× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
সীমান্ত কঠোর কমেছে অবৈধ অস্ত্র কারবার
google_news print-icon

সীমান্ত কঠোর: কমেছে অবৈধ অস্ত্র কারবার

সীমান্ত-কঠোর-কমেছে-অবৈধ-অস্ত্র-কারবার
সীমান্তে বিজিবির টহল। ফাইল ছবি
র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালে লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে মাদক ও অস্ত্র কারবারিদের কিছুটা নিষ্ক্রিয় মনে হলেও তারা নানা কৌশলে পণ্য পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের চেষ্টা করছে তারা। নৌপথে বিভিন্ন ছদ্মবেশেও এ অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা। আমরাও তাদের কৌশল সম্পর্কে জেনে ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। ফলে তারা ধরা পড়ছে। উদ্ধার হচ্ছে মাদক ও অস্ত্র।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতে চলছে লকডাউন। এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবাধ যাতায়াতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি এবং পথে পথে তল্লাশিচৌকির কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে অপরাধীরা। ফলে সীমান্ত দিয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মাদক ও অস্ত্রের কারবার।

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক পাচার প্রতিরোধে যুক্ত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিবি, এলিট ফোর্স র‌্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

নিউজবাংলাকে তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার দুষ্কৃতকারী ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্যরা প্রায় প্রতিদিনই অবৈধ মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিদের কাছে চাহিদামতো আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সরবরাহের তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে।

তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার প্রায় সব পথ বন্ধ থাকায় এবং লকডাউনের কারণে অস্ত্র ও মাদক কারবারিরা বিপাকে পড়েছে। অবৈধ অস্ত্র বা মাদকের চালান নিয়ে সীমান্ত এলাকায়ই আসতে পারছে না তারা।

এ প্রসঙ্গে বিজিবির মুখপাত্র পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়েজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, করোনায় বেশির ভাগ সীমান্ত পথ বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশি নাগরিকরা সীমান্তের ছয়টা পথ দিয়ে দেশে প্রবেশ করছেন। প্রবেশের পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া অবৈধ পথসহ পুরা সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে; ক্ষেত্রবিশেষে দ্বিগুণ করা হয়েছে।

অবৈধ অস্ত্র কারবারিদের নিয়মিত নজরদারিতে যুক্ত ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকূপি, যশোরের বেনাপোল, সিলেটের গোয়াইনঘাট, পার্বত্য অঞ্চলসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র হরহামেশাই দেশে নিয়ে আসত কারবারিরা। সম্প্রতি ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন দেয়া হয়। ভাইরাসটির ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে বাংলাদশের পক্ষ থেকেও সীমান্ত এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এতে কিছু বাংলাদেশি নাগরিক দেশে প্রবেশ করলেও তারা কঠোর তল্লাশির মধ্যে পড়ছেন।

সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানান, ভারতে জোরালভাবে লকডাউন কার্যকর থাকায় সে দেশের কারবারিরা অস্ত্র নিয়ে বসে থাকলেও মুভমেন্ট করতে পারছে না। ভারতের বিহারে অনেক নকল আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা রয়েছে। সেখান থেকে নানা হাত ঘুরে মিজোরাম হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত দিয়ে অনেক ভারী অস্ত্র মাঝেমধ্যেই পাচার করেছে কারবারিরা। সম্প্রতি একাধিক অস্ত্র উদ্ধার ও কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় সিটিটিসি।

তারা জানান, বর্তমানে ওই রুটের কারবারিদের সঙ্গে দেশীয় কারবারিদের যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেলেও তারা অস্ত্র নিয়ে মুভ করার সাহস পাচ্ছে না। সবাই লকডাউন প্রত্যাহারের অপেক্ষায় রয়েছেন।

সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের ইল্লিগ্যাল আর্মস এনফোর্সমেন্টের অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) কড়া পাহারায় রয়েছে, যার কারণে সীমান্ত দিয়ে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ও মাদক, বিশেষ করে ফেন্সিডিল সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। আগে বৈধ যাতায়াতকারীদের কাছ থেকেও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।

‘কড়াকড়ির কারণে অবৈধ কারবারিরা পাচারের ক্ষেত্রে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। তবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফও সতর্ক অবস্থায় থাকায় সেখানকার কারবারিরা সীমান্ত এলাকায় আসার সুযোগ পাচ্ছে না।’

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালে লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে মাদক ও অস্ত্র কারবারিদের কিছুটা নিষ্ক্রিয় মনে হলেও তারা নানা কৌশলে পণ্য পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের চেষ্টা করছে তারা। নৌপথে বিভিন্ন ছদ্মবেশেও এ অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা। আমরাও তাদের কৌশল সম্পর্কে জেনে ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। ফলে তারা ধরা পড়ছে। উদ্ধার হচ্ছে মাদক ও অস্ত্র।’

ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই লকডাউন থাকায় অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ কমে গেছে। তবে দেশীয় কারবারিরা প্রায় প্রতিদিনই অস্ত্র সরবরাহের চাহিদার কথা জানিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে পার্শ্ববর্তী দেশের কারবারিদের সঙ্গে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই অবৈধ অস্ত্রের চালান পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। অস্ত্রের পাশাপাশি ফেনসিডিলের সরবরাহও প্রায় বন্ধ রয়েছে।

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, সীমান্তের সব এলাকা নজরদারিতে আনা সম্ভব নয়। তাদের নজরদারির মধ্যে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকূপি, যশোরের বেনাপোল ও সিলেটের গোয়াইনঘাট। যেসব পয়েন্ট দিয়ে মাঝেমধ্যেই ছোট ছোট আগ্নেয়াস্ত্রের চালান নিয়ে আসে কারবারিরা।

তিনি জানান, পার্বত্য এলাকা দিয়ে আসে একে টুটু, একে ফোরটি সেভেনের মতো ভারী অস্ত্র। ছোট অস্ত্রগুলো ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও ভাড়াটে খুনিরা ব্যবহার করে থাকে। ভারী অস্ত্র, বিশেষ করে একে টুটু ও একে ফোরটি সেভেনের মতো আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র বা জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতার তথ্য রয়েছে গোয়েন্দা শাখার কাছে।

বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেঘালয়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানকার কাউকেই আমরা ঢুকতে দিচ্ছি না। বিজিবির স্পেশাল টহল টিমের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। কাজেই এখান দিয়ে কেউই যাতায়াত করতে পারছে না।’

আরও পড়ুন:
লকডাউন: টেকনাফ স্থলবন্দরে মালামাল খালাস বন্ধ
এবার উখিয়ায় ঢোকা-বের হওয়া বন্ধ ৮ দিন
লকডাউন বাড়ল, চলবে দূরপাল্লার যান
লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বিকেলে
লকডাউনে পর্যটন স্পটের উদ্বোধনে ইউএনও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Mirza Fakhruls best wishes on the occasion of Janmastami

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাতে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি শুধু আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহামিলন ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত উৎসবের প্রাঙ্গণ সৃষ্টি করে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব এ সময় দেশবাসীর প্রতি সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

জাতীয়
Four drug dealers arrested with yaba in bear

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিশেষ অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জামিরদিয়ার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব মিয়া (২৬), একই এলাকার মোঃ নাবিল হোসেন নবীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ওরফে নাজমুল (২৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের উদয়খালী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৭) এবং ডুমবারিরচালা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাঈম খান (২৫)।

এসময় সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।

মন্তব্য

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানি বন্দী হয়ে পড়েন কয়েকশ পরিবার।

স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছর ভেঙ্গে যায়। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।

বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Home Advisor visited Mohammadpur Agricultural Market

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মার্কেট পরিদর্শন করেন ।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে যান। এরপর তিনি কৃষিমার্কেটের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দোকানিদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন এবং পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরেন ।

মন্তব্য

জাতীয়
Case in the case of stone loot in Sylhet All 2000 accused are unknown

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।

সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Iman robber arrested with weapons in the army operation in Meherpur

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ইমান ডাকাত গ্রেফতার

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ইমান ডাকাত গ্রেফতার

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ ইমান আলী ওরফে ইমান ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ইমান আলী শিবপুর গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে। সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে মার্কিন তৈরি একটি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ইমান আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরক ও নাশকতাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The army has surrounded huge weapons and explosives at the coaching center

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধারের পর একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ওই বাড়িতে থাকা ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির একটি দল।

অভিযানে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানা গেছে, ডক্টরস ইংলিশ নামের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি বিদেশী এয়ার গান, একটি রিভালবার, একটি কার্তুজ, তিন বক্স ইয়ারগান শিশা, দেশীয় অস্ত্র, জিপিএস, ওয়াকিটকি, বাইনোকুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মাদকদ্রব্যসহ আরো বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কোন তথ্য জানেন না। তবে তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য

p
উপরে