× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
ছাগলকে কি জরিমানা করতে পারেন ইউএনও?
google_news print-icon

ছাগলকে কি জরিমানা করতে পারেন ইউএনও?

ছাগলকে-কি-জরিমানা-করতে-পারেন-ইউএনও?
ফুলগাছ খাওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর এই ছাগলটিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ১০ দিন আটক করে রাখেন আদমদীঘির ইউএনও সীমা শারমিন।
মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৭-এর ১ ধারায় বলা আছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেয়ার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত পড়ে শোনাবেন ও ব্যাখ্যা করবেন। পাশাপাশি জানতে চাইবেন তিনি অপরাধ স্বীকার করেন কি না। ৭-এর ২ ধারা অনুযায়ী যদি তিনি অপরাধ স্বীকার করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে দণ্ড আরোপ করে আদেশ দেবেন।

ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগলকে ইউএনওর জরিমানার আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে গণ-উপদ্রব আইনে চতুষ্পদ প্রাণীটিকে জরিমানা করেছেন গত ১৭ মে।

৯ দিন পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। আর বৃহস্পতিবার ইউএনও নিজে সেই জরিমানা পরিশোধ করেন।

তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে গেছে এমন নয়। প্রশ্ন উঠেছে, ইউএনও তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কি না।

প্রাণীকে কখনও জরিমানা করা হয়েছে, দেশে এমন কথা কখনও শোনা যায় না। আর যদি অনুপস্থিতিতে তার মালিককে জরিমানা করা হয়, তাহলেও সেখানে আইন লঙ্ঘন হয়েছে।

কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাউকে সাজা দিতে হলে ঘটনাস্থলে তাকে উপস্থিত থাকতে হয়। আর তাকে অবশ্যই অভিযোগ স্বীকার করে নিতে হয়।

সাজায় আইন লঙ্ঘন যে কারণে

ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কীভাবে তা পরিচালনা করতে হবে, সেটি আইন দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত। আর সেটি বিবেচনায় নিলে ইউএনওর সাজা দেয়া বৈধ হয়নি।

মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৭-এর ১ ধারায় বলা আছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেয়ার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখিত পড়ে শোনাবেন ও ব্যাখ্যা করবেন। পাশাপাশি জানতে চাইবেন তিনি অপরাধ স্বীকার করেন কি না।

৭-এর ২ ধারা অনুযায়ী যদি তিনি অপরাধ স্বীকার করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে দণ্ড আরোপ করে আদেশ দেবেন।

৭-এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে, যদি সেই ব্যক্তি আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যাখ্যা দেন এবং সেটি সন্তোষজনক হয়, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে অব্যাহতি দেবেন।

আর যদি সেই ব্যাখ্যা সন্তোষজনক মনে না হয়, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগটি উপযুক্ত এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে পাঠাবেন।

আবার আইনের ৯-এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, জরিমানা করা হলে সেটি তাৎক্ষণিক আদায় করা হবে।

তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা না গেলে কারাদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

ঘটনা শুনে বিচারপতির অট্টহাসি

ইউএনওর এই আদেশে সম্পর্কে জেনে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি অট্টহাসি হেসেছেন। পরে রসিকতা করে হাসতে হাসতে বলেন, ‘এ ধরনের গল্প মাঝে মাঝে শুনিয়েন।’

পরে তিনি বলেন, ‘ছাগল বা কোনো প্রাণীকে জরিমানা করা যায় না। তবে এগুলো আটকে রাখা যায়, মালিক এসে জরিমানা দিয়ে তা ছাড়িয়ে নেবে। যেটা হলো খোঁয়াড়ের বিধান।

‘কোনো প্রাণী যদি কারো ক্ষতি করে, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি প্রাণীটিকে খোঁয়াড়ে দেবে, মালিক সেটার জরিমানা দিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু ছাগল বা প্রাণীকে দণ্ড দেয়ার কোনো বিধান নাই।’

এটা ক্ষমতার অপব্যবহার’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মসজিল মোরসেদ বলেন, ‘এই আদেশ আইন দ্বারা স্বীকৃত নয়। কোনো প্রাণীকে দণ্ড দেয়ার বিধান নেই। ছাগলকে জরিমানা করা আইনের ভুল প্রয়োগ করা হয়েছে।’

সেই ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও মনে করেন এই আইনজীবী। বলেন, ‘ছাগলকে জরিমানা করে তারা মূলত নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। এ ধরনের লোকদের ওইখান থেকে বদলি করে ভিন্ন সেক্টরে দেয়া উচিত।’

ইউএনও কী বলছেন

সেদিনের ঘটনার বিষয়ে ইউএনও সীমা শারমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপজেলা চত্বরে একটি পার্ক করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। তেমন বেড়া দেয়া নেই। এখানে ওই ছাগল প্রায়ই এসে গাছ ও ফুলগুলো খেয়ে ফেলে। এ বিষয়ে ওই ছাগলের মালিককে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলাও হয়েছে।

‘কিন্তু ওই নারী আমাদের আমলে নেননি। এরপর ঘটনার দিন ওই ছাগল আবার ফুল ও গাছ খেয়েছে। সেদিন ছাগল আটক করে মালিককে ডাকা হয়। এরপর ছাগলের জরিমানা করা হয়। গণ-উপদ্রব আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

ছাগলকে কি জরিমানা করতে পারেন ইউএনও?
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিন

এই আদেশ বৈধ হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাকে (ছাগলের মালিক) সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম। শাস্তি দেয়ার জন্য নয়। অথচ এই বিষয়টি এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। পরে মানবিক কারণে ওই ছাগলের জরিমানা আমি নিজেই দিয়েছিলাম। এরপর ছাগল বৃহস্পতিবার তাকে ফেরত দেয়া হয়।’

জেলা প্রশাসক যা বললেন

ছাগলকাণ্ডে ইউএনও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কি না, জানতে চাইলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনারাও অনেক কিছু জানেন। আমারাও বিভিন্নভাবে শুনেছি। খোঁজ নিয়েছি। এরপর আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হবে, সেভাবেই আমরা পদক্ষেপ নেব।’

কী আছে গণ-উপদ্রব আইনে?

ইউএনও যে গণ-উপদ্রব আইনে ছাগলকে জরিমানা করেছেন, সেটি দণ্ডবিধির নানা বিধিতে বলা আছে।

দণ্ডবিধি অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি তার অবৈধ কাজ যা জনসাধারণের উপদ্রব সৃষ্টির জন্য দায়ী, যা জনসাধারণের বিরক্তি উৎপাদন করে, তা শাস্তিযোগ্য।

২৬৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক জনসমক্ষে এমন কোনো কাজ করা, যার দ্বারা জনগণের বিরক্তি সৃষ্টি হয় এমন কার্য করাকে গণ-উৎপাত বলে।’

২৯০ ধারায় এর শাস্তি সম্পর্কে ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে।

ঘরকে জুয়াড়িদের আড্ডায় পরিণত করা, রাস্তার অংশবিশেষে ঘর বানানো, রাস্তায় পশু জবাই বা জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মূত্র ত্যাগের মতো কাজ করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা জরিমানা করা যায়।

২৯৪ ধারা অনুযায়ী প্রকাশ্য স্থানে অশ্লীল কাজ বা গান গাইলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা জরিমানা করা যায়।

৫০৯ ধারা অনুযায়ী নারীকে উদ্দেশ করে অশালীন মন্তব্য বা অঙ্গভঙ্গি করলে বা সেই নারীর নির্জনবাসে অনধিকার প্রবেশ করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

এ রকম আরও নানা বিষয় আছে, যেখানে কেউ উপদ্রব করলে শাস্তি হতে পারে।

ইউএনও বলছেন, তিনি ছাগলমালিককে একাধিকবার সাবধান করেছেন, কিন্তু তিনি ব্যবস্থা নেননি। তাই তিনি জরিমানা করেছেন।

যা ঘটেছিল

গত ১৭ মে উপজেলা পরিষদের ফুলগাছ খেয়ে ফেলেছিল সাহারা বেগম নামে একজনের ছাগল। এ জন্য প্রাণীটিকে আটক করে ইউএনও সীমা শারমিন জরিমানা করেন দুই হাজার টাকা।

ছাগলের মালিক তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পশুর পক্ষে তো জরিমানা দেয়া সম্ভব নয়। তাই মালিককে চাপ দিতে আটক করা হয় সেই ছাগল।

সীমা শারমিন জানান, উপজেলা চত্বরে একটি পার্ক করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলের গাছ নিয়ে এসে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখানে ওই ছাগল এসে গাছের ফুলগুলো খেয়ে নিয়েছে কয়েকবার। এ বিষয়ে ছাগলের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে গণ-উপদ্রব আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ছাগলমালিক যা বলছেন

সাহারা আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলোসংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম জিল্লুর রহমান।

ছাগলটি হারিয়ে জিল্লুর অনেক জায়গায় সন্ধান করেন। পরে এলাকার লোকজন তাকে জানান, ছাগলটি ইউএনওর এক নিরাপত্তাকর্মীর কাছে রয়েছে।

তিনি ইউএনওর বাসার পাশে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে দেখেন। এ সময় ছাগল ফেরত চাইলে দেয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই নিরাপত্তাকর্মী।

পরে তিনি ইউএনওর কাছে গেলে তিনি তাকে বলেন, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে যেন তিনি ছাগল নিয়ে যান।

কিন্তু ছাগল ফুলগাছ খাবে- এ জন্য দুই হাজার টাকা দিতে হবে, এটা মানতেই পারেননি সাহারা বেগম। টাকা দিচ্ছিলেন না তিনি।

এর মধ্যে ইউএনওর গৃহকর্মী হঠাৎ তাকে ডাকেন টাকা নিয়ে আসতে। তখন আক্কেলগুড়ুম দশা সাহারা বেগমের। কেন তাকে টাকা দেবেন?

সেই গৃহকর্মীর কাছেও তিনি রাখেন প্রশ্ন।

পরে তাকে জানানো হয়, ২২ মে তার ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বেচে দেয়া হয়েছে। এ থেকে জরিমানা বাবদ দুই হাজার টাকা কেটে রাখা হয়েছে। বাকি টাকা যেন নিয়ে আসেন।

তবে সাহারা বেগম সেই টাকা আর নেননি।

যদিও ইউএনও পরে জানিয়েছেন, তিনি ছাগল বিক্রি করেননি। অন্য একজনের জিম্মায় রেখেছিলেন।

সমালোচনার পর জরিমানা পরিশোধ ইউএনওর

গত বুধবার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পরদিন ইউএনও নিজে সেই জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে সাহারা বেগমের হাতে তার ছাগল তুলে দেন।

আরও পড়ুন:
ছাগলকে ইউএনওর জরিমানা
ছাগল ছানার আট পা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
An ongoing burn may continue for 72 hours

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে গরমে পানিতে নামা শিশুর উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

জাতীয়
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

জাতীয়
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

জাতীয়
Protecting motherland is our main duty Army Chief

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’

সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’

মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

জাতীয়
BGB Director General inspects Naikshyongchari border

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী চাকঢালা বিওপি পরিদর্শনকালে মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।

পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক

মন্তব্য

জাতীয়
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

জাতীয়
Ziaur Rahman was an employee of the Mujibnagar government Foreign Minister

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ‘নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগ দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নভোটেল এথেন্স হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের।

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।

মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।

এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহ্বান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাথে বৈঠকে জানিয়েছেন যে, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতাদের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

মন্তব্য

p
উপরে