× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের ভুল ইউএনওর
google_news print-icon

ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর

ত্রাণ-সত্যিই-দরকার-ছিল-ফরিদের-ভুল-ইউএনওর
নারায়ণগঞ্জের এই ফরিদ আহমেদের জীবনের কাহিনি না জেনেই তাকে সম্পদশালী ভেবে ১০০ জনকে ত্রাণ বিতরণে বাধ্য করেছেন ইউএনও। ছবি: নিউজবাংলা
‘আমাগো বাড়ি আছে। কিন্তু এই বাড়ি ছয় ভাই ও এক বোনের। আমাগো সবার আংশিক ভাগ আছে। এর মধ্যে আমি নিচ তলায় আমার ১৬ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলে রিফাত ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকি। মেয়ে মহিলা কলেজে পড়ে। তাদের নিয়া আমার সংসারে অনেক টানাটানি। গত বছর করোনা মহামারি থেকে আমি বসা। বর্তমানে আমার কারখানা চলে না। এই করোনার কারণে আমি আরও সমস্যার মুখে পড়ছি। এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত।’

তিনি থাকেন চার তলা বাড়িতে, গেঞ্জি কারখানাও আছে। এটুকু সত্য। কিন্তু এর পেছনে আরও অনেক কাহিনি আছে।

সেই কারখানা বন্ধ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। পরে সংসার চালাতে সেই ব্যক্তি কাজ নিয়েছেন আরেক কারখানায়, কিন্তু চোখের সমস্যায় সেই কাজও করতে পারেন না। সংসারের আয় নেই। আর তিনি যে বাসায় থাকেন, সেটি তাদের ছয় ভাই-বোনের। নিজের অংশ কমই।

এসব কথা না জেনেই ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য চাওয়ায় কেবল বাড়ি দেখে আর কারখানা থাকার খবর শুনে তাকে ১০০ জনকে খাবার বিতরণে বাধ্য করল প্রশাসন।

তাকে খাদ্য বিতরণে বাধ্য করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখন বলছেন, তাদের ভুল হলে যে টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে, সেটি সেই ব্যক্তিকে ফেরত দেয়া হবে।

তবে ইউএনওর ভুলের এই খেসারত রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে মেটানো হবে কি না, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায় বাসা তার। নাম ফরিদ আহমেদ।

বৃহস্পতিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান তিনি। খাবার নিয়ে আসেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম। পরে তারা ভবন দেখে ফোন দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা আসেন ঘটনাস্থলে। দেন শাস্তির ঘোষণা।

জানান, সরকার প্রতি প্যাকেটে যে পরিমাণ খাবার দেয় দুস্থদের, সেই পরিমাণ খাবারসহ ১০০ প্যাকেট করে বিতরণ করতে হবে।

নির্দেশ মতো শনিবার বিকালে ফরিদ আহমেদ সেই খাবার বিতরণও করেন। আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও স্বয়ং।

ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরিদের জীবনের কাহিনি জেনেছে নিউজবাংলা। কিন্তু জানেননি ইউএনও।

ফরিদ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাগো বাড়ি আছে। কিন্তু এই বাড়ি ছয় ভাই ও এক বোনের। আমাগো সবার আংশিক ভাগ আছে। এর মধ্যে আমি নিচ তলায় থাকি। আমার ১৬ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলে আছে। মেয়ে মহিলা কলেজে পড়ে। তাদের নিয়া আমার সংসারে অনেক টানাটানি।’

ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর
ফরিদ আহমেদের দুর্গতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদেছেন তার স্বজনরা

নিজের কারখানার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর করোনা মহামারি থেকে আমি বসা। বর্তমানে আমার কারখানা চলে না। এই করোনার কারণে আমি আরও সমস্যার মুখে পড়ছি। এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত।

‘কারখানা দেয়ার আগে যে হোসিয়ারিতে দীর্ঘদিন কাটিং মাস্টার ছিলাম। এখন আবার সেখানে কাজ করি। আমার দুই চোখে অনেক কম দেখি।’

৩৩৩ নম্বরে কেন ফোন

ইউএনও আরিফা জহুরা দাবি করেছেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে আসলেই খাবার পাওয়া যায় কি না, সেটি যাচাই করতেই ফোন করেছিলেন ফরিদ।

তবে ফরিদ বলেন উল্টো কথা।

তিনি বলেন, ‘প্রতি ঘণ্টা আমি এফএম রেডিও শুনি। সেখান শুনছি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাবার আসে। এ জন্য ফোন করছি। কিন্তু জানতাম না এটা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। তবে আমিও তো পেটের দায়ে অভাবে পইড়াই ফোন করছি।

‘আমার খাদ্য প্রয়োজন ছিল বলেই ফোন করছি। সেখান থেকে তারা বলছে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হইল। পরে তারা ফোন করে নাম, ঠিকানাসহ আমার ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞাসা করছে, আমি সব বলছি। এরপর তারা আইসা খাদ্য না দিয়া বরং আমারে ফাইন করে দিয়ে গেছে।’

ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর
নিজের ঘরে অসহায় বসে ফরিদ আহমেদ

জরিমানার আদেশের বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘কাশিপুর ইউনিয়নে পরিষদের (ইউপি) সদস্য আইয়ুব আলী আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, আপনি এই খাদ্য পাওয়ার উপযুক্ত নন। এই কথা বলে আমাকে নানাভাবে ধমকাতে থাকেন।

‘পরে আমি ভুলও স্বীকার করেছি। তার কিছুক্ষণ পর ইউএনও স্যার আসেন এবং আমাকে ডেকে নিয়ে নানা প্রশ্ন করার পর ১০০ মানুষকে খাদ্য সহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেন। ইউএনও স্যার চলে যাওয়ার পর ইউপি সদস্যসহ অনেকে খাদ্য সহায়তা করা না হলে তিন মাসের সাজা হবে বলে’-সেদিনের ঘটনার এমন বর্ণনা দেন ফরিদ।

ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর
ফরিদ আহমেদের স্ত্রীর অলঙ্কার বন্ধক রেখে সুদের টাকায় কেনা ত্রাণ বিতরণ করেন ইউএনও আরিফা জহুরা

টাকা যোগাড় করলেন যেভাবে

ফরিদ আহমেদ জানালেন, কারাভোগের ভয়ে তিনি স্ত্রীর স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদে টাকা এনে খাদ্যসামগ্রী কিনেছেন।

তিনি বলেন, ‘তারা যেভাবে বলছে আমি সেভাবে ১০০ প্যাকেট বানিয়ে দিসি। এগুলো দিতে আমার ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমার এই খাদ্য সহায়তা দিতে অনেক কষ্ট হইছে।’

কাঁদলেন ফরিদ আহমেদের স্ত্রী

নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে কেঁদে ফেলেন এই প্রবীণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী হিরণ বেগম। তিনি বলেন, ‘গত দুইদিন বহু চেষ্টা করছি স্বামীরে জেলের হাত থেকে বাঁচাতে। নিজের স্বর্ণসহ আত্মীয়স্বজনের সোনার গয়না জুয়েলারি দোকানে বন্ধক রাইখা চড়া সুদে ঋণ করছি। মেম্বার আইযুব আলীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিছি। মোট ৬৫ হাজার টাকার খাদ্যসামগ্রী কিনতে হয়েছে আমাগো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার নিজেরাই চলতে পারি না। প্রতিবন্ধী ছেলে, পুরো পরিবার এমনিতেই আমরা সংকটে।’

বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর
কারাভোগের ভয়ে সুদের টাকায় জোগাড় করা ত্রাণ

ফরিদ আহমেদ ছোট ভাই সেলিম খানের স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, ‘বড় ভাসুর ফরিদ আহমেদ ব্রেন স্ট্রোক করেছেন দুই বার। এ কারণে ওনি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না। তার মানসিক সমস্যাও রয়েছে। গতরাতে তিনি দুই বার আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। আমরা তাকে সারারাত পাহারা দিয়ে রাখছি। টাকা পয়সা জোগাড় করতে সহায়তা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাগো বাড়ি আছে ঠিকই, কিন্তু কাম নাই, আমাগো ঘরে খাওন নাই। সরকারের কাছে খাদ্য চাইয়া উল্টো জরিমানা দিতে হইলো। আমাগো উপর জুলুম করল তারা।’

উচিত হয়নি, বলছেন জনপ্রতিনিধি

কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি উপজেলা প্রশাসনকে বার বার বলছি ফরিদ আহমেদের ১০০ প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করার শাস্তি দেয়া ঠিক হয় নাই। কিন্তু তারা মানে নাই। পরে বাধ্য হয়ে আমি নিজেও তারে ১০ হাজার টাকা দিছি।’

ইউএনওর দাবি, তাকে কিছু জানাননি ফরিদ আহমেদ

ফরিদ আহমেদকে নিয়ে এত বড় ভুল কীভাবে হলো, জানতে চাইলে ইউএনও আরিফা জহুরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নিজে ফরিদ আহমেদ এর বাড়িতে গিয়েছি। তখনো তিনি বলেনি তার সমস্যার কথা।

‘তিনি ফোন করার পর আমরা তার তথ্য যাচাই বাছাই করেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী জানতে পারি তিনি চার তলা বাড়ির মালিক ও পোশাক কারখানাও রয়েছে। ওই এলাকার স্থানীয় মেম্বারও তাই জানিয়েছে। তাই তাকে তখন অযথা সরকারি লোকজনকে হয়রানির করার দায়ে শাস্তি হিসেবে ১০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানাই।’

ত্রাণ সত্যিই দরকার ছিল ফরিদের, ভুল ইউএনওর
ইউএনও আরিফা জহুরা এখন বলছেন, ফরিদ আহমেদ তাকে বিস্তারিত খুলে বলেননি

আপনি বাসায় গিয়েও জানতে পারেননি?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তিনি তখনও আমাকে জানিয়েছেন তিনি চার তলা বাড়ির মালিক ও পোশাক কারখানার ব্যবসা করেন। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়নি। তাকে সরকারি কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির দায়ে শাস্তি হিসেবে আশেপাশের ১০০ গরিব পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার অনুরোধ করেছি। তিনি তা মেনে নিয়েছেন।’

বিপাকে পড়া মানুষটি যে সুদে টাকা নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করতে বাধ্য হয়েছেন, এখন তার সেই ক্ষতিপূরণ কে দেবে- এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, ‘যদি তিনি কারও ভয়ে তথ্য গোপন করে থাকেন তাহলে সে বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করব। যদি তার অভিযোগ সত্য হয় তাহলে তিনি যে পরিমাণ টাকা খাদ্য সহায়তা করেছেন তার অর্থ ফিরিয়ে দেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
৩৩৩: খাদ্য পায়নি তিনজনের দুইজনই
৩৩৩ নম্বরে খাদ্য চেয়ে ফোন, পাচ্ছেন বাড়িও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Fire in the garment factory and chemical godown in Mirpur

মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এছাড়া আরও ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল-এর কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় গার্মেন্টস ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের সাতটা ইউনিট কাজ করছে, আরও একটা ইউনিট যাচ্ছে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে কেউ হতাহত হয়েছে এমন সংবাদও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি।

মন্তব্য

জাতীয়
The body of a missing young man was recovered in the river police to buy hilsa 

ইলিশ কিনতে গিয়ে নৌ-পুলিশের ধাওয়া নদীতে ঝাঁপ,নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার 

ইলিশ কিনতে গিয়ে নৌ-পুলিশের ধাওয়া নদীতে ঝাঁপ,নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার 

পটুয়াখালীর বাউফলে নৌ-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দেওয়া রাসেল খান (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ নিখোঁজের তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর বাতিঘর পয়েন্ট থেকে তার স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে।

নিহত রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দর্জি ছিলেন এবং স্থানীয় বড় ডালিমা ব্রিজ এলাকায় তার একটি দর্জির দোকান ছিল। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।

জানা যায় , গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে রাসেল খান তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ কিনতে যান। এ সময় মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের একটি স্পিডবোর্ড অভিযান চালালে তারা ধাওয়া খায়। ধাওয়া থেকে বাঁচতে গিয়ে রাসেল খান নদীতে ঝাঁপ দিলে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালালেও তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ অবস্থান করছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

মন্তব্য

জাতীয়
NCP is thinking of alliance with outside of Indian domination Sargis Alam 

ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে:  সারজিস আলম 

ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে:  সারজিস আলম 

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে। আজ রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এনসিপি’র শাপলা প্রতীকে আইনগত কোন বাঁধা নেই, তাই শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি যেকোন এলায়েন্সে যেতে পারে, তবে সেটা এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।

সারজিস আলম বলেন, এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর চায়, নিম্নকক্ষে পিআর চায় না। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এবং উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেখতে পারি কতটুকু কাজ হলো। একইসাথে এটা দিয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হয় কি না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপি’র ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়াসহ অনেকেই।

মন্তব্য

জাতীয়
Ramgati Kamlnagar is worried about 1 lakh 3 thousand cattle

রামগতি-কমলনগরে ১ লাখ ৩০ হাজার গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা

রামগতি-কমলনগরে ১ লাখ ৩০ হাজার গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৬৩৩ টি খামারের ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে খামারিরা। এসব গবাদি পশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি নামে একটি রোগ। যাকে পক্সভাইরাস বলা হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া অ্যানথ্রাক্স নিয়েও আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের গরুর খামারিরা। গবাদি পশুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে নেই কোন উদ্যোগ। এই রোগের জন্য সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পুর্ন উদাসীন। তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে এসব রোগ সম্পর্কে অবহিত না করে ঘুমিয়ে আছেন। গরুর খামারিদের জনসচেতনতা নিয়ে কোন সহায়তা করছেনা বলে অভিযোগ খামারিদের।

পশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগটি গবাদি পশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মধ্যে যদি অ্যানথ্রাক্স রোগটিও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এ অঞ্চলে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদি পশু ও সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

পক্সভাইরাস ও অ্যানথ্রাক্স মুলত গবাদি পশুর থেকে ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঠুকে পড়ে। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যে অধিকাংশ খামারের গরু ছাগল ও ভেড়ার মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ছড়িয়ে পড়লেও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাউকে পাশে পাচ্ছেনা বলে জানান কয়েকজন খামার মালিক।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রামগতিতে ১০২ টি গরুর খামারে ৬৭ হাজার ২৫১টি গরু, ১৩৯ টি ছাগলের খামারে ১৩ হাজার ৩৩৮ টি ছাগল, ৫৯ টি বেঁড়ার খামারে ১০ হাজার ২২৮ টি ভেড়া ও ৮ হাজার মহিষ সহ মোট ৯৯ হাজার ১০৭ টি গবাদি পশু রয়েছে।

কমলনগরে ২৫০ টি গরুর খামারে ২০ হাজার ২৩০টি গরু,৫০টি মহিষের খামারে ৬ হাজার ৫২৫ টি মহিষ, ২৫ টি ছাগলের খামারে ৪ হাজার ৫৯৮ ছাগল ও ৮ টি ভেড়ার খামারে ৪৫৫টি ভেড়া সহ মোট ৩১ হাজার ৮০৮ টি গবাদি পশু আছে। দুই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদি পশু রয়েছে।

রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের ডেইরী ফার্মের মালিক মোঃ মিলন বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস আছে শুধু নামেই,কাজের বেলা তাদেরকে পাওয়া যায়না। খামারিদেরকে কোন প্রকার সহায়তা বা সময়মত ঔষধও দিচ্ছেনা।

আনোয়ার ডেইরী ফার্মের মালিক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাণী সম্পদ অফিসের কাউকে ফোন করলেও ফোন ধরেনা। আমাদের খামারের কোন খোঁজ খবর নেয়না। গরু ছাগল ও ভেড়াগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীগ্রামের খামার মালিক গোলাম রব্বানী বলেন,তার খামারের সবগুলো গরুর মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে ফোন দিলে তারা ফোন ধরেনা। কোন খবরও নিচ্ছেনা।

কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও রামগতি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুবেল সরকার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গবাদি পশু বা মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ ধরা পড়লেও আমাদের এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এই ধরনের রোগের খবর আমরা পাইনি। তবে কয়েকটি গরু ছাগলের খামারে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ধরা পড়েছে। আমরা কিছু কিছু খামারের গরুকে টিকা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো খামারে টিকা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Online bail Law Advisor to Harassment

হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা

হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। টাকা খরচসহ সব ধাপেই হয়রানির শিকার হতে হয়। হয়রানি নিরসনে অনলাইন জামিননামা চালু করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বুধবার (১৫ অক্টোবর) অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করা হবে। এতে জামিন পাওয়াদের মুক্তির পথ সহজ হবে। এক ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে, যেখানে আসামি আছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The students were removed from the road with the principals request

অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ সংশোধনের দাবিতে এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর অধ্যক্ষের অনুরোধে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এতে সড়কে বন্ধ হয়ে যাওয়া যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার সায়েন্সল্যাব মোড়ে আসেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আহ্বান মেনে সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’-এর বর্তমান ধারায় ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষের ঐতিহ্য নষ্ট হবে বলে দাবি করেন তারা।

উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ শুধু একটা শিক্ষা ধাপ নয়, এটা আমাদের ইতিহাসের অংশ। এই বিভাগ তুলে দিলে কলেজের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

সামিউল ইসলাম নামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই না আমাদের পরের প্রজন্ম এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সুযোগ হারাক। শত বছরের পুরোনো এই ধারা বজায় রাখা উচিত। ঢাকা কলেজ সবসময়ই মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা ভালো, কিন্তু ঐতিহ্য মুছে দিয়ে নয়। আমাদের দাবি ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই এগোতে হবে।

অন্যদিকে, অবরোধের কারণে ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ফলে আজিমপুর, নীলক্ষেত, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর আগে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর প্রস্তুতির সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে ‘দালাল’ মন্তব্যের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে কমনরুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সহপাঠীকে ছাড়িয়ে আনেন।

এসময় উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান।

মন্তব্য

জাতীয়
Hanif ordered a notice to appear in the newspaper to appear in court

হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক এই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুপুর দেড়টা থেকে চারটার মধ্যে কুষ্টিয়ার বক চত্বর থেকে অনুমান ৫০ গজ উত্তরে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, বার্মিজ গলিতে সুরুজ আলী বাবু, হরিপুর গামী রাস্তা আড়ং এর সামনে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুত্তাকিন, মো. উসামা, তুলা পট্টির গলিতে ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও ফায়ার সার্ভিসের বিপরীত দিকে রাস্তার ওপর চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ শহীদ হন।

মন্তব্য

p
উপরে