ফিলিস্তিন সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি চেয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার এক যৌথ আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাসসহ অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হলো।
আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হানার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস রকেট ছোড়ে ইসরায়েলে। এর জেরে গত ১০ মে থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতি শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়ার আগে টানা ১১ দিনের হামলায় গাজায় ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৬৫ শিশু ও হামাস যোদ্ধা রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে এক হাজার ৯০০ মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাস ও অন্য সংগঠনগুলোর রকেটে ১২ জন নিহত হয়।
দুই পক্ষের এ যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল শুরু থেকেই তৎপরতা শুরু করে। তবে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পর বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।
এমন বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র সময় বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন প্রশ্নে যৌথ আলোচনার আয়োজন করেছিলেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি। এতে অংশ নেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, সুদীর্ঘ সময় ধরে চলমান ফিলিস্তিনি সংকটের স্থায়ী সমাধান জরুরি। নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকা দরকার।
শিশু ও নারীসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে যে চিঠি দিয়েছিলেন, সে কথা সাধারণ পরিষদকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
প্রধানমন্ত্রীর লেখা সেই চিঠির উল্লেখ করে ফাতিমা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত প্রতিশ্রুতির কথা তিনি ফের উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানান। ধারাবাহিকভাবে এই অবিবেচনাপ্রসূত সহিংসতার প্রতি ধিক্কার জানান।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকার প্রস্তাব
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিন সমস্যার ব্যাপকভিত্তিক, ন্যায়সংগত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কিছু অগ্রাধিকার বিষয় তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা নেয়া, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদকে তাদের চার্টার অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করা, কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাব ২৩৩৪(২০১৬)সহ এ বিষয়ের সব প্রস্তাব ইসরায়েলকে পরিপালন করাতে বাধ্য করা। এ ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সব পক্ষের সঙ্গে জাতিসংঘকে আরও নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জরুরিভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের মানবিক প্রয়োজনগুলো মেটানোর প্রতি জোর দিয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় সৃষ্ট জাতিসংঘের রিলিফ ফান্ডের (ইউএনআরডব্লিউএ) সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ।
জাতিসংঘের শতাধিক সদস্যরাষ্ট্র দিনব্যাপী আলোচনায় অংশ নেয়। সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছাড়াও বক্তব্য দেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি।
আরও পড়ুন:বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আমতলীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সড়কে সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে তিনটি সংসদীয় আসন ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান।
জানা গেছে, ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত উপকূলীয় বরগুনা জেলার আয়তন ১,৮৩১.৩১ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার। স্বাধীনতার পর থেকে এ জেলায় বরগুনা-১, বরগুনা-২ এবং বরগুনা-৩ নামে তিনটি আসন ছিল। পায়রা ও বিশখালী নদীর ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বিভক্ত এ আসনগুলো ২০০৮ সালের ১০ জুলাই তৎকালীন ১/১১ সরকার সমর্থিত নির্বাচন কমিশন দুইটি আসনে সংকুচিত করে। বর্তমানে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা মিলে বরগুনা-১ আসন এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা উপজেলা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। এতে জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন খসড়া গেজেট প্রকাশ করলেও বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহালের উদ্যোগ নেয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১০ আগস্ট ১৩০ জন ব্যক্তি লিখিত আপিল করেন। আগামী ২৫ আগস্ট এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক অ্যাডভোকেট মজিদ মল্লিক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি) , সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, এনএসএস নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল করিম বাদল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মামুন, সৈয়দ আসাদুজ্জামান কাওসারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য ও বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সাবেক এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, “সুষম উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর সংসদে পৌঁছানো এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও নদী ভাঙন প্রতিরোধে বরগুনায় তিনটি আসন পুনর্বহাল জরুরি।”
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মজিদ মল্লিক বলেন, “ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
বর্তমানে চুরি আতঙ্কে রয়েছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলাবাসী। এই উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা। চোরেরা সুযোগ বুঝে এক রাতেই ৩-৪ টি জায়গায় চুরি করছে অনায়াসে।
সর্বশেষ শুক্রবার ২২আগষ্ট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সিদ্দিকের ফিডের দোকানে চুরি করতে এসে এক চোর আটক হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে রাতে আরো তিন জন চোরকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার একই রাতে তিনটি দোকান ও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। আর এভাবেই গত ২৮-০৭-২৫ থেকে এখন পর্যন্ত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এসব চুরি আবার বেশি হচ্ছে খোদ উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাজার, দোকানপাট থেকে। এছাড়া বাদ যাচ্ছে না গ্রামীণ বাড়িঘর। এ অবস্থায় নিরাপত্তায়হীনতায় আর হতাশায় দিন কাটছে উপজেলার মানুষের। দেখা দিয়েছে চুরি আতঙ্ক।
স্থানীয়রা বলছেন চুরির মালামাল উদ্ধার ও চোরদের আটক না করায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। আবার হঠাৎ করে চুরি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন নেশার টাকা জোগাড় ও পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের অভাব।
আর থানা পুলিশ বলছে চুরির রহস্য উৎঘাটনসহ চোরকে ধরার চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিয়ত কারো না কারো মূল্যবান জিনিস চুরি করছে চোরেরা। কখনও কারো বাড়ির গরু-ছাগল চুরি হচ্ছে, কখনও গভীর নলকূপের ট্র্র্র্র্র্র্যান্সফরমার চুরি, কখনও পাওয়া যাচ্ছে দোকান চুরির খবর। আবার কখনও বাড়ির গেট থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। যেন চোরদের চুরির নিরাপদ উপজেলায় পরিণত হয়েছে।
এখন চায়ের দোকান মূখর হয় চুরির খবরে। পুলিশ যেন নির্বেকার, কোন ভাবেই চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। করতে পারছে না রহস্য উৎঘাটন। তাই পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভূক্তভোগীরা।
জানা যায়, গত ২০ আগষ্ট একই রাতে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শরিফুলের মুদি দোকান, উপজেলার মোড়ে সোহাগের চায়ের দোকান, বাজার এলাকায় মাসুদের মুদি দোকান এবং হটাৎপাড়া এলাকার মজিদুলের বাড়ির ওয়াটার পাম্প চুরি হয়।
এর আগে গত ১০ আগষ্ট রাতে বাজার এলাকার সবচেয়ে বড় মুদি দোকান লিটন ভ্যারাইটি ষ্টোরের ইটের ১০ ইঞ্চি দেয়াল ভেঙে দোকানে চুরি। এর দুই দিন পর বাজারের আরেক বড় মুদি দোকান ফারুক ষ্টোরের উপরের টিন খুলে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
এছাড়া গত ৭ আগষ্ট সবজি দোকানদার সুমন হোসেন তার পালসার মোটরসাইকেলটি দুপুরে বাড়ির দরজার সামনে রেখে ভাত খাচ্ছিলো। পরে এসে দেখে মোটরসাইকেল নেই, চুরি হয়ে গেছে।
গত ২৮জুলাই উপজেলার খাদ্যগুদামের সামনে সার্থক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক সানজাদ রয়েল সাগরের সিনজেনটা দোকানের ইটের দেয়াল ভেঙে মালামাল চুরি হয়।
এর ৩-৪ দিন পর মথুরাপুর ইউপির সদস্য পরিমল চন্দ্রের বাড়ির লোহার গ্রিল কেটে মোটরসাইকেল ও গরু চুরির ঘটনা ঘটে।
এভাবেই গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৩৫ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী চুরি হয়েছে উপজেলার মোড় ও বাজার এলাকায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সানজাদ রয়েল সাগর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,“দোকান ভেঙে নগদ টাকা আর মালামাল নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ তো গভীর ঘুমে বিভোর। দেখি কবে পুলিশের ঘুম ভাঙে।”
আরেক ভূক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী সুমন হোসেন বলেন,“আমার মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর থানায় গিয়েছি জিডি করার জন্য। পুলিশ জিডি না নিয়ে অভিযোগ দিতে বলে। সেই মোতাবেক অভিযোগ লিখে আমি ওসির কাছে জমা দিতে গেলে ওসি আমাকে বলেন“ আপনার কাছে যদি এক লাখ টাকা থাকে বাহিরে রাখবেন, টাকা আর গাড়ী একই জিনিস। গাড়ী বাড়ির বাহিরে রাখলেন কেন? এখন চুরি হয়েছে সব দোষ পুলিশের হবে।”
মুদি ব্যবসায়ী শরিফুল হোসেন বলেন,“ যেভাবে দিনের পর দিন চুরি হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আমরা কিভাবে ব্যবসা করবো।”বারবার চুরির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ জমছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে চোরদের লাগাম টানবে কে? এভাবে চলতে থাকলে বদলগাছীর শান্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। কোন কোন গ্রামে চুরির ভয়ে মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে না। কেউ ঘুমাচ্ছে ঘরের উঠানে,আবার কেউ টর্চ লাইট হাতে পাহারা দেন। চোরের ভয়ে অস্থির জনজীবন।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, আমরা চোরকে ধরতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোন চুরির ঘটনার রহস্য উৎঘাটন বা চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে কি/না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালামাল উদ্ধার হয়নি,তবে আমরা আশাবাদী চোর সহ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার হবে খুব নিকটে। চার জন চোর আটক আছে। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার তিন বারের সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন, আমার পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির কোনো মেয়র নির্বাচিত হননি। আমি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে তিন বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। ভোট চুরি না হলে আমি সদরের এমপি ছিলাম। দল যখন যেভাবে চেয়েছে আমি সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করেছি। দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহে এবং অনুরোধে আমি হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী সফল করতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গউছ বলেন, জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর। বিএনপি যারা করেন, যারা রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, শরীরের ঘাম ঝড়িয়েছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কারা প্রার্থী হবেন, আর কাদেরকে তারা ভোট দিবেন। কিন্তু মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলে বুঝতে হবে সামথিং ইজ রং। দুষ্ট লোকের দুষ্টামি কখনো বন্ধ হয় না। দুষ্ট লোকেরা ঘিয়ের মধ্যেও কাটা বাছতে শুরু করে। তাদের কাজই হচ্ছে ভালো কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তারা বিএনপির কউন্সিলকে নিয়ে গুজব রটাচ্ছে, মিথ্যাচার করছে, তাদের বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তারা মূলত আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের এমপিরা পালিয়েছে, সাথে শত শত কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এসব টাকা বিএনপির সামনের সারির নেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে খরচ করা হচ্ছে। এটা বিএনপি নেতাকর্মীদের মাথায় থাকতে হবে।
জি কে গউছ বলেন, জোর জবরদস্তি করে মানুষের মন জয় করা যায় না। জোর করে মানুষের দোয়া, ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই জনগণ বিরক্ত হয় এমন কাজ যেন আমরা কেউ না করি। কারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমেই আমাদেরকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে।
পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে শামসুদ্দিন ও নুসরাত নামে দুজন নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধারাম হাওরে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের খোঁজ মিলেনি।
ওইদিন সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া থেকে জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুরে বিয়ের জন্য কনে দেখতে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ৭ জন রওনা দেন। নৌকাটি ধারাম হাওরে গেলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় চালকসহ ৫ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও ষাট বছর বয়সী শামসুদ্দিন ও সাত বছর বয়সী নুসরাত নিখোঁজ হয়। শামসুদ্দিন সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে ও নুসরাত কান্দাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুজনকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল এসে পৌঁছেছে। তারাও উদ্ধার কাজে অংশ নিবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আজ ২৩ আগস্ট ২০২৫ শনিবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও কারা নির্যাতিত তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ যখন উচ্চারিত হয়, তখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।
২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট স্মরণ করে উপাচার্য সেই সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এ ঐতিহ্যের দায় আমাদের সবার। ভবিষ্যতেও যদি একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, ডাক পড়লে আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করব।
সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পরাস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করব।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁদের আমরা স্মরণ করছি। শিক্ষকরা আন্দোলনে সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সকল অংশীজনের পরামর্শে এগিয়ে গেছে এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকবে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার ওপর আঘাত এসেছিল। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি দেশের মানুষের ছিল প্রবল আকাঙ্ক্ষা ।
তিনি বলেন, তখন দেশের মানুষ সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকের আয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের স্মরণ করার অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা না থাকলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
শুক্রবার ২২ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে জনৈক এক মা তার মুমূর্ষু দুইদিনের নবজাতককে কৃত্রিম অক্সিজেন সহকারে উন্নত চিকিৎসার জন্য 'এম ভি মিতালী-০৭' লঞ্চ যোগে ভোলার ইলিশা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি আজ শুক্রবার ভোর ৪ টায় ফতুল্লা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। এতে উক্ত নবজাতকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়। তৎক্ষণাৎ একজন নিকট আত্মীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে, কোস্ট গার্ড অবগত হয়।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশন পাগলা হতে একটি মেডিক্যাল টিম তৎক্ষণাৎ একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ হাই স্পিড বোট যোগে উক্ত লঞ্চে গমন করে। অতঃপর মেডিকেল টিম নবজাতককে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান করে এবং উক্ত লঞ্চ যোগে সদরঘাটে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ধানমন্ডি মা ও শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জনসেবায় কোস্ট গার্ডের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আনসার, এপিসি ও পিসি সদস্যদের সতেজকরণ প্রশিক্ষণ (৫ম ধাপ), ২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে উল্লেখ করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। শনিবার (২৩ আগস্ট) গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“আনসার বাহিনীর সদস্যদের শুধু সংখ্যাগত উপস্থিতি নয়, বরং নিরাপত্তা সেবার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে এই বাহিনী কাজ করছে। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বাহিনী ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছে।”
তিনি আরো বলেন— “আনসার বাহিনী চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভিডিপি/টিডিপি, উপজেলা/থানা আনসার, অঙ্গীভূত আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসারের দায়িত্ব ভিন্ন হলেও দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিটি সাংগঠনিক কাঠামোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটালিয়ন আনসার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাথে দায়িত্ব পালন করছে, আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা পয়েন্ট সিকিউরিটিতে কেপিআই ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। তারা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অপরিহার্য। উপজেলা আনসার সদস্যদের মিশন ও দায়িত্ব পরিধি অনুযায়ী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ও প্রান্তিক আয়োজনে জোরালো ভূমিকা রাখছে। ভিডিপি/টিডিপি সদস্যরা সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা হুমকির উৎস মুলে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি সতেজকরণ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন— “রাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাহিনী গড়ে তুলতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সমাজ ও মানুষের প্রয়োজনের সাথে এই বাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই কোনো অদক্ষ সদস্য এ বাহিনীতে স্থান পাবে না। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আনসার বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। বিশেষ করে কেপিআই নিরাপত্তায় এ প্রশিক্ষণ নতুন মাত্রা যোগ করবে।” এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ১,১৬০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১,১৩৬ জন সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে মৌলিক শরীরচর্চা, অস্ত্র ও সাধারণ ড্রিল, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, সংগঠন ও বিধি-বিধান, সামাজিক সচেতনতা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, নারী ও শিশুর সুরক্ষা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
মহাপরিচালক অতীতের অবদান স্মরণ করে বলেন— “০৫ আগস্ট যখন সারা দেশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো এবং অনেক থানাই অরক্ষিত হয়ে পড়েছিলো, তখন আনসার বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলো। জনগনের আকাঙ্খা পুরনে আগামীতে আনসার ভিডিপি সদস্যরা আস্হার স্বাক্ষর রাখতে সুপ্রশিক্ষিত ও সক্ষমতা অর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ” অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রশিক্ষণে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়— তরিকুল ইসলাম, মো: বারিক এবং মাইনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপমহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো: রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ বাহিনীর বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য