সচিবালয়ে সরকারি তথ্য চুরির অভিযোগে অবরুদ্ধ হওয়ার পর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের দোষ স্বীকারের যে ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, তা আদালতে উপস্থাপনের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এটি দেখার পর আদালত জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম বাকী বিল্লাহ জানিয়েছিলেন, এই দিনই (বৃহস্পতিবার) জামিন বিষয়ে আদেশ দিয়ে দেবেন। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর জামিন বিষয়ে আদেশ না দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে আসামির স্বীকারোক্তির ভিডিও ফুটেজ জমা দেয়ার আদেশ দেন।
ওই ফুটেজ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে রোববার জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়া হতে পারে বলে জানান বিচারক।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরন) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছি এবং আসামিপক্ষও বক্তব্য উপস্থাপন করেছিল। মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।
‘কিছুক্ষণ আগে বিজ্ঞ বিচারক বাকী বিল্লাহ একটি আদেশ দিয়েছেন। সে আদেশে উল্লেখ করেছেন যে, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামির স্বীকারোক্তির যে ভিডিও ফুটেজ আছে সেটা আদালতে উপস্থাপন করব। সেই ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করার আলোকেই আগামী রোববারের জন্য এই মামলার পূর্ণাঙ্গ আদেশের দিন ধার্য করেছেন। এটাই হলো এ মামলার সর্বশেষ আদেশ।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী রোববার অর্থাৎ ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্ট উপস্থাপন এবং সেটা পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে আমরা জেনেছি। কথা হলো এই যে ডকুমেন্ট উপস্থাপন, কী ডকুমেন্ট রাষ্ট্রপক্ষ দেবে সেটা সম্পর্কে যদি ডিফেন্স অবগত না হয় এবং কথা বলার সুযোগ না পায় তাহলে আমি মনে করি ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে।’
গত মঙ্গলবার মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে লড়েন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু। তবে ব্যক্তিগত কারণে বৃহস্পতিবার শুনানিতে ছিলেন না। তার হয়ে শুনানি করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ।
শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের যে ধারায় (৩ ও ৫ ধারা) অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জামিন অযোগ্য।
এর বিরোধিতা করে রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, জামিন পাওয়া রোজিনা ইসলামের আইনত অধিকার। তিনি জামিন পাওয়ার অগ্রাধিকার রাখেন। যেহেতু আসামি নারী এবং অসুস্থ, সুতরাং ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৯৭, উপধারা ১-এর বিধান অনুযায়ী তিনি একজন প্রিভিলেজড পারসন। যেহেতু এ অভিযোগ জামিনযোগ্য এবং জামিন পাওয়ার জন্য তিনি আদালতের বিবেচনা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন, সুতরাং তার জামিন মঞ্জুর করা হোক।
সোমবার রোজিনাকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি কক্ষে আটকের কিছু ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রোজিনাকে সোফায় বসিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা জেরা করছেন।
তখন রোজিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো ভুল করছি, আমি বললাম। মুচলেকা দিয়ে দেই।’
বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালে এহসানুল হক সমাজী জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি এজাহারের দুর্বলতাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কথিত চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই অভিযোগের এজাহারে পেনাল কোডের ৩৭৯ ও ৪১১ ধারা এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর ৩ ও ৫ ধারার কোনো উপাদান নেই।
তিনি বলেন, ‘৩৭৯ ও ৪১১ ধারা সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই কী কী চুরি হয়েছে তার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। কিন্তু সেই বর্ণনা এজাহারের কোথাও নেই। অর্থাৎ রোজিনা কী ডকুমেন্ট চুরি করেছিলেন সেটার উল্লেখ নেই। সেই সাথে জব্দ তালিকা দেয়া আছে, সেটা পুলিশ রোজিনার কাছ থেকে উদ্ধার করেনি, বরং একজন সরকারি কর্মকর্তা সেগুলো পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
‘তাই কথিত চুরি করা ডকুমেন্ট রোজিনার কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন কি না কিংবা তিনি আসলেই চুরি করেছেন কি না সে নিয়ে আইনি প্রশ্ন থেকে যায়। তা ছাড়া অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ধারা হলো গুপ্তচরবৃত্তি-সংক্রান্ত। রোজিনা গুপ্তচারিতা করছিলেন এজাহারে কোথাও এমনটি উল্লেখ নেই। আর ৫ ধারা হলো রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শত্রুর কাছে হস্তান্তর করতে যোগাযোগ করা। এমন কোনো তথ্যও এজাহারে নাই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী সমাজী বলেন, ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের সেকশন ১২ মতে আইনের ৩ ধারা ছাড়া অন্য সব ধারায় অপরাধ জামিনযোগ্য। এই রেফারেন্সে আমরা রোজিনার জামিন চেয়েছি। আমি বিজ্ঞ আদালতকে বলেছি, এই ঘটনায় রোজিনার জামিন পাওয়া তার প্রতি কোনো দয়া নয় বরং তার আইনি অধিকার। সি ডিজার্ভস টু বি রিলিজড অন বেইল।’
সচিবালয়ে সোমবার এক কর্মকর্তার কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পরদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় রোজিনাকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে এই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক মোহাম্মদ জসীম।
জামিন আবেদন করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এই আবেদন আংশিক শুনানি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন বিচারক। রোজিনাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে।
শুরু থেকেই রোজিনাকে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক নেতারা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। মন্ত্রীরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন ন্যায্য বিচার পাবেন রোজিনা।
আরও পড়ুন:দেশব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ যথাযথভাবে উদযাপনে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ৩৫ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন-জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সভাপতি); পুলিশ সুপার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার; নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ; নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ; উপপরিচালক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর; নির্বাহী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি/অধিনায়ক, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সকল), জেলা সদরের সরকারি কলেজের একজন প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ মনোনীত), সরকারি মহিলা কলেজের একজন প্রতিনিধি (অধ্যক্ষ মনোনীত), বেসরকারি কলেজের একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর; উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর; উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন; জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক (জেলা প্রশাসক মনোনীত), বালিকা বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক (জেলা প্রশাসক মনোনীত), কওমি মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ (জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলা কালচারাল অফিসার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি. ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এ শহিদ পরিবারের দু’জন সদস্য (যদি থাকে, জেলা প্রশাসক মনোনীত), আহত দু’জন সদস্য (যদি থাকে, জেলা প্রশাসক মনোনীত), জেলার পাঁচজন রাজনৈতিক নেতা/গণ্যমান্য ব্যক্তি (একজন মহিলা অন্তর্ভুক্তসহ, জেলা প্রশাসক মনোনীত), কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন, জেলা পর্যায়ের বাস্তবতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান এবং জাতীয় কমিটি ও নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত কাজ করবে জেলা বাস্তবায়ন কমিটি।
কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সভা আহ্বান করা যাবে। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনগুলো নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি নির্দিষ্ট দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার অভিযোগ রয়েছে। সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, এই নির্বাচনে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, দেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের আশঙ্কা প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই তিন নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই সরকার ‘বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করেছে।’
পাঁচ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক, আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আবদুল আলীম।
কমিটির কার্যপরিধিতে যা রয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক, তদারকি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ বিশ্লেষণ; এসব নির্বাচনে সংঘটিত দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ; রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ সীমিত করা, ভোটাধিকার হরণ এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা পর্যালোচনা; তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ এবং নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও অনুসন্ধান।
কমিটি এসব বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করবে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রযোজ্য আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন কমিশনের কাঠামো ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়ে সুপারিশ দেবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা এবং নির্বাচন কমিশন লজিস্টিক ও তথ্য সহায়তা দেবে।
কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সরকারি দপ্তরের দলিল-দস্তাবেজ তলব করতে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রয়োজনে কমিটি অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্টও করতে পারবে।
এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সামাজিক ব্যবসা (সোশ্যাল বিজনেস) শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হল সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
শুক্রবার সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা সর্বোত্তম পন্থা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে উদযাপন করা হচ্ছে।
এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডে উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে সামাজিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নেতা ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মূল প্রবন্ধও উপস্থাপন করবেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সাভারের জিরাবোতে সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে আজ প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ইউনূস সেন্টার ও গ্রামীণ গ্রুপ আয়োজিত এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে-র মূল প্রতিপাদ্য: ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সোশ্যাল বিজনেসই সর্বোত্তম পথ।’
প্রথম দিনের উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (১৯৯২–২০০০) ড. ইসমাইল সেরাগেলদিন, গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান ও ইউনূস সেন্টারের রিলেশনস ম্যানেজার জিনাত ইসলাম।
দুদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের লক্ষ্য হলো, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে একটি টেকসই, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলা।
এই আয়োজনে রয়েছে পাঁচটি প্লেনারি ও আটটি ব্রেকআউট সেশন, যেখানে বৈচিত্র্যময় মত ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন অংশগ্রহণকারীরা। ৩৪টি দেশের ১৮০ জনের বেশি বিদেশি প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারী এতে যোগ দিয়েছেন।
আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সহকারী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, মেডট্রনিকের সাবেক সিইও ও চেয়ারম্যান এবং ইন্টেল করপোরেশনের সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান ওমর ইশরাক, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও নরওয়ের সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ুমন্ত্রী এরিক সোলহেইম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সম্প্রসারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৯ জুন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ অ্যাকাডেমিয়া ডায়লগ, যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা অংশ নিয়ে সমাজে অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে সামাজিক ব্যবসায়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এ ছাড়া, সেদিন ৩-জিরো ক্লাব কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এই কনভেনশনের উদ্দেশ্য হলো ‘তিন শূন্য’ বা ‘থ্রি জিরো’ অর্জন: শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্ব।
টানা চার দিন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকার পর ছুটির দিনে অনেকটা অবাক করে দিয়ে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে। সেইসঙ্গে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকাতেও লম্বা লাফ দিয়ে উপরের দিকে চলে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১০২। বায়ুমানের শ্রেণি অনুযায়ী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষের জন্য এই মান অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।
সবশেষ গত ২১ জুন এই শ্রেণিতে নেমেছিল ঢাকার বায়ুমান। তার পরের চার দিন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকার পাশাপাশি দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকাতেও বেশ নিচে অবস্থান করছিল শহরটি।
এর মধ্যে ২১ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দশম, ২২ জুন একই সময়ে ১৭তম, ২৩ জুন সকাল ৯টায় ২১তম, ২৪ জুন ২৯তম, ২৫ জুন ৩১তম এবং গতকাল ২৬ জুন ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৮তম। অর্থাৎ ক্রমেই উন্নতি হচ্ছিল ঢাকার বায়ুমানে।
গত কয়েক দিনে একটু একটু করে দূষণ থেকে দূরে সরলেও আজ (শুক্রবার) ফের শীর্ষ দশ শহরের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ঢাকা। শহরটির অবস্থান আজ দশম।
এই সময়ে ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, স্কোর ১৬৫ নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থান দ্বিতীয় এবং গতকাল এই সময়ে শীর্ষে থাকা কঙ্গোর কিনশাসা রয়েছে আজ তিন নম্বরে; শহরটির একিউআই স্কোর ১৫৯।
এ ছাড়া ১৫৪ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষ পাচ শহরের অপর দুটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও চিলির সান্তিয়াগো।
এর মধ্যে আজ লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে দিল্লির বাতাসের। ৭৯ স্কোর নিয়ে ভারতের শহরটির বায়ুমান ‘মাঝারি’, আর তালিকায় রয়েছে ২১তম স্থানে।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযোগ পত্র প্রত্যাখান করে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।
২৬ জুন সন্ধ্যায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, যারা জড়িত নয় তদন্ত প্রতিবেদনে তাদেরও জড়ানো হয়েছে। এছাড়া প্রকৃত দুই তিনজন আসামিকে আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্তু আবু সাঈদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সাবেক প্রক্টরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। এবং এর পুনরায় তদন্ত দাবি করেন। একই সময় তারা আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচারের দাবিও করেন।
এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তাদের (ট্রাইব্যুনাল) সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বসতে চেয়েছি কিন্তু তারা আসেনি। তারা বলছে হামলা নাকি ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে হয়েছে। এটা মিথ্যাচার। বাংলাদেশের বিচারহীনতার বড় প্রমাণ আজ এই অফিযোগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ পত্র প্রকাশের আগে তদন্ত কমিটির রংপুর এসে আবু সাঈদ হত্যার সাক্ষী ও সহযোদ্ধাদের সঙ্গে বসে অভিযোগ পত্র প্রকাশ করার কথা ছিলো। কিন্তু তারা কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে মনগড়া তদন্ত করে অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে। যা এক ধরনের প্রহসন। তাই এই মিথ্যা প্রহসন ও মিথ্যা তদন্তকে বেরোবি শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রশাসনিক ভবনে সকল ডিপার্টমেন্টর শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
যতক্ষণ পর্যন্ত আবু সাঈদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে কোনো প্রহসন সহ্য করা হবে না। প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, এটাতো আইনের বিষয়ে তারা কি করছে এখনতো আমরা জানি না। সাবেক প্রক্টর শরিফুলের এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল কি ছিলো না তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করলে জানা যাবে। তারা কি তদন্ত রিপোর্ট দিবে তা তো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে দেবে না।
উল্লেখ্য, এ মামলায় চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
মন্তব্য