× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
রোজিনার জামিন আদেশ পেছাল যে কারণে
google_news print-icon

রোজিনার জামিন বিষয়ে আদেশ পেছাল যে কারণে

রোজিনার-জামিন-বিষয়ে-আদেশ-পেছাল-যে-কারণে
জামিন না হওয়ায় সরকারি নথি চুরি চেষ্টা মামলায় কারাগারেই থাকতে হচ্ছে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। ছবি: সাইফুল ইসলাম
মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রোজিনা ইসলামের সোমবারের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দাখিল করতে চাইলে আদালত তা আগামী রোববার উপস্থাপনের আদেশ দেয়। এ ফুটেজ দেখার পর আদালত জামিন আদেশ দেবে।

সচিবালয়ে সরকারি তথ্য চুরির অভিযোগে অবরুদ্ধ হওয়ার পর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের দোষ স্বীকারের যে ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, তা আদালতে উপস্থাপনের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এটি দেখার পর আদালত জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম বাকী বিল্লাহ জানিয়েছিলেন, এই দিনই (বৃহস্পতিবার) জামিন বিষয়ে আদেশ দিয়ে দেবেন। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর জামিন বিষয়ে আদেশ না দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে আসামির স্বীকারোক্তির ভিডিও ফুটেজ জমা দেয়ার আদেশ দেন।

ওই ফুটেজ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে রোববার জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়া হতে পারে বলে জানান বিচারক।

শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরন) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছি এবং আসামিপক্ষও বক্তব্য উপস্থাপন করেছিল। মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।

‘কিছুক্ষণ আগে বিজ্ঞ বিচারক বাকী বিল্লাহ একটি আদেশ দিয়েছেন। সে আদেশে উল্লেখ করেছেন যে, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামির স্বীকারোক্তির যে ভিডিও ফুটেজ আছে সেটা আদালতে উপস্থাপন করব। সেই ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করার আলোকেই আগামী রোববারের জন্য এই মামলার পূর্ণাঙ্গ আদেশের দিন ধার্য করেছেন। এটাই হলো এ মামলার সর্বশেষ আদেশ।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী রোববার অর্থাৎ ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের ডকুমেন্ট উপস্থাপন এবং সেটা পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে আমরা জেনেছি। কথা হলো এই যে ডকুমেন্ট উপস্থাপন, কী ডকুমেন্ট রাষ্ট্রপক্ষ দেবে সেটা সম্পর্কে যদি ডিফেন্স অবগত না হয় এবং কথা বলার সুযোগ না পায় তাহলে আমি মনে করি ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে।’

গত মঙ্গলবার মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে লড়েন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু। তবে ব্যক্তিগত কারণে বৃহস্পতিবার শুনানিতে ছিলেন না। তার হয়ে শুনানি করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ।

শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের যে ধারায় (৩ ও ৫ ধারা) অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জামিন অযোগ্য।

এর বিরোধিতা করে রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, জামিন পাওয়া রোজিনা ইসলামের আইনত অধিকার। তিনি জামিন পাওয়ার অগ্রাধিকার রাখেন। যেহেতু আসামি নারী এবং অসুস্থ, সুতরাং ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৯৭, উপধারা ১-এর বিধান অনুযায়ী তিনি একজন প্রিভিলেজড পারসন। যেহেতু এ অভিযোগ জামিনযোগ্য এবং জামিন পাওয়ার জন্য তিনি আদালতের বিবেচনা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন, সুতরাং তার জামিন মঞ্জুর করা হোক।

সোমবার রোজিনাকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি কক্ষে আটকের কিছু ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রোজিনাকে সোফায় বসিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা জেরা করছেন।

তখন রোজিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো ভুল করছি, আমি বললাম। মুচলেকা দিয়ে দেই।’

রোজিনার জামিন বিষয়ে আদেশ পেছাল যে কারণে

বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালে এহসানুল হক সমাজী জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি এজাহারের দুর্বলতাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কথিত চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই অভিযোগের এজাহারে পেনাল কোডের ৩৭৯ ও ৪১১ ধারা এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর ৩ ও ৫ ধারার কোনো উপাদান নেই।

তিনি বলেন, ‘৩৭৯ ও ৪১১ ধারা সংযুক্ত করতে হলে অবশ্যই কী কী চুরি হয়েছে তার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। কিন্তু সেই বর্ণনা এজাহারের কোথাও নেই। অর্থাৎ রোজিনা কী ডকুমেন্ট চুরি করেছিলেন সেটার উল্লেখ নেই। সেই সাথে জব্দ তালিকা দেয়া আছে, সেটা পুলিশ রোজিনার কাছ থেকে উদ্ধার করেনি, বরং একজন সরকারি কর্মকর্তা সেগুলো পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেছেন।

‘তাই কথিত চুরি করা ডকুমেন্ট রোজিনার কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন কি না কিংবা তিনি আসলেই চুরি করেছেন কি না সে নিয়ে আইনি প্রশ্ন থেকে যায়। তা ছাড়া অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ধারা হলো গুপ্তচরবৃত্তি-সংক্রান্ত। রোজিনা গুপ্তচারিতা করছিলেন এজাহারে কোথাও এমনটি উল্লেখ নেই। আর ৫ ধারা হলো রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শত্রুর কাছে হস্তান্তর করতে যোগাযোগ করা। এমন কোনো তথ্যও এজাহারে নাই।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী সমাজী বলেন, ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের সেকশন ১২ মতে আইনের ৩ ধারা ছাড়া অন্য সব ধারায় অপরাধ জামিনযোগ্য। এই রেফারেন্সে আমরা রোজিনার জামিন চেয়েছি। আমি বিজ্ঞ আদালতকে বলেছি, এই ঘটনায় রোজিনার জামিন পাওয়া তার প্রতি কোনো দয়া নয় বরং তার আইনি অধিকার। সি ডিজার্ভস টু বি রিলিজড অন বেইল।’

সচিবালয়ে সোমবার এক কর্মকর্তার কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

পরদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় রোজিনাকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে এই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক মোহাম্মদ জসীম।

জামিন আবেদন করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এই আবেদন আংশিক শুনানি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন বিচারক। রোজিনাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে।

শুরু থেকেই রোজিনাকে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক নেতারা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। মন্ত্রীরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন ন্যায্য বিচার পাবেন রোজিনা।

আরও পড়ুন:
রোজিনাকে ঘষেটি বেগমের সঙ্গে তুলনা, আইনজীবীর প্রতিবাদ
সাংবাদিক রোজিনার জামিন আদেশ রোববার
রোজিনার জামিনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ের কমিটি
দেশের বদনাম হচ্ছে, রোজিনা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোজিনার জামিন আবেদনে শুনানি শেষ, আদেশ আজই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
The bodies of two children were recovered after 22 hours of disappearing in Brahmaputra

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

মন্তব্য

জাতীয়
3 youths killed on the Chuadanga border

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

জাতীয়
2 arrests 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Seizure

ফেনীতে কোটি টাকার মালপত্র জব্দ

ফেনীতে কোটি টাকার মালপত্র জব্দ

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া সীমান্ত এলাকা থেকে কয়েকটি গরুসহ কোটি টাকার ভারতীয় মালপত্র জব্দ করেছে বিজিবি। বুধবার (০২ জুলাই) উপজেলাদ্বয়ের ভারত সীমান্ত এলাকায় এসব মালপত্র জব্দ করা হয়। বিজিবি জানায়, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিজিবি। টহল দলকে দেখে চোরাকারবারিরা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কার্টন ও কয়েকটি গরু রেখে পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা মালপত্র ও গরুগুলো জব্দ করে। এসবের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। জব্দকৃত মালপত্র স্থানীয় কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে ।

ফেনীর ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির অভিযানিক কর্মকাণ্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Jhenaidah snake bite

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে কিশোরের মৃত্যু

ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে কিশোরের মৃত্যু

ঝিনাইদহে সাপ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল মাহাফুজুর রহমান (১৬) নামের এক কিশোরের। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বিষয়খালীর কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কিশোর মাহাফুজুর রহমান ওই গ্রামের মত. মতিয়ার রহমান মতির একমাত্র ছেলে।

স্বজন ও বন্ধু সোহান জানায়, গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাছের একটি তালগাছ থেকে সোমবার (৩০ জুন) বিকালে মাহাফুজুর রহমান একটি সাপ ধরে টিফিন বাটিতে করে আটকে রাখে। যা পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ওই তালগাছের কাছে গিয়ে সাপ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) তার হাতে ছোবল দিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তিরপর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Narsingdi

নরসিংদীতে ৭ জুয়ারি গ্রেপ্তার

নরসিংদীতে ৭ জুয়ারি গ্রেপ্তার

জুয়া খেলারত অবস্থায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ ৭ জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবার (০২ জুলাই) সকালে শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর বাজারের পাশে বাবুল নাজিরের কলাবাগানের ভেতর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- দৌলত হোসেন (৩৮) সাং-চরআলিনগর, খোরশেদ আলম (২৪) সাং-চরসিন্দুর, ফারুক (৪৫) সাং-হরিনারায়নপুর, আলামিন (৩৮) সাং-মানিকদী, মুকসিন (৪৪) সাং-শিমুলিয়া, সেলিম (৩৫) সাং-লাখপুর ও সুরুজ (৫২) সাং-লাখপুর। পুলিশ তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত: জুয়ারীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

জেলার সীতাকুণ্ডে সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান বনায়ন কেটে গড়ে ওঠা বিতর্কিত সেই জাহাজভাঙা কারখানাটিতে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার (০২ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান শুরু করে। এর আগে গত ২৫ জুন প্রথম দফায় উচ্ছেদ করে কারখানাটির স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কারখানা এলাকায় গড়ে ওঠা আরও কিছু স্থাপনা এবং ভবনের অবশিষ্টাংশে বুধবার (০২ জুলাই) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

উচ্ছেদের পাশাপাশি সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজার জায়গাটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে বন বিভাগ। বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ লাগানো হবে ওই স্থানটিতে। প্রথম দফায় সেখানে দুই হাজার বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করা হবে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানাটি উচ্ছেদের পাশাপাশি সেখানে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এ জন্য চারা এনেছে বন বিভাগ। এ ছাড়া কারখানার অবশিষ্ট অংশটিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়।’ এই উচ্ছেদ অভিযানে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন ও উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ঝাউ, করঞ্জা ও হিজল- এই তিন প্রজাতির দুই হাজার গাছের চারা এনেছি। এখানে লাগানো হচ্ছে। এর আগে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ ধ্বংস করেন জাহাজভাঙা কারখানার লোকজন।’

জেলা প্রশাসনই বনের জায়গাটিতে জাহাজভাঙা কারখানা স্থাপনের জন্য দুবার ইজারার অনুমতি দিয়েছিল। আপত্তির পর আবার ইজারা বাতিল করা হয়। কোহিনূর স্টিল নামে এই কারখানা স্থাপন করেছিলেন আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ‘রাজা কাসেম’ নামে পরিচিত।

বন কেটে গড়ে ওঠা জাহাজভাঙা কারখানায় ফের উচ্ছেদ

বন বিভাগ সূত্র জানায়, তুলাতলী মৌজায় বন বিভাগের ২০ ধারায় নোটিফিকেশনকৃত বনাঞ্চল রয়েছে। ইজারা চুক্তিতে কাগজে-কলমে সলিমপুর মৌজা দেখানো হলেও মূলত তুলাতলী মৌজায় বিতর্কিত এই ইয়ার্ড গড়ে ওঠে। বন বিভাগ বারবার এ ইজারায় আপত্তি জানিয়ে আসছিল। আপত্তি উপেক্ষা করে তখনকার জেলা প্রশাসকেরা একই ভূমি দুবার রাজা কাসেমকে ইজারা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে প্রথম ৭ দশমিক ১০ একর ভূমি শিপইয়ার্ডের জন্য ইজারা পায় কাসেমের বিবিসি স্টিল। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আইনি পদক্ষেপ নেয় এই ইজারার বিরুদ্ধে; কিন্তু তুলাতলী মৌজাটি বনাঞ্চল হওয়ায় উচ্চ আদালত ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি ইজারা চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে আর ইজারা চুক্তি নবায়ন করেনি জেলা প্রশাসন।

বিবিসির নামে ইজারা বাতিল হওয়ার পর কাসেম তার স্ত্রী কোহিনূর আকতার নতুন করে একই জায়গায় জমি ইজারার আবেদন করেন। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় কোহিনূর স্টিল। এরপর ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কোহিনূর স্টিলের নামে সীতাকুণ্ডের উত্তর সলিমপুর মৌজা দেখিয়ে পাঁচ একর বনভূমি ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন।

এ নিয়ে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কৌশলে’ বন ইজারার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আবার ২০২৩ সালের ৮ জুন ‘চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদারতায় ইয়ার্ডের পেটে ৫ হাজার গাছ’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন সীতাকুণ্ডের কোহিনূর স্টিল নামের ওই জাহাজভাঙা কারখানার ইজারা বাতিল করেছিল। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদনও দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এরপর বিভাগীয় কমিশনার বরাবর ইজারা চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেন কোহিনূর স্টিলের মালিক আবুল কাসেম। ইজারা ফিরে পেয়ে কারখানাটিতে ফের জোরেশোরে কাজ শুরু করা হয়। সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজায় কোহিনূর স্টিল নামের ইয়ার্ডটির অবস্থান। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় বাতিল হওয়া ইজারা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। এরপর কাসেম আবার ওই জায়গায় কাজ শুরু করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।

মন্তব্য

p
উপরে