সংকেত। যখন নতুন একটি প্রজন্মের শিশুদের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, তখন আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছি এবং আমাদের প্রতিক্রিয়ার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই অবস্থাকে বদলে দিতে এবং দারিদ্র্য ও শিশুশ্রমের চক্র ভেঙে দিতে নতুন প্রতিশ্রুতি ও শক্তির সম্মিলন ঘটানোর এখনই সময়।’

আরও পড়ুন:
শিশুশ্রম রোধে এক লাখ শিশুকে প্রশিক্ষণ
‘ভ্যান চালিয়ে মাকে টাকা দি, মা কিস্তি চালায়’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
12000 crore loss in Cargo Village fire EAB

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্ট যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে কেবল ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদাম ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা ও মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি বলেছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি ও অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইএবি সভাপতি বলেন, আগুনের ঘটনাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে।
এ সময় কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে।

মন্তব্য

জাতীয়
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

জাতীয়
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

জাতীয়
Formation of a committee to assess the damage caused by fire in Shahjalal

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন ছবি: বাসস

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।

অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

জাতীয়
"National Board of Revenue publishes Authentic English Text of Income Tax Act 2023 in the form of official gazette notification"

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

মন্তব্য

জাতীয়
With the introduction of cashless non stop electronic toll collection ETC at Padma Bridge toll payment has become fast and digital Bridge Secretary

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হওয়ায় টোল পরিশোধ দ্রুত ও ডিজিটাল হয়েছে : সেতু সচিব

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।


বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।


এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।

১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।


সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।


ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।


এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মন্তব্য

জাতীয়
The local government department gave historical recognition by distributing a check of Tk

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "

০৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিহত শহিদ পরিবারদের সহায়তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।

মন্তব্য

p
উপরে