× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
করোনায় সহায়তা নাম না থাকায় বাদ নতুন দরিদ্ররা
google_news print-icon

করোনায় সহায়তা: নাম না থাকায় বাদ নতুন দরিদ্ররা

করোনায়-সহায়তা-নাম-না-থাকায়-বাদ-নতুন-দরিদ্ররা
গোপালগঞ্জে একটি মাঠে ত্রাণ সহায়তা বিতরণের দৃশ্য। ফাইল ছবি
‘সরকারি সহায়তায় উপকারভোগী চিহ্নিতকরণ ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্বলতা বেশি চোখে পড়েছে। যেমন, করোনায় আয় কমে গিয়ে, চাকরি হারিয়ে যারা নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন, এমন ৭৭.৩ শতাংশ মানুষ কোনো সহায়তা পাননি। এসব মানুষ আগে দরিদ্র ছিলেন না। কিন্তু নতুন করে তাদের দরিদ্রের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে যারা কোনোভাবে নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে বলেছেন, তাদের একটা অংশ সহায়তা পেয়েছেন।’

করোনা মহামারির কারণে আয় কমে যারা নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় ঢুকেছেন, তাদের সিংহভাগ সরকারি সহায়তার বাইরে রয়ে গেছে।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ এক জরিপের ভিত্তিতে বলেছে, এ ধরনের মানুষদের ৭৭ শতাংশের কাছেই সরকারি সহায়তা পৌঁছেনি।

আবার যারা হতদরিদ্র, তাদের একটি বড় অংশও সহায়তা পাননি। সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তারা জানতেনও না।

বৃহস্পতিবার সিপিডি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য জানানো হয়।

সংলাপের বিষয়বস্তু ছিল ‘করোনা মোকাবেলায় ত্রাণ কর্মসূচি: কতটা কার্যকর ছিল?’

এতে জানানো হয়, করোনাকালে বিপুলসংখ্যক মানুষ যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছেন, তাদের নাম তালিকাভুক্ত ছিল না। এ কারণেই মূলত তারা সহায়তার বাইরে রয়ে গেছেন।

হালনাগাদ তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও করেছে সিপিডি।

তালিকা হালনাগাদ করার পরামর্শ

সিপিডির অপর বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। তিনি বলেন, এ সময় সরকার এককালীন আড়াই হাজার টাকা, ত্রাণ হিসেবে নগদ টাকা এবং চাল দিয়েছে। দেশের সবচেয়ে দরিদ্র যে ২৫ শতাংশ মানুষ, তার মধ্যে শুধু এক-চতুর্থাংশ এসব সুবিধা পেয়েছেন। তিন-চতুর্থাংশ মানুষ সরকারের কোনো কর্মসূচি থেকে সহায়তা পাননি।

যাদের সহায়তা করা হয়েছে, তাদের ৪৪ শতাংশের সহায়তা পাওয়ার কথা নয় বলেও জানান তিনি।

মোস্তাফিজ বলেন, ‘সরকারি সহায়তায় উপকারভোগী চিহ্নিতকরণ ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্বলতা বেশি চোখে পড়েছে। যেমন, করোনায় আয় কমে গিয়ে, চাকরি হারিয়ে যারা নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন, এমন ৭৭ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ কোনো সহায়তা পাননি। এসব মানুষ আগে দরিদ্র ছিলেন না। কিন্তু নতুন করে তাদের দরিদ্রের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে যারা কোনো মধ্যমে নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে বলেছেন, তাদের একটা অংশ সহায়তা পেয়েছে।’

করোনাকালে বিভিন্ন হটলাইন সুবিধা চালু করে সরকার যে সহায়তার চেষ্টা করছে, সেটির প্রচার খুব একটা হয়নি বলেও জানান তিনি। সিপিডি জেনেছে, মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ সরকারি হটলাইন সম্পর্কে জানতেন।

অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেন না তারা সহায়তা কোন শাখায় পেতে পারেন। তবে যারা তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন, তারা সহজেই সহায়তা পেয়েছেন।

সহায়তা কত

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, করোনার সময়ও মোট এক কোটি আট হাজার পরিবারকে ভিজিএফের আওতায় ৫০০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। হটলাইন নম্বর ৩৩৩ চালু করায় বিপাকে পড়া যে কারও খাদ্য সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এর বাইরে এক লাখ শিক্ষক ও এক লাখ কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তবে এসব সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘মানুষের যে চাহিদা সে অনুযায়ী বিতরণের জন্য আমাদের সাহায্য-সুবিধা এখনো উন্নত দেশের মতো হয়নি। তাই প্রায়োরিটি হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর করোনার সময় কিছু সমস্যা থাকলেও এবার তার থেকে বেশ উন্নতি হয়েছে, আগের চেয়ে ব্যবস্থাপনা ভালো হয়েছে।’

ত্রাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের একটা নির্ভুল ডাটাবেজ থাকতে হবে। এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’

সুবিধাভোগীর তালিকা করার সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বজনপ্রীতির সমস্যাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘যে যে লোককে সাহায্য দিলে তার ভোট বাড়বে, তিনি তাদের বেছে নেন। তবে দেখতে হবে, যে পেয়েছেন, তিনি সত্যিকার পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কি না।’

‘মানুষের যে চাহিদা সে অনুযায়ী বিতরণের জন্য আমাদের সাহায্য-সুবিধা এখনো উন্নত দেশের মতো হয়নি। তাই প্রায়োরিটি হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর করোনার সময় কিছু সমস্যা থাকলেও এবার তার থেকে বেশ উন্নতি হয়েছে, আগের চেয়ে ব্যবস্থাপনা ভালো হয়েছে।’

বরাদ্দ বাড়ানো, বিতরণে স্বচ্ছতার পরামর্শ

সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ত্রাণকাজে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিতরণব্যবস্থাও স্বচ্ছ হতে হবে। কেউ না পেয়ে নালিশ করলে তা সহজেই সমাধান করতে হবে। এর আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।’

জাতীয়ভাবে তথ্য-উপাত্তের অভাব রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এক দশকের পুরোনো তথ্য দিয়ে সরকারি কার্যক্রম চলছে। এতে বেশ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।’

তবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ প্রদান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, স্বচ্ছতা, নজরদারি ও জবাবদিহিও বেড়েছে।

নগদ সহায়তা বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত

ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘করোনার সময় নগদ সহায়তা বিতরণে সরকার যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটরকে যুক্ত করার কারণে প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হয়েছে।’

৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরে ৩৬ লাখ পরিবারকে দুবার করে এই টাকা দেয়া হয়েছে।

নগদের এমডি বলেন, ‘আমি এটাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখি। এখানে সরকারের সাড়ে তিন শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে আমরা দেখতাম, ত্রাণের চাল বা ঢেউটিন চুরির খরব সংবাদপত্রে আসত। এবার কিন্তু কোনো চুরির খরব আসেনি। কারণ, এর কোনো সুযোগই ছিল না। তবে স্থানীয় পর্যায় থেকে যে তালিকা এসেছে, সেটা নিয়ে আমার বিশেষ কিছুই বলার নেই।’

মিশুকের কথার সঙ্গে একমত হয়ে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি সহায়তা বিতরণের জন্য ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে এমএফএসকে ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও সহায়তা বিতরণের তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

তাদের এই বক্তব্যে একমত পোষণ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ত্রাণ সহায়তা বিতরণের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন।

আরও পড়ুন:
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান টিপু মুনশির
বেদে বহরে খাদ্য নিয়ে হাজির ডিসি
করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা
দুর্দশার খবর পড়ে পরীভানুদের জন্য ঈদ উপহার
গোপালগঞ্জে ১৩শ পরিবারকে ঈদ সহায়তা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Gosipur Jalsuka road work has not been completed in 6 months 

গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি! 

গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি! 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর-জালশুকা সড়কের নির্মাণ কাজ ১১ মাসেও শেষ হয়নি। অথচ ঠিকাদারের শর্ত অনুসারে এ কাজ নয় মাসে শেষ করার কথা। অভিযোগ রয়েছে- ঠিকাদার লোকমান হোসেন এ সড়কের বক্সকাটিং করে ১১ মাস ধরে ফেলে রেখেছেন। তার স্বেচ্ছাচারিতা ও গাফিলতে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। উল্লেখ্য তিতাস নদীর উত্তর পাড়ে বড়াইল ইউনিয়নের একটি গ্রাম গোসাইপুর। গ্রামের পশ্চিম অংশে বাজার। বাজারের পূর্ব দিকে দিয়ে চলে গেছে গোসাইপুর-জালশুকা সড়কটি। এ বাজারের যাতায়াতের জন্য রাধানগর, চরগোসাইপুর, জালশুকা, বড়াইল, মেরাতুলী গ্রামের মানুষেরাও সড়কটি ব্যবহার করে।

গোসাইপুর বাজারের মুদি মালের ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন বলেন-"আমার গ্রামের বাড়ি জালশুকা । প্রতিদিন এ সড়কে বাজারে আসি। সড়কটি বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেই পানি ও কাঁদা মিলে চলাচলে অযোগ্য হয়ে যায়"। বড়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাসার বলেন-"পূর্ব অঞ্চলের জনগণের জন্য এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোসাইপুর বাজার ও রাধানগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আসা-যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটির কাজ শেষ না হওয়ার কারণে জনগণের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে"। গোসাইপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার ডা. হুমায়ুন কবীর বলেন-"সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত চলাচলে ভোগান্তির শেষ নেই। নির্মাণ কাজ করতে এসে ঠিকাদার আর কাজ করছেন না। এখন বর্ষার বৃষ্টির কারনে মোড়ে মোড়ে রাস্তা ভেঙে মাটি পড়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরাও"। কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন- "সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে আমি কয়েকবার তাগিদ দিয়েছি"। এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন বলেন-"এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে"। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন-"এই সড়কের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করব"।

মন্তব্য

জাতীয়
BNP leaders death in DB custody including DIG Anis 

ডিবি হেফাজতে বিএনপি নেতার মৃত্যু, ডিআইজি আনিসসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

ডিবি হেফাজতে বিএনপি নেতার মৃত্যু, ডিআইজি আনিসসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

শেরপুর জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী ওরফে বাচ্চু মেকারকে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ১২ বছর পূর্বে শেরপুরে ডিবি হেফাজতে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শেরপুরের তৎকালীন হুইপ ও মহিলা এমপি এবং পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবির পরিদর্শকসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১ জুন আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন। ১৭ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ওই মামলার শুনানী শেষে শেরপুর সদর সি,আর আমলী আদালতের বিচারক (সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) সুলতান মাহমুদ মিলন মামলাটি জামালপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এর আগে

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আজিজ সজীব রানা বলেন, নালিশী মামলাটি দায়েরের সময় আদালত একই ঘটনায় ইতিপূর্বে থানায় কোন মামলা হয়েছে কি না তৎমর্মে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক থানার প্রতিবেদন আসার প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মামলার ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে শেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার, বর্তমানে ডিআইজি মো. আনিছুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিবুল ইসলাম খান, জেলা ডিবি পুলিশের সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক সেকেন্ড অফিসার মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক এসআই মো. রিয়াদ হোসেন, শহর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এসআই, মো. নজরুল ইসলাম, নিষিদ্ধ ঘোষিত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, শেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ডিআইজি আনিসুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমাতুজহুরা শ্যামলী, তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আরিফ রেজা ও মো. শুভ রেজা, শেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন সাহা, আমিরুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, মো. আব্দুল হামিদ, হাজী মোশারফ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, যুব মহিলা লীগ নেত্রী মাহবুবা রহমান শিমু, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম রাজু, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী, মো. শহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আব্দুল আলিম, আশীষ কুমার সুর, সাংবাদিক শরিফুর রহমান শরিফ, মাসুদ রানা, মো. সাইদুল ইসলাম সাইদ, মনিরুজ্জামান মিলন তালুকদার, চানু মিয়া, সেতু দত্ত, গোপাল দত্তসহ ৩৪ জন স্বনামেসহ আরও অনেকের কথা বলা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে প্রকাশ, শেরপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান ও ডিবির ওসি নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশ ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসা থেকে বিএনপি নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ওরফে বাচ্চু মেকারকে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। পরদিন ৪ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে আবু বকর সিদ্দিকী বাচ্চুর নিথর দেহটি তার বাড়িতে রেখে যায় পুলিশ। আর ওই ঘটনায় সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও সংরক্ষিত এমপি ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলীর বিরুদ্ধে পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ডিশ ক্যাবলের ব্যবসার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার নামে কোন মামলা ছিল না। তাকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডিবি হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন সাংবাদিকদের বলেন, বাবাকে হত্যা করার পর পুলিশ পাহারায় জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন করা হয়। আমরা তখন মামলা করতে পারিনি। মামলা না করার জন্য পুলিশ সবসময় আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাতো এবং আমাদের তিন ভাইকে বিভিন্ন মামলায় দিয়ে হয়রানী করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

মন্তব্য

জাতীয়
Irans citizens call on WhatsApp to erase

ইরানের নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান

ইরানের নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান

ইরানের নাগরিকদের তাদের স্মার্টফোন থেকে মেসেজিং ও ফোন অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। তেহরানের অভিযোগ, এই অ্যাপ ইসরায়েলে তথ্য পাঠানোর জন্য ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকালে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান জানানো হয়। তবে নিজেদের অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থান করেনি তেহরান কর্তৃপক্ষ।

তবে ইরানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ওই বার্তা সম্প্রচার হওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, যে সময়ে মানুষের এই ধরনের সেবা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, ঠিক সেই সময়ে এ ধরনের ভুয়া প্রতিবেদনের তথ্যকে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে আমাদের সেবা বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তাদের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহৃত হয়। এর মানে হলো কোনো মধ্যবর্তী সেবা প্রদানকারী বার্তাগুলো পড়তে পারে না।

বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানায়, তারা ব্যবহারকারীদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান অনুসরণ করে না; কাদের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান চলছে, তার তথ্যও রাখে না এবং ব্যক্তিগত বার্তাগুলোও অনুসরণ করে না। কোনো সরকারের কাছে গণহারে তথ্য সরবরাহ করে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াটস্যাপ।

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের অর্থ হচ্ছে, বার্তাগুলো এমনভাবে গোপন করা হয় যে কেবল প্রেরক ও প্রাপকই তা পড়তে পারে। কেউ যদি বার্তাটি মাঝপথে ধরে ফেলে, তবে তারা কেবল একটি অসংগঠিত অক্ষরের ঝাঁক দেখতে পাবে যা সঠিক নিরাপত্তা চাবি (Security Key) ছাড়া উদ্ধার (Decode) করা সম্ভব নয়।

তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গ্রেগরি ফ্যালকো বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে এমন কিছু মেটাডেটা বোঝা সম্ভব যা এনক্রিপ্ট করা হয় না, এটি ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। এতে বোঝা যায়, মানুষ কীভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করছে। এই সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এ কারণে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে আগ্রহী হন না।’

গ্রেগরি আরও বলেন, “আরেকটি সমস্যা হলো ‘ডেটা সার্বভৌমত্ব’, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট দেশের হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য হোস্ট করা ডেটা সেন্টারগুলো প্রায়ই সেই দেশে থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, এটি পুরোপুরি সম্ভব যে ইরানের হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য ইরানে হোস্ট করা হচ্ছে না।”

প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব অ্যালগরিদম ব্যবহার করে তাদের তথ্য দেশেই সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করা উচিত বলে পরামর্শ দেন তিনি। বৈশ্বিক তথ্য অবকাঠামোর ওপর বিশ্বাস রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন এই বিশেষজ্ঞ।

হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা, যেটি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি। ইরানে ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ছিল।

এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইরান। তবে দেশটির অনেকেই এখনো প্রক্সি ও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে সেগুলো ব্যবহার করে থাকেন।

২০২২ সালে দেশটিতে নীতি পুলিশের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চলাকালে হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা গত বছরের শেষ দিকে তুলে নেওয়া হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
The bridge is not working in the mustard house

সরিষাবাড়ীতে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ

ভোগান্তিতে ৭ গ্রামের মানুষ
সরিষাবাড়ীতে কাজে আসছে না অর্ধকোটি টাকায় নির্মিত ব্রিজ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংযোগ সড়ক ও রাস্তা না থাকায় কাজে আসছে না প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় ৫ গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের। এমন ব্রিজের দেখা মিলেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা গ্রামের ফসলের মাঠে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ব্রিজটি। ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্মিত হয়নি সড়ক। ফলে কোনো কাজেই আসছে না সাতপোয়া ইউনিয়নের, চর রৌহা, আকন্দপাড়া, মাজারিয়া ও খামার মাগুরাসহ পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার আরও ২টি গ্রামের জনসাধারণসহ হাজারও মানুষের।

সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন এসব এলাকার ফসলের মাঠের আল দিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ব্রিজটি নির্মাণের দীর্ঘদিন পার হলেও এটি এখনো জনগণের চলাচলের জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠেনি। ব্রিজের দুই পাশে কাঁদা ও অসমতল জমির কারণে শিশু, বৃদ্ধ এমনকি সাধারণ পথচারীদেরও চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া কৃষকদের আবাদি ফসল আনা-নেওয়া বা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও হয়েছে চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাসানুর কবীর স্বপন, মাসুদ রানা, চান মিয়া, ছমিরন বেওয়া বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের খবরে আমরা এলাকাবাসীরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। ভেবে ছিলাম আমাদের কয়েক গ্রামের দীর্ঘদিনের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের এতদিন পার হলেও সড়ক না থাকায় এটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। আমরা দাবি জানাই অতি দ্রুত আমাদের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী শওকত জামিল বলেন, ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই ব্রিজটি ও সড়কের কথা জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। ওই এলাকার মানুষদের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে মাটি কেটে রাস্তা উঁচু করে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্য

ঢাকাসহ সারা দেশে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ঢাকাসহ সারা দেশে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস

বর্ষার শুরু থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এতে করে প্রকৃতিতে গরমের তীব্রতা কমতে শুরু করে। এর আগে বেশ কিছুদিন রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই টানা কদিনের ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে আষাঢ়ের শুরু থেকেই। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি কোথাও বা মুষলধারে বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমেছে।

বিশেষ করে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হওয়াতে তাপপ্রবাহ একেবারেই কমে গেছে। ঢাকায় অতি বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন সড়কে জলজট দেখা দিয়েছে। এতে করে যানজট ছিল নগরীর বিভিন্ন রাস্তায়। গরমে নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়া বৃষ্টি অফিসগামীদের বেশ ভোগান্তিতে ফেলেছে। ঢাকা ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেও বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি হতে পারে আরও দু–এক দিন। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে পাঁচ দিনের মাথায় গিয়েও।

এদিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বঙ্গোপসাগরে বজ্রমেঘ তৈরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশের চার বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওয়া আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সাগরে বায়ুচাপের তারতম্য দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করার কথাও সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ সক্রিয় থাকায় দেশের রংপুর, রাজশাহী ছাড়া বাকি বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ ছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে পুরো দেশেই বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে আবহাওয়া অধিপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, উপকূল ও সব সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতকর্তা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং তা অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। অতি ভারী বৃষ্টির ফলে পাঁচ জেলায় ভূমিধস এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছার দেওয়া ভারী বৃষ্টির সতর্কতায় এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (১৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, আজ বুধবার সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯ থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আর শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মন্তব্য

জাতীয়
Shakib Al Hasan including the ACC

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের নামে দুদকের মামলা

শেয়ারবাজার থেকে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের নামে দুদকের মামলা

প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

আক্তার হোসেন বলেন, তিনটি কোম্পানির শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগ কার্যক্রমে মার্কেট ম্যানিপুলেট করা হয়েছে। মার্কেট ম্যানিপুলেশনের সঙ্গে তিনি (সাকিব) জড়িত।

এর আগে গত সোমবার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। সাকিব ছাড়া ১৪ আসামি হলেন— সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) ও তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দ্রুত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ অভিপ্রায়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ১৭ ধারা) পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘনপূর্বক নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টসমূহে অসাধু, অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে ফটকা ব্যবসার মতো একাধিক লেনদেন, জুয়া ও গুজবের মাধ্যমে বাজারের কারচুপি করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার সংঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রয়-বিক্রয়পূর্বক কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ারসমূহে বিনিয়োগে প্রতারণাপূর্বক প্রলুব্ধ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তাদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎপূর্বক অস্বাভাবিক রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ বা প্রসিড অব ক্রাইম শেয়ার বাজার থেকে সংঘবদ্ধভাবে উত্তোলন করেছেন। আসামি মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) কর্তৃক তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থের ২১ কোটি ১৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপনের অভিপ্রায়ে লেয়ারিং করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। তিনি ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

ওই মামলায় সাকিব আল হাসানের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে বলা হয়, আসামি মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু) কর্তৃক শেয়ার বাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইস্যুরেন্স লি., ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লি. এবং সোনালী পেপারস লি.-এর শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যোগসাজশ করেন। সরাসরি সহায়তাপূর্বক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগে প্রতারণাপূর্বক প্রলুব্ধ করে তাদের ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অপরাধলব্ধ আয় হিসেবে শেয়ার বাজার হতে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০বি/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে সাকিবের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Hope the National Charter in July Ali Riaz

জুলাই মাসে জাতীয় সনদের আশা করছি: আলী রীয়াজ

জুলাই মাসে জাতীয় সনদের আশা করছি: আলী রীয়াজ

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ফলাফলের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর আলী রীয়াজ জুলাই মাসের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তুলে ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

গতকাল বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দিনব্যাপী দ্বিতীয় দফার আলোচনার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমাদের প্রতিনিয়তই অগ্রগতি হচ্ছে এবং আমরা আশা করছি যে জুলাই মাসের মধ্যে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদে পৌঁছাতে পারব এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আমরা ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

আলোচ্য বিষয় নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম দফার আলোচনার পর সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কিছু বিষয়ে পুনর্বিবেচনার কথা রাজনৈতিক দলগুলো বলেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার আবার এ বিষয়ে আলোচনা করার পর আমরা এ বিষয়ে একমত হতে পেরেছি যে ৭০ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান বিধান পরিবর্তন করে অর্থবিল ও আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বাধ্যবাধকতা থাকবে যেন তারা দলের পক্ষে ভোট দেন।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, গতদিনের আলোচনার তুলনায় একটি অগ্রগতি হয়েছে এবং আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে পারি যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ওই ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে চারটি কমিটি অর্থাৎ পাবলিক একাউন্টস কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, এস্টিমেশন কমিটি এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটিসহ জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্রান্ত কমিটিগুলোর সভাপতির পদ আসনের সংখ্যানুপাতিক হারে বিরোধী দলকে প্রদানের বিষয়ে সকলে একমত হয়েছেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরো বলেন, জাতীয় সংসদের নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয় দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। সকলেই জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১০০টি আসন সংরক্ষিত করার জন্য সকলে একমত হয়েছেন। তবে এর পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে একমত হওয়া যাবে।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে যেটি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে আছে তার পাশাপাশি সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদে আছে সেগুলো সংশোধনের ব্যাপারে এক ধরনের ঐক্যমত হয়েছে। কিন্তু আমরা এই বিষয়টি আগামী সপ্তাহে আবার আলোচনা করব যেন একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আমরা আসতে পারি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে নীতিগতভাবে কিছু কিছু দল এর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু এটা কম বেশি সকলে স্বীকার করেছেন যে এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার দরকার আছে।

এ সময় কমিশনের একটি বড় স্টেকহোল্ডার হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর গতকালের আলোচনায় অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন , যে কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে আমরা সার্বক্ষণিকভাবে সব দলের সাথে যোগাযোগ রাখি যেন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়। কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, আমরা আশা করি গতকাল উপস্থিত না থাকতে পারলেও আজ তারা বা তাদের প্রতিনিধিরা এখানে উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করা এবং বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুতের লক্ষ্যে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা।

বেলা এগারোটা চল্লিশ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

আলোচনায় কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আরো অংশ নেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুব মিয়া, মো. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

এছাড়াও, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ,খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে ডা. মুশতাক হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

তবে, আমন্ত্রণ পেলেও বৈঠকে উপস্থিত হননি জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি।

এর আগে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানায়, ১৭, ১৮ ও ১৯ জুন এই তিনদিন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।

মন্তব্য

p
উপরে